সিনেমাটীন জীবন

সিনেমাটীন জীবন

আমি ঘুমোচ্ছিলাম। হঠাৎ কানের সাথে ঠোঁট লাগিয়ে মা চেঁচিয়ে বললো,

– এতো ঘুমালে চলবে? মানুষ বার বার ফোন দিচ্ছে সেদিকে তোর কোনো হদিসই নাই। আমি পাশ ফিরে তাকিয়ে ঘুম ঘুম কণ্ঠে বললাম,

– এতো সকালে কেউ এসে এভাবে চিৎকার চেঁচামেচি করে? যাও তো, আর কিছুক্ষণ ঘুমোতে দাও। ফোন বাজতে থাকুক। আমার বিরক্তিকর কথায় মা চলে যায়। আমি আবার ঘুমোচ্ছি। পরক্ষণেই আবার ফোন বেজে উঠে। রাগান্বিত ভাবে ফোন হাতে নিয়ে দেখি পল্লবীর (ছাত্রী) আম্মুর ফোন। আন্টি এতো ভোরে ফোন দেওয়ার কথা না। এক লাফে খাটের উপর উঠে বসে রিসিভ করে বললাম,

– আন্টি এতো সকালে ফোন দিলেন! কিছু হয়েছে বাসায়? এক দীর্ঘশ্বাস ফেলে আন্টি বললেন,
– তুমি কিছুক্ষণ সময়ের জন্য আমাদের বাসায় আসতে পারবে? অবাক হয়ে বললাম,
– এতো সকালে কীভাবে যাবো আন্টি! আজ তো মা’কে নিয়ে হসপিটালে যাওয়ার কথা। কাল আসলে হবে না? খুব অনুনয়ী ভাবে বললো,

– না বাবা, আজই আসতে হবে। মনে মনে ভাবছি, কখনো তো এভাবে হুটহাট যেতে বলেনি। কী এমন হলো এতো তাড়াহুড়ো দেখাচ্ছে? ফ্রেশ হয়ে চা বিস্কুট খেয়ে আন্টিদের বাসার উদ্দেশ্যে রওনা দিলাম। খালি হাতে কখনো পল্লবীদের বাসায় যাওয়া হয়নি। সাথে সামর্থ্যনুযায়ী হাতে করে কিছু নিয়ে যেতাম।

বারো টাকা দিয়ে পটেটো কিনে পল্লবীদের দরজার সামনে দাঁড়িয়ে কলিংবেল বাজাচ্ছি। চারবার বেল বাজালেও কারো আসার নাম নাই। আন্টির মোবাইলে ফোন দিলেও রিসিভ করছে না। তাহলে বাসায় কি হবে? মাত্র ফোন করে আসতে বললো, এখনি আবার দরজাও খুলছে না। ফোন দিচ্ছি তবুও ধরছে না। আবার কয়েকবার কলিংবেল বাজাতে একটি ছেলে দরজা খুললো। ছেলেটিকে দেখে আমি আঁতকে যায়। আরে এই ছেলে এখানে কেনো? এই ছেলের সাথে সেদিন পল্লবী রাস্তায় ভীষণ ঝগড়া ফেসাদ করলো। আজ এই ছেলেটি এ বাড়িতে? ছেলেটি ভয় নিয়ে আমাকে জিজ্ঞেস করলো?

– আমি কিছু করিনি। আমাকে মারবেন না। দরজার বাহিরে দাঁড়ানো অবস্থায় বললাম,
– কেনো মারবো তোমাকে আমি? কি এমন করেছো তুমি তার জন্য হুট করেই মারার কথা বলছো? ছেলেটি কিছু বললো না। আমাকে ভিতরে যেতে বললেন। আমিও ভিতরে যাই। বাসায় ঢুকতেই দেখি ফ্লোর জুড়ে কাচের ভাঙা টুকরো গুলো ছড়িয়ে ছিটিয়ে পরে আছে। বুঝতে বাকী রইলো না এটা তাদের পারিবারিক সমস্যা। আমাকে এর মাঝে জড়ানোর প্রয়োজন ছিল না। আমি আন্টি আন্টি বলে চিৎকার করতেছি। চিৎকার শোনে পল্লবী আসে। পল্লবীকে আমি বললাম,

– কি হয়েছে পল্লবী? বাসার এই অবস্থা কেনো? মাথা নিচু করে চুপচাপ দাঁড়িয়ে রইলো খাম্বার মত। হঠাৎ সেই অপরিচিত ছেলেটি বললো,

– আপনি কে? দরজা খোলার সময় খেয়াল করিনি আপনি যে অপরিচিত। আপনার পরিচয়? আমি মুচকি হেসে কিছু বলতে যাচ্ছি ঠিক ঐ মূহুর্তে পল্লবীর মা আসে। আমাকে দেখা মাত্রই জোড়া চোখের পানি গড় গড় করে পড়তে থাকে। আন্টিকে বললাম,

– কি সমস্যা? ফ্লোরে এসব কেনো? আন্টি চোখের পানি মুছে বললো,

– বাবা, পল্লবী কারো কথায় শুনছে না। পড়তে বসার কথা বললেই রেগে যায়। কিছুদিন ধরে লক্ষ্য করতেছি মেয়েটা আমার অন্য মনষ্ক। সারাক্ষণ কি নিয়ে যেন চিন্তিত থাকে। এটা জিজ্ঞেস করাতেই সব কাচের জিনিসপত্র ভেঙে একাকার করে দিয়েছে। নিজেকে নিজে প্রশ্ন করতে থাকি, আমি এ বাড়ির কোনো সদস্য? নয়তো। আমি কেবল হোম টিউটর। বেতন ভুক্ত প্রাইভেট শিক্ষক। এখন যেতে বললে এক মিনিটের মধ্যেই এ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে হবে। তবে আমার জন্য তাদের এত কিসের টান? বললাম,

– আন্টি, আপনাদের ব্যক্তিগত ঝামেলায় আমাকে না জড়ানোটা ভালো ছিল। নিজেদের সমস্যা নিজেরাই সলভ করে নিন। শাড়ীর আঁচলে মুখ লুকিয়ে বললেন,
– আজ যদি তোমার মত একটা ছেলে থাকতো তাহলে এমন কথা বলতে পারতো না। আমি কি করবো ভেবে পাইলাম না। এ বাড়িতে ছেলে মানুষ কেউ নাই। অাঙ্কেল মারা গিয়েছে প্রায় দুই বছর।

শুনেছিলাম একটি ছেলে সন্তানের আশায় অনেক ডাক্তার কবিরাজ দেখিয়েছিল। কিন্তু কিছুতেই আর সন্তান হয়নি। আমি অনেক ভেবে চিন্তে আন্টিকে জিজ্ঞেস করলাম এই ছেলেটির কথা। তিনি বললো, এটা পল্লবীর বন্ধু। ওর নাম সাব্বির। প্রথমে ওরেই ফোন করে আসতে বলছিলাম। কিন্তু কোনো কাজই হলো না। আমি বললাম, ছেলেটির সাথে পার্সোনাল ভাবে কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারি? আন্টি হ্যাঁ উত্তর দিলেও পল্লবী বলে, সাব্বিরের সাথে কি পার্সোনাল কথা বলবেন? যা বলার আমার সাথেই বলেন, আমি বলছি। ব্যাপারটা যত সহজ মনে হচ্ছিল তার চেয়ে বেশি জটিলতা বাঁধলো মনে হচ্ছে। আন্টি নিজের সন্তান সমতুল্য তুলনা করলো তাহলে পল্লবীকে ধমক দিতেই পারি। পল্লবীকে ধমক দিয়ে ওর রুমে যেতে বললাম। কিছু না বলেই চলে যায়। রুমে শুধু আমি, আন্টি আর সেই ছেলেটি মানে সাব্বির। দেখতে বেশ সুন্দর। আমি সাব্বিরকে বললাম,

– তোমার সাথে পল্লবীর কিভাবে পরিচয়? কতদিনের চেনা? সাব্বির কিছু বলার আগেই আন্টি বলে ফেললো,
– ওর সাথে প্রায় দু’বছরের পরিচয়। পল্লবীর ভালো বন্ধু ও। আমি আন্টিকে রাগান্বিত স্বরে বললাম,
– আপনি চুপ থাকেন। ওরে প্রশ্ন করতেছি। ও উত্তর দিবে। সাব্বিরকে আবার প্রশ্ন করলাম। খেয়াল করলাম ওর পা কাঁপছে। মাথা নিচু করে বললো,

– আসলে দুই বছর ধরে পরিচয়। কিন্তু শুধু ও আমার বন্ধু আর কিছু না। আন্টি আমার পাশেই বসা। বার বার দুজনের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকিয়ে দেখছে আর শুনতেছে। সাব্বিরকে বললাম,

– এসব মন গড়া গল্প কিভাবে বানাও তোমরা? পল্লবী তোমার বন্ধু নাকি অন্যকিছু? মিথ্যে বলবে না, আমার কাছে যথেষ্ট প্রমাণ আছে। এমন সময় সাব্বির প্যান্টের পকেট থেকে মোবাইল বের করে কানে নিয়ে কারো সাথে কথা বলার অভিনয় করতেছে বুঝতে পারলাম। সাব্বির আন্টিকে বললো,

– আমি চলে যাচ্ছি, বাসা থেকে ফোন দিয়েছিল।

মা অসুস্থ। তাই যেতে হবে। আমি হাসতে হাসতে বললাম, বাসা থেকে ফোন দিয়েছিল নাকি ভয় পেয়ে চলে যেতে চাইতেছো? সাব্বির চলে যাওয়ার পর আন্টি আবার সেই একই ভাবে কান্না করছে। আন্টি আমাকে বলেন, তুমি সাব্বিরকে দোষারুপ করতেছো? ও তো এসেছিল পল্লবীকে বুঝানোর জন্য।

আমি মুচকি হেসে বললাম, হ্যাঁ আন্টি, ও নির্দোষ। তবুও ওর থেকে সত্যটা জানার জন্য ওর সাথে ফাপর নিলাম। কিন্তু ও মিথ্যে ফোনের অভিনয় করবে কেনো? কয়েকদিন পর আমার বন্ধু আদনান ও আমি দুজনে ক্যাপসুল মার্কেটের সামনে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে ফুসকা খাচ্ছি। আদনানের গার্লফ্রেন্ড ব্রেকাপ করে চলে গিয়েছে তাই বেশ খুশী। শুনেছি প্রেমিক প্রেমিকা একজনকে ছেড়ে চলে গেলে দুজনে বেশ কষ্টে থাকে আর ডিপ্রেশন তো ফ্রি। কিন্তু আদনানের মাঝে কষ্টের ছিটে ফোঁটাও নাই। এমন সময় চোখ জোড়া আমার সমবায় -সমিতির মার্কেটের ছাদের উপর পড়ে। দেখতে পাই পল্লবী আর সাব্বির দুজনে ছাদের এক কোণে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে হাসছে। আমাকে দেখে ফেলার ভয়ে আমি আদনানের পেছনে এসে দাঁড়ালাম।

আদনানের মনেও স্বংশয় হচ্ছে। আদনান বললো, তুই আমার পাশে গিয়ে দাঁড়ালি কেনো? সমস্যা কোনো? আমি বললাম, সমবায় মার্কেটের ছাদের কর্ণারে যে একটি মেয়ে আর ছেলে দেখতে পাচ্ছিস ওদেরকে চিনিস তুই? আদনান একটু মুখ বাকা করে বললো, না চেনার কি আছে? তবে মেয়েটিকা চিনি না। ছেলেটি আমাদের পাশের ফ্ল্যাটে থাকে। খুব ড্যাঞ্জারাস ছেলে। বেয়াদব তমাল নামে চিনে সবাই। কয়েকটি মেয়ের জীবন নষ্ট করছে ও। এই মেয়েটাকেও শেষ করে ছাড়বে। আদনানের কথা শোনে আমি স্তব্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে রইলাম। আন্টি বললো ওর নাম সাব্বির। এখন আদনান বলছে তমাল। আদনান বললো, কি হয়েছে তাই বল! আমি বললাম, না কিছু না।

এমনি ওদের রোমান্টিকতা উপভোগ করলাম। সন্ধ্যা বেলায় বাসায় ফিরতেই মা’র খকখক কাঁশির আওয়াজ শুনতে পাই। দৌড়ে মায়ের রুমে গেলাম। আমাকে দেখেই মা কাঁশতে কাঁশতে বললো, তোকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে বললাম কবে নিয়ে যাবি বাবা? আমি মায়ের পাশে বসে বললাম, এইতো মা, টিউশনির টাকাটা পেয়ে নেই তারপর ভালো ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাব। একদম চিন্তা কইরো না। মা’কে ঔষুধ আর পানিয়ে খাইয়ে রুমে এসে ভাবছি পল্লবী শেষ-মেশ বাজে ছেলের পাল্লায় পড়লো? কতই না ভালো ছিল ও। নিয়মিত পড়ালেখা করতো। হোমওয়ার্ক ঠিকঠাক করে দেখাতো। কিন্তু ওর মাঝে প্রেমের প্রভাব পড়ার কারনটা কি? কারন খোঁজার জন্য যত ভাবছি ততোই আমার মাথা খারাপ হয়ে যাচ্ছে।

আন্টির ফোন পেয়ে আবার গেলাম পল্লবীদের বাসায়। কলিংবেল বাজালাম। পল্লবী নিজেই আজ দরজা খুললো। কেমন আছো জিজ্ঞেস করলাম। কিন্তু ও ভালো মন্দ না উত্তর দিয়ে উল্টো বলে, আজ এসেছেন কিসের জন্য স্যার? আমি বললাম, এমনি আসছি। তোমাদের দেখতে। ভিতরে ঢুকেই দেখি আন্টি বসে বসে মোবাইলে বাংলা নাটক দেখতেছে। কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে দেখলাম “তুমি আমারই” নাটক দেখতেছে। আমি অবাক হই দৃশ্য দেখে। যে মা কিনা নিজের মেয়েকে ভালো রাখতে পারতেছে না সেই কিনা প্রেমের নাটক উপর হয়ে দেখছে! আন্টিকে বললাম,

– এসব কি আন্টি? কি দেখছেন এমন করে? আন্টি আমার কথাটাকে হেসে উড়িয়ে দিয়ে বললো,

– কেনো বাবা, অনেক ভালো একটা নাটক। নায়কের চরিত্রে অভিনয় করতেছে আরফান নিশো। অনেক ভালো অভিনয় করতে জানে। বিধবা মেয়েকে বিয়ে করার জন্য কত পাগল ছেলেটা। এমন সৎ, নিষ্ঠাবান ছেলে পাওয়া দুষ্কর। আমি রেগে বললাম,

– হ্যাঁ, সেই সাথে আপনিও ভালো অভিনয় করতে জানেন। আর আপনার মেয়ে পল্লবী তো মনে হয় অভিনয়ের জগতে ডিগ্রি অর্জন করেছে। আন্টি মোবাইলটা লক করে আমার দিকে মুখ করে বসে বললো,

– কি হয়েছে, হঠাৎ এমন করছো কেনো? পল্লবী কিছু করেছে?
– সাব্বিরের প্রেমে ডুবে আছে।
– কি বলো এসব, সাব্বির ওর ভালো বন্ধু। কয়েকদিন পর পর বাসায় আসতো ও। এখন আসে না কিছুদিন হলো। আমি বললাম,
– আসবে কিভাবে, বাসায় আপনি তাদের ঝামেলা হয়ে থাকেন। তাই ওরা নিরিবিলি পরিবেশে দেখা করে। আন্টি খানিকটা ভয়ে বললো,
– সাব্বির তো বাজে ছেলে না। ও এইসবের মধ্যে জড়ানোর কথায় না। তুমি ভুল ভাবতেছো বাবা।
– আপনি দেখেন “তুমি আমারই” নাটক। আর ওদিকে পল্লবী দেখে সিয়ামের “বখাটে”।

মা মেয়ে মিলে দুজনে ভালোই তামাশা শুরু করছেন। আপনার মেয়ে কি জানে সাব্বির ছেলেটা কয়েকটা মেয়ের সর্বনাশ করছে? আল্লাহ্ না করুক, পল্লবীর ক্ষেত্রে এমনটা যেন না হয়। হঠাৎ পল্লবী দুজনের মাঝে এসে চেঁচিয়ে বললো,

– সামান্য টিউশনি মাষ্টার হয়ে বাসায় এসে এমন পাওয়ার দেখান। কোথায় পেলেন এমন পাওয়ার? কখন থেকে শুনতেছি আপনি মা আর আমাকে নিয়ে বাজে কথা বলতেছেন।

আমি ওর কথায় পুরোই হাধারাম। বলার মত কিছু ছিল না। চুপচাপ মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে রইলাম খুঁটির মত। আসার সময় আন্টিকে বললাম, আন্টি আপনাদের পরিবারের জন্য এক্সট্রা টান ছিল। পল্লবীকে ছোট বোনের মত স্নেহ করতাম, ভালোবাসতাম। কিন্তু কারো যদি সে ভালোবাসা বা স্নেহ দরকার না হয় তাহলে দিতে চাইলে আরো অপমানিত হতে হবে জানা ছিল না। যদি পারেন, পল্লবীর মাথা থেকে সাব্বিরের ভুতটা নামিয়ে নিয়েন। আমি আসি। প্রায় দুই বছর পর। আমি আর আমার স্ত্রীকে নিয়ে ফায়ারসার্ভিস রোডে হাঁটতেছি। আমি আঁতকে গেলাম আন্টি আর পল্লবীকে দেখে। পুরো শরীর জমে আসছিল। দেখি আন্টির কাঁধে পল্লবীর মাথা। আর আন্টি জড়িয়ে ধরে হাঁটছে। আন্টি আমাকে দেখা মাত্রই সবার সামনেই কান্না করে বললো,

– বাবা, আজ যদি পল্লবী তোমার কথা শুনতো তাহলে এমন দসা হতো না। আন্টির চোখের পানি দেখে নিজেকে সামলে রাখা খুব জটিল ছিল। বললাম,

– পল্লবীর কি হয়েছে আন্টি? আবার কান্না করে বললো,
– সাব্বির ওরে সর্বনাশ করছে বাবা। বিয়ের কথা বলছিলাম, কিন্তু ওর ফ্যামিলি থেকে নিতে রাজি না। ও বেকার, খাওয়াবে কি বিয়ে করে এই বলতেছে এখন ওর মা বাবা।

লক্ষ্য করলাম, পল্লবীর চোখ বেয়ে গড়িয়ে গড়িয়ে পানি পড়ছে। আমারো চোখ ঝাপসা হয়ে আসছিল। আন্টিকে বললাম, আন্টি, জীবনটা কোনো নাটক সিনেমা নয়। নাটকের মত জীবন সাজানো বোকামী। আপনারা ঠিক এমনটাই করতে চেয়েছিলেন। পর্দার আড়ালে সবারই একটা জীবন থাকে। যে জীবনের শুধু একটাই লক্ষ্য তা হচ্ছে স্বার্থলোভী।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত