চাহিদা

চাহিদা

একা একা দিন আর কাটে না মৌমির। মগবাজারের ভেতরের দিকে ছোট্ট এক চিলতে ফ্ল্যাটে করবার মত কাজ আর কতই বা থাকে। সকালের দিকে সোহেলের অফিসে যাওয়ার বাহানায় নাশতা বানাতেই যা একটু হুলুস্থুল হয়। তাও সে বেলা দশটা নাগাদ। তারপর টুকটাক ধোয়াধায়ি সেরে, ঘরদোর গুছিয়ে, যখন সে লম্বা হয় শোবার ঘরের খাটে, ততক্ষণে ঘড়ির কাঁটা দশটা পেরিয়েছে। তারপর থেকে অখন্ড অবসর। সেলাইয়ের কাজ টুকটাক যা জানত তারও চর্চা করা হয় না তেমন। বারান্দার গাছগুলো শুকনো হয়ে উঠছে, গ্রিলে জমছে মাকড়সার বাসা, ঝাড়ন দিয়ে ঝাড়তে ঝাড়তে রেলিংয়ে চিবুক ঠেকিয়ে আনমনে লোকজনের আসা যাওয়া দেখে মৌমি। ঠিক সাড়ে দশটায় একটি দুধওয়ালা যায়, তারপর শোনা যায় ‘বেগুন শাক তরিতরকারি!’ সে চলে যাওয়ার আধঘন্টা পর দুলতে দুলতে আসে পুরনো কাগজের ক্রেতা। সুরেলা গলায় সে ডাকে ‘এ্যাই পুরনো পত্রিকা, বতোল আছে বিক্কিরি..’ এইসব দেখতে দেখতে কেমন কল্পনায় হারিয়ে যায় মৌমি। বেলা করে বেরোন কলেজগামী মেয়েগুলো চট করে তাকে নিয়ে যায় পদ্মার ওপারে, ধূপখোলা গ্রামের স্কুলগামী রাস্তায়, সে তখন বান্ধবীর সাথে কলকল করতে করতে চলেছে কলেজে। হাতে তেতুঁলতলায় কুড়িয়ে পাওয়া মিঠেটক মহার্ঘটি। টাকরায় শব্দ বাজিয়ে মৌমি অনুভব করে ওঠে মিঠে তেঁতুলের সাথে ঝাল-নুনের প্রয়োজনীয়তা। এমন স্বাদ স্বাদ পরিবেশে সীমার দূরূহ প্রশ্নটিকে সে আগুনচোখে জ্বালিয়ে দিতে চায়। নিতান্ত আবছাভাবে আনমনে সীমা শুধায়– ‘আগামী বছর এরকম সময়ে তুই কী করছিস?’ মৌমির চোখে তখন অনেক স্বপ্ন। ভরা গলায় জবাব দেয় সে– ‘ভার্সিটিতে ভর্তি হয়েছি, আরেকটু আগ বাড়িয়ে ভাবতে পারিস ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়ে গেছি!’ সীমা বলে– ‘আমি একটু কল্পনা করি?’ ‘কর দেখি?’ ‘তুই এখন বউ হয়ে রীতিমতো ঘরকন্যা করছিস!’ জবাবে কিল খেয়েছিল সেদিন সীমা। কিন্তু আজ ঠিক বছরখানেক পর সে কথাটা কেমন ফলে গেল।

সোহেলের সম্বন্ধটা এনেছিলেন রাশেদা খালা। গ্রাম সম্পর্কে খালা এই মহিলাটি এই ব্যপারে বিশেষ প্রতিভাবান। যেখানেই যান না কেন, কোথায় কোন অনূঢ়া পাত্রি আছে, কোন সুপাত্রের তিথিতে কন্যাযোগ হচ্ছে না সেসব নিমিষে বের করে ফেলেন। তারপর নানান খোঁজখবর করে, গল্পসল্পের ভেতর দিয়ে তার কুলজি ঠিকুজি ঠিক বের করে আনেন। অটোমেটিক কন্ট্রোল করা ব্রেইন তার হার্ডডিস্ক থেকে ঠিকই যোগ্য পাত্র কিংবা পাত্রীটিকে খুঁজে বের করে আনে। কোন এক বিকেলে পান চিবুতে চিবুতে পাত্রপাত্রির অভিভাবকের কানে খবরটি তুলে দিলেই তার কার্যসিদ্ধি। গরজ থাকলে পরিবার সম্বন্ধ পাঠায়। তবে ঠিক ঠিক পাত্রি মেলাতে তার জুড়ি মেলা ভার।

এক শরৎকালের বিকেলবেলা কলেজ থেকে ফিরে বারান্দায় মৌমির দেখা রাশেদা খালার সঙ্গে। সে তার পেশাটি জানত বলে ভেতরে ভেতরে কেঁপে উঠল। মুখে অবশ্য হাসি হাসি ‘কেমন আছেন খালা’ হলো, কিন্তু কান খাড়া রইল কী কথা মা আর রাশেদা খালার মাঝে হয় তার দিকে। সেই সান্ধ্য-আলাপের ফলাফল দেখা দিল দু’মাস পর এক অগ্রহায়নের বিকেলে। পাশের থানার বটতলা থেকে এক পরিবার এল মৌমিকে দেখতে, সাথে রাশেদা খালা৷ রাতের আলোছায়ার মাঝে বড়ভাইয়ের ঘরে মৌমি যখন সোহেলের মুখোমুখি বসল তখন তার কপালে ঘাম, বুক দুরুদুরু। ওদিকে কোট টাই পরা শহুরে লোকটিও কেমন শহর শহর গন্ধ ছড়িয়ে চুপ করে বসে রইল, বার কয়েক কাশি দিয়ে দৃষ্টি আকর্ষণের ব্যর্থ চেষ্টা ছেড়ে শেষে মুখ খুললো, ‘এই যে শুনুন!’ মৌমি ঘোমটার খুট আঙ্গুলে পেঁচিয়ে প্রায় ভুরু ছুঁইয়ে চোখ মেললো সামনে বসা লোকটির দিকে। কেমন হাসি হাসি মায়াময় চোখে অপলক তাকিয়ে আছে শ্যামলবরণ ছেলেটি। দুরুদুরু বুকে হাতুড়ি পেটা আওয়াজ ছাপিয়ে অদ্ভুত এক অনুভূতি ছড়িয়ে গেল মৌমির পুরোটা শরীর জুড়ে। ঠিক একমাস দশদিন পর তাদের বিয়ে হয়ে গেল।

২.
শীতের পরপর ফেব্রুয়ারি মাসে এক ভোরের ট্রেনের ফার্স্টক্লাস কামরায় বসে ঢাকায় এল মৌমি। নতুন ফ্ল্যাটে আসবাব বলতে একখানি চৌকি। তাতে দুজনের টেনেটুনে হয় কি না হয়। ঘরের কোনে একটি আলনায় কিছু কাপড় ঝুলছে। তবে রান্নাঘর বেশ গোছান পরিপাটি। সোহেল জিনিসপত্র সব কিনে রেখেছিল দোকানে দোকানে। ফ্ল্যাট ভাড়া করার পর সপ্তাহে সপ্তাহে সেসব আসতে লাগল। কী কাজের ঝামেলাই না গেছে প্রথম মাসটি। গ্রাম থেকে ছোটভাইকে এনে রাখতে হয়েছিল দিন কয়েক। সন্ধ্যা হলেই দুটিতে মিলে বেরিয়ে যেত মার্কেটে। নিউমার্কেট চাঁদনীচক চষে ঘর সাজাল সোহেল মৌমি। এল সোফা খাট কার্পেট। পর্দা ঝুললো জানালায়, বারান্দার জন্য ফুলের টব আসলো টিএসসিতে ঘুরতে গিয়ে।

সারাদিন সেসব গোছগাছ সেরে রাত্রে শুয়ে শুয়ে ভাবত মৌমি– কত সুখ খোদা তাকে দিয়েছেন। কতটা প্রাচুর্যের মধ্যে এনে ফেলেছেন তাকে। নির্জন গ্রামের সহজ মেয়েটি সে এতসব চিনবে কেন! সোহেল হাতে ধরে ধরে চিনিয়েছে কোনটার কী ফায়দা। কোনটা কীভাবে কাজে লাগাতে হয়। মজা হলো যেদিন সে সোহেলের কাছ থেকে বাহারি মেকআপ বক্স পেল জন্মদিন উপলক্ষে। এমন তাকে তাকে সাজানো ব্রাশ পাফ দিয়ে কী হবে! কোথায় লাগাতে হয় এইসব বিদঘুটে রং। সোহেল বলেছিল মনমতো সেজে আসতে। ভেতরের ঘরে একলাটি দরজা ভেজিয়ে সে পড়ল অথৈ জলে। এ জীবনে ঝকমারি সাজ একবারই সেজেছিল বিয়ের দিন। কিন্তু সেখানে মৌমির নিজের কোন ভূমিকাই ছিল না। হলুদ মেখে তিনদিন গোসল করতে হয়েছিল মনে আছে,তাতে সমস্ত দেহ কেমন উজ্জ্বল হয়ে উঠেছিল। বিয়ের দিন কিসের সাথে কী মিলিয়ে অমন ধবধবে সাদা পুতুলমার্কা চেহারা বানিয়ে দিয়েছিল তা কে খেয়াল করে রেখেছে! একা একা সাজতে গিয়ে দেখা গেল কোন কালারটা কোথায় ম্যাচ করবে তার সমাধান আর কিছুতেই হল না। আইশ্যাডো ঠিক কী মাত্রায় ঘষলে অমন আভা আভা ভাবটা আসে সে এক রহস্য। দেড়ঘন্টার যুদ্ধ শেষে কিছুমিছু যা একটা দাঁড়াল তাতে আয়নার সামনে দাঁড়ানোই মুশকিল, সোহেল দেখে ভয় না পেলেই বাঁচোয়া!

৩.
সন্ধ্যার পরপর মগবাজারের ভেতরের দিকে তেতলার একটি ফ্ল্যাটে আনন্দঘন মুহূর্ত জমে উঠল। এ মাসের বেতন পেয়ে সোহেল তার স্ত্রীর জন্য মোবাইল ফোন কিনে এনেছে। এতদিন যে ছিল না এমন নয়। বিয়েতে উপহার পাওয়া মোবাইলটা মৌমি চালাত। তবে উপহার বলে কথা, বেশ রদ্দিমার্কা মোবাইল ছিল ওটা। সোহেল প্রথমেই দামী একটা মোবাইল কিনে দিতে চেয়েছিল, সংসারের এটা ওটায় সে আর হয়ে উঠল কই। সেদিনকার অদ্ভুত সাজের পর সোহেল দৃঢ় প্রতিজ্ঞা করে ফেলেছে– বউকে মোবাইল কিনে দিতেই হবে, বেশ ভাল মানের মোবাইল। যাতে যুগের সাথে তাল মিলিয়ে তার স্ত্রীও সর্বগুণে গুনান্বিতা হয়ে উঠতে পারে। অন্তত সেইসব গুণ যেগুলো ছাড়া শহুরে লোকসমাজে মুখ দেখানো চলে না। সেই রাতটা কাটলো সেই দামী ফোনটার খুঁটিনাটি জানতে। ইন্টারনেট চালানো শেখাল মৌমিকে সোহেল, খুলে দিল ফেসবুক। ইউটিউবে নিয়ে গিয়ে দেখাল কোথায় জরুরী ভিডিও-গুলো পাওয়া যাবে। ঘরকন্যার টুকিটাকি, সাজগোজের কায়দাকানুনই বা পাওয়া যাবে কোথায়। শেষটায় বেশ একটু জোর দিল সে!

দেখতে দেখতে মৌমির অবসর সময় কমে আসতে লাগল। আগে যেখানে বেলা দশটার পর করার কিছু থাকত না, এখন সেখানে রীতিমতো সময়ের টানাটানি। ফেসবুকে একবার বসলে কোথা দিয়ে দু’তিন ঘন্টা চলে যায় টেরও পায় না। ইউটিউবে ভিডিও দেখতেই থাকে একটার পর একটা। কত কী শিখছে সেখান থেকে, বলতে গেলে চাল ধোয়া ডিম সিদ্ধ থেকে রূপচর্চার খুটিনাটি সবই পাওয়া যাচ্ছে হাতের মুঠোয়। নাটক গান সিনেমার তো হিসেবই নেই। এসবের ফাঁকে ফাঁকে সে এখন রাঁধে-বাড়ে, কাপড় কাচে গোসল সারে। বাকিটা সময় মন পড়ে থাকে ভার্চুয়ালের লাল কিংবা নীল জগতে। এর ফলাফল অবশ্য সোহেল হাতে নাতেই পেল। সন্ধ্যায় বাসায় ফিরলে প্রায়ই সোহেল দেখে মৌমি সেজেগুজে বসে আছে– ‘কী, কোথাও যাওয়ার কথা ছিল নাকি?’

– নাহ একটা মেকআপ টিউটোরিয়াল এক্সপেরিমেন্ট করলাম।

আবার কোনদিন দেখা যায় খাবার টেবিলে একটি পদ ঢাকনা দেয়া। জিগেস করতেই – ‘আরে খুলোই না, কী বলতে পারলে পুরস্কার আছে!’ অদ্ভুত সেই পদের নাম বলতে পারুক আর না পারুক পুরস্কার সেই একই- ‘পদটা একটু চেখে বলো খেতে কেমন, ভাল না মন্দ।’ রান্নাকরা জিনিস, সবসময় ভাল হওয়ার গ্যারান্টি কেউই দিতে পারে না। তার ওপর নতুন রাঁধা পদ যে রসনায় কতটুকু স্বাদ বিলোবে তা সহজেই অনুমেয়।

ক’দিন ধরে বাড়ছে আরেক উপসর্গ। সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরে যখন সোহেল চা মুড়ি নিয়ে বসে, মৌমি তখন

চেয়ারে পা তুলে বসে বসে গল্প করে। আগে সারাদিন কী করল, কী ভাবল সেইসব গল্প থাকত। এখন থাকে সেই মুখবই আর লালদেয়ালের গল্প। কোন জিনিস কোথায় কেমন দামে পাওয়া যায় তার ফিরিস্তি। সোহেল সস্তায় ফ্রিজ, ওভেন, আর ফার্নিচারের গল্প শুনতে শুনতে ভাবে এই চেয়ারেই বসে বসে মৌমি আগে গান শোনাত। সহজ সরল পুরনো দিনের গান। গল্পগুচ্ছের কতগুলো গল্প তো ওর

মুখে শুনতে শুনতে বাক্সময় হয়ে উঠত। দীর্ঘশ্বাস ফেলে সে হয়ত কোন কোন দিন বলেই ফেলত– ‘একটা কবিতা শোনাও না মৌমি!’ তক্ষুণি মৌমির মনে পড়ে যেত ইউটিউবে কারা সুন্দর সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করে। কারটা ভাল কারটা মন্দ, সেই গল্প। শুনতে শুনতে অসহ্য হয়ে কখনো বলেই ফেলে সোহেল, তোমাকে মোবাইল কিনে দেয়াই ভুল হয়েছে।

মাসছয়েক পরের কথা, কদিন আগে এক ছুটির সন্ধ্যায় মৌমি চেপে ধরেছিল সোহেলকে। বাসায় একটা ওভেন না আনলেই নয়। মাইক্রোওয়েভ ওভেন। সবমিলিয়ে আটত্রিশ হাজার পড়বে হয়ত। একটু বড়দেখে কেনাই ভাল, মেহমান টেহমান আসলে কাজে লাগবে। সোহেল বলেছে ‘দেখা যাক!’

– দেখা দেখি নেই, তুমি আনবে ব্যাস!

– টাকায় না কুলোলে কী করে আনব!

– সে তোমার ব্যাপার, সামনে মাসে নাদিয়াকে আসতে বলেছি। ওর বাসায় কী চমৎকার মাইক্রোওয়েভ ওভেন, আমাকে ছবি পাঠিয়েছিল।

– এই নাদিয়াটা আবার কে?

– সে তুমি চিনবে না, আমার ফেসবুক ফ্রেন্ড।

– বাহ, এর মধ্যেই এত!

– এত’র কী দেখলে, একদিন আমার ছবিতে কমেন্ট করেছিল, সেই থেকে পরিচয়।

পরে দেখা যাবে বলে সে যাত্রা মৌমিকে ঠেকানো গেছে। আজকে যখন বেতন হল, রীতিমতো হুলুস্থুল বাঁধিয়ে দিলো মৌমি- কালকেই চলো।

– এ মাসে তোমার ঐ চল্লিশ হাজারি ওভেন কেনা সম্ভব নয় মৌমি।

– কেন নয়, তুমি চাইলেই পার।

– এ মাসে কিছু টানাটানি আছে, আসগার সাহেবকে দশ হাজার টাকা ধার দেব কথা দিয়েছি। সোফার দোকানে বাকি আছে কিছু।

– তোমার বন্ধুই বড় হল? এদিকে যে নাদিয়ার কাছে আমার ইজ্জত যায়!

– এত দামী ওভেন না থাকলেই কারও ইজ্জত চলে যায় না মৌমি, পুরো ঢাকা শহরে সবার বাসায় কি সবকিছু আছে?

– সবাই আর আমরা কি সমান!

এরপর আরও কি কি উত্তপ্ত বাক্যালাপ হলো তা বিতং বিস্তারিত না বললেও চলছে। মিনিট দশেক পর দেখা গেল কান্না জড়িত কণ্ঠে চিৎকার করে বেরিয়ে এল মৌমি ‘তুমি থাক তোমার বন্ধু নিয়ে’। দড়াম করে লেগে গেল বাসার প্রধান দরোজা। রাগ করেই হোক আর রাগ কমাতেই হোক বেরিয়ে গেল সোহেল।

রাত দশটা। বারান্দায় রাখা আরাম কেদারায় বসে আছে মৌমি। শুকিয়ে যাওয়া নোনাজল এখনো গালে লেগে আছে। পুবদিকে খোলা বারান্দায় নীলচে আলো ফেলছে কৃষ্ণপক্ষের সদ্য ওঠা চাঁদ। সাদা কালো আর নীলচে ছায়ায় দুলতে থাকা পাতাগুলো কেমন অদ্ভুত লাগছে। দূরে ডাকছে কুকুর, একটা রিকশা দুবার বেল বাজিয়ে ছুটে গেল নিচের রাস্তা দিয়ে। সোহেল এখনও ফিরেনি। ফোন দেবে কিনা ভাবতেই পেছনে শোবার ঘরে কার যেন নড়াচড়া অনুভব করলো মৌমি। গুটানো পর্দার ফাঁক দিয়ে ভেতরের দৃশ্য দেখে রীতিমত অবাক হয়ে গেল সে। ঘরের ভেতর যে আরেকটি মৌমি বিছানায় বসে আছে! এলোমেলো বিছানায় খুলে রাখা মেকআপ বক্স হাতে কী যেন ভাবছে সেই মৌমিটি। নিতান্ত সরল ভঙ্গিতে কী একটা দেখে আপন মনে হেসে উঠল যেন। জানালার এইপাশ হতে মৌমি তার সর্বান্তকরনে অনুভব করে উঠল কী যেন নেই তার! খুব জরুরি কিছু, খুব দরকারি কিছু।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত