আয়না অভিনেত্রী

আয়না অভিনেত্রী

ইলমাকে অনেক বার বলছি…

-ইলমা আমি তোমাকে ভালবাসি।

কিন্তু আমার কথা তার কাছে মনে হয় ভাঙ্গা রেডিওর মতো লাগে। বাজবে কিন্তু বুঝা যাবে না এরকম কিছু। ওর পিছনে ঘুরি অনেকদিন। পিছন পিছন বলতে আমি ওকে রাস্তাঘাটে ফলো করতাম না। ওকে আমি ফলো করতাম বারান্দাতে। ওদের বাড়ি আর আমাদের বাড়ি পাশাপাশি আর ভাগ্যবশত ওর রুমের বারান্দা আর আমার রুমের বারান্দাটা একেবারে ঘেঁষে।।তবে কখনো ডাক দিলে ও আমার সাথে কথা বলতো না। মনে হয় সহ্য করতে পারে না আমাকে।

ওর রুমের আয়নাটা আমার বারান্দা থেকে জানালা দিয়ে দেখা যায়। ও সারাক্ষণ আয়নার সামনে বসে থাকে। মাঝে মাঝে দেখতাম আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে হাত নাড়িয়ে নাড়িয়ে কথা বলছে। তাই আমি ওর নাম দিয়েছি আয়না অভিনেত্রী। ও যখন এরকম আয়নার সামনে একলা একলা কথা বলতো সেটা আমি উপভীগ করি বেশ। একদিন ইলমার বারান্দার জানালা দিয়ে ওর রুমে একটা কাগজ দিয়ে ঢিল মেরেছিলাম।আর তখনি বের হয়ে এল ইলমার মা। তারপর আমি সাথে সাথে বারান্দা থেকে চলে আসতে যাবো আর উনি ডাক দিলেন। আমি কাঁপা কন্ঠে বললাম…

-জ্বী আন্টি??
-ঢিল মারলে কেন??
-কেন মারছি আন্টি??
-সেটাই তো তোমার কাছে জানতে চাই। কেন মারছো??
-ওওও। মনে পরছে। একটা কাঁক এখানে টয়লেট ভেবে ত্যাগ করতে বসেছিলো। আপনাদের সুরক্ষার কথা ভেবে ঢিলা মেরে বুঝিয়ে দিলাম স্যানিটারি টয়লেট ব্যবহার করা উচিত!!

-কাকের আর তোমার মধ্যে তফাৎ কি জানো??
-কি তফাৎ??
-কাঁক উড়ে উড়ে কষ্ট করে খাবার জোগাড় করে আর তুমি বসে বসে আরেক জনের কষ্ট করা খাবার খাও।
ওনার কথা শুনে একটা হাসি দিলাম। ওনি আমার হাসিতে বিরক্ত হয়ে “বেকার পোলা” নামক গালি দিয়ে চলে গেল।

তারপর থেকেই উনি আমাকে সহ্য করতে পারেন না। ওনি এরকম বদমেজাজি আগে জানতাম না তবে উনার মেয়েরটা জানতাম। ওনার মেয়ে ওনার মতো হয়েছে নাকি উনি উনার মতো হয়েছেন সেটা কখনো বুঝতে পারিনা। মনে কষ্ট নিয়ে রাস্তায় হাঁটাহাঁটি করছি। এভাবে হাঁটাহাঁটি করলে চাকরী পাওয়া যাবে না জানি। কিন্তু চাকরী পেতে লেখাপড়া ছাড়া কি কি গুণ লাগে সেটা জানতে একটা অফিসে ঢুকলাম। দাড়োয়ান ঢুকতে দিচ্ছিলো না কিন্তু মিথ্যা অজুহাত দিয়ে ঢুকলাম। গিয়ে দেখি একটা রুপবতী মেয়ে বসে আছে। আমাকে দেখে বলল…

-কি চাই??
-আপনার কি একটু সময় হবে??
-হুম। কিন্তু আপনি কে??
-সেটাই বলবো। চলুন একটু বসি।
-এখানে বসুন।
-আচ্ছা আপনার নাম কি??
-ঐশী।
-আচ্ছা কতদিন যাবত এখানে চাকরী করছেন??
-আপনি কে এবং কেন এসেছেন??
-আসলে আমি জানতে এসেছি লেখাপড়া ছাড়া চাকরী পেতে আর কি কি গুণ লাগে।
-কি কি গুণের কথা বুঝাচ্ছেন??
-যেমন ধরেন নাচ,গান,অভিনয় এরকম কিছুর দরকার হয়?? আমার কথাটা শুনে মেয়েটা হাসছে। আমি একটু নীরব থেকে বললাম…

-এসব লাগে??
-কি পর্যন্ত পড়েছেন??
-মাস্টার্স শেষ করেছি।
-কাল আপনার বায়োডাটা নিয়ে আসবেন।
-কেন??
-চাকরী হবে আপনার।
-কেন?? আমার মধ্যে কি গুণ পেলেন??
-তেমন কিছু না। তবে আপনার মধ্যে যদি কোন গুণের অভাব থাকে সেটা আমি ম্যানেজ করে নিবো।যেমন ধরেন নাচ,গান অভিনয় শিখাবো। এটা বলেই মেয়েটা হাসছে।

আমি চলে আসলাম। বুকের কলিজাটা মনে হয় তিন কেজি বড় হয়ে গেল। আমাকে ইলমার আম্মু আর কাঁকের সাথে তুলনা করতে পারবে না। এখন থেকে আমাকে পায়রার সাথে তুলনা করতে হবে। সিরাজি পায়রা। চাকরী পাওয়ার পর ইলমার আম্মু আমার সাথে কিরকম যেন ব্যবহার করছে। আমাকে দেখলেই একটা হাসি দিয়ে ডাক দেয়। আমার নামের সাথে বাবা শব্দটাও যোগ করছে। কিন্তু ইলমা আমার প্রতি আগের মতোই ব্যবহার করছে।

তবে ঐশী আমার প্রতি এত কেয়ার দেখাচ্ছে কেন জানি না। আমি চাকরী পেয়ে গেছি ওর জন্যই। কিন্তু আজকাল ইলমা সুযোগ পেলেই আমার বাসায় চলে আসে। ও বলে আমার আম্মুর সাথে নাকি তার কথা বলতে খুব ভাল লাগে তাই কয়েকদিন পর পর ও আমার বাসায় এসে পরে। কিন্তু আমি যতটুকু জানি আম্মু ওর সাথে তেমন আগ্রহ নিয়ে কথা বলে না। তবুও আম্মুর কথার মিষ্টতা খুঁজে পায় এই মেয়ে কেমন করে সেটা আমার অনেক বার জানার ইচ্ছা ছিল। একদিন ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ হয়ে আম্মুকে খাবার দিতে বললাম। আম্মু খাবার দিলো। ডাইনিং রুম থেকে কিচেন রুমে আসা যাওয়া নিয়ে আম্মু খুব ব্যস্ত। হঠাৎ আম্মু আমার পাশের চেয়ারে বসে বলল….

-কত আশা ছিলো ছেলের জন্য নিজের পছন্দের মেয়ে আনবো।যে সব সময় সবার সেবাযত্ন করবে,যার আচরণ খুব স্বাভাবিক হবে,সাধারণ মেয়ে, যে মেয়ে গৃহিণী হবে কিন্তু আমার কপালপোড়া। আমি বুঝতে পারলাম না আম্মু এসব কেন বলছে। আমি খাওয়া দাওয়া বন্ধ করে বললাম…

-কাকে বলছো এসব??
-কাকে আর বলবো?? আমার দুঃখ বুঝার মতো কেউ আছে এই বাড়িতে??

এটা বলেই আম্মু আবার রান্নাঘরে গেল। আম্মু মাঝে মাঝেই উদ্ভট সব কথা বলে। আমি সেগুলো তেমন একটা গুরুত্ব দিয়ে শুনি না আর শুনলেও এক কান দিয়ে শুনে আরেক কান দিয়ে বের করে দেই। খাওয়া শেষ করে অফিসে যাওয়ার জন্য রেডি হচ্ছি তখন আম্মু আবার এসে আমার আশেপাশে ঘুরছে আর বলছে…

-এসব মেয়েদের খুব ভাল করে চেনা আছে। বিয়ের আগে বেশ মধু মাখা কথা বলবে আর বিয়ের পর কাজের লোক বানিয়ে রাখে। আর যাদের এত কষ্ট করে বড় করবো তারা বৌদের কথা মতো উঠে আর বসবে। বেশ ভাল করে জানা আছে আমার। আমি আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে গলার টাই ঠিক করছি। আম্মু খুব ভাল ভাবে বুঝতে পারছে আমি আম্মুর কথায় কোন মনোযোগ দিচ্ছি না। তাই এবার আমার সামনে এসে সরাসরি বলল…

-যে ছেলে এখনি মায়ের কথায় দাম দেয় না সে ছেলে বিয়ের পর কেমন হবে জানা আছে আমার। এরকম কত দেখলাম। আমি এবার একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে বললাম…
-কার কথা বলছো তুমি??
-কেন?? ঐ যে বাঁচাল মেয়েটা?? নামটা কি যেন??
-ঐশী??
-হুমম ঐশী। নামের কি দেশে অভাব পরেছে?? নামটাও সুন্দর না।

আমার আম্মুর একটা বিশেষ গুণ আছে। আম্মু যখন কারো উপর রাগে তখন সেই ব্যক্তির সব কিছু যতই ভাল হোক আম্মুর কাছে তা পৃথিবীর সবচেয়ে বিরক্তিকর।আমি খুব ভাল করেই এখন বুঝতে পারছি আম্মু যা বুঝাতে চেয়েছে।।তাই আম্মুকে শান্ত করার জন্য বললাম…

-আম্মু ওরকম কিছুই নাই ওর সাথে।
-তুই মেয়েদের কি বুঝবি রে?? আমি জানি ঐ মেয়ের মতলব কি?? আমার ছেলেকে বিয়ে করা এত সহজ না।
-ওর বেতন আমার চেয়ে পাঁচ হাজার টাকা বেশি। দেখতেও তো খারাপ না। খুব ভাল স্বামী পাবে।
-আমি জানতাম এটা বলবি?? ঐ মেয়ে তোকে পটিয়ে ফেলেছে।
-ধ্যাত আম্মু কিসব বলতেছো এসব??
-দেখলি তুই?? ঐ মেয়েটার জন্য তুই আমার সাথে কিরকম আচরণ শুরু করলি??

আম্মু কাঁদোকাঁদো হয়ে কথা গুলো বলে সামনে থেকে চলে গেল। আমি আর কথা না বাড়িয়ে অফিসে যাওয়ার জন্য বের হলাম। গেইটে এসে দেখি ইলমা দাঁড়িয়ে আছে। আমি একটা রিক্সা ডাকলাম। ইলমাও রিক্সার জন্যই মনে হয় অপেক্ষা করছে। আমি ডেকে বললাম…

-ইলমা কোথায় যাবে??
-ভার্সিটিতে।
-ওহ। আসো আমি ওদিক দিয়েই যাবো।
-না থাক। আপনি যান।
-কোন সমস্যা?? আর কথা না বাড়িয়ে উঠলো। ইলমা আমার সাথে তেমন একটা কথা বলেনা। কিন্তু আজ ও নিজে থেকেই বলল…
-আপনার তো আজকাল খোজ খবরই নাই।
-মানে??
-দেখতেই পাই না।

ইলমা সত্যিই বলছে। কিন্তু আজকাল আমার সব কিছুর পরিবর্তন হয়েছে। আচ্ছা এরকম পরিবর্তনের কারণ কি ঐশী?? হতেও পারে। কারণ ইলমার চেয়ে সুন্দরী মেয়ে আমার জন্য এত ব্যাকুলিত তাই আমার আচরণ পরিবর্তন হয়ে গেছে হয়ত।

-চুপ করে আছেন যে??
-না। আসলে অফিসে ব্যস্ত থাকি তো।
-অফিসের কাজ নিয়ে ব্যস্ত নাকি মানুষগুলো নিয়ে??
-বুঝলাম না।
-কিছু না। আজকাল বারান্দায় আসারও সময় হয় না???

আমি ওর প্রশ্নের উত্তর দিতে পারলাম না। কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছিনা। ইলমা কি বারান্দায় আমার জন্য অপেক্ষা করে?? কিন্তু কেন?? কিছুক্ষণ পর ও আবার বলল…

-আপনি আমাদের বাসায় যান না কেন??
-তোমার আম্মুতো আমাকে সহ্য করতে পারে না।
-আগেও তো পারতো না, তবুও আপনি যেতেন।
-হয়ত। ইলমা কিছুক্ষণ চুপ থেকে বলল…
-আপনার মা আমাকে আপনার বউ বানাতে চায়। কথাটা শুনে আমি ওর দিকে বড় বড় চোখ করে তাকিয়ে আছি। ও একটু হেসে বলল…
-ভয় পাবেন না। বিয়ে তো আর হয়ে যাচ্ছেনা। আমি দেখি কি করা যায়।
-কি করবে??
-আপনার মাকে বুঝাবো যে আপনার সাথে ঐ মেয়েটাকে মানাবে। খুব ভাল মেয়ে।
-ওহ। আমারো এরকমই মনে হয়।
-খুব ভালবাসেন ওকে??

কিছু কিছু কথা আছে যেগুলো একেবারে ভিতর থেকে আসে। আর কথা গুলো বলার পর বক্তা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলে। মনে হয় যেন অনেক কষ্ট করে কথা গুলো বলতে হলো। ইলমার কথাটায় তা স্পষ্ট। কিন্তু আমি উত্তর দিলাম না। অফিস থেকে এসে বাসায় কলিংবেল বাজাচ্ছি কিন্তু আম্মু দরজা খুলছে না। আম্মুকে কল দিলাম…

-আম্মু আমি দরজার বাইরে। দরজা খুলো।
-খুলবো না।
-কেন?? কি হলো আবার??
-তুই চাকরী ছাড়বি কি না আগে বল।
-চাকরী ছাড়বো কেন আজব??
-আগে তুই বল তুই মেয়ের সাথে কথা বলবি না??
-আচ্ছা বলবো না। দরজা খুলে দিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থেকেই আম্মু বলল…
-আর শোন। ইলমাকে তোর বিয়ে করতে হবে।
– কিন্তু আম্মু এটা বলার সাথে সাথেই আম্মু কেঁদে উঠলো।
-আরে ওর মা আর ও দুজনের কাছেই আমি অসহ্য। আমার কাছে বিয়ে দিবে না ইলমাকে।
-সেটা আমি ঠিক করবো।
-আচ্ছা ভিতরে যেতে তো দিবা। আম্মু চোখ মুছতে মুছতে বলল
– আচ্ছা আয়।

অফিসের সবাই বলাবলি করছে আমার সাথে নাকি ঐশীর কিছু একটা চলছে। ব্যাপারটা রটানোর পিছনে ঐশীর হাত সেটা আমি জানি। সবাই কি না কি ভাবছে তাই চাকরী ছেড়ে দিয়ে বাসায় চলে আসলাম। বাসায় আম্মুকে এটা শুনাইনি তাহলে আবার প্রেশার লো হয়ে যাবে। অফিস থেকে আসার কিছুক্ষণ পর দেখলাম একটা গাড়ি এসেছে। মনে হয় ঐশী। গাড়ির হর্ন শুনে ইলমাও বের হয়ে তাকিয়ে আছে। আমি ঐশীর দিকে তাকিয়ে থেকে বললাম…

-তুমি এখানে??
-ছাদে চলো।

এটা বলেই ও আমার হাত টানতে টানতে ছাদে নিয়ে আসলে। আসার সময় দেখেছিলাম ইলমার রাগে ফুঁসছে। ছাদে এসে ঐশীকে ধমকের স্বরে বললাম…

-কি ব্যাপার??
-তুমি চাকরী ছেড়ে দিলে কেন??
-কারণ অফিসে সবাই আমাদের নিয়ে আজেবাজে মন্তব্য করে।
-এটার জন্য আমিই দায়ী।
-কেন করলে এরকম??
-কারণ আমি ভালবাসি তোমাকে। অনেক ভালবাসি।
-মানে??
-হুম। আমি তোমাকে বিয়ে করতে চাই।

এটা বলেই ঐশী আমাকে জড়িয়ে ধরলো। আমি এরকম কিছুরর জন্য প্রস্তুত ছিলাম না। ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিতেও পারছি না। ও আমাকে জাপটে ধরে কান্না করছে। হঠাৎ ইলমা এসে একটা জোরে ধমক দিয়ে বলল…

-কি হচ্ছে এসব এখানে?? ঐশী আমাকে ছেড়ে দিয়ে বলল…
-কে আপনি? আর অমনি ইলমা এসে ঐশীর গালে কষিয়ে চড় মারলো আর আমাকে জাপটে ধরে ঐশীকে বলল…
-ও আমার হবু স্বামী। কি রকম মেয়ে তুমি?? ছেলেটাকে বলা নেই কওয়া নেই জড়িয়ে ধরলে?? ওকে আমি ভালবাসি।

আমি যেন মূর্তি হয়ে গেলাম। কি হচ্ছে এসব আমার সাথে?? আমার ভাবতেই অবাক লাগছে ইলমা আমাকে হারানোর ভয়ে এভাবে কাঁদছে। ঐশী চলে গেল সামনে থেকে। আমি ইলমাকে বললাম…

-কান্না থামাও মেমসাহেব।
-মেয়েটা তোমাকে জড়িয়ে ধরলো কিছু বললে না কেন??
-কখনো কেউ এভাবে ধরেনি তো তাই ভালই লাগছিলো।
-কি বললা তুমি??
-না মানে আসলে আমি ভয় পেয়ে গেছিলাম।
-আবার আসুক ঐ পেত্নী, মেরে ফেলবো।
-আচ্ছা। আরেকবার জড়িয়ে ধরো।
-শখ কতো। ধরবো না। যাও।

ইলমা চলে যাওয়ার পর ঐশীকে কল দিয়ে ধন্যবাদ জানালাম।ও আমাকে ভালবাসে কিন্তু আমি ইলমাকে। তাই ওকে সব বলে দেই।আর ও একটা প্লান করে ইলমাকে পরীক্ষা করতে। ইলমা হয়ত কখনো জানবে না যে ওকে দেখার পরই প্লান ঐশী এরকম আচরণ করেছে। থাক ওকে সব কথা জানানোর দরকার নেই। হারানোর ভয়টা ওর মধ্যে থেকেই যাক।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত