জল রোদ্দুরের নক্সা

জল রোদ্দুরের নক্সা

হবু স্বামীর সাথে ড্রয়িং রুমে বসে আছি এমন সময় বেচারার পিঠে আমার মেয়ে গুনগুন এসে দুম করে এক কিল বসিয়ে বলল, কুত্তা আমার আম্মুর সাথে কথা বলবি না! লজ্জায় আমার জান যায় অবস্থা। আমার মেয়েটাকে আজ বাসায় রাখার কথা ছিল না। সারাদিন টনসিলের ব্যথায় কেঁদে বাড়ী মাথায় উঠিয়ে দুপুরের পর ঘুমিয়েছিল। ভেবেছিলাম ও ঘুমে থাকতেই কাজ হয়ে যাবে। কিন্তু কাজ হলো, না কি অকাজ হলো তা বেচারা জালাল সাহেবের মুখ দেখলেই বোঝা যাচ্ছে।

এই ভদ্রলোকের সাথেই আমার বিয়ের কথা হচ্ছে। তিনি বাবাকে বলেছেন, ঘরের মধ্যে কাজী ডেকে বিয়ে হবে। মাত্র পাঁচজন লোক নিয়ে আসবেন। একজন তাঁর দূর সম্পর্কের মামা আর বাকী চারজন কলিগ। ব্যস ল্যাঠা চুকে যাবে। ল্যাঠা আসলেই কতটা চুকবে আর কতটা বেশি ঝুঁকবে এই চিন্তায় অস্থির হয়ে আছি।

মেয়েকে কিছু বলার সুযোগ পেলাম না। মা এসে জোর করে নিয়ে গেছে ওকে ভেতরের ঘরে। ওর কান্না আর চীৎকারে জালাল সাহেবের অস্বস্তি দ্বিগুণ বেড়ে গেছে। তিনি নড়েচড়ে বসে একটা অপ্রস্তুত হাসি দিয়ে বললেন, আবুইদ্দা মাইয়া! চ্যাত বেশি। হেহেহে আমার ভেতরটা ধক করে উঠলো। একজন মাস্টার্স পাশ লোকের মুখের ভাষার এ কী হাল! আবুইদ্দা জিনিষটা কী? ভদ্রলোক মনে হয় আমার ভুরূ কুঁচকে তাকানোর ভাষা বুঝলেন। আবারও হেহেহে করতে-করতে বললেন, কিছু মনে নিয়েন না।

আমরার বাওনবাইরার মানুষ ছুডু মাইনষেরে আবুইদ্দা কয়। তয় মাইয়ার চ্যাত বেশি। সমস্যা নাই। আমার নাম জালাল। এমুন জালালি মন্ত্র দিমু, মাইয়া এক মন্ত্রে কাইত! হেহেহে জালাল সাহেব কথাগুলো বলে বেশ মজা পাচ্ছেন মনে হচ্ছে। তিনি এই মুহূর্তে হাসছেন না, তবে জিহ্বার আগা দেখা যাচ্ছে। খেয়াল করে দেখেছি সারাক্ষণই তাঁর জিহ্বা কিছুটা বের হয়ে থাকে। দেখলেই গা গুলিয়ে ওঠে। নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। বললাম, জালাল সাহেব! জ্বি। আমার কথা বলতে ভাল্লাগছে না। আজ তাহলে আসুন।

জালাল সাহেব চলে গেলেন। ভাবতে অবাক লাগে এই জিনিষ বাবা খুঁজে বের করেছেন আমার জন্য। এর আগেও তিনজন দেখা হয়েছে। তাঁদের হাফভাব ভাল ঠেকেনি। আমি ডিভোর্সি। একটা মেয়ে আছে। তাই বলে কি?
ইশ আর ভাবতে পারি না।

রাতে পরিমন বুয়াকে ধরলাম। বলে দিলাম সে যেন গুনগুনের দশ হাতের মধ্যেও না থাকে। খুব অখুশি হয়েছে বুঝতে পারছি। কিছু করার নেই। এই মহিলার কাছ থেকে গুনগুন এসব শব্দ শিখছে। কদিন আগে একবার দেখলাম, সে গুনগুনকে কোলে নিয়ে জানালায় দাঁড়িয়ে বলছে, ঐ কুত্তাডারে ছ্যাপ দেও। কও ত্থু! ত্থু জায়গা মত পড়ে নাই। আবার দেও ত্থু…

আমি বারান্দায় গিয়ে দেখি নীচে বাড়ীর দারোয়ান দাঁড়িয়ে আছে। পরিমনকে ইচ্ছেমত ধমক লাগিয়েছি। মাকে জানিয়েছিলাম। বলল, আর কদিন সময় দে। বুয়াটা ঘরের কাজে ভাল। তোর বাবা আর আমি তো প্রায়ই বিছানায় থাকি। হুট করে আরেকটা বুয়া কি চাইলেই মিলানো যায়? দেখি খুঁজতে হবে। বাবা ঘুমানোর আগে ডেকে পাঠালেন। টেনে-টেনে বললেন, মা কিছু বললি-টললি তো না। জালালকে কেমন লাগলো? ফোঁস করে বললাম, তোমার জালালি কইতরকে না করে দাও বাবা। আমার দ্বারা এসব হবে না।

বাবা বিছানায় কিছুটা উঠে বসলেন। আহত চোখে বললেন, জালালি কইতর কী বলছিস? আমি লং সিক্সটি ইয়ার্স লাইফ পার করছি এ পৃথিবীতে। আমি সব বুঝি তা বলি না। তবে মানুষের ভেতরের চরিত্র বুঝতে খুব একটা বেগ পেতে হয় না। জালাল ছেলেটাকে আমি অনেক আগে থেকে চিনি। ওর সবচেয়ে বড় সমস্যা ও ভেতরে-বাইরে এক। মানুষ ভেতরে যা থাক, বাইরের চকমকা মিষ্টি জিনিষের মূল্য বেশি দেয়। তুইও দিচ্ছিস।

বাবাকে কিছু বলতে গিয়েও পারি না। জালাল সাহেবের সাথে আগেও একদিন দেখা হয়েছিল। গুনগুনকে নিয়ে নাক-কান-গলার ডাক্তার দেখিয়ে ফিরছি। ফেরার পথে শংকরের মোড়ে দেখা হয়ে গেলো। ফুটপাতে ল্যাডকা মেরে বসে পিরিচে ঢেলে চা ফুঁ দিয়ে খাচ্ছে। আমাদের দেখে এগিয়ে এলেন। মেয়েকে দেখলাম লোকটাকে একদমই সহ্য করতে পারে না। ভয়ানক কান্না জুড়ে দেয়। লোকটা বলদের মত হেহে করে হাসে। বারবার বিশ্রী ভাষায় বলে, এত চ্যাত তো ভাল না। কাঁচায় না নোয়ালে বাঁশ পাকলে করে টাসটাস। চ্যাত কন্ট্রোল করতে হবে।

মেজাজটাই বিগড়ে যায় শুনলে। মানুষ হয়ে জন্মানোর অনেক সীমাবদ্ধতা থাকে। বিগড়ে যাওয়া জিনিষ কপালে এসে ঠুয়া মারে বারবার। মনে হয় বাবার পায়ে পড়ে বলি, আমাকে নিয়ে এত ভেবো না তো। কিন্তু পারি না। আমার নিজেরও একটি মেয়ে আছে। আমি কিছুটা হলেও তাঁদের ভেতরের ঝড় ধরতে পারি।

বাবা বিছানায় শরীর ছড়িয়ে দিয়ে উসখুস করতে লাগলেন। আমার হঠাৎ নীরবতা তাঁকে দ্বিধায় ফেলে দিয়েছে। আমি বাবার পাশে বসলাম। চুল টেনে দিচ্ছি। ভীষণ কান্না পাচ্ছে। মৃদু স্বরে ডাক দিলাম, বাবা! বাবা পাশ ফিরে শুয়ে কোনোমতে জবাব দিলেন, হু। কিছু না বলেই বাবার ঘর থেকে বেরিয়ে গেলাম। বাবা যা ভাবার ভাবুক। বেশ বুঝতে পারছি তিনি অবাক হয়ে আমার আকস্মিক প্রস্থান দৃশ্য দেখছেন।

জালাল সাহেবকে না করে দেয়া হলো কি না বুঝলাম না। বাবা এ ব্যপারে আর কিছুই বললেন না কিছুদিন। বেশ কষ্ট পেয়েছেন বুঝেছি। লোকটি বাবার সাথে ব্যাংকের একই শাখায় চাকরী করেছে অনেকদিন। বাবা প্রিন্সিপাল ম্যানেজার হয়ে গত বছর রিটায়ারমেন্টে চলে এসেছেন। এই লোক পাঁচ বছর যাবত এখনও ক্যাশ সেকশানে পড়ে আছে। আগে ভাবতাম ব্যাংকাররা হ্যান্ডসাম হয়। এখন ধারণা পালটে গেছে। জালাল সাহেবের রোদে পোড়া চেহারা। নাকের উপর বিশ্রী একটা কাটা দাগ। সুতির একটা সাধারণ শার্ট পরে এসেছিলেন। ঘাড়ের কাছ থেকে তিলা পড়া। বুক-পকেট রঙ চটা – হা করা। শার্টের ইন একদিকে ঝুলে পড়েছে। সে একজন ব্যাংকার। ভাবা যায়?

মাস দুই আগে এক দুপুরে বাবা এসে এই লোকের কথা বললেন। ইনিয়েবিনিয়ে আমার দুর্ভাগ্যের কথা বললেন। আমার স্বামী রেশাদ মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে ছিল। গুনগুন পেটে আসার ছয় মাসের মাথায় সে তার এক সুন্দরী মেয়ে কলিগের হাত ধরে নতুন সংসার পাতিয়েছে। ডিভোর্স লেটার পেয়ে আমার আমেরিকান ভাই-বোনরা প্রথমদিকে বেশ হম্বিতম্বি করলেও আমি নিষেধ করেছিলাম। অনেক নারীবাদী এসে ভিড় জমিয়েছিল। কান দেইনি। নারী অধিকার খাটানোর নামে এদেশীয় নোংরা মামলা-মকদ্দমায় বৃদ্ধ বাবা-মাকে আর অসহায় কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে মন সায় দেয়নি। আমার নিজের একটা আদালত আছে। সেখানে সারাজীবনের জন্য রেশাদ অধ্যায় দাফন করে দেয়া। এভরিওয়ান ইজ পেইড বাই হিস ওউন কয়েন্স। এরচেয়ে বেশি কিছু আমার মাথায় নেই না। আমি এমনই।

একটা ভাল চাকরী করতাম। প্রাইভেট ফার্মের মানবসম্পদ ব্যাবস্থাপনাতে। বেশিদিন করতে পারিনি। ডিভোর্সি মেয়ে শুনলেই কিছু পুরুষের সহানুভূতি বেড়ে যায়। গাধাগুলো বোঝে না, নারীজাতি জন্মসূত্রে সহানুভূতির চোখ আর শিকারির চোখ খুব ধরতে পারে। তবু দাঁতে দাঁত চেপে চালিয়ে যাচ্ছিলাম। মেয়ের একটা ভবিষ্যৎ আছে। শেষ পর্যন্ত সেই ভবিষ্যতের কথা ভেবেই আবার চাকরী ছাড়তে হলো। অন্য ধরণের ভবিষ্যৎ। গুনগুনকে দেখভালের কেউ নেই। বাবা-মা দুজনই অলরেডি একবার করে মাইল্ড হার্ট এটাকের রুগী হয়ে বসে আছেন। প্রবাসী ভাইবোনগুলো বিরক্ত হচ্ছে। মুখে না বললেও বুঝি।

জালাল সাহেবের কথা বলতে গিয়ে বাবা প্রথমেই সহজ ভাবে স্বীকার করলেন, তাঁরও আগে স্ত্রী আর আমার গুনগুনের মত একটি মেয়ে ছিল। শ্বশুরবাড়ী ছিল পটুয়াখালীতে। স্ত্রী-কন্যা বেড়াতে গিয়ে লাউকাঠি নদীতে এক সাথে ডুবে মারা যায়। আর বিয়ে করেননি।

বাবার কথা ভেবে খারাপ লাগে। দেখা হলেই ঝিমিয়ে-ঝিমিয়ে বলেন, মা রে! আমরা বলি জীবন অনেক ছোট। কিন্তু জীবনের রাস্তা অনেক বড়। শুধু আবেগ দিয়ে জীবন চলে না। এইটা মাথায় রাখিস। তোর মুখের দিকে তাকাতে পারি না।

বাবাকে অবশেষে আমার মুখের দিকে তাকানোর ব্যবস্থা করতেই হলো। কোন জারিজুরিতে কাজ হলো না। নিজের পছন্দ-অপছন্দের কথা বলতে পারবো না এতটা পিছিয়ে পড়া মানসিকতার মেয়ে আমি কখনওই ছিলাম না। তবু মনে না নিলেও মেনে নিলাম।

এক সন্ধ্যায় এক লাখ এক টাকা কাবীন বেঁধে জুব্বা পরা এক কাজী এসে পুরনো কবিতার মত সুরেলা কণ্ঠ ছেড়ে বললেন, বলো মা কবুল! আমি কবুল বলে নিজের জন্য এক কাপ কফি বানাতে চলে গেলাম। কিচেনে গিয়ে কিছুক্ষণ কাঁদার চেষ্টা করলাম। কান্না আসলো না।

কবুল বলার মুহূর্তে প্রত্যেক মেয়ের বুকের মধ্যে অদ্ভুত এক ঝড় ওঠে। নিমিষেই পৃথিবীর সবচেয়ে পরিচিত জগত চোখের সামনে দূরে চলে যেতে দেখার মত কষ্টকর অভিজ্ঞতা কেবল আরেকটি মেয়েই বোঝে। আমি জন্ম হতভাগিনী। এই তীব্র বেদনাদায়ক অভিজ্ঞতা দ্বিতীয়বার নিতে হলো।

দুই রুমের ছিমছাম এক বাসায় বাসরের ব্যবস্থা হয়েছে আমার। পাশের ঘরে একবার গিয়েছিলাম। ঘরের দেয়ালে চোখ ফেললে হঠাৎ চমকে যেতে হয়। একটি ফটোফ্রেম পেরেক দিয়ে ঝুলিয়ে রাখা। জালাল সাহেব বেশ রূপসী একজন মহিলাকে হাতের বেড় দিয়ে ধরে রাখা। মাঝখানে ঝুঁটি বাঁধা একটি মেয়ে হাসছে। মেয়েটির সামনের একটি দাঁত পোকা খাওয়া।

পুরো শরীর ঝাঁকুনি দিয়ে উঠলো। আমার গুনগুন! কী করছে ও এখন? রাতে ভাল করে খাইয়ে দিয়েও আসতে পারিনি। মা বললেন, উনি দেখবেন। মা ছাড়া তাঁর সন্তানকে কি আসলেই সবাই দেখতে পারে?

মাঝ রাত পর্যন্ত একা ঘাড় গুঁজে বসে রইলাম। জালাল সাহেব তাঁর মামা-মামিকে এই মাঝ রাত্তিরে এগিয়ে দিতে গিয়েছেন ঘরে নতুন বউ রেখে। মন খুলে কাঁদবো ভেবেছিলাম। অদ্ভুত কারণে এবারও কান্না আসেনি। অনুভূতি ভোঁতা হয়ে গেলো কি না কে জানে!

হঠাৎ দরজায় খুট করে শব্দ হলো। তাকিয়ে দেখলাম বেচারা বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ঢুকেছে। ভিজে চুপসে গেছে একেবারে। আমাকে দেখে আগের গা জ্বালা ধরা হেহে হাসি দিয়ে বলল, শুভ কাজে দেরী হয়ে গেলো। ফার্মেসি ব্যাটারা বৃষ্টি দেইখা সব ভাগছে। তবে চিন্তা নাই। এখন সব তাড়াতাড়ি হবে। হেহেহে

কেঁপে উঠলাম। সমস্ত শরীর জুড়ে ঘেন্না এসে ভর করছে। জালাল সাহেব নিজেই ভেজা কাপড় ছেড়ে কেবল পাজামা আর সেন্ডুগেঞ্জি পরে পাশে এসে বসলেন। কান্দাকাটির কিছু নাই। মেয়েও কান্দে, মাও কান্দে – কই যাই আমি?

চুপ করে রইলাম। জালাল সাহেব আমার হাত ধরলেন। হাত ধরাটা একটু অন্য রকম মনে হলো। তিনি আমাকে বাসর শয্যা থেকে নামিয়ে পাশের ঘরে নিয়ে গেলেন। সেখানে সেমি-ডাবল একটা খাট রাখা আছে। খাট আলো করে আমার গুনগুন একটা কোল বালিশ জড়িয়ে ধরে ঘুমাচ্ছে।

জালাল সাহেব গুনগুনের কপালে হাত বুলিয়ে বললেন, আমার মেয়েটার গায়ে জ্বর এসে গেছে। ওর জন্যই ফার্মেসিতে গেছিলাম। চিন্তা কইরো না। আজ তুমি ঐ ঘরে একা থাকো। আমি আমার মেয়ের পাশে থাকি, বুঝছ?

ঘটনার আকস্মিকতায় থমকে গেছি। ভদ্রলোকের ঘাড়ের পাশটায় খেয়াল করলাম। গুনগুন বমি করেছিল মনে হয়। মুছে ফেলার পরও পুরো যায়নি। জালাল সাহেব উঠে এসে আমার মাথায় হাত রাখলেন, একটু গোসল দিয়া আসি। গেঞ্জির মইধ্যে সারা পিঠে বমি। হেহে। আমার উপ্রে রাগ রাইখো না। আমার এই চ্যাতা মেয়েটারে আমি খুব পছন্দ করি। অসুস্থ মাইয়া দূরে রাইখা বাপ-মা থাকতে পারেনি কউ?

ভদ্রলোকের কাছে ঘেঁষে দাঁড়ালাম। সে হাসি-হাসি মুখ করে আমার দিকে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। তাঁর ঈষৎ বের হয়ে থাকা জিহ্বা দেখতে এখন খুব একটা খারাপ লাগছে না। আমি জালাল সাহেবকে, না ভুল বলছি, আমার হেহে করা স্বামীকে অস্ফুটে বললাম, একটা কথা বলবো? বলো। আপনার বুকে একটু মাথা রাখতে চাই। মানুষ কত অদ্ভুত প্রাণী। এত কষ্ট, বঞ্চনায় যেই আমি এক ফোটা পানি ফেলিনি চোখ দিয়ে, সেই আমি এতদিনের অপরিচিত এক বুকে মুখ গুঁজে দিয়ে কান্না চাঁপার আপ্রাণ চেষ্টা করে যাচ্ছি।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত