একদা কিছু বিপদাপন্ন ইঁদুর নিজেদের প্রাণ বাঁচানোর জন্য আলোচনা সভায় বসলো। তাদের সকলের শত্রু একজনই। একটি বিড়াল তাদের শত্রু। তাদের জীবনের ঘন্টা বাজাতে বিড়ালটি সর্বদা সজাগ। নানা তর্ক-বিতর্ক শেষে ইঁদুরেরা কিছু একটা করতে চাইলো। তারা বুঝতে পারলো, বিড়ালটি তাদের কাছাকাছি আসার আগেই তার গতিবিধি তাদের বোঝা দরকার। এটা করতে পারলে বিড়ালটি কাছে আসার আগেই তারা সতর্ক হয়ে যেতে পারবে।
বিড়ালের নিষ্ঠুর থাবার হাত থেকে বাঁচার জন্য তাদের কিছু একটা করতে হতোই। বিড়ালের ভয়ে তারা নির্ভয়ে গর্তের বাইরে দিনে কিংবা রাতে বিচরণও করতে পারতো না। একারণেই আলোচনা সভার আয়োজন। সভায় নানা রকম ফন্দি আঁটা হলো। তবে কেউই বিড়ালকে রুখে দেবার মতো ফন্দি বের করতে পারলো না।
এমন সময় সভার মাঝখান থেকে একটা যুবক ইঁদুর দাঁড়িয়ে বললো, “আমার কাছে একটা দারুণ বুদ্ধি আছে। পরিকল্পনাটা সহজ-সরল, কিন্তু আমার মনে হয় এটা কাজ করবে। আমাদের বিড়ালের গলায় একটা ঘন্টা বাঁধতে হবে, যাতে সে আমাদের কাছাকাছি আসলেই তার ‘ম্যাঁও ম্যাঁও’ আওয়াজ শুনে আমরা সতর্ক হতে পারি।”
যুবক ইঁদুরের পরিকল্পনায় সবাই উৎসাহিত হলো। তারা সবাই ভাবতে লাগলো, কেন এই সহজ বুদ্ধিটি আগে থেকে তাদের মাথায় আসেনি?
এমন সময় একটা প্রবীণ ইঁদুর দাঁড়িয়ে বললো, “এটা বলতেই হবে যুবক ইঁদুরের বুদ্ধিটি দারুণ। কিন্তু আমার একটা প্রশ্ন আছে, বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাঁধবে কে?”
প্রবীণ ইঁদুরের প্রশ্ন শুনে সবাই চুপ হয়ে গেলো।
শিক্ষা: বলা সহজ কিন্তু করা কঠিন।