গ্রীষ্মের এক চমৎকার দিনে ঘাসফড়িং তার ভায়োলিনটি নিয়ে গান গাইছিলো, নাচছিলো আর খেলা করছিলো মনের আনন্দে। হঠাৎ সে দেখতে পেলো একটা পিঁপড়া অনেক কষ্ট করে খাবার বয়ে নিয়ে যাচ্ছে। ঘাসফড়িং পিঁপড়াকে বললো, “এতো কষ্ট করছো কেন ভাই? এসো আমরা খেলা করি, গান গাই, নাচি।”
পিঁপড়া বললো, “আমার এখন একদম সময় নেই। সামনে শীত আসছে। আমাকে এখন শীতের জন্য খাবার সঞ্চয় করে রাখতে হবে। আমি বলি কি, অতো গান বাজনা না করে তুমিও খাবার সংগ্রহ করে রাখো বন্ধু।”
ঘাসফড়িং হাসতে হাসতে জবাব দিলো, “আরে বোকা, শীতকাল আসতে তো এখনো অনেক দেরী, ওসব নিয়ে এখন এতো চিন্তা করার কি আছে!”
পিঁপড়া কোনো কথা না বলে খাবার নিয়ে তার বাড়ির দিকে রওনা হলো।
কিছুদিন পরেই গ্রীষ্ম শেষ হলো, শীত এলো। শীত কয়েকদিন পার হতেই ঘাসফড়িং-এর খাবারে টান পড়লো। ক্ষুধায় কাতর ঘাসফড়িং কাঁপতে কাঁপতে পিঁপড়ার বাড়ি এলো।
ঘাসফড়িং পিঁপড়াকে বললো, “আমায় কিছু খেতে দেবে ভাই।”
পিঁপড়া বললো, “তুমি যদি সেদিন আমার কথা শুনতে তাহলে আজ তোমাকে আমার কাছে আসতে হতো না আর ক্ষুধায় কষ্টও পেতে হতো না।”
একথা বলেই পিঁপড়া দরজা বন্ধ করে দিলো।
উপদেশঃ বিপদের কথা ভেবে প্রস্তুতি নিয়ে রাখা বুদ্ধিমানের কাজ।