কিছু নতুন

কিছু নতুন

বাবাকে বেশি নকশামারা কথা বলার সুযোগ না দিয়েই রিঙ্কি সাফ জানিয়ে দিল সে টিনটিনা, দুবলা এবং বেকুবমার্কা এই ছেলেটাকেই বিয়ে করবে। সুন্দরী সেক্রেটারি রাখার মুরোদই হবে না এর! ফাইনাল।

নো আরগুমেন্ট ড্যাড।

খুব বেশিদিন হয়নি এই সম্বোধন করতে শেখার। বাবার ভেজাল জিনিস উৎপাদনের ব্যবসা শাঁই শাঁই করেও পরে ওঠার শুরুর দুএক বছরের মাথায় এই প্র্যাকটিস চালু। মাম্মি আর ড্যাড। বাইশ বছরের জীবনে কিছু চাওয়ার আগেই মুখ আর চোখের সামনে হাজির। পেতে পেতে এখন ক্লান্ত রিঙ্কি! আলমারি ভর্তি কাপড় চোপড়, গয়না, টেবিলভর্তি খাওয়া দাওয়া কোনোটাই এখন আনন্দ দেয় না, কেমন আলুনি টাইপ লাগে। নতুন কিছু চাই এখন। সামথিং চার্মিং। উত্তেজনা ছড়াবে, এমন। কোনো কোনো সময় তো টেবিলে বেশি খাওয়া দেখে বমির উদ্রেক হয় তার। কাপড় চোপড়ের ঢিপ দেখে কোনটা পড়বে দ্বিধায় পড়ে গায়ে কিছু না দিয়েই এঘর ওঘর হাঁটাহাঁটি।

এ কি বেহুদা অবস্থা রিঙ্কি?

ওহ মাম্মি, আই কান্ট ডিসাইড।

তাই বলে শুধু ব্রা-প্যান্টি পরে…। বাসায় কাজের লোকেরা আছে। একটা কিছুতো গায়ে দাও।

হু কেয়ারস দেম!

বিয়ের জন্য আসা প্রায় একশ প্রপোজালের প্রোফাইল ঘাটার সময় বা ইচ্ছে কোনোটাই ছিল না বলে শেষে বেছেটেছে একজন একজন করে সরাসরি ডিনারে উপস্থিত করার ব্যবস্থা করেছিল বাবা। বাকিগুলো বাবার সুন্দরী সেক্রেটারিই রিজেক্ট করে দিয়েছে। অবশেষে প্রায় পঁচিশজনের সাথে হাই-হ্যালো বলে খেয়ে দেয়ে বাড়ি ফিরতে ফিরতেই বলেছিল রিঙ্কি– ওহ মাম্মি, আই কান্ট ডিসাইড।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত