একটা গল্প

একটা গল্প

১.
আমি একটা গল্প লিখেছি। তোমার মনে আছে, সেদিন বিকেলের কথা, যেদিন বিকেলে আমরা প্রথমবারের মত মুখোমুখি দাঁড়ায়। সেদিন আকাশে হালকা মেঘ খেলা করছিল, দুএক ফোঁটা বৃষ্টি আকাশ থেকে টুপ টুপ করে ঝরে পড়েছিল কিংবা পড়েনি; সবাই বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ছুটে চলেছিল। ঠিক তখনই আমি তোমার মুখোমুখি দাঁড়ালাম। সেই সময়ের কথাটা কি তোমার মনে আছে? তোমার মন থেকে হয়তো মুছে গেছে সে স্মৃতিগুলি; কিন্তু আমার মনে আছে। তখন আমরা দুজনেই গোলাপের কুঁড়ির মতো লজ্জায় চুপসে ছিলাম। কেউ কারো মুখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না। তুমি হয়তো এখন এসব নিয়ে ভাবতে পারো না, কিংবা একেবারে ভুলে গেছ সেদিনের স্মৃতিগুলি। সাদা কাগজে পানি পড়লে যেমন শুকানোর পরেও তার দাগ থেকে যায়, তেমনি তোমার সাথে কাটানো দিনগুলি আমার মনে দাগ কেঁটে আছে। আমি আজ এতটা বছর পরে এসেও ভুলতে পারিনি তোমার সাথে কাটানো আমার দিনগুলির কথা। তোমার চেহারা এখনো হারিয়ে যায়নি, আমার মন থেকে। তোমার চোখ, নাক, নাকের আগায় জমে থাকা কয়েক ফোঁটা ঘাম, গোলাকার মুখ, হালকা লালচে ঠোট, আলতো বাতাসে এলোমেলো হয়ে যাওয়া তোমার চুল, আমার স্পষ্ট মনে আছে এখনো।

শুধু তাই নয়। তোমার সাথে থাকা প্রত্যেকটা ক্ষণ এখনো স্পষ্ট মনে আছে আমার। একদিন বিকেলের কথা তোমার মনে আছে? সেইদিন আমি আর তুমি মুখোমুখি বসে ছিলাম। আমি তোমার চোখে এই আমার অস্তিত্ব খুঁজছিলাম আর তুমি দূরের নীল আকাশ দেখছিলে। কিছুক্ষণ পর কী মনে করে নীল আকাশ থেকে দৃষ্টি নামিয়ে সোজা আমার চোখের দিকে তাকিয়ে আমাকে বললে, আচ্ছা নিরব, তুমি কী গল্প লিখতে পারবে? আকাশ, গাছ, পাখিদের কিংবা মানুষের গল্প? আমি তোমার প্রশ্ন শুনে কিছুক্ষণ নিরব থেকে খুব জোর গলায় তোমাকে বলেছিলাম অবশ্যই পারব। পারব না কেন? তুমি আমার উত্তর শুনে মুচকি হেসে বলেছিলে, গল্প লেখা সহজ কাজ নয়। আমি বলেছিলাম, আমি পারব। অবশ্যই পারব আমি। তুমি দেখো, আমি একটা গল্প লিখব। আকাশ, গাছ, পাখিদের কিংবা মানুষের গল্প। তুমি আবারও হেসেছিলে। তোমার এই হাসিটা আজও আমার চোখের সামনে ভেসে ওঠে। সেদিনের পর থেকেই মূলত আমার গল্প লেখার চেষ্টা শুরু। সেই থেকে আমি একটা গল্প লিখব বলে উন্মাদ হয়ে পড়ি। দিন শেষে লাল সূর্য যখন রাতের অন্ধকারে নিমজ্জিত হয় তখন আমি সেদিকে অপলক তাকিয়ে বসে থাকতাম এই ভেবে যে এটাকে কেন্দ্র করে কোনো একটা গল্প লিখতে পারব। কিন্তু তা হয়ে ওঠতো না। কোনো গল্প আমার মগজে হানা দিত না। আমার চেষ্টা ব্যর্থ হতো। তবুও আমি হাল ছাড়তাম না; শিশির পড়া ভোরে আমি জেঁগে উঠতাম। হালকা কুয়াশাছন্ন শরতের আকাশের দিকে তাকিয়ে লাল সূর্য ওঠার অপেক্ষায় থাকতাম। একসময় আমার অপেক্ষার প্রহর শেষ হতো; আস্তে আস্তে সূর্য জেগে ওঠতো। সমস্ত পৃথিবী আলোয় আলোকিত হয়ে পড়ত। কিন্তু আমার মগজে কোনো আলো লাগত না। আমার গল্প লেখার ইচ্ছা আবার ব্যর্থ হতো। আমি ফিরে আসতাম।

আমার ব্যর্থতা নিয়ে আমি তোমার মুখোমুখি হতাম। তুমি একটা সুন্দর হাসি দিয়ে আমাকে অভিবাদন জানিয়ে জিজ্ঞেস করতে, কী ব্যপার! কোন গল্প লিখতে পেরেছ? আমি অপরাধীর মতো তোমার সামনে মাথা নত করে দাড়িয়ে বলতাম, না। আমি কোনো গল্প লিখতে পারিনি। তুমি আবার আগের মতো একটা হাসি দিতে, যেটা আজও আমার চোখে ভাসে। হাসি দিয়ে বলতে, গল্প লেখা সহজ কাজ নয়। তুমি এসব পাগলামো বাদ দাও। কিন্তু আমি নাছোড়বান্দা; আমি বলেছিলাম, গল্প লেখা কোনো ব্যপার নয়। শুধু একটা মনের মতো কাহিনী পেলেই গল্প লেখা যায়। যেটা আমি এখনো পায়নি, তুমি দেখো, আমি এককদিন খুব ভাল একটা গল্প লিখব; গাছ, পাখি কিংবা মানুষের গল্প। এই বলে আমি চলে যাই সেখান থেকে, তুমি আমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে একটা হাসি দিয়ে চলে গিয়েছিলে। আমি কয়েকবার চুরি করে তাকিয়ে দেখেছিলাম তোমার চলে যাওয়া।

এরপর আমি আবার গল্প খোঁজার কাজে মনোনিবেশ করি। রাস্তার ধারের ডাস্টবিনে খাবার খোঁজা মানুষের গল্প, রাস্তায় কাগজ খোটা একাদশী বালকের গল্প, কিংবা ষাটোর্ধ কোন ভিখারির গল্প লেখার চেষ্টা করি। খুব মনযোগ সহকারে দেখি তাদের চলাফেরা, জীবনধারণ। আমি বিকেলে পার্কে যাই, সেখানে গিয়ে মানুষের প্রেমের দৃশ্য দেখি, বর্ণনা করার চেষ্টা করি তা। কিন্তু হয়না কিংবা হয়, কিন্তু আমার মনের মতো হয় না। আমি পারি না। কোনোভাবেই একটা গল্প লেখা হয়ে ওঠে না।

আমি ফেসবুকে বসে থাকি, বিভিন্ন মানুষের লেখা পড়ি। তাদের লেখা থেকে নতুন গল্প বের করবার চেষ্টা করি। কিন্তু হয়ে ওঠে না। তবুও আমি হাল ছেড়ে দিই না; আমি ধরে রাখি। আমি বিশ্বাস করি আমি পারব; একটা গল্প লিখতে পারব। প্রতিদিন সূর্য ওঠে অস্ত যায়। মানুষের আয়ু কমে। পৃথিবীতে বিচরণের সময়কাল বাড়তে থাকে সবার, সবাই নতুন অভিজ্ঞতা নিতে থাকে। কিন্তু আমি সেই একটা গল্প লেখার আশায় ছুটে বেড়ায়। কখনো ফাঁকা মাঠে বসে আকাশের দিকে তাকিয়ে শঙ্খচূড়ের উড়ে যাওয়া দেখি, কখনো কচুরিপানায় ভরা বিলের ধারে বসে কানা বকের জীবনজাপন পর্যবেক্ষণ করি। রাস্তায় রাস্তায়, ঘাটেঘাটে, কখনো বা পাহাড়ের চূড়ায় আমি ঘুরে ফিরি। শুধুমাত্র একটা গল্প লেখার আশায়। এরকম চলতে চলতে একদিন হুট করে আমি একটা গল্প লিখে বসলাম। টগবগে প্রেমের গল্প। আমার দৃষ্টিতে সেটা ছিল একটা রোমান্টিক গল্প। ফেসবুকেও দিয়েছিলাম গল্পটি। অনেকে প্রশংসা করেছিল আমার। এরপর আমি প্রায় ছুটতে ছুটতে চলে গিয়েছিলাম তোমার কাছে। তুমি খুব মনযোগ সহকারে আমার লেখাটি পড়েছিলে। তারপর জোরে ছুঁড়ে ফেলে বলেছিল, কী লিখেছ এটা? আমি কিছুটা ভড়কে গিয়েও নিজেকে সামলে নিয়ে আস্তে করে বলেছিলাম গল্প। তুমি আমাকে বলেছিলে, এটাকে গল্প বলে? কেমন গল্প এটা? আমি আর কোন জবাব দিতে পারিনি, চলে এসেছিলাম সেদিন। তারপর আবার গল্প লেখার চেষ্টায় বিভোর হই। বাড়ির উঠানো দাঁড়িয়ে রাতের আকাশে তারা দেখি, চাঁদ দেখি। ছায়াপথ, নীহারিকা, উল্কা দেখি। শুকনো মাটির ঘ্রাণ নিই। দূরে শরতের কুয়াশায় ঢাকা মাঠ দেখি আর মনে মনে গল্প খুঁজি। দিনের বেলায় রোদের আলোয় সমস্ত পৃথিবীর আসল রূপ চোখে পড়ে। আমি মুগ্ধ হয় দেখি।

২.
আমি গল্প খোঁজার মাঝে খুব ব্যস্ত দিন অতিবাহিত করছিলাম। আমার খাওয়া-দাওয়া, স্নান, ঘুমানোর ঠিক ছিল না কিংবা ফুসরত ছিল না। এমন সময় তুমি তোমার আদরের ছোট ভাইকে দিয়ে আমাকে খবর পাঠালে। খুব জরুরী তলব। আমি তোমার ছোট ভাইয়ের কথা শুনে ভাবছিলাম, তোমার সাথে দেখা করব কিনা। একটা গল্প না লিখে তোমার সামনে দাঁড়াব না প্রায় এমন একটা প্রতিজ্ঞা নিয়েছিলাম। কিন্তু তোমার ডাক আমাকে আর থাকতে দেয়নি। আমি চলে এসেছিলাম তোমার কাছে। আমি সেদিন ভেবেছিলাম তোমার সামনে দাঁড়ানো মাত্রই তুমি আগের সেই হাসিটা মুখে রেখে আমার কাছে জানতে চাইবে, একটা গল্প লিখতে পেরেছ? আকাশ, গাছ, পাখি কিংবা মানুষের গল্প। আমি আবার মাথা নিচু করে জবাব দেব, না। কিছুই লিখতে পারিনি আমি। তুমি সেই হাসিটা ধরে রেখে আমাকে বলবে, নিরব, এসব পাগলামি কেন করছ? সেদিন না হয় মজা করে বলেছিলাম কথাটা। কিন্তু তুমি এসব কী শুরু করলে। বাদ দাও এসব। আমি হয়তো হ্যাঁ অথবা না বলতাম অথবা তোমার কাছে আর কিছুদিন সময় চাইতাম একটা গল্প লেখার জন্যে।

কিন্তু, তুমি সেদিন আমাকে দেখে এসব কিছুই জিজ্ঞেস করোনি। তুমি আমাকে দেখে কেঁদে জড়িয়ে ধরেছিলে আমায়। আমি তোমার চুলে বিলি কেটে তোমায় সান্ত্বনা দিয়ে জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী হয়েছে ইরা? তুমি প্রথমে আমার প্রশ্নের কোনো উত্তর না দিয়ে অবিরাম কেঁদে চলেছিলে। আমি তোমার মাথাটা আমার বুক থেকে তুলে তোমার চিবুক শক্ত করে ধরে তোমার কান্না জড়ানো চোখের দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে দ্বিতীয়বার জিজ্ঞেস করেছিলাম, কী হয়েছে ইরা? এমন কাঁদছ কেন তুমি?

তুমি তখন তোমার কান্না হালকা থামিয়ে বলেছিলে, কলেজ যাাওয়ার সময় গলির মুখে দাঁড়িয়ে কিছু ছেলে প্রতিদিন তোমার দিকে বাজে ইঙ্গিত করে। প্রথমের দিকে খুব বেশি গুরুত্ব দাওনি; কিন্তু দিন যত বাড়ছিল তাদের উৎপাত ততই প্রবল হচ্ছিল। কিন্তু সেদিন তাদের কথা সহ্য না করতে পেরে ওদের বেশ কিছু কথা বলায় ওরা তোমার গায়ে হাত দেয়; বিব্রতকর অবস্থায় ফেলে তোমায়। তখন তুমি দৌড়ে পালিয়েছিলে সেখান থেকে।

আমি সেদিন তোমার কথার খুব একটা গুরুত্ব দেয়নি। বরং সেদিন আমি তোমাকেই বকেছিলাম আরো। তোমাকে বলেছিলাম, তুমি কেন তাদের সাথে এমন করতে গেলে? তুমি তোমার মতো কলেজে যাবে। তারা তাদের মতো বলতে থাকবে। সেদিন তোমাকে শেখ সাদির একটা বিখ্যাত কবিতার দুটো লাইন–

“কুকুরের কাজ কুকুরে করেছে কামড় দিয়েছে পায়,

তাই বলে কি কুকুরেরে কামড়ানো মানুষের শোভা পায়?”

শুনিয়ে বলেছিলাম, রাস্তার পাশের কিংবা তোমার চলার পথে কুকুরেরা তাদের কার্য সম্পাদন করবেই। সেজন্যে কি তুমিও তাদের সাথে সেরকমটা করতে যাবে। আমার একথা শুনে সেদিন তোমার কান্না হয়তো থেমেছিল, কিন্তু আমার সম্পর্কে একটা খারাপ ধারণা নিয়ে তুমি মলিন মুখে সেখান থেকে চলে গেছিলে। তোমার চলে যাবার পরেও আমি অনেক সময় দাঁড়িয়ে তোমার চলে যাওয়া দেখছিলাম। অনেক সময় সেখানে দাঁড়িয়ে থেকে আমিও ফিরে এসেছিলাম।

তারপর আমি ফিরে এসে আবার গল্প খোঁজায় মন দেই। কখনো শরতের মিষ্টি সকালের রোদে কিংবা দুপুরের রোদেলা আকাশ থেকে হঠাৎ ঝরে পড়া বৃষ্টির মাঝে দাঁড়িয়ে কিংবা সন্ধ্যার আকাশের লালিমার দিকে তাকিয়ে আমি গল্প খুঁজি। গল্প লেখার চেষ্টা করি। আকাশ, গাছ, পাখি কিংবা মানুষের গল্প। এমনই ব্যস্ততার মাঝে আমি ব্যস্ত দিন অতিবাহিত করছিলাম। এর মাঝে তোমার আর কোনো খোঁজ নেওয়া হয় উঠছিল না। সেদিন সকালে শরতের শিশির ভেজা মাঠে দূর্বা ঘাষের ওপর শুয়ে আমি আকাশ দেখছিলাম। এমন সময় তোমার আদরের ছোট ভাইটি এসে আমাকে জানাল, গতকাল বিকেল থেকে আপাকে পাওয়া যাচ্ছে না। তার কথা শুনে রীতিমতো থমকে দাঁড়িয়েছিল আমার পৃথিবী। আমার সমস্ত শরীর অসাড় হয়ে আসে। আমি নির্বাক হয়ে পড়ি। অনেক্ষণ পর নিজেকে সামলিয়ে তোমার আদরের ছোট ভায়ের সাথে তোমার বাড়িতে আসি। সেখান থেকে জানতে পারি, গলি পেরিয়ে ডানদিকে যে বড় রাস্তাটি সাপের মতো এঁকেবেঁকে চলে গেছে সেটার পাশে একটা ঝোপের আড়ালে পাওয়া গেছে তোমার লাশ। কথাটা শোনার পরে, আমি একেবারে স্তব্ধ হয়ে গিয়েছিলাম; আমার সমস্ত বোধশক্তি, মুখের সমস্ত ভাষা হারিয়ে গেছিল। কী করব? কী বলব? কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। কোনো কিছু চিন্তা করতে পারছিলাম না। আমার সমস্ত শক্তি হারিয়ে গেছিল।

পুলিশি তদন্ত শেষে জানতে পেরেছিলাম, সেদিন বিকেলে কলেজ থেকে ফেরার পথে গলির মুখ থেকে অপহরণ করেছিল লোভী হায়েনারা। সারারাত খাবলে খুবলে খেয়েছিল তোমায়; আর রাতের শেষে দম বন্ধ করে হত্যা করেছিল। সেদিন তোমার মৃতদেহ দেখার সাহস আমার হয়নি। সেদিন তোমার মুখের দিকে তাকতে পারতাম না বলে, কিংবা, নিজের অপরাধবোধের কারণে তোমার মৃতদেহ দেখার ইচ্ছা আমার হয়নি। অথবা আমার মনে হয়েছিলো সেদিন তোমার মৃতদেহের সামনে দাড়ানো মাত্রই তোমার মৃতদেহ আমার দিকে আঙুল ইশারা করে বলে উঠবে, এই, এই লোকটা আমার মৃত্যুর জন্য দায়ী। এই লোকটার জন্যেই আমার আজ এই অবস্থা।

আজ অনেকটা বছর পরে আমার মনে হয়, তোমার মৃত্যুর জন্যে আমিই দায়ী। আজ আমার খুব অনুশোচনা হয়। সেদিন যদি তোমার কথা শুনে বিষয়টা দেখতাম, তাহলে হয়তো তোমাকে হারাতে হতো না। আজ আমার পাশে তুমি থাকতে।

৩.
ইরা, আজ এতোবছর পরে সেদিন আমার মাথায় না একটা গল্প এসেছে। একটা ব্যর্থ কিংবা অসমাপ্ত প্রেমের গল্প। তুমি আর আমি সে গল্পের মূল দুটি চরিত্র। আমি গল্পটি লিখেছি। তুমি যদি কখনো কোনোদিন ছুটি পাও কিংবা আমি যদি তোমার কাছে কোনোদিন যেতে পারি তাহলে গল্পটা আমি তোমাকে দিয়ে পড়াব। তুমি গল্পটা পড়ে সেই আগের মতো একটা হাসি দিয়ে গল্পটা কেমন লেগেছে সেটা জানিও।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত