ছোট গল্প: অপত্য

ছোট গল্প: অপত্য

স্পেয়ার চাবি দিয়ে ফ্ল্যাটের কোলাপসিবলটা খুলতে খুলতেই বাইরে লাগানো ফলকটার দিকে চোখ গেল দেবলীনার। কাঠের ব্লকে, কারুকাজ করে লেখা ‘নেস্ট’। নীড়। বছর দুয়েক আগে ব্রাঞ্চটা যখন রেনভেট করছিল, ঐ ইন্টিরিয়দের দিয়েই করিয়ে নিয়েছিল ফলকটা। দরজাটা খুলে এক চিলতে করিডরে পা দিয়েই কেমন ছাঁৎ করে উঠল বুকটা। অন্যদিন তো, দেবলীনা দরজায় ঢুকতেই আওয়াজ পায় নাকু-গামার। দেবলীনার দুই ছেলে। যমজ। ঠাসঠাস দ্রুমদ্রুম শুভ নিশুম্ভের লড়াইয়ের আওয়াজ, সাথে মায়ের চিল চিৎকার। আজ এত শান্ত কেন?

কাঁধের ঝোলা ব্যাগটাকে ডাইনিংয়ের চেয়ারে ঝোলাতেই চোখ গেল ঘরে। বিছানায় মাথায় জলপটি দিয়ে শুয়ে গামা, পাশে নাকু চিন্তাচিন্তা মুখ করে বসে। হুবহু এক দেখতে। শুধু দেবলীনা আর ওদের আম্মা ওদের আলাদা করতে পারে, বাকিরা ঘোল খেয়ে যায়। ক্লাস ফাইভের দুই বিচ্ছু, বাড়িতে থাকলে এক মুহূর্ত চুপ করে বসেনা, স্কুলেও তথৈবচ। ঘরে ঢুকতেই নাকু বলে উঠল,

“স্কুল থেকে ফিরে জ্বর। ১০২। আম্মা ওষুধ দিয়েছে। এখন পার্থকাকুর দোকানে গেছে, স্যুপের প্যাকেট আনতে।“

সদর দরজা খোলার আওয়াজে, দেবলীনা বুঝল মামণি এল। প্যাকেট দুটো টেবিলে রেখে নাতিদের ঘরে ঢুকেই দেবলীনাকে দেখে বললেন,

“ও তুই এসে গেছিস? স্যুপের প্যাকেট আনলাম, দাঁড়া করে দিচ্ছি। ওরা খাবে সাথে তুইও একটু খা।”

“স্কুল থেকে ফিরে গামার জ্বর তো তুমি আমাকে ফোন করনি?”

“ভেবেছিলাম একবার। তারপর দেখলাম তোর মার্চ মাস চলছে, বেকার টেনশন করবি। মাথা ধুইয়ে ওষুধ দিয়ে দিয়েছি, নেমে যাবে জ্বর। তুই আর টেনশন না করে, যা বাইরের জামা ছাড়। এই সিজন চেঞ্জের সময়, ওরম একটু হয় মা, ভাবিস না। তুই বরং নাকুকে নিয়ে গিয়ে যা একটু। গামার সামনে বেশিক্ষণ রাখিসনা। ভাইরাল জ্বর সব, ওরও ছোঁয়াচ লাগবে। দুজনে পড়লেই চিত্তির। যা গুণধর ছেলেরা মা তোমার। স্কুল থেকে ফিরেই ঢকঢক করে ফ্রিজের ঠান্ডা জলগুলো গিলবে। কত নিষেধ করি, কে কার কথা শোনে!”

আম্মার এহেন অনৃতভাষণ আর স্থির থাকতে পারলনা নাকু। তাদের স্কুলে শিখিয়েছে ইউ মাস্ট স্পিক ট্রুথ অলওয়েজ। বিছানায় বসেই বলে উঠল,

“আম্মা, তুমি মিথ্যে কথা বলছ? ছিঃ! তুমি যে আমাদের ঠান্ডা জলে গ্লুকোজ করে দিয়ে,নিজেও খাও। আর বল মামমামকে বলিসনা! সেটা কিছু না?”

দেবলীনার অনুপস্থিতি ঘটমান এইসব গুপ্ত ঘটনা নাতি সুযোগ বুঝে ফাঁস করে দেওয়ায় কয়েক মুহূর্ত বিচলিত হন কেকা। তারপর অপরাধীর মত মুখ করে দেবলীনার দিকে তাকিয়ে বলেন,

“রোজ খাইনা রে, ঐ মাঝেমাঝে একটু ওদের সাথে। নাকু তুমি যাও পড়াশোনা কর। মা গামাকে একটু আদর করেই যাচ্ছে।“

মামণির মুখ দেখে হোহো করে হেসে ওঠে দেবলীনা। বাষট্টি বছরেও কেকার তেমন রোগবালাই নেই। শুধু একটু ওবেজ সেকারণে আজকাল দেবলীনা একটু খাওয়াদাওয়ায় কড়াকড়ি করে। নচেৎ নিজের এই অসমবয়সী সখীটির ওপর তার নিজের চেয়ে বেশি আস্থা আছে। গামার চুলটা ঘেঁটে দিয়ে বাথরুমের দিকে পা বাড়াল দেবলীনা।

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলায় প্রকাশিত সব ছোট গল্প পড়তে ক্লিক করুন এই লিংকে

“লাভা লোলেগাঁও”

“না গতবার তোর কথা শুনে মামমাম ডেলো গেছিল। এবার আমরা তিনচুল যাব। মামমাম এবার আমার কথা শুনবে।”

এপ্রিল মাসের প্রথম রবিবার। সকালবেলায় আঁকা শিখে এসে দুই ছেলে দেবলীনার দুই হাত ধরে ঝুলছে। এ যদি উত্তরে যায়, অন্যজন দক্ষিণে যাবেই। এই মেঘ এই রোদ। গোটা মার্চমাসের হাড়ভাঙ্গা খাটুনীর পর দেবলীনাদের এই এপ্রিলটা একটু হালকা যায়। ছেলেগুলোর পড়াশোনার চাপও নেই। এইসময়টায় দেবলীনা প্রতিবার ফ্যামিলি নিয়ে বেড়িয়ে আসে। কাছাকাছিই। দার্জিলিং, বকখালি, মন্দারমণি। দু একদিনের জন্য ফুসফুসে বাতাস ভরে নেওয়া। সারা সপ্তাহের জমা কাজ রবিবারগুলোয় সারে দেবলীনা। বাজার-হাট, কাচা, ঝাড়াঝুড়ি খানিক। ফ্ল্যাটের চিলতে কিচেন থেকে মেটে চচ্চড়ির গন্ধ ছড়াচ্ছে। ছেলেগুলো কয়েকদিন হল জ্বর থেকে উঠেছে। দেবলীনা তাই আজ একটু মেটে এনেছে। ঝালঝাল রাঁধবে মামণি, মুখছাড়া বেশ। পেঁয়াজ রসুন ভেজে তাতে মশলা ছড়িয়ে পাশে এসে বসল কেকা। বড্ড খাটে মেয়েটা।

“দেবু শোননা। ঐ লাভাই বল তিনচুলাই বল ওখানে তো গেছি আমরা আগে। এবার অন্য জায়গায় চ’না। সেদিন মুখার্জীদার প্রোফাইলে দেখলাম ওরা একটা নতুন জায়গায় গেছে। কি যেন নামটা, হ্যাঁ তাগাদা! চ’না ওখানে যাই। ফেসবুকে দেখলাম রে। সেই একটা লাইন আছে না, ‘এখানে মেঘ গাভীর মত চরে।’ ওখানে না ঠিক ওরকমভাবে মেঘ ওড়ে। ওরা অবশ্য বর্ষায় গেছিল। এপ্রিলে কি হবে জানিনা,তবে চ’না ঐ তাগাদায়।

“মামণি তুমি না সত্যি! তিনচুল কে তিনচুলা, তাগদাকে তাগাদা! হিহিহি! ঠিক করে নামও মনে রাখতে পারনা।”

“তা আর কি করে মনে রাখব মা! বাঙালি জায়গার নাম নাকি তাগদা! নামের ছিরি দেখ! এই শোন দেবু সবাই দেখি এখন কী সুন্দর বাংলায় সব লেখে ফেসবুকে। আমি লিখতে পারিনা, তাই কিছু বলতে লজ্জা করে। তুই আমাকে বাংলা লেখা শিখিয়ে দিবি?”

“সে নয় দেব। কিন্তু তুমি কি আজকাল খুব ফেসবুক করছ?”

“সে উপায় কি তোমার বালী-সুগ্রীব রেখেছে মা? সারাক্ষণ আম্মা আম্মা। ঐ ওরা ঘুমলে তখন একটু। ঐ ছবিটবি দেখি সবার। কথা বলিনা বেশি। দুটো কথার পর তিনেটেই তো সেই এক জিজ্ঞাসা। কেন যে এদের কৌতূহল মরে না?”

পরিস্থিতি অন্যদিকে ঘুরছে দেখেই দেবলীনা উঠে গিয়ে ওয়াশিং মেশিন চালাল। নাকু-গামার বাবা আজ ন’বছর ওদের ছেড়ে চলে গেছে। দুমাসের ওরা তখন। একদিন অফিসে গিয়ে আর ফিরলো না। ওদের ঠাকুরদা তখনও বেঁচে। খোঁজখবর করেছিলেন চেষ্টামত মৈনাকের। কিছুই জানা যায়নি। শুধু জেনেছিল মৈনাক নাকি পারিবারিক জীবনে খুব অসুখী । তারপর আজ দশবছর এটা দেবলীনারই সংসার। মামণি আজও লুকিয়ে কাঁদে ছেলের জন্য। ছেলের অনুপস্থিতির যাবতীয় মনখারাপ আড়াল করে যান সযত্নে।

কোলাপসিবল গেটটা খোলা। ফ্ল্যাটের দরজায় ঢুকতে গিয়ে মাথা গরম হয়ে গেল দেবলীনার। অক্টোবরের শুরু, পুজো ক’দিন পরেই। এইসময় চোর-ছ্যাঁচোড়ের উৎপাত বেড়ে যায়। মামণিকে বারবার গেট লাগাতে বলা সত্ত্বেও শুনবেনা। গেটটা পেরিয়ে, কাঠের দরজার ল্যাচটা ঘোরাতেই হিম হয়ে গের দেবলীনা। নাকু-গামার কথার মধ্যিখানে ও কার গলা পাওয়া যাচ্ছে? মৈনাক? এতদিন পরে? কিভাবে, কি ব্যাপার? কতক্ষণ এসেছে? মামণি একবার ফোন করলনা? নাকু-গামাকে কি বলেছে? শ্যু-র‍্যাকে জুতো রাখতেই গলা পেল গামার,

“মামমাম দেখ, পাপার একটা ফ্রেন্ড এসেছে সন্ধ্যেবেলায়।“

নিজের ঘরের লাগোয়া ব্যালকনিটায় দাঁড়িয়ে আছে দেবলীনা।সারা বাড়ি জুড়ে শ্মশ্বানের নিঃস্তব্ধতা। নাকু-গামা স্কুলে বেরিয়ে গেছে। ছোট্ট শিশু ওরা নিজেদের মনমত কিছু একটা আঁচ করতে পেরে কোনরকম বায়নাক্কা ছাড়াই স্কুলে চলে গেছে। মৈনাক তখনও ঘুম থেকে ওঠেনি। এখন দরজার বাহারী লেসের পর্দা পেরিয়ে সোফায় বসে থাকা মৈনাকের পিঠ দেখা যাচ্ছে। কাল রাত থেকে মামণির সাথে আর একটাও কথা হয়নি দেবলীনার। মৈনাক যখন ওকে ছেড়ে গেছিল, তখন দেবলীনার সাথে শাশুড়ীর আদায়কাঁচকলায় সম্পর্ক। এক কোপে পেলে দুকোপে কেউ ছাড়বেনা। তারপর আস্তে আস্তে কখন যেন মামণি শাশুড়ী মা সবটা পেরিয়ে ওর সখী হয়ে উঠেছে। পরম নির্ভরতার মন্দির। এই ফ্ল্যাটটা শ্বশুরমশাই ওর নামেই কিনেছিলেন, মামণির হাজার আপত্তি সত্ত্বেও। কিন্তু মৈনাক যদি এখানে থাকব বলে এসে থাকে, সেক্ষেত্রে ওকে এ বাড়ির বাস গোটাতে হবে। দেবলীনার ঘাম দিতে শুরু করল ওর ছেলেদুটোর কথা ভেবে। মায়ের থেকেও আম্মাকে বেশি বিশ্বাস করে ওরা।

জ্যাম পাঁউরুটির প্লেটটা নিয়ে টি-টেবলের ওপর রাখল কেকা। সোফায় বসে মৈনাক, তার বুবলা। কতদিন পরে দেখছে বুবলাকে। পাকাচুল কয়েকটা,না কামানো দাড়িতেও হালকা শ্বেতী। গলাটা একটু খাঁকরে নিয়ে কেকা বলল,

“ রবিবার ছাড়া এ বাড়িতে কোনদিনই সকালে তেমন কিছু জলখাবার হয়না, ঐ দাদুভাইদের টিফিনটুকু ছাড়া। তোর জন্যও আর আলাদা করে কিছু করলামনা। তুই বরং খেয়ে নিয়ে এইবেলা বেরিয়ে যা। যেখান থেকে এসেছিস, সেখানে ফিরতে সময় লাগবে তো। দেখলি তো মিনতিকে দরজা থেকেই ঘুরিয়ে দিলাম। ও আর দু’বাড়ি সেরে আবার আসবে। তারা আগেই তুই আয়। কাজের মেয়েদের তো চিনিসই, কেচ্ছার গন্ধ পেলে, একেবারে গোটা এপার্টমেন্টে ঢিঢি পড়ে যাবে। আসলে দাদুভাইদের যাতে পালিয়ে বাঁচতে নাহয়, সেজন্য তোর বাবা আমাদের গড়িয়ার বাড়ি বিক্রি করে এখানে পালিয়ে এসেছিল। এখানকার ঠিকানা নিশ্চয়ই পুরোনো পাড়া থেকেই পেয়েছিস! ওরাও হয়তো দুএকদিনের মধ্যে আমাকে কিম্বা দেবুকে ফোন করে তোর খবর জানতে চাইবে। আর দাদুভাইরাও জানে যে ওর বাবা মেলায় হারিয়ে গেছিল। আসলে একটা কাপুরুষ ভীরু লোককে ওদের বাবা বানাতে আমরা কেউই চাইনি।”

আত্মপক্ষ সমর্থন করছে মৈনাক,

“আমার মাথার ঠিক ছিলনা তখন। চাকরি নেই, বাড়িতে বাচ্চা, চব্বিশ ঘন্টা চিলচিৎকার, তোমার আর দেবুর অশান্তি। মনে হত পালিয়ে গেলে বাঁচব। ফেরার চেষ্টাও করেছি কিন্তু…। বাচ্চাদুটোর ছবি দেবুর ফেসবুকে দেখেই…”

ম্লান হাসে কেকা,

“তুই যখন গেলি দাদুভাইরা দুমাসের। দেবু আর তোর বাবা তোর কলিগদের কাছে সন্ধান করে জানতে পারল তোদের এফএমসিজি কোম্পানীটা লক আউট হয়ে গেছে। তুই নাকি বাড়ি নিয়েও খুব ডিপ্রেসড্ ছিলি। এত অল্প বয়সে বাবা হওয়া, পারিবারিক দায়িত্ব কর্তব্যে তোর হাঁসফাঁস অবস্থা। আলমারী খুঁজতে গিয়ে দেবু জানল, তোর সার্টিফিকেটগুলো সবগুলোই সাথে নিয়ে গেছিস তুই। তোর বাবা আর দেবু তখনই বুঝেছিল তুই এসকেপিস্ট, আমার সময় লেগেছে। ন’মাস পেটে রাখা সন্তানকে কেইই বা পলাতক ভাবে বল? তুই থাকাকালীন আমার আর দেবুর ক্ল্যাশ দেখেছিস। তুই যাবার পরও অবস্থা ফেরেনি। ‘অপয়া’, ‘বর ধরে রাখতে পারেনা’ কম কিছু বলিনি আমি দেবুকে। আর মেয়েটা তুই যাবার পরেই দুম করে কেমন মেয়ে থেকে মহিলা হয়ে গেল। আমার সাথে চোপা করেনা, ঝামেলা করেনা, খালি ছেলে বুকে নিয়ে কাঁদে। দাদুভাইদের ছ’মাস বয়সে একটা চাকরী নিল মেয়েটা। তোর বাবা ততদিনে কলকাতা থেকে বাস ওঠানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছেন। দাদুভাইদের তো বাঁচাতে হবে। চারিদিকে মানুষের এত প্রশ্ন! দেবু এখন একটা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ব্রাঞ্চ ম্যানেজার। আমার সাথে তো তোর বাবার জমানো কটা টাকা আর পেনশনটা ছাড়া আর কিছুই নেই। তা, আজ তিনবছর হল, ও টাকা আমার ব্যাঙ্কেই পড়ে থাকে। এই পয়লা বৈশাখ আর পুজোর জামাকাপড় কেনা ছাড়া ওতে হাত পড়েনা। আমার মেয়ে নাতিদের সাধ্যমত কিনে দিই। একটা মেয়ে কিভাবে মেয়ে থেকে মহিলা, আর তারপর বান্ধবী হয়ে ওঠে আমার দেবু আমাকে শিখিয়েছে। এই বাড়িটা দেবুর নামে। তুই থাকবি বললে, ও আমার মুখ চেয়ে বাধা দেবেনা। ছেলেদুটোকে নিয়ে অন্য কোথাও চলে যাবে।বাষট্টি বছর বয়সে এসে আমার গতকালের জন্য আমি আমার আজ হারাতে পারবনা। তোর ফোন নম্বর চাইছি না, আমাদেরটাও দিলাম না। যদিও এখন সোশাল নেটওয়ার্কের যুগে জোগাড় করতে তোর দেরি হবেনা। তবে একবার বুবলা, অন্তত একবার তোর বাবাকে আর আমাকে তোর জন্য গর্ব করতে দে। দশ বছর আগে যা ফেলে গেছিস আজ আর নিতে আসিস না। ফেরৎ হয়না।”

ব্যালকনিতে ঝোলানো চিনে যন্ত্র ঐকতান গাইছে। নড়বড়ে পা ফেলে বেরিয়ে যাচ্ছে মৈনাক। সোফায় বসা কেকা ভেঙে পড়ছে কান্নায়, দেবলীনা ঝুম বসে আছে। কালকের ফোটা শিউলি এখনও ব্যালকনিতে সাদা-কমলার আল্পনা এঁকে রেখেছে, ঢাকিরা বোল বাজাচ্ছে, ঝাউরগিজোর গিজগিনিধা, সামনের ট্রাফিক পয়েন্টে বেজে উঠল, “অমল ধবল পালে”। মা আসছেন, পুজো আসছে।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত