সেকেণ্ড শো সিনেমা দেখে বাড়ি ফিরেছে স্বাধীনা। সাথে স্বামি ওয়ারেস মিঞা। নায়িকাকে দেখে স্বাধীনার চোখের পলক পড়ে না। কি সুন্দর, কি সুন্দর। সারাক্ষণ তার চোখে লেগে থাকে নায়িকা মৌসুমি।
ছবির নাম ও কি অদ্ভুত । কেয়ামত থেকে কেয়ামত। আহা এই মেয়ে কি তাদের মতো ভাত খায়! আকাশের মেঘ দেখলে লম্বা চুল ছেড়ে দিয়ে বৃষ্টির অপেক্ষা করে! এই মেয়েতো রানতে জানেনা, আহা বাপ মায়ের মনে হয় খুব আহ্লাদী মেয়ে। মাঝরাতে ওয়ারেস মিঞার সাথে স্বপ্নবোনা শেষে, সে আজকাল একা স্বপ্ন দেখে। তার একটা মেয়ে হয় না! নাম রাখবে মৌসুমি। সেদিনই কি তারা স্বপ্নের সেই বিজ বুনেছিল ! স্বাধীনা জানে না। নয়মাস পরেই তার ঘরে কোল আলো করে আসে একটা মেয়ে। ওয়ারেস মিঞা কিছু বলেনি। তবে স্বাধীনা স্বপ্নের মাঝেও মেয়ে চেয়েছে জানলে শ্বাশুড়ি তার খবর করে দিতো।
– বেআক্কইলা বৌ, আল্লার কাছে পোলা না চাইয়া মাইয়া চায়।
মেয়ে তার হাঁটে। পায়ে রুপার নুপুর। মেয়ে কোলে করে স্বাধীনা আর একটা ছবি দেখে, নাম ” দেন মোহর। ” আহা মৌসুমির কি কষ্ট। খবিশ শ্বশুর এমন হইলে, আমার মাইয়া পাইবা না। মনে মনে ভেবে নেয় স্বাধীনা। পাঁচ বছর কেটে গেছে, মৌসুমি আজকাল স্কুলে যায়। তার আরো দুটি ভাই হয়েছে। ছেলে ফেলেও স্বাধীনা মেয়ের যত্ন করে। এ যে তার স্বপ্নে পাওয়া ধন ” মৌসুমি। ”
স্বাধীনা যত্ন করে মেয়ের চুল আঁচড়ায়। লাল নীল ক্লিপ কিনে দেয়। আইসক্রিম খেতে পয়সা দেয় সবাইকে লুকিয়ে। মেয়েও তার চ্যাপ্টা ঠোঁট নিয়ে আধো আধো করে কথা বলে। ছেলে কোলে মুগ্ধ হয়ে শোনে স্বাধীনা। এখন মেয়ে তার ক্লাস নাইনে পড়ে স্বাধীনা স্বপ্ন দেখে মেয়ে বড় হয়ে বড় চাকরি করবে। না হয় সিনেমার নায়িকা হবে। মেয়ে তার দেখতে সত্যিই সুন্দরী। কাঁচা হলুদে বেসন মাখিয়ে সে মেয়েকে গায়ে মাখায়। যত্ন করে জামা বানায় দর্জি দিয়ে। মেয়ে আজকাল ওড়না ধরেছে। চিবুকের কাছে একমুঠো লজ্জা এসেছে চেহারায়।
ওয়ারেস মিঞা ঢাকায় চাকরি করে জুতার দোকানে। বড় দোকান। মাসে যা আয় হয় খেয়ে পরে বাঁচে। জমা নেই। একদিন পুরো মার্কেটে আগুন, সব পুড়ছে। ওয়ারেস মিঞা নিজের জান কবুল করে সবাইকে আগুন নেভানোর যন্ত্রের মই সিঁড়িতে পৌঁছে দেয়। এবার ওর পালা। সিঁড়ি ভাজ হচ্ছে ওয়ারেস মিঞা দেখে। চিৎকার দেয়। কিন্তু সিঁড়ি লাগাতে হবে পাশের বিল্ডিং এ। সেখানেও আগুন। ওয়ারেস মিঞা লাফিয়ে নিচে পরে। ধর ধর করে একটা চিৎকার আসে। দুইমাস পরে বাড়ি ফিরেছে ওয়ারেস মিঞা। পঙ্গু, অসহায়। দুই মাস স্বাধীনা যেন তেন করে সংসার চালিয়েছে। ছেলেমেয়ের দুধ বন্ধ। টিফিন বন্ধ। ভাত আর ডাল, ডাল আর ভাত। দুইমাসের অপেক্ষা শেষে বাম হাতে একটা সার্টিফিকেট নিয়ে ওয়ারেস মিঞা ফিরেছে। বাম হাতে সার্টিফিকেট নিতে তার একটু লজ্জা লাগলেও সবার হাততালি আর অভিনন্দন শেষে, ফাইভ পাশ ওয়ারেস মিঞা জানলো, তাতে লেখা আছে।
” নিজের জীবন বাজি রেখে, জনগণকে বাঁচাতে সরকার কে সাহায্য করায় বর্তমান সরকার তাকে ” অগ্নিপুরুষ ” উপাধি দিয়েছে। সাথে দশ হাজার টাকা সাহসিকতার পুরস্কার। তার ডান হাত আর বাম পায়ের ব্যাপারে কিছু লেখা নেই। অকেজো, ভাঙ্গা জিনিস নিয়ে হয়তো সরকারের উৎসাহ নেই। সাতপাঁচ ভেবে বাড়ির পথ ধরেছে সে। দশ হাজার টাকা তার ওষুধের দাম বাবদ দিয়ে দিতে হয়েছে। কোন সাংবাদিক তখন ” টাকা পেয়েও না পাওয়া, শুধু ছুঁয়ে দেখা । ” এই বিষয়ে কোন প্রশ্ন তোলেনি। বাপের এই অবস্থা দেখে দুই ভাই মাকে বলে ” আম্মা, আমরা চায়ের দোকানে কাজ নেই। আপা ইস্কুলে পড়বে, আপনি আব্বাকে দেখবেন। ” স্বাধীনার দুই ছেলে, একজন ক্লাস এইট আরেকজন ক্লাস সিক্স। স্বাধীনার বুক কাঁপে। কষ্টে, লজ্জায়। মৌসুমির সামনে এসএসসি পরীক্ষা। সবাই বলে ” মৌসুমি ” গার্মেন্টসে যাক। রক্ত চোখে স্বাধীনা বলে ” না। ”
সে চাকরি নেয় পার্লারে। যত্ন করে মেয়েদের হাত ধোয়ায়, পায়ের নখ কাটে, চুলে মেহদী লাগায়। রাতে বাসায় ফিরে “উপটান” বানায়। প্যাকেট করে। পার্লারে এসবের খুব চাহিদা। যন্ত্রের মতো খাটে। মৌসুমি মায়ের কাজে হাত লাগায়। ওয়ারেস মিঞাও বসে থাকে না। পলিথিনের প্যাকেটে কম্পানির নাম ঢোকায়। ওজন করে উপটান, চুলের প্যাক ঢালে। প্যাকেট আগুনে পোড়ায়। সাদা পলিথিন কুঁকড়ে এলে হাত দেয়ে চেপে সমান করে। শুধু তার জীবনটাই ভাঙা যন্ত্রের মতো অসমান থেকে যায়। মাস শেষে হিসাবে বসে স্বাধীনা। পার্লারের বেতন চার হাজার। উপটান প্যাকেট করে আসে পনেরো ‘শ। মোটে সারে পাঁচ হাজার টাকা ! পাঁচজন মানুষের এই টাকায় কি করে চলবে? প্রথমে নিজের সব যায়। দুল, চুড়ি । তারপর একদিন মেয়ের গলার চেন বেঁচে দিয়ে আসে স্বাধীনা। মেয়ে কাঁদে না। চুপচাপ দেখে। একদিন মা ফিরলে বলে আম্মা
পাশের বাসার চাচির বড় বোন এসেছে। তার ছেলে মেয়ে নেই। আমায় ঢাকায় নিতে চায়। আম্মা তুমি রাজি হও। পরীক্ষার একমাস বাকি। ঢাকায় নিয়ে অবশ্যই ভর্তি করে দেবে । এই শর্তে মেয়ে ছাড়ে স্বাধীনা। তার সাধের মৌসুমি। মেয়ে স্বান্তনা দেয়, ” মা আমি পাশ করেই চাকরি নিবো। টাকা পাঠাবো। আব্বাকে দেখে রাইখো। ভাইয়েরা পড়ুক ওরা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার হবে। ”
বিশাল বাড়ি। দুটি কাজের লোক। একজন কাপড় ধুয়ে, ঘর মুছে চলে যায়। আরেকজন মশলা বাটে, বাসন ধোয়। মাছ, মুরগি কাটে। মৌসুমি সারাদিন, ফার্নিচার মোছে, বিছানা ঝাঁড়ে কাপড় ভাজ করে। তিনটি শোওয়ার ঘর। দুটি কুকুর, একটা ময়না। ময়না কথা জানে। খানিকটা বলে, মৌসুমি খানিক ভেবে নেয়। রাতে চাচা চাচির মশারি টানিয়ে। দরজা ভেজিয়ে মাঝের রুমে মেঝেতে শোয় মৌসুমি। একটা মাদুর আর পুরাতন চাদর তার শোবার সরঞ্জাম। ময়না বলে ” কি মৌসুমি ঘুম আসে না? লজ্জা লাগে?
– নাহ লজ্জা লাগবে ক্যান, চাচা চাচি আমার বাপ মায়ের মতোন।
– এর আগে মেঝেত শুইছো?
– না খলখল করে হাসে ময়না।
– বাপ মায়ের মতোন? তারা ডাইনিং টেবিলে খায় তুমি রান্নাঘরে পিঁড়িতে ক্যান?
চোখ দিয়ে জল আসে মৌসুমির। সে স্বপ্ন দেখে ভাইয়েরা বড় চাকরি পেয়েছে। মৌসুমিকে এই বাড়ি থেকে নিয়ে গেছে। আব্বার পরনে নতুন শার্ট। ঢাকা থেকে মৌসুমির জন্য নতুন চুলের ব্যান্ড আর মেহেদি নিয়ে তাকে নিতে এসেছে। একমাস শেষে মৌসুমি ভয়ে ভয়ে চাচিকে বলে চাচি, কাপড় ধুয়ে ঘর মুছে বুয়া কত নেয়?
– পনের’শ। “ওকে ছাড়িয়ে দাও চাচি আমি ঘর মুছবো। কাপড় ও ধুবো। ” মুচকি হাসেন চাচি।
মাস শেষে বাড়িতে পনেরশ টাকা পাঠায়। পাশের বাড়ির চাচির মোবাইলে মাকে বলে। ” আম্মা সারাদিন বসে থেকে কি করি? তাই টিউশনি নিয়েছি। ভাইদের দুধ কিনে খাইয়ো। আব্বাকে কিছু ফল। স্বাধীনার চোখে জল আসে। এই না হলে ” মৌসুমি! ” পরের মাসে – চাচি বুয়া, মশলা বেটে, বাসন ধুয়ে কতো নেয়? এবার চাচি সাবধান। দুই বলতে গিয়েও বলে পনেরো’শ। মাস শেষে মৌসুমি পায় তিন হাজার।
– আম্মা আব্বাকে একটা নতুন শার্ট কিনে দিও। আর একটা টিউশনি পেয়েছি।
– এই তো ” মৌসুমির মতো কথা। ”
রাতে ময়না বলে। কি লো সই? দুয়োরাণী হয়ে ঢুকে এখন ঘুটে কুড়ানি? রাগে ময়নার গলা টিপতে সাধ হয়। মর হারামজাদী । একবছর কেটেছে। ফোন এসেছে। বাপের শরীর খারাপ। চাচি ঠোঁট উল্টে বলেন – ওসব ছুঁতো। ফিরলে পাঁচশ বাড়বে। যাকাতের টাকাও কিছু পাবি। চারটে পুরাতন শাড়ি আর দুটো পুরাতন শার্ট নিয়ে, ফিরতে মন চায়না । বাপের জন্য একটা নতুন পাঞ্জাবী কেনে। কিছু ফল হাতে বাড়ির কাছাকাছি আসে। মৌসুমিদের বাড়ির সামনে আজ অনেক পাঞ্জাবী পরা লোক। মাঝরাতে আবার চাচির বাড়ির মেঝে – ময়না – ” ফিরলি সই ? কাঁদছিস কেনো ?
– বাপ মরেছে। আমায় খুব দেখতে চেয়েছিল।
– ইশ, যেন সিনেমা! ভাইয়েরা ভবিষ্যতে ভাত কাপড় দেবে, তাই বুঝি তোর মা, তোর বাবাকে দুধ ডিম না দিয়ে ওদের দিতো? আগুনের তাপে যে মরে না। সামান্য জ্বর তাপে মরে কি করে?
– ধুর হারামি। বলে ময়নাকে থাপড়ায় মৌসুমি।
আকাশ আজকাল ঘেরাটোপে বাঁধা নয়। নীল জমিনে সাদা ফুলের শাড়ি। শাড়ির পাড় ঘেঁসে গাছগাছালি। দূরে নদীতে রোদ মাখতে মাখতে প্রজাপতির মতো ছুটে চলে কচুরিপানা। বেল বাজছে। দৌড়ে দরজা খোলে মৌসুমি। ওমর এসেছে। ওমর চাচার অফিসের পিওন। লম্বা চুল ফ্যাসান করে আঁচড়ায়। নীল শার্ট গায়ে এমন করে দাঁড়ায়। যেন মস্ত অফিসার। বাজার করা আর লন্ড্রির কাপড় আনে সে। মা ফোন করেছিল। ভাই এসএসসি দিচ্ছে, ফর্ম ফিলআপের জন্য টাকা লাগবে। খাটনি বেড়েছে।
– চাচি, আমি বাসায় ইস্ত্রি করবো। তুমি না হয় গুনে টাকা দিও। বেশি চাই না।
– শার্ট, দামি শাড়ি বাসায় হয় না। পর্দা, চাদর হয়। পয়সা গোনাও শিখেছো আজকাল?
– না, বাড়িতে দরকার।
– ওসব হবে না। ইস্ত্রি তোমার দায়িত্ব। পাঁচশ বাড়াচ্ছি। রাতে চাচা চাচি ফিসফাস করে। রাতে ময়না হাসে – কইলে মারবা। কমুনা, কমুনা। চাচি বলেন – আগামী দুই’বছর বাড়িতে যাইতে পারবে না। আমার সব কাজের লোক ছাড়িয়েছো।
-” আম্মা, আরো টিউশনি পাইছি। ছাত্র ছাত্রীর আব্বা আম্মা ছাড়তে চায় না।
– আচ্ছা ভালা থাইকো। শরীরের যত্ন নিও।” এটুকু বলতে গলা ধরে আসে স্বাধীনার।
“গার্মেন্টসে হয় মাইয়া পাপি তাপী ,বুয়া হইলে হয় চোর। মাষ্টারি কইরা খায় মাইয়া বহুত পূণ্যের জোর। ” ওমর জানালায় দাঁড়ায়, ” মৌসুমি কারে ভাল বাসো তুমি? মৌসুমি কারে কাছে ডাকো তুমি! ” একদিন ঝুম দুপুরে, ” বাজার এনেছি। ” মিথ্যা বলে দরজা খোলায় । ওমর কথা দেয় সেইই আসলে ওমর সানি। সালমান বৌয়ের জ্বালায় ফাঁস নিয়েছে। মৌসুমি ওমর সানির সুখের ঘর। তোমার আমার কিসের ডর?
ওড়নায় টান পরে । ময়না হাসে খলখল করে। ওড়নায় ওর খাঁচা ঢাকা পরে। কুকুরদুটো চুপচাপ ওরা “প্রেমের সমাধি”র নায়ক কে চেনে। ” আপনি এখুনি বাইরে যান, নইলে চাচিকে ডাকবো।” দুই হাতে ওকে ধাক্কা দিয়ে দৌড়ে পালায় মৌসুমি। পেছনে নায়ক ওমরসানি বলছে ” তুই মানুষ না, আস্ত একটা যন্ত্র।” চাচির একদিন কানের দুল ছিঁটকে মেঝেতে পরে। আলমারির নিচে নিজে ঝাড়ু দেন। একটা সিগারেটের মাথা। রাতে আবার ফিসফাস। সেদিন বাড়িতে ব্লেন্ডার আসে। কাপড় ধোয়া মেশিন। মৌসুমি চুপচাপ দেখে। চাচি বলে – মানুষ বেইমান। যন্ত্র বেইমান না। ময়না হাসে খলখল। ” কইয়া দিলে মায়ে পিডানি খায় না কইলে বাপে ব্যাঙ ভাজা খায়।” আদা, রসুন, পেয়াজ ব্লেন্ডারে। নিমিষেই মুখে মাখা স্নো এর মতো। চাচি, চাল, ডাল ব্লেণ্ড করে। কুমড়ো ফুলে মেখে চাচার পাতে দেয়। চাচা বলে।
– বাহ।
নিঝুম দুপুর। চাচি ব্লেণ্ডার ধুয়ে ডাইনিং টেবিলে রেখেছেন। কি আছে এতে। মৌসুমি সুইচ টেপে, ঘোরে না ভেতরে। হাত দিয়ে পরখ করে দেখে, না কই? সামনের সুইচটা চেপে ধরে। পুরো টেবিল রক্তে মাখামাখি। যন্ত্র মাটিতে। সাথে তিনটা কাটা আঙ্গুলের মাথা। মৌসুমি বাড়ি এসেছে। হাতে ব্যান্ডেজ। ভাইয়েরা কেউ পড়ছে না। স্বাধীনা আমতা আমতা করে বলে তোর টিউশনির টাকায় কি হয়? ওরা বড় হয়েছে। একজন দোকানে বসে। আরেকজন মোবাইল সারা শিখছে। কিছু একটা করবে। সন্ধ্যায় ছোট ভাই ফেরে। – আম্মা তোমারে না কইছি দুইশ টাকা রেডি রাখবা! টাকা কই?
মৌসুমির ঠোঁটের কোণায় সন্ধা নামে। আম্মা তোমার নাম না স্বাধীনা! এই তুমি স্বাধীন? এমনি কইরা তোমার রক্ত ক্ষয়ের পয়সা ধুয়ায় ওড়ে? সারারাত মা মেয়ের ঘুম আসে না। বহুদিন পরে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে স্বাধীনা ভাবে একদিন এই মেয়েকে নিয়ে তার অনেক স্বপ্ন ছিল। যন্ত্রের কাছে যে স্বপ্ন আজ বাঁধা পরে গেছে। পরদিন মা মেয়ে গার্মেন্টস এর উদ্দেশ্যে বাসে চড়ে। মৌসুমি শুধু বলে – আম্মাগো, মৌসুমি কি কোন সিনেমায় গার্মেন্টস কর্মী ছিলো?