হেলেনা দোতলার ব্যালকনিতে দাঁড়িয়ে আছে খাঁচায় বন্দি পাখির মতো। দৃষ্টি প্রধান ফটকের সামনে উত্তর-দক্ষিণ সড়কে। এটাকে ঠিক সড়ক বলা চলে না। তবু অন্যান্য গলিপথের তুলনায় এটা একটু প্রশস্ত। হেলেনাকে এখানে প্রায়ই দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। আজও অনেকক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে আছে। তাই মাঝে মাঝে অলসতা কাটাবার জন্য পায়চারি করছে ঘরে। ঘড়ির কাঁটা দুইটা ছুঁই ছুঁই করছে। হেলেনা সেই বারোটা থেকে দাঁড়িয়ে আছে। প্রত্যেক বারই ভেবেছে আর পাঁচ মিনিট। এই করে করে দুঘন্টা হলো, তবুও দেখা নেই অপেক্ষার মানুষটির।
হেলেনার স্বামী, জানে আলম, নিজের নামটাকে এখন সংক্ষেপ করে নিয়েছে জে. আলম, একটি রপ্তানিমুখী ফার্মের মালিক। তার বায়াররা ছড়িয়ে আছে ইউরোপ আমেরিকার অনেক দেশেই। আয়ও করছে প্রচুর। ন্যায়-অন্যায়ের তোয়াক্কা করে না কখনো। হেলেনা অনেকবার নিষেধ করেছে।
‘আমাদের তো বৈধ আয়েই সংসার চলে, অনেক সেভিংসও থাকে। তবে খামোখা কেনো পাপের বোঝা মাথায় নেবো।’
‘পাপ পূণ্যের হিসাব আমাকে বুঝাতে এসো না।’ আলমের সাফ জবাব।
হেলেনা ওসব ব্যাপারে এখন আর কিছুই বলে না।
দারোয়ান গেটের পাশে একটা টুলে এতোক্ষণ ঝিমুচ্ছিলো। এখন দেয়ালের সাথে মাথা রেখে একটু আয়েশে ঘুমোচ্ছে। কতোইবা ধরে রাখা যায় নিজেকে। অনেক বিখ্যাত বীরও নাকি ঘুমের সাথে বাজি ধরে হেরেছে। আর এ বুড়ো তো জীবনের শেষ সীমানায়। ঝিমুতে ঝিমুতে বৃদ্ধ দারোয়ান লাউ ডগার মতোই নেতিয়ে পড়েছে। বাতাসে লাউয়ের কচি ডগাগুলো যেমনি উপর-নিচ দোলখায় বুড়ো মইনুদ্দিন দারোয়ানও সেভাবে দুলছে। হঠাৎ ছাই রঙের একটা মার্সিডিজ এসে থামলো গেটের সামনে। অনর্গল হর্ন দিয়ে যাচ্ছে গাড়িটি। কারো কোনো খেয়াল নেই সেদিকে। হেলেনাও ইজি চেয়ারে বসে তন্দ্রায়িত ছিলো। কড়া হর্নের শব্দে হকচকিয়ে গেলো সে। এতোক্ষণে মইনুদ্দিনেরও ঘুমের লাই কেটে গেছে।
জানে আলম সিঁড়ি বেয়ে দোতলায় উঠে এলো। দরজা খুলে দাঁড়িয়ে আছে স্ত্রী হেলেনা আলম। হেলেনা আলমের হাত থেকে ব্রিফকেসটা তুলে নিলো।
তোমার ফিরতে এতো রাত হলো!
আর বলো না ফ্রান্স থেকে মি. জঁ পেরল এসেছেন। এয়ারপোর্টে তাকে রিসিভ করা। তারপর আলাপ-ডিনার ও তার থাকার ব্যবস্থা করে আসতে হলো। বারে যে ক’ঘন্টা কাটিয়ে এসেছে সেটা বললো না। স্ত্রীর ব্যাপারে আর কোনো আগ্রহ না দেখিয়ে কাপড় ছেড়ে ওয়াশরুমে ঢুকে গেলো জানে আলম। বের হয়ে দেহটা ছুঁড়ে দিলো পাখির পালকের মতো নরম বিছানায়। মিনিট দশেকের মধ্যেই তার নাক ডাকা শুনতে হলো হেলেনাকে। আহা বেচারি! কার জন্য এই রাত জেগে অপেক্ষা করা। স্বামী নামের একজন অর্থ প্রেমিকের জন্য! না খেয়ে হেলেনাও শুয়ে পড়লো পাশে।
অর্থনীতিতে মাস্টার্স করা আলম কৈশোর থেকেই উচ্চাবিলাসী। মেধাবী হলেও কলেজ জীবন থেকেই জানে আলম কিছুটা বেপরোয়া জীবন যাপনে অভ্যস্ত। মেট্রিক ইন্টারমিডিয়েটে ফার্স্ট ডিভিশন পেলেও পরের রেজাল্ট আর ধরে রাখতে পারেনি। অনার্সে সেকেন্ড ক্লাস আর মাস্টার্সে টেনেটুনে পাস করেছে সে। ঢাকা কলেজে পড়ার সময় স্টকলটের ব্যবসার সাথে জড়িয়ে পড়ে। মাস্টার্স পরীক্ষা সামনে। স্টকলটের ব্যবসাটাও জমে উঠেছে তখন। সাভার-মিরপুর ছুটোছুটি। ফ্যাক্টরিগুলোতে ঢোকার সময় মনে হতো আহা আমার যদি এমন একটা ফ্যাক্টরি থাকতো! ধামরাই-গুলিস্থান বাসের রড ধরে কল্পনা করতো রিভলভিং চেয়ারে বসে দোল খাওয়া। সাভার যাওয়ার পথে কতোদিন স্বপ্নকল্পনায় বায়ারদের সাথে কন্ট্রাক্ট সই করতে গিয়ে ছিটকে পড়েছে মানুষের গায়ে।
‘এই মিয়া! ঝিমান কা? কানের ভিতর ঝিঁঝি ঢুকায়া দিছেন।’ মাকড়সার জালের মতো আলমের কল্পনার জাল ছিঁড়ে যায়। পাশের লোকটির দিকে তাকিয়ে শুধু স্যরি বলে আবার স্বপ্নে চলতো ডুবসাঁতার।
জানলা দিয়ে বাইরে তাকিয়ে থাকতে থাকতে দেখা মিলতো ব্যাংক টাউনের। গেটের দু’পাশে গাছগুলো দারোয়ানের মতো দাঁড়িয়ে আছে। বা দিকে দোয়েল গার্মেন্টস। বঙ্গবাজার থেকে তোলা মালগুলো গাড়ির প্যাসেজে রাখা। ধামরাইতে নামবে ওগুলো। কিছু নামবে সাভার ও নয়ারহাটে। রডযাত্রীদের বগলের গন্ধে দম বন্ধ হয়ে যাবার যোগাড়। দু’হাতে কোনো মতে একটু জায়গা করে বিড়ালের মতো সামনে এগিয়ে যায় আলম। দোয়েল গার্মেন্টসের জি.এম এর সাথে কথা হয়েছে। পাকাপাকি হলে চার-পাঁচ লাখ লাভ হবে। স্থানীয় ছাত্রনেতারা তার সাথে আছে। একজন ওর ক্লাসমেট। ঢাকা কলেজে পড়ে। বাড়ি তেতুঁলঝোড়া। সাভারে বেশ প্রভাব আছে তার। সামাদকে আগেই বলে রেখেছে আটটার দিকে আসবে আলম। সকালে মানুষের মন নরম থাকে। যে কোনো আলোচনা থেকেই মুরগীর ফুটফুটে বাচ্চা বেড়োয়। আলমের বাবা বলতেন, ‘কারো সাথে কাজ কারবার করলে ফজরের পর যাইবা। মানুষের দিল ঐ সময় নরম থাকে।’ বাবার হাজার উপদেশ অমান্য করলেও এই একটা উপদেশ আলম অক্ষরে অক্ষরে পালন করে। দু’বন্ধু চায়ের দোকানে প্ল্যানটা করে যাবে জিএমের রুমে।
‘পাঁচ পারসেন্টের বেশি দিতে পারবো না’। আলমের সাফ জবাব। ‘শালা হারামখোর। যতো পায় ততই চায়।’ আলম বলেছে। ‘পনেরো দিতে পারি। তবে লোকাল চান্দা জিএম ম্যানেজ করবে।’
জিএম হারুন সাহেব ওসব ঝামেলায় যেতে রাজি নন। সিক্স পার্সেন্টেই রাজি। চকচকে নোটগুলো আলমের সামনে তারার মতো জ্বলজ্বল করছে। নতুন টাকার শব্দগুলো নতুন তাসের মতো লাগে, খেলতে ইচ্ছে করে। নতুন মেয়ে, নতুন টাকা আর নতুন তাস আলমের খুব পছন্দ। ইন্টারমিডিয়েট পরীক্ষার পর একটা মেয়েকে নিয়ে তিনদিন ঘুরে এসেছিলো কক্সবাজার। ঢাকা টু বরিশাল লঞ্চে বসে তাসখেলার সুযোগটি এখনো হাতছাড়া করে না আলম।
ঢাকা কলেজের সামনে জনতা ব্যাংকে তার লেনদেন। জে.আলম এন্টারপ্রইজ নামে একটি চলতি হিসাবও খুলেছে। আগে ক্যাশিয়ার সেভিংস একাউন্টে এতো বেশি লেনদেন করতে আপত্তি করতো। এখন খুশি হয়।
‘প্রাইভেট ব্যাংকগুলোর দৌরাত্বে টিকে থাকা দায়।’ ম্যানেজারের কণ্ঠে আফসোসের দীর্ঘশ্বাস। চেম্বারে বসিয়ে চা খাইয়ে পিয়ন দিয়ে টাকা জমা করে তারপর গেট পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে যায় ম্যানেজার।
‘সামনে জুন ক্লোজিং পারলে কিছু ডিপোজিট দিয়েন আলম ভাই।’ আলম মৃদু হাসে।
‘আমি ডিপোজিট দেবো! মাথা খারাপ। হেমায়েতপুর জমি কিনবো। ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক ডাবল হচ্ছে। তখন দেখবে দু’পাশে কতো ফ্যাক্টরি। আমারটাও হবে। সামাদকে জমি দেখতে বলেছি।’ জানে আলম হাসে। নৌকার দুলুনির মতো সে হাসি; এদিকেও দোলে ওদিকেও দোলে। কুতকুত করে চায়। সেই হাসিটির মানে বুঝতে পারে না জনতা ব্যাংকের ম্যানেজার সাহেব। হ্যান্ডসেক করে বিদায় নিয়ে সামনে পা বাড়ায় আলম।
আলম অ্যাপারেলস লি: এর বোর্ড রুমে বসে আছে আলম। দশটি বছর যে কিভাবে পার হয়ে গেছে আলম ভেবে পায় না। হেলেনা সেদিন তার সামনে ভাইবা দিলো। সাভার কলেজ থেকে একাউন্টিংয়ে অনার্স-মাস্টার্স করা স্মার্ট মেয়ে। এতো লাজুক শিক্ষিত মেয়ে আজকাল পাওয়াই যায় না। ছয় মাস বাজিয়ে দেখে তারপর বিয়ের প্রস্তাব। হেলেনার আপত্তি সত্ত্বেও মা-বাবা এমন পাত্র হাতছাড়া করতে নারাজ। বিয়ের পর আর হেলেনার অফিস করা হয়নি। নয়নাকে নিয়েই তার দিন কাটে। তিন চার দিন পর পর নয়নার সাথে দেখা হয় আলমের। বাবার প্রতি একটুও আগ্রহ নেই মেয়েটির। মাসের দশদিন তো দেশের বাইরেই থাকে। টাকা আর জমি ছাড়া আলমের আর কিচ্ছু চাই না। মেয়েটির জন্য তার মন কেমন করে উঠলো। জানুয়ারিতে নয়নার পাঁচ হবে। স্কুলে দিতে হবে, হেলেনা তাই বললো। মেয়েটি বাবার স্নেহ ছাড়া এতো বড়ো হয়ে গেলো।
সামাদ জঁ পেরলকে সাথে সাথে নিয়ে বোর্ড রুমে ঢুকলো। ভাবনার ডালপালা ছেটে-ছুটে পেরলের দিকে হাত বাড়িয়ে দিলো আলম। দীর্ঘ আলোচনার পর বিশ লাখ ডলারের কন্ট্রাক্টটি সাইন হলো। সামাদ উচ্ছ্বসিত থাকলেও আলমের মুখটি নৌকার বিষন্ন মাঝির মতো। সেখানে আনন্দ নেই। উদাসীন বাউলের চাহনি পেরল আর সামাদের দিকে ঘুরে আসে। সামাদের উপর লাঞ্চের ভার দিয়ে আলম ছুটলো স্কয়ার হাসপাতালের দিকে।
ভাবলেশহীন তাকিয়ে আছে হেলেনা। মাথার কাছে টুকটুকে নয়না বসে আছে। মায়ের মাথায় বিলি কাটছে কচি একটি হাত। সেলাইনের ফোঁটাগুলো ঘড়ির কাঁটার মতোই নিয়ম মেনে নাড়ি বেয়ে চলে যাচ্ছে সারাদেহে। অনিয়মের শরীরটা হয়তো আবার নিয়মে ফিরবে হেলেনার। এই তরল সেলাইনের ফোঁটাগুলোও তাদের দায়িত্ব পালন করে। আর মানুষ!
দরজার নবটাতে হাত দিয়ে আস্তে করে রুমে ঢুকে যায় আলম। হেলেনা চোখ দু’টো একটু ঘুরিয়ে আলমকে দেখে আবার ফিরিয়ে নেয় দৃষ্টি। তাকানোর শক্তিও তার নেই। আলম হেলেনার পাশে বসে ডান হাতটি দুহাতে তুলে নেয়। কপালে হাত রেখে দেখে এখন জ্বর নেই তেমন একটা। রাত দু’টোয় যখন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়; হেলেনার তখন সেন্স ছিলো না। অজ্ঞান হয়ে কেনো পড়েছিলো তাও জানে না আলম। হেলেনাকে কি বলবে তাও খুঁজে পেলো না সে। নয়নাকে কাছে ডাকে। মেয়েটির কোনো সাড়া নেই। মায়ের পাশে বিড়াল ছানার মতো চুপচাপ বসে আছে। আলম খাটের ওপাশে গিয়ে কোলে তুলে নেয় নয়নাকে। মেয়েটি মায়ের দিকে তাকালো যেন অনুমতি চাইছে। মা-মেয়ের দৃষ্টি বিনিময়ের পর নয়না বাবার কোলে গেলেও তার কাছে মনে হচ্ছে সে কোনো অপরিচিত মানুষের কোলে আছে।
ডাক্তার ঘরে ঢুকলে আলম সাহেব এগিয়ে এলেন। তার পরিচিত ডাক্তার।
‘কি হয়েছে ডাক্তার সাহেব?’ কিছুটা উদ্বেগ আলমের কণ্ঠে।
‘অনিদ্রা আর অনাহার। এমনটা কি করে হলো বলুন তো। আপনারা শিক্ষিত, কনসাস মানুষ! শরীরটা দুর্বল, কয়েকদিন রেস্টে থাকতে হবে। কালকে রিলিজ করে দেবো।’
আলম হেলেনার দিকে তাকালো। তার অফিসে প্রথম দেখা মেয়েটির সাথে কোনো মিল নেই। প্রাণবন্ত মেয়েটি এখন আরেকটি মেয়ের মা। তার সন্তানের মা। আলম নয়নার দিকে তাকালো। নরম গালটি তার গালে লাগিয়ে চোখটি বন্ধ করলো আলম। বিশ লাখ ডলারের এগ্রিমেন্টের চাইতে অনেক বেশি আনন্দ লাগছে তার।
নিজের প্রতি ঘৃণা আসতে লাগলো আলমের। হাসপাতালে পিতৃস্নেহ পরখ করার অপরাধ তাকে ধারালো বর্শার মতো বিদ্ধ করছে।
ডাক্তার চলে গেলে আলম আবার স্ত্রীর পাশে এসে বসলো। তার মাথার চুলগুলোতে আঙুলের খেলা চললো অবিরত। হেলেনার কোমর অবধি চুলগুলোকে প্রথম দেখার পরই তার কাছে মনে হয়েছে ইন্টারমিডিয়েটে পড়া ‘গিফট অব ম্যাজাই’র ডেলার কথা। হা, জিমকে ডেলা যেভাবে ভালোবেসেছে হেলেনাও তেমন করেই ভালোবেসেছে আলমকে। কিন্তু আলমের ভালোবাসায় তার ছিটে ফোঁটাটিও ছিলো না। বিয়ের পর শুধু ব্যাংকক ভ্রমণের একটি সপ্তাহের মধুর স্মৃতিই হেলেনার জীবনে দিতে পেরেছে আলম। সমুদ্রের নীল পানির ভিতর সূর্যের রক্তিম ঠোঁট ডুবিয়ে দেবার মুহূর্তটিতে আলমও ডুবে ছিলো হেলেনার ভিতর। সমুদ্রের বেলাজ বাতাস হেলেনার চুলগুলো নিয়ে খেলেছে বেলাভূমিতে। তার চুলের দু’একটি ঝাপটা আনমনা করে দিয়েছে অরোমান্টিক আলমের মনকে। বিকেলে ডলফিনের জলকেলি দেখতে দেখতে রাতের হোটেলে নেমে এসেছে ধবধবে জোসনার জোয়ার। সৈকতের হোটেলে পরিপাটি বিছানায় হেলেনা ছিলো আলমের বাহুলগ্ন। একজোড়া ডলফিনের আবেগ-প্রেম-আর উন্মত্ততা রাতের হোটেলের নিস্তব্ধতাকে ম্লান করে দিয়েছিলো। পূর্ণিমার পরকীয়া চাঁদটিই এই নবদম্পতির উষ্ণপ্রেমের তেজকটালের স্বাক্ষী হয়ে ছিলো সেদিন। হেলেনা কতোবার যে বলেছে আরেকবার যাবে পাটায়া আলমের নানা ব্যস্ততায় আর যাওয়া হলো না তার। স্মৃতিপুর থেকে ফিরে আলম চাইলো হেলেনার নিস্পাপ মুখের দিকে। ঘুমের রাজ্যে চলে গেছে সে। মেয়েটি বাবার কাঁধে মাথা রেখে ঘুমিয়ে পড়েছে এতোক্ষণে। পুরো সংসার যেন আলমের কাঁধে। মায়ের পাশে নয়নাকে শুইয়ে দিয়ে তার মাথাটি কোলে নিয়ে বসে আছে আলম। স্ত্রীর মায়াভরা মুখখানির দিকে তাকিয়ে অসমাপ্ত স্মৃতিভ্রমণে আবার ঢুকে গেলো সে।