ছিঃ ছিঃ এতো দিন কার সাথে সংসার করে আসছে নীলয়!একজন পতিতার সাথে!যে কি’না টাকার জন্য নিজের দেহকে বিক্রি করতো!এতোকাল ধরে রুবি তার কাছ থেকে এই সত্যি কথাটা আড়াল করে গেলো!আজ এখানে না আসলে এই চরম সত্যি কথা টা জানতে পারতো না!হয়তো চিরকাল আড়াল হয়ে থাকতো এই সত্যি কথাটা!অথচ বাসায় সব সময় সতি সাধ্যি স্ত্রী!
ঘেন্নায় কোনো ফোন রিসিভ করছে না!ও পাশ থেকে রুবি অনেক গুলো কল দিলো! নীলয় করপোরেট অফিসে চাকরি করে!অনেক বড় অফিসার!নীলয় রুবিকে ভালবাসে বিয়ে করছে!তাদের ঘরে আলোকিত করে দুইজন সন্তান আসলো!খুব সুখের সংসার!এক কফি শপে তাদের পরিচয়!সেখান থেকে ভালবাসা তারপর বিয়ে!অর্নাস শেষ করা রুবির কেউ নেই!এক মা ছিলো!কিছুদিন পর মারা যায়!টিউশনি করে নিজের পড়াশুনা চালিয়েছে!নীলয় পড়াশুনা শেষ করে কর্রপোরেট অফিসে চাকরি পেয়েছে!এক বন্ধুর মাধ্যমে প্রথম পতিতালয়ে যায়!অবশ্য বিয়ের আগে কয়েক বার গিয়েছিল!
বিয়ের পর আর কখনো যায়নি!রুবিকে ঠকাতে চাইনি!এক বন্ধুর জন্মদিনের পার্টি ছিল আজ!সেই বন্ধু অনেকটা জোর করেই তাকে নিয়ে এসেছে!চার তলার ফ্ল্যাট!সেখানেই এই কাজকর্ম চলে!স্হানীয় প্রভাশালী ব্যাক্তিরা থাকায় কেউ কিছু বলতে পারে না!নীলয় তার বন্ধু একটা রুমে প্রবেশ করে!সেখানে একজন মধ্যবয়স্ক মহিলা সেজে বসে আছে!দেখতে বিশ্রী হলেও যত সম্ভব নিজেকে সুন্দর করতে চেষ্টা করেছে!ওনি সর্দার এখানের পতিতালয়ের!নিলয়কে কয়েকটা ছবি দেয় মেয়ে পছন্দ করার জন্য!অবশ্য নীলয়ের বন্ধু প্রায়ই এখানে আসে!তাই কোনো পছন্দ করতে হয় না!সব রকম পছন্দ যেনো জানা শোনা!নীলয় একা চুপচাপ বসে ছবি দেখে মেয়ে পছন্দ করছে!পরিচয় করিয়ে দিয়েই নীলয়ের বন্ধু কোন রুমে যেনো চলে গেলো খোঁজে পেলো না!
একটি একটি মেয়ের ছবি দেখে হঠাৎ রুবির ছবি দেখে চমকে ওঠে!রুবির ছবি এখানে কি করে এলো?মাথাটা চক্কর দিয়ে ওঠলো!কাঁপা কাঁপা হাতে জানতে চাইলো এই মেয়েটি???? সরি”এই মেয়ে এখন এখানে কাজ করে না!অনেক বছর পূর্বে চলে গিয়েছে!এখানে আর পাবেন নাহ!আপনি অন্য কোনো মেয়ে দেখেন!নীলয় কে বললো! নীলয় কিছুক্ষণ চুপ করে বললো!”এই মেয়েটির সম্পর্কে কি কিছু জানা যাবে?””দেখেন মেয়েটি এখানে আর কাজ করে না”তাই আমি আপনাকে কিছু বলতে পারবো না!”-মধ্যবয়স্ক মহিলাটি বলল”!নীলয় কিছুক্ষন চুপ করে থেকে বের হয়ে আসলো রুম থেকে,!বন্ধুর জন্য অপেক্ষা করলো নাহ!সময় দেখার জন্য ঘড়ির দিকে তাকালো!রাত ন’টা বেজে চললো!আজ যেনো সমস্ত কিছু এলোমেলো হয়ে গেলো!যাকে নিয়ে এই পৃথিবীতে সব সুখ,সব স্বপ্ন আর সেই কি…??আনমনে হাটঁতে থাকে নীলয়!
হঠাৎ কি মনে করে যেনো মোবাইল হাতে নেয় নীলয়!রুবি নীলয়কে সাতাশটা কল দিলো!আরো অনেক গুলো মেসেজ!নীলয়ের আজ সন্ধ্যায় বাড়িতে ফিরবে বলে কথা দিয়েছিল!রুবি আর সন্তানদের নিয়ে বাহিরে খাবার খাবে,ঘুরতে যাবে!অনেক দিন সময় হয়ে ওঠে না!নীলয়ের জন্য রুবি দুঃচিন্তা করে যাচ্ছে!ফোনের সুইচ অফ করে দেয়!সারারাত বাহিরে কাটিয়ে দেয়!কিভাবে রাতটুকু কাটালো তা শুধু নীলয় বুঝতে পারলো!সমস্ত পৃথিবী যেনো আজ একদিকে হয়ে গেলো!আসার সময় রুবির ছবি নিয়ে আসলো!অবশ্য কিছু টাকা দিতে হয়েছে,রুবির ছবির দিকে আজ অনেক দিন পর তাকিয়ে রইলো!যেনো রুবি তার চোখের সামনে বসে আছে!সেই মায়াবী চোখ,যার প্রেমে পড়েছিল নীলয়!আর সেই রুবি কে এত বড় প্রতরণা করলো!একজন পতিতা!ভোর বেলায় নীলয় বাসায় ফিরলো!অনেকক্ষন কলিং বেল বাজানোর পর রুবি দরজা খুলে দিলো!রুবি নীলয়ের দিকে তাকিয়ে দেখলো আজ যেনো অন্যরকম নীলয়কে দেখছে “কোথায় ছিলে সারারাত?তোমার ফোন বন্ধ কেনো?”— রুবি জানতে চাইলো!
“সরে দাড়া!তুই আমার শরীরে হাত দিবি না!তোর মতো একজন পতিতার সাথে এতোদিন ধরে সংসার করে যাচ্ছি!আমার সাথে তুই এতো বড় প্রতরণা করলি!বের হয়ে যা আমার বাড়ি থেকে”! নীলয় –আরো অনেক কথা বলে ড্রয়িং রুমে প্রবেশ করলো! নীলয়ের কথা শুনে হতবাক হয়ে যায়!আজ এতো দিন পর এই কথা কেনো বলছে নীলয়!যেনো নীলয় এক মূহুর্ত কথা ছাড়া থাকতে পারে না আর আজ সে কি-না তুই করে বলছে!বাসা থেকে বের হয়ে যাবার জন্য বললো!নিজেকে সাত্বনা করে দরজা দিয়ে রুমে আসে!নীলয়ের পাশে এসে দাঁড়ায়! ” কি হয়েছে খুলে বলবা?”–প্লিজ রুবি বললো! “কি হয়েছে তুই জানিস না!তুই টাকার জন্য নিজের দেহ বিক্রি করতি!দেহব্যবসা করতি!আর আমার কাছে একজন সত্বি সাধ্যি স্ত্রী হয়ে আছিস?
তোর লজ্জা করলো না!তুই এখনি আমার বাড়ি থেকে বের হয়ে যা!কোন মুখ নিয়ে আমার সামনে এসে দাড়ালি?কোন মুখ নিয়ে কথা বলছিস আমার সাথে?বের হয়ে যা চোখের সামনে থেকে!আরো অকথ্য ভাষায় কথা বললো রুবি কে নীলয়! ” রুবি এইদিনটির জন্য অপেক্ষা করছিল!এতো তাড়াতাড়ি এই দিনটি চলে আসবে তা ভাবতে পারেনি!নিজেকে এই দিনটির সম্মখীন হবার জন্য অপেক্ষায় রেখেছিল! অনেকক্ষণ চুপ করে থেকে রুবি স্বাভাবিক ভাবে বলতে শুরু করলো!যেনো কিছুই হয়নি…. “নীলয় আমি চলে যাবো!অনেক দূর চলে যাবো!যেখানে চলে গেলে আমার ছায়া তোমাকে স্পর্শ করবে না!আমার কোনো পাপ কাজ আমার কোনো অতীত তোমাকে স্পর্শ করবে না!তবে যাওয়ার আগে তোমাকে কিছু কথা বলে যায়! “কি বলবি বল!বলে বের হয়ে যা আমার বাসা থেকে!”— নীলয় বললো,, রুবি নিজেকে সাত্বনা করে বললো”..নীলয় মনে আছে তোমার সাথে দেখা হবার পর প্রায়ই তোমাকে আমার কিছু অতীত বলতে চেয়েছিলাম!তুমি কি বলেছিলে,আমার অতীত কেমন ছিলো তা তোমার দেখার দরকার নেই!
তুমি আমার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে থাকবে!কখনো অতীত যদি ফেরে আসে তাহলে দূরে ছুড়ে ফেলে দিবে!বর্তমান টুক নিয়ে থাকবে!তোমাকে অনেক বার আমার কালো অন্ধকার জগত সম্পর্কে বলতে চেয়েছি!পারেনি,তুমি বলতে দাওনি,তুমি কখনো আমার অন্ধকার জগত শুনতে চাইতে না!ধন্য হয়েছিলাম,তোমার মতো স্বামী পেয়ে!নিজেকে শুধরে নিয়েছি!আর দশটা সমাজের স্ত্রীর মতো নিজেকে তৈরি করতে চেয়েছি!কখনো কি জানতে চেয়েছিলে কেনো আমি অন্ধকার জগতে গিয়েছিলাম!এই সমাজের জন্য,এই সমাজের মানুষের জন্য!এই সমাজের মানুষ আমাকে বাধ্য করেছে!যখন আমার আম্মুর চিকিৎসার জন্য সবার কাছে সাহায্য চাইলাম,কেউ সাহায্য করেনি!সবাই আমার দেহের প্রতি লোভ দিয়েছিল!টিউশনি করে নিজেকে রক্ষা করতে চেয়েছি!পারেনি,শেষ পর্যন্ত নিজেকে বিলিয়ে দিতে হলো!
ওই সমাজের কাছে,যেখানে বেশ্যা বলা হয় মেয়েদেরকে!আর সেই বেশ্যা বা পতিতালয় কেনো জানো হয়েছে তোমাদের মতো পুরুষদের জন্য!নিজেরদের লালশা মেটানোর জন্য আমার মতো মেয়েদের কে তোমার ব্যবহার করো!রাতের আঁধারে পতিতালয়ের মেয়েদের ঘরে যাও আর সকাল বেলা একদম বাবু হয়ে থাকো!যেনো কত মহান পুরুষ!নীলয় তোমার মনে আছে,”তোমার বন্ধু রাজিবকে কেনো গালে চড় দিয়ে রুম থেকে বের করে দিয়েছিলাম?তুমি জানো না”,জানতে চেয়েছিলে?তবে আমি সেদিন বলতে পারেনি!তোমাদের বন্ধুত্বের জন্য!তোমার সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম নাহ!তোমার বন্ধু রাজিব তোমার সম্পর্কে সব বলেছে!বিয়ের আগে তুমি পতিতালয়ে যাও!তোমাকে খুব সাধু মনে করি,এটাও বলেছিল তুমি বিয়ের আগে ও পরেও গিয়েছো!সেই বেশ্যাদের কাছে!যাদের দিনের বেলায় বড্ড বেশি ঘৃনা করো!রাতের আঁধারে বুকে জড়িয়ে নাও!তোমার বন্ধু আমাকে তার সয্যসঙ্গী করতে চেয়েছিল!
আমাকে ব্যাবহার করতে চেয়েছিল!তোমার নামে অসংখ্য কথা বলেছে! তোমার বন্ধু যখন আমাকে ব্যবহার করতে চাই তখন আমি তোমার স্ত্রী!কি করে তোমার স্ত্রী হয়ে নিজের দেহকে তুলে দেয় অন্য জনের হাতে!তাই সেদিন বাসা থেকে বের করে দেই তোমার বন্ধুকে!আসতে নিষেধ করি!আর সেই বন্ধু তোমাকে নিয়ে প্রায়ই পতিতালয়ে যেতো!যা আমাকে অনেক বার বলেছে! যেনো আমি তার খাবার হতে পারি তোমার ভালবাসায় আমার অতীত টুকু ছুঁড়ে ফেলতে পেরেছি! তোমার ভালবাসায় নিজেকে শুধরে নিয়েছে ধীরে ধীরে হুম আমি একসময় পতিতা ছিলাম!টাকার জন্য দেহকে ব্রিকি করেছি আর এখন তো আমি তোমার স্ত্রী!সেদিন অনেক কান্না করেছি!তোমাকে কিছু বলতে গিয়েও কিছু বলতে পারেনি!আমাকে ব্ল্যাক মেইল করতে চেয়েছিল!
যা কখনো তোমার কাছে জানতে চাইনি!নিজেকে খুব সাধু মনে করো তাই নাহ!যদিও তুমি সাধু নও তবু তোমাকে স্বামী হিসেবে মেনে নিয়েছি!আমি তো অন্ধকার জগতে গিয়েছি আমার মায়ের চিকিৎসার জন্য!দুবেলা খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য আমার এই দেহ টুকু ব্রিকি করতে বাধ্য হয়েছি!অনিচ্ছা সত্বেও পুরুষের কাছে নিজের দেহকে সপে দিয়েছি!আর তোমরা লোভ লাসলা মেটানোর জন্য গিয়েছো!দেহ টুকু টাকার জন্য বিলিয়ে দিলেও মন টুকু তোমার জন্য রেখে দিয়েছিলাম!প্রথম দেখায় তোমাকে মন দিয়ে দিলাম!যা অন্য কেউ কখনে ছুয়ে দেখতে পারেনি!কখনো ছুয়ে দেখতে চায়নি! তোমরা মেয়েদের কে অবলা মনে করো!ভোগের পাত্র মনে করো!মেয়েদের কে যেভাবে ইচ্ছে রাতের অন্ধকারে ছিঁড়ে খেতে চাও!আর দিনের আলোতে ঘৃনা করো!ঠিক তাই হয়েছে আমার অতীত জীবনে!
আর তুমি সেই ভালবাসায় আমাকে অন্ধকার থেকে বের করে আনলে!তোমার ভালবাসায় মন টুকু কেড়ে নিলে!”এক দমে কথা গুলে বলে গেলো রুবি! “ভালে থেকো নীলয়,আমি চলে যাচ্ছি!অনেক দূরে যেখানে চলে গেলে কখনো আমার ছায়া টুকু তোমাকে স্পর্শ করবেনা!তোমার সাথে তোমার সন্তানদের তোমার কাছে রেখে গেলাম!দেখে রাখো তাদের”!তোমাকে ধন্য পেয়ে আমি,আমাকে ভালবেসে ওই অন্ধকার জগত থেকে বের করার জন্য,তোমার কাছে চিরঝনী আমাকে অন্ধকার জগত থেকে মুক্ত করার জন্য!যা আমি অনেক বার চেষ্টা করেও পারেনি!তোমার ভালবাসায় তা আমি পেরেছি!নীলয় আমি চলে যাচ্ছি,যদি পারো আমাকে ক্ষমা করে দিও কথা গুলো বলে রুবি রুম থেকে বের হয়ে গেলো!
” নীলয় —-শুধু রুবির কথা গুলো চুপ করে শুনে গেলো!কোনো কথা বলতে পারলো না!কথা বলার ভাষা যেনো হারিয়ে ফেললো!চোখের পানি মুছতে মুছতে রুবি রুম থেকে বের হয়ে গেলো!রুবি কে আটকাতে চেষ্টাও করলো না!চেয়ারে বসে বসে নীলয় এতোক্ষণ চুপ করে শুনে গেলো!বিছানায় শুয়ে থাকা নিষ্পাপ মুখ দুটির তাকিয়ে রইল কিছুক্ষণ! নীলয় পকেট থেকে রুবির ছবি টুকু বের করলো!সেই নিষ্পাপ চেহারা,মায়াবী মুখ,মায়ায় ভরা চোখ যেনো!কিছুক্ষণ চুপ করে নীলয় ভেবে নিল! রুবির সব কথা শুনে চমকে ওঠি!
যে বন্ধু আমাকে নিজে ওই পতিতালয়ে যেতো,আমাকে ওই পথ দেখালো আর সেই কি-না শেষ পর্যন্ত আমার স্ত্রীকে লালসার স্বীকার করতে চেয়েছিল!ছিঃএমন বন্ধুর সাথে চলি!নিজের উপর বড্ড ঘেন্না হচ্ছে!রুবি তো নিজের প্রয়োজনে দেহ বিক্রি করেছে!আর আমি কি-না আমার লালসা মেটানোর জন্য!রুবির মতো একজন মেয়েকে স্ত্রী হিসেবে পেয়েও আমি ছিঃ রুবির কথা গুলো কানের কাছে যেনো বেজে চলছে!এক মূহুর্তের জন্য পৃথিবী থমকে গেলোচেয়ার থেকে ওঠে,দ্রুত পা চালালো!কাক ঢাকা ভোরের শহর!সব দিকে নিঃশব্দ!চারদিকে নীরবতা!চারপাশে তাকিয়ে দেখলো কোথাও নেই!ভাবতে ভাবতে নীলয় বাস স্টপের দিকে দৌড়ে গেলো!কি যেনো,’হারিয়ে যাচ্ছে জীবন থেকে!জীবন যেনো শূন্য!এক মূহুর্ত চলতে পারে!এতো দূর কখন দেয়নি নীলয়!হাপিয়ে উঠলো!পাশে বসা মানুষটির সাথে বসলো!অনেক পর দম নিয়ে নীলয় বললো,উফফফ…আরেকটু হলে দম যেনো বেরিয়ে গেলো!কারো একুট দয়া নেই পানি খাওয়াবে!কথা গুলো বলে পাশে তাকালো নীলয়!
অনেক কান্না করার ফলে চোখ দুটি ফুলে গেলো!লাল হয়ে আছে চোখ!নীলয় বলতে শুরু করলো–পাগলী তুমি চলে গেলে আমার কি হবে?আমার বাবুরা কাকে আম্মু বলে ডাকবে হুম!প্লিজ তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও!এই কান ধরছি তোমার সাথে আর কখনো এমন করবো না” “কেনো?এসেছো,আমি তো একজন প্রতারক আর সব থেকে বড় পরিচয় রুবি কিছু বলার পূর্বেই নীলয় মুখ ধরে ফেলে! নীলয় বললো–“পাগলী সেদিন তোমাকে বলেছিলাম যদি কখনো তোমার অতীত ফিরে আসে তাহলে তা ছুড়ে ফেলে দিবো!তোমার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে বাচঁবো!কাল রাতে যা ছিল আমার চোখের সামনে তা ছিল তোমার অতীত!আর এখন তুমি আমার চোখের সামনে তা বর্তমান!আমি এইটুকু নিয়ে বাচঁতে চাই হাজার বছর!তোমার কথা গুলো আজ আমার অতীত কালের কথা গুলো মনে করিয়ে দিয়েছে!তুমি অনেকবার তোমার অতীত বলতে চেয়ে ছিলে!আমি কখনো শুনতে চাই,সব সময় তোমার বর্তমান আর ভবিষ্যৎ নিয়ে থাকতে চেয়েছি!তোমার কাছে ক্ষমা চাচ্ছি!প্লিজ,আমাকে ক্ষমা করে দাও!এতোদিন আমি পাপ করেছি!
লোভে অন্ধ ছিলাম!তুমি আজ আমার অন্ধ চোখ খুলে দিয়েছো!আমার ভুল বুঝতে পেরেছি তোমার অতীত নিয়ে তোমাকে কষ্ট দেওয়ার জন্য তোমার শূন্যতা কে পূরণ করবে! রুবিকে ছাড়া এক মূহুর্ত চলতে পারবো না!শাসন,স্নেহ, ভালবাসা,কেয়ারিং নাহ কিছুতেই সম্ভব না!কেউ পারবে না আমাকে বুঝতে..! তোমাকে ছাড়া এক মূহুর্ত বাঁচতে পারবো না কোথায় যাবে তুমি হে!আমাকে ছেড়ে,আমাদের বাবুদের ছেড়ে! কোথায় যাওয়া চলবে না তোমার! আমাদের সাথে নিয়ে যেতে হবে! চল এখনি বাসায়! বাবুরা ঘরে একা!ছিঃতুমি একি বলছো?তুমি আমাকে ক্ষমা করে দাও!তোমাকে ছেড়ে চলে আসার জন্য!তোমার মতো জীবন সাথী পেয়ে আজ আমি পরিপূর্ণ!যেনো পৃথিবীর সব থেকে সুখী আমি” কি?তোমাকে কে বললো বাবুদের একা ফেলে এখানেআসতে”!–রুবি বললো “বাহ’রে আমি এখানে না আসলে পাগলীটাকে ফিরে নিতে কে আসবে!জলদি চলো!নীলয়ের কাঁধে মাথা দিয়ে হাঁটতে থাকে রুবি!
“নীলয় বললো— “দেখছো,কত দিন পর দুজনে একসাথে কাক ঢাকা ভোরের হাঁটতে পারলাম!”রুবি বললো– “হুম,আর কাল থেকে কাক ঢাকা ভোর দেখবো একা সাথে!ক্ষুধা লেগেছে!তাড়াতাড়ি চলো তোমার হাতের খাবার খেতে হবে!অতীত পিছনে ফেলে দুজনে একসাথে নতুন জীবন চলার প্রত্যয় নিয়ে হাঁটতে থাকে!রুবি বললো চল তাড়াতাড়ি বাসায় ….
(সমাপ্ত)