সবুজে ঘেরা এক গ্রাম। মাঠে মাঠে ফসল। দক্ষিণ দিকে রয়েছে একটা বড় পুকুর। তার ধারে রয়েছে একটা বড় লিচুর গাছ। রোজ তার নিচে বসে থাকে বসে থাকে বকুল।হাতে তার বাশি। রোজ বিকেলে বাশি হাতে বসে থাকে। কিন্তু বাজায় না।
আর বাজবেই বা কেন¿ শোনার কেউ নেই। আজও সে বসে আছে। হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠে।
হ্যালো,,,
তুই এখন কোথায়?
যেখানে থাকার কথা।
আজ সন্ধ্যায় আসতে পারবি?
কেন?
প্রয়োজন আছে।
আচ্ছা,আসবো।সবাই আসবে কি?
হুমম
ঠিক আছে।
সন্ধ্যায় সবাই তাদের আড্ডার জায়গায় দেখা করে।
সবাই এসেছে। কিন্তু যে ডেকেছে,সে কোথায়?
কিরে,নিরব কোথায়?
সবুজ : জানি না তো। সন্ধ্যায় ডেকেছে , তাই এলাম।
দিপু : কিন্তু ডাকলোই বা কেন?
এমন সময় নিরব তার দাদুকে নিয়ে এলো।
আমি: এত দেরি কেন? আর দাদু সাথে কেন?
দাদু : আমি বুঝি তোদের সাথে আড্ডা দিতে পারি না।
আমি : পার তো।
নিরব: যে জন্য তোদেরকে ডেকেছি শোন, আমাদের কাজে দাদু সাহায্য করবে।
দিপু : এতো ভালো কথা। তবে আমাদের পরিকল্পনাটা বাস্তবায়িত হচ্ছে।
তারপর আরও কিছুক্ষণ আড্ডা দিয়ে বাড়িতে এলাম। তাহলে সব ভালোই হবে।
পরদিন সকালে রাস্তা দিয়ে হাটতেছি। আর আকাশ দেখতেছি। হঠাৎ চোখে পরলো প্রিয়ন্তী আর একটি মেয়ে বাগানে ঢুকছে। আমি তাদের পিছু নিলাম।
আমি : প্রিয়ন্তী,বাগানে কি করতেছ?
প্রিয়ন্তী আর সেই মেয়েটা চমকে পেছনে তাকায়।
মেয়েটার চোখে বোধহয় যাদু আছে। কেমন যেন একটি মায়া সৃষ্টি হয়।পটল আকৃতির মায়াবী চোখ।
প্রিয়ন্তী: আমায় ডাকছিস?
আমি : হুম। এই সাত সকালে বাগানে কেন?
প্রিয়ন্তী: ফুল তুলতে।
আমি : ফুল আবার কি করিস? কাউকে দিবি নাকি?
প্রিয়ন্তী: ধ্যাৎ, আর আবার কাকে ফুল দেবো? তুই নিবি নাকি?
আমি : আমি? আমি ফুল দিয়ে কি করবো:s?
প্রিয়ন্তী: তা জিজ্ঞেস করছিস কেন?
আমি : তুই তো ফুল তুলিস না। তা আজ কী মনে করে?
প্রিয়ন্তী: আরে এর জন্য। পূজা করবে তো।
আমি : এটা আবার কে?
প্রিয়ন্তী: আমার বান্ধবী।
আমি : ওওওও।
মেয়েটা প্রিয়ন্তীর হাত ধরে টান দেয়।বলে, প্রিয়ন্তী চল,দেরী হয়ে যাচ্ছে।
বাধ্য হয়ে ওকে হলো।
আমিও চলে আসি।