অফিস তাড়াতাড়ি থেকে ছুটি নিয়ে আমার বাগান বাড়ীতে চলে আসলাম।এসেই আগে হাতে একটা ছুড়ি নিয়ে হাতের দু’আঙ্গুল দিয়ে তার ক্ষমতা পরীক্ষা করতে লাগলাম।ক্ষমতা পরীক্ষা করতে গিয়ে হাতের আঙ্গুল সামান্য কেটে গেছে।তাতে কি সেটা মুখে নিয়ে রক্ত চুসে খেতে লাগলাম।এদিকে চেয়ার উপর রাখা কালো কাপড় গুলো দেখতে লাগলাম ঠিক আছে কিনা, যাতে টানাটানি করলে ছিড়ে না যায়!
আমি ইতিমধ্যে ফোন করে দিলাম আমার বউ তানিয়াকে।আমাদের বাগান বাড়ীতে আসতে।কারণ তাকে আজ বিশাল বড় আর আশ্চর্য জনক সারপ্রাইজ দিবো তাকে।সে কল্পনাও করতে পারছে না আর পারবেও না।সে জানালো সে আসছে আধা ঘন্টার মধ্যে!
আমি ছুড়িটা হাতে নিয়ে আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে দেখছি নিজেকে।একেক ভাবে দেখছি।একবার সাইকো হিসেবে আবার নিজের পোশাক খুলে অট্ট হাসি দিয়ে।বারবার কেমন জানি নিজেকে দেখতে মন চাইছে আজ। দেখতে দেখতে হঠাৎ দরজায় কলিং বেলের শব্দ হচ্ছে।মনে হয় তানিয়া এসে গেছে।আমি ছুড়িটা আয়নার সামনে রেখে চলে গেলাম দরজা খুলতে।খুলে দেওয়া মাত্রই তানিয়া বলে উঠলো:
-কি হলো আজ, এখানে ডাকলে সারপ্রাইজ দিবে বলে!(তানিয়া)
-(আমি মুচকি হেসে বললাম) হ্যা, দিবোই তো, তাই তো এখানে ডেকেছি (মনে মনে ভাবলাম সারপ্রাইজ কল্পনাও করতে পারবে না)!(আমি)
-আচ্ছা, তোমার সারপ্রাইজ টা কি দিবে!
-হ্যা, দিবোই তো, এত অধের্য হলে চলে, সামনের এই চেয়ারে বসো!
-হ্যা বসছি! তানিয়া বসা মাত্রই আমি ওর হাত দুটোকে চেয়ারের সাথে বেধে দিলাম।সাথে সাথে প্রশ্ন করলো:
-একি, তুমি আমার হাত বাধছো কেনো!
-তোমাকে সারপ্রাইজ দেবো তাই বাধছি আুপ করে বসে থাকো তো! এই বলে ওকে বসিয়ে রেখে হাত,পা বেধে ফেললাম।ওর চোখ টা বাধতে যাবো তখনি আবার প্রশ্ন করলো:
-একি চোখ বাধছো কেনো!
-সারপ্রাইজ সামনে আনার পর চোখ খুলে দিবো, কোনো চিন্তা করো না!
-আচ্ছা বাধো!
আমি ওকে সম্পুর্ণ ভাবে বেধে ফেললাম যাতে ও নড়তে না পাড়ে।আমি ওকে ওখানে রেখে চলেগেলাম ছুড়িটা আনতে।ছুড়িটা হাতে নিয়ে ওর চেয়ারের পিছনে দাঁড়িয়ে বললাম:
-বলোতো জান, তোমার সারপ্রাইজ কি!
-জানি না সোনা, তুমিই বলো না!
-(আমি অট্ট হাসি দিয়ে বললাম)তোমার সারপ্রাইজ হলো তোমার (এই বলে থেমে গেলাম)!
-কি হলো থামলে কেনো বলো!
-বলবো!
-হ্যা, বলো!
-তোমার সাপ্রাইজ হলো তোমার মৃত্যু (এই বলে সাথে সাথে গলার উপরে ছুড়ি বসিয়ে চালিয়ে দিলাম)!
কিছুক্ষণ নড়া চড়া করার পর ও থেমে গেলো।বুঝতে পারলাম মরে গেছে।গলা দিয়ে রক্ত জ্বরছে খুব।ওগুলো হাতে নিয়ে সারা শার্টে মাখতে লাগলাম।কিছু রক্ত খেয়েও দেখলাম কেমন লাগে। তারপর ওর বডির প্রত্যেকটা অংশকে কেটে আলাদা করলাম।বাগান বাড়ীর চারদিকে বিভিন্ন জায়গায় গর্ত করে মাটি চাপা দিয়ে রাখলাম।যাতে কেউ সন্দেহ বা করতে পারে তাই রাতে ওখান থেকে চলে আসলাম একটা দুর্ঘটনা ঘটিয়ে।ওই বাড়ীতে আগুন লাগিয়ে দিলাম!
আমি এমন অভিনয় করলাম পোড়া বাড়ীর সামনে পুলিশের সাথে গিয়ে যাতে তারা বুঝতে পারে আমি অনেক দুঃখে আছি বাড়ীটা নিয়ে।কিছুদিন পর থানায় ডায়েরী করে আসলাম আমার বউ মিসিং।যাতে খুনের কথা কেউ যানতে না পারে।আর পোড়া বাড়ীর ওই জায়গাটা বন্ধ করে দিলাম আজীবনের জন্য।যাতে কোনো দিন কেউ কিছু না জানতে পারে!
খুন করার ২০ বছর হয়ে গেছে।আমি এখনো কোনো বিয়ে করিনী।আমার ইচ্ছাও ছিলো না বিয়ে করার আর।আমি সেই পোড়া বাড়ীটার সামনে এসে দাঁড়িয়ে রয়েছি কিন্তু আমার সেই খুনের জন্য একটু ভাবতে ইচ্ছে হচ্ছে না।পুলিশ কিছুদিন তদন্ত করে কিছু না পেয়ে কেসটা বন্ধ করে দেয়।আর আমি মুক্ত ভাবেই রয়েছি,নিজের স্বাধীনতা মতো!
খুনটা যে করেছিলাম তার কারণ তো আমি ছাড়া কেউই জানে না।আপনাদের বলছি খুনটার কারণ।
এর কারণ ছিলো সামান্য কিছু।ভাবতেও পারবেন না।তানিয়ার অন্য একটা ছেলের সাথে তখন অবেধ সম্পর্ক ছিলো।কিছুদিন এটা সামান্য ভেবে ছেড়ে দিয়ে ছিলাম কিন্তু তা পরে বিগ্রে যায়।তাদের সম্পর্ক আরো গভীর হয়।এর জন্য এই খুনটা করে আমার থেকে মুক্তি দিয়ে ওই ছেলের কাছে পাঠিয়ে দিলাম। এখন হয়তো ভাবছেন ওই ছেলেটাতো বেঁচে আছে তাহলে পাঠালাম কি করে, তাইতো!
তাহলে শুনুন ওকে মারার দুইদিন আগে ছেলেটা এই বাড়ীতে এনে হত্যা করে ছিলাম।ওর মতোই টুকরো করে কেটেছিলাম ছেলের লাশটাকেও।ছেলের শরীরের যে অংশ যে জায়গায় পুতে রেখে ছিলাম ঠিক ওই জায়গায় আমার বউ এর শরীরের অংশ গুলো রেখেছিলাম।এভাবে ওদের মৃত্যুর পর একসাথে পাঠিয়ে দিলাম দুজনকে এক জায়গায়! হা হা হা হা! সাবধান এই গোপন কথাটা নিজের মাঝেই রেখে দিন সকলে নইলে কিন্তু – হা হা হা!