তিন-চার বছর আগের কথা। তখন আমি ঢাকা পল্লবীতে থাকি।
মিরপুর সাড়ে এগারো বাসস্ট্যান্ডের সাথে আমার বাসা। একদিন সকাল দশটায় বউকে নিয়ে গেলাম মিরপুর বারো নাম্বার মুসলিম বাজার। উদ্দেশ্য বাজার করা। আর প্রধান উদেশ্য মাছ কেনা। আমি বউ ছাড়া কখনও বাজারে যাই না, তবে আমার সময় না থাকলে বউ একা বাজারে যায়। তবে মাছ কিনতে হলে বা বেশি বাজার করতে হলে আমি আর বউ এক সাথে বাজারে যাই।
বাজারের পরিমাণ বেশি হলে দুজন মিলে বাজারে যেতাম কারণ তখন আমাদের গাড়ি বা ড্রাইভার ছিলো না। তাই মাছ আর সবজি মিলে তিন-চারটা ভারি বাজারের ব্যাগ নিয়ে এক জনের পক্ষে বাজার করে বাসায় ফেরা সম্ভব নয়।
যাই হোক। আমরা মুসলিম বাজারে গেলাম বাজার করতে। মূলত মাছ কিনতে। আমি আর বউ। বাজারে মাছ দুই প্রকার। জীবিত আর ফরমালিনযুক্ত। তবে ইলিশ মাছ হয় বরফযুক্ত। অন্য মাছে বরফ দেওয়া হলেও তা দেওয়া হয়ে ফরমালিন দেওয়ার পর বাড়তি নিরাপত্তা হিসেবে। ইলিশ মাছে বরফের সাথে ফরমালিন থাকে কি না ঠিক জানি না।
বাজারে জীবিত মাছের মধ্যে আছে কই, শোল, টাকি, শিং, মাগুর, পাংগাস ইত্যাদি। আর কোনও প্রকার মাছ জীবিত বাজারে থাকে না। অন্য মাছগুলো কি তাহলে মৃত? না, ঠিক মৃত নয়। সেগুলো মরেও অমর। ফরমালিনে ভিজিয়ে মৃত মাছকে এখন অমর করা হয় যা বহুদিন অপচনশীল থাকে। জীবিত মাছের দলে এতোদিন যেগুলোর কথা বললাম সেগুলোই ছিলো। গত পাঁচ ছয় বছর ধরে ঢাকার বাজারে এমএস স্টিলের অ্যাঙ্গেল ও প্লেইন শিট দিয়ে তৈরি ঢাকনাহীন বড় পাত্রে পানি দিয়ে মাছ জীবিত রাখার পদ্ধতি চালু হয়। তবে এক বাজারে মাত্র একটি বা দুটি দোকানে এই রকম জীবিত মাছ বিক্রি করা হয়।
পল্লবী বাসস্ট্যান্ড থেকে দুয়ারী পাড়ার বড় রাস্তা দিয়ে আমার বাসায় ঢুকতে গলির মাথায় প্রথম আমি এই বিশাল পাত্রে পানি দিয়ে মাছ জীবিত রাখতে দেখি। বেশি মাছ কিনতে হলে অবশ্য আমরা মিরপুর এক নাম্বার বাজারে যেতাম। সেটা বিশাল একটা মাছবাজার কিন্তু সেখানে এই মাছ জীবিত রাখার কোনো প্রচলন ছিলো না আর আজও নেই।
মাছ নিয়ে আরও অনেক গল্প আছে। একদম ছোটবেলায় আমি যখন প্রথম কথায় সংখ্যা লেখা শিখি মানে এক, দুই, দশ, বারো ইত্যাদি লেখা শিখি তখন ‘ষোল’ বানানটা ঠিক করে লিখতে পারতাম না। ততদিনে কেবল এক থেকে পঞ্চাশ পর্যন্ত সংখ্যা কথায় লেখা শিখেছি। আমার মনে হয় এক থেকে পঞ্চাশ পর্যন্ত সংখ্যাগুলোর মধ্যে এই ‘ষোল’ বানানটাই সব থেকে কঠিন। যতোবার আমাকে সংখ্যা লিখতে দেওয়া হতো ততোবার আমি ‘ষোল’কে লিখতাম ‘শোল’। আব্বা বলতো ষোল’র সাথে শোল মাছের সম্পর্ক কী? আমি কি তাহলে বাজার থেকে শোল মাছ আনতে বলছি? সেটা না বললেও অবশ্য বাজার থেকে শোল মাছ ঠিকই আসতো।
তারপর আমরা যখন কিশোরগঞ্জের আলোর মেলায় নিজেদের বাসায় উঠলাম তখন আমাদের বাসায় চারপাশে ছিলো ধানক্ষেত। সেগুলো ছিলো আসলে নিচু জায়গা যেগুলোতে এক ফসল হতো আর বছরের অর্ধেকের বেশি সময় পানিতে তলিয়ে থাকতো। বর্ষার শুরু থেকেই পানিতে ভরা ধানক্ষেতগুলোতে প্রচুর মাছ হতো। আমি বাসার পাশের ধানক্ষেত থেকে কই জাল, বর্শী আর ক্ষেতে পানি ঢুকার পথে চাঁই পেতে অনেক মাছ ধরতাম আর মাছের সাথে বিরক্তিকরভাবে কই জাল ও চাঁইয়ে আটকে থাকতো মেটে সাপ বা ঢোঁড়া সাপ।
আর আমার নানার বাড়ি ছিলো উজান থেকে হাওড়ের দিকে নেমে যাওয়া নরসুন্দা নদীর তীরে একটি গ্রামে। ছোটবেলায় সেখানে মাছের মেলা আর মাছ ধরার মহাযজ্ঞ দেখেছি। নদীর মাঝখানে চারটি মাচায় চারজন দাঁড়িয়ে চারটি খুঁটিতে চার কোনা লাগানো বান্দইরা জাল নদীর পানিতে ডুবিয়ে দিতো আর দশমিনিট পর যখন চার কোনার চার খুঁটিতে দাঁড়ানো চারজন জালের সাথে লাগানো বাঁশের খুঁটিটি উল্টিয়ে মাচার বাঁশের সাথে বাঁধলে জাল ওঠে যেতো পানির অনেক ওপরে আর শূন্যে ভাসমান বান্দইরা জালে লাফাতে থাকতো বহু জাতের শত শত মাছ।
আমরা মুসলিম বাজারে ঢুকলাম। এক লোক বিশাল আকৃতির একটা মাছ ব্যাগে নিয়ে হাঁটছিলো কিন্তু মাছটা ব্যাগের চেয়ে একটু বড় হওয়ায় মাছের লেজটা বের হয়ে ছিলো ব্যাগের ওপর দিয়ে। মাছ বাজারে ক্রেতার ভীড় আর ভীড়ের মধ্যে লোকটা হাঁটছে মাছের লেজ বের হওয়া ব্যাগ হাতে নিয়ে। ভীড়ের মধ্যে মাছের লেজ ছুঁয়ে যাচ্ছে মাছ কিনতে আসা মানুষের গায়ে। বেশ বিরক্তিকর এই বিষয়টা। অনেকেই বিনামূল্যে লোকটার বিশালাকার মাছের ফ্লেভার তাদের কাপড়ে মেখে নিচ্ছে। কেউ সেটা বুঝতে পারছে আর কেউ বুঝতেই পারছে না। বুঝতে না পারলেও খুশি হবার কিছু নেই আর বুঝতে পারলেও এখানে বিরক্ত হবার কিছু নেই কারণ মাছ বাজারে এলে কাপড়ে মাছের গন্ধ লাগতেই পারে সেটা মাছের লেজ থেকেই হোক বা জীবিত মাছের লেজের নাড়ায় ছিটকে পড়া পানি থেকেই হোক। তাছাড়া মাছ বাজারে মানুষ সাধারণত স্যান্ডেল পরেই যায় আর হাঁটতে হয় কাদা আর পানির ওপর। মাছ বাজারে কাদা আর পানি থাকবেই তা কম হোক বা বেশি। আর স্যান্ডেল পায়ে মাছ বাজারে হাঁটলে সেই কাদা আর পানি পায়ে লাগবেই সেটা কম হোক বা বেশি। আবার মাছ বাজারে মাছ কিনতে গেলে মাছের দাম দিতে মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিতে হয়। আর টাকার নোট কখনো দামের সমান হয় না। তাই মাছ বিক্রেতার হাতে টাকার নোট দিলে ভাংতি টাকা ফেরত নিতে হয় আর সেই টাকায় লেগে যায় মাছের পানি কারণ মাছ বিক্রেতাদের হাতে সারাদিন মাছের পানি লেগে থাকে। তাই মাছবাজার থেকে ফিরলে মানুষের গা, কাপড়, জুতা, ব্যাগ আর মানিব্যাগ সবকিছুতে মাছের গন্ধ থাকে।
যাই হোক। আমরা সাঁতরানো জীবিত মাছের দোকানের সামনে গিয়ে দাঁড়ালাম। মাছ সাঁতরাচ্ছে পানিতে। রুই মাছ প্রায় সবগুলো আর একটা কাতল। দাম দর করে দুইটি রুই মাছ দিতে বললাম। দোকানদার জ্যান্ত রুই মাছ দুটো পানি থেকে তুলে দোকানদারের পাশে বিশাল বড় বটি নিয়ে বসা ছেলেটাকে দিলো। ছেলেটা মাছ দুটো কাটতে শুরু করলো।
মাছ কুটা বা কাটার দুইটা ধরন দেখেছি আমি। একটা হচ্ছে চিরচারিত বাড়ির রান্না ঘরে মাছ কুটা আর অন্যটা হচ্ছে এই মাছ বাজারের মাছ কাটা। এই দুই ধরনের মাছ কাটার মধ্যে বেশ কিছু পার্থক্য আছে। বাড়ির মাছ কাটায় সময়টা খুব বড় কথা নয় বরং মাছ কাটা হলেই হলো। কিন্তু মাছ বাজারে মাছ কাটার সময় সময়টা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। দ্রুত মাছ কাটা এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। একের পর এক খদ্দের আসছে আর একের পর এক মাছ তুলতে হচ্ছে আবার মাছ কুটতে দেরি হবার জন্য খদ্দের বিদায় করতে দেরি হলে নতুন খদ্দের আসছে না তাই বিক্রি কম হচ্ছে। সব মিলিয়ে এখানে দেরি করার কোনও ফুরসত নেই। মাছ শুধু কুটা হলেই হবে না কুটতে হবে ঝটপট। এই ঝটপট মাছ কুটতে গিয়ে তাদের বের করতে হয়েছে কম সময়ে বড় বড় মাছ কুটার বিভিন্ন কায়দা কৌশল।
মাছ কুটার সময় যখন মাছের পাখনা, লেজ ও মাথা বটির মধ্যে লাগিয়ে কাঠের ডান্ডা দিয়ে জোরে জোরে আঘাত করা হয় তখন রক্ত ও মাংস ছিটে জামা, কাপড়, হাত বা মুখে লাগে তাই মাছ কুটার সময় কন্টিনিউয়াস ঠিক সামনে দাঁড়িয়ে থাকা যায় না। তাছাড়া সে না হয় মাছ কুটছে কিন্তু যে মাছ কিনলো তার তো অন্য কাজ থাকতে পারে। আমি মাছ কুটার সময় মাঝে মাঝে সরে দাঁড়াচ্ছিলাম, বউয়ের সাথে কথা বলছিলাম আর একবার মোবাইল ফোনে একটা কল এসেছিলো।
যাই হোক ছেলেটা মাছ কুটা শেষ করলো। মাছের পিসগুলো পলিথিন ব্যাগে ভরলো। ২০০১ সালে বিএনপির নেতৃত্বাধীন চার দলীয় জোট ক্ষমতায় আসার পর বাংলাদেশে পলিথিন নিষিদ্ধ হয়েছিলো। সেটা তখন সফলও হয়েছিলো। কিন্তু আজও সর্বক্ষেত্রেই পলিথিনের ব্যবহার দেখা যায়। যদিও এখন সিনথেটিক নেটের ব্যাগের ব্যবহার অর্ধেক আর পলিথিনের ব্যবহার বাকি অর্ধেক।
তারপর আমরা মাছ নিয়ে রিকশায় করে পল্লবী বাসস্ট্যান্ডের সাথে আমাদের বাসায় আসলাম। বউ রান্নাঘরে গেলো ব্যাগ থেকে বাজার বের করে মাছ আর সবজি গুছিয়ে ফ্রিজে রাখতে। ফ্রিজে রাখার জন্য মাছ ভাগ ভাগ করে আলাদা আলাদা প্যাকেট করার সময় লেজ বা মাথা প্রতি প্যাকেটে একটার বেশি রাখা হয় না। তার মানে পাঁচ পিস মাছ দিয়ে একবার যে তরকারি রান্না করা হয় তাতে রুই মাছের একটি মাথা বা একটি লেজ থাকবে। সে ভাবেই ভাগ করা হচ্ছিলো মাছ। আর এই ভাগ করতে গিয়েই ধরা পড়লো বিষয়টা। বাজার থেকে জ্যান্তরুই মাছ কিনলাম দুইটা। দুইটা মিলে ওজন হয়েছে তিন কেজি। দুইটা মাছের মাথা আর লেজ থাকবে দুইটা। মাথা দুইটাই আছে কিন্তু লেজ একটা। আরেকটা মাছের লেজ গেলো কোথায়? মাছ তো লেজবিহীন হয় না। সাঁতার কাটতে থাকা মাছ দুটি যখন ধরা হয়েছিলো তখন আমি দুইটি মাছই দেখেছি। লেজ না থাকলে তো তখনই চোখে পড়তো। লেজকাটা শেয়াল হয় লেজকাটা বানর হয় কিন্তু লেজবিহীন মাছ তো হয় না। লেজ হারিয়ে শেয়াল বাঁচে কুকুর বাঁচে কিন্তু লেজ ছাড়া মাছ তো বাঁচে না। লেজ ছাড়া মাছ সাঁতার কাটতে পারে না। আর যেহেতু আমি কিনেছি সাঁতরানো মাছ সেহেতু অবশ্যই মাছ দুটির লেজ ছিলো।
মাছের লেজ গেলো কোথায়? কোথায় হারালো সাঁতরানো জ্যান্ত মাছের আবশ্যক লেজ? পরবর্তী প্রশ্ন হলো, শুধু কি লেজ হারালো না কি সাথে অন্য কিছুও? অন্য কিছু বলতে মাছের মাথা দুটি হারায়নি। তাহলে লেজের সাথে হারিয়েছে কী? এখন সেটা খোঁজে বের করতে হলে মাছের পিসগুলো জোড়া দিয়ে আস্ত মাছের অবয়ব তৈরি করে বুঝতে হবে সেই অবয়বে কোন অংশের ঘাটতি আছে? সেটা আর করতে গেলাম না।
যাই হোক আসল ব্যাপার আমাদের বোধগম্য হলো। আর সে ব্যাপারটা হচ্ছে স্পষ্ট চুরির ব্যাপার। মাছ কুটার সময় ছেলেটা মাছের লেজ না সরালে লেজ যাবে কোথায়? আর চুরি যখন করেছে তখন শুধু লেজ চুরি করার কথা নয় সাথে মাছের পিসও নিশ্চয়ই লুকিয়েছে। আমরা পল্লবী বা মিরপুর বারো নাম্বারে থাকে আমাদের পরিচিত এমন কয়েকজনের সাথে তখন মোবাইলে কল দিয়ে কথা বলে জানতে পারলাম যে, মুসলিম বাজারে মাছের পিস চুরি করার অভিযোগ আগেও শোনা গেছে।
আমি বউকে নিয়ে রিকশায় করে মুসলিম বাজারে গেলাম। মাছ নিয়ে যাইনি কারণ মাছ নিয়ে গিয়ে নতুন কিছু প্রমাণ করার নেই সেখানে। বরং তাড়াতাড়ি ফ্রিজে না রাখলে মাছ নষ্ট হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা আছে। মাছবাজারে গিয়ে মাছ বিক্রেতাকে বললাম, আমরা মাছ নিয়েছি দুইটা কিন্তু মাছের লেজ একটা। তাহলে আরেকটা লেজ গেলো কোথায়? আর লেজ যদি কম পাওয়া যায় তাহলে মাছও হয়তো কম পাওয়া গেছে কিন্তু কয় পিস মাছ কম পাওয়া গেছে তা বোঝা যায়নি।
মাছ বিক্রেতা বললো, মাছের লেজ কোথায় গেলো কেমনে বলবো? মাছ কাটার পর সব পিস তো পলিথিনে ঢুকায়া দিলাম। কোনও পিস থাইকা গেলে তো রাইখা দিতাম। এখান থাইকা মাছের পিস হারাইবো কেমনে?
কিন্তু আমরা তো বাসায় গিয়া মাছের লেজ পাই নাই।
না পাইলে হয়তো রাস্তায় পড়ছে।
রাস্তায় কেমনে পড়বে? বাজারের ব্যাগ থেকে মাছের পিস কেমনে পড়বে।
কেমনে পড়বে আমরা কেমনে বলবো? মাছ নেওয়ার সময় দেইখা নিবেন না?
যাই হোক এরকম কথা ও পাল্টা কথার পর মাছ বিক্রেতা বললো, এভাবে কথা বলে তো লাভ নাই। আপনাদের কিছু বলার থাকলে বাজারে সামনের মোড়ে সরকারী দলের অফিসে যান। মুসলিম বাজারে কারো কোনও অভিযোগ থাকলে সবাই সরকারী দলের অফিসে যায়। সেখান থেকে অভিযোগের সমাধান করে দেওয়া হয়।
কয়েক পিস মাছের জন্য সরকারী দলের অফিসে যাবো? সরকারী দলের অফিসে সুবিচার পেতে হলে তো আস্ত একটা মাছ ঘুষ দিতে হবে। শুনেছি এইসব চুরি টুরিতে সরকারি দলের মদত থাকে সব সময়। হয়তো প্রতিদিনের চুরি করা মাছের একটা অংশ তারাও পায়।
মাছের দোকানের ছেলেটা এই বোকামিটা না করলেই পারতো। শালা মাছ চুরি করবি কর কিন্তু লেজটা চুরি করলি কেন? লেজ আর মাথা ঠিক ঠিক দুইটা করে থাকলে কে বুঝতো তোর মাছ চুরির কথা?
বাসায় চলে এলাম আমরা। মাছের একটা লেজ আর কয়েকটা পিসের সাথে লসের খাতায় যুক্ত হলো মুসলিম বাজারে যাওয়া আসার তিরিশ টাকা রিকশা ভাড়া। তবে লাভের মধ্যে যা হলো তা হচ্ছে, তারপর থেকে যখনই যে বাজার থেকে মাছ কিনে সেটা কুটতে দেই তখন ঠিক সামনে না দাঁড়ালেও মাছের পিসগুলো লুকানো হচ্ছে কি না সেটা আমি কড়া নজর রেখে দেখে নেই।