এই শোন আমি অনেক ভাবলাম তোমার সাথে সম্পর্ক রাখা আর সম্ভব না!
হুমঃ আমিও ভাবলাম!
কি ভাবলে?
তুমি যা ভাবছো সেইটা!
ওই নাই না? আচ্ছা ভাবছো ভালো করলো! আজকে থেকে আমাদের মধ্যে কোন সম্পর্ক নাই ভাই! আর কোন ভাবেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করবা না ফোন দিবা না মেসেজ দিবা না! আমি আর চাই না কিছু!
-ওকে
আর ফোন তো দেও না কোন দিন, মানা করে লাভ কি?
সেটাই!
আর শোন নতুন একটা প্রেমে করবো আর আমি আশা করি তাতেই খুশি হবো!
আমিও!
তুমিও কি?
তুমি যা করবে তাই!
যা ইচ্ছা করো আমারে বলিও না তো। তোমার কথা সহ্য হয় না আর।
আমারও
আবার আমারও বলে? আমারও কি?
সহ্য হয় না।
ও তাই? যাক ভালোই হলো এতে কেউ কষ্ট পাবে না।
হুমমম সেটাই।
এটা নতুন কিছু না!
এই বার দিয়ে ২১ বার ব্রেকআপ করার চেষ্টা। চেষ্টা মানে জোর চেষ্টা মনে হয় আর ঠিকবে না।
রাতে ফোন করে ডেকে আনা হলো আমাকে।
বসে আছি আসামীর মত আর নীলু সামনে দাড়িয়ে কথা গুলো বলছে।
হি হি হি হি।
“আহা কি আনন্দ আকাশে বাতাসে, একটা জিএফ গেছে আরেক টা আসবে।”
মনের সুখে গান গাইছি।
এটা আবার কেমন গান।
আমি যেমন করে গাইলাম।
তুমি যাও তো ভাই তোমারে দেখতে ইচ্ছা করছে না আর।
আচ্ছা শোন না,
হুমমমম বলো! এই এই কি করছো এইটা আমার পার্সে কেন হাত দিচ্ছো?
আরে কিছু টাকা দেও তো।
মানে কি আমাদের তো ব্রেকআপ হয়ে গেলো তাইলে আবার টাকা কেন?
আরে ভাই ব্রেকআপ করছো বলেই তো টাকা লাগবে!
কেন কেন টাকা লাগবে কেন? আর সেই টাকা আমি কেন দিবো?
মানে কি ব্রেকআপ তো তুমি করছো আর ব্রেকআপ পার্টি দিবো না? যেহেতু তুমি ব্রেকআপ করছো তাই তোমাকেই এর খরচ বহন করিতে হইবে!
জ্বি না আমি পারবো না।
আচ্ছা দেও না কিছু টাকা।
এই ছেলে লজ্জা করে না একটা অচেনা মেয়ের কাছ থেকে ভিক্ষারীর মত টাকা চাইতে?
আরে না আমার লজ্জা শরম নেই তো! থাকলে কি আর প্রেম করি বলো?
কথাটা শুনেই নীলু আমার দিকে তাকালো।
মানে কি তোমার লজ্জা নেই?
না তো।
তাইলে প্যান্ট সার্ট পড়ে আছো কেন?
ওকে খুলে ফেলছি!
বলেই সার্টের বোতামে হাত দিলাম!
এই এই এই থাক থাক খুলতে হবে না।
আচ্ছা দেও না কিছু টাকা! ব্রেকআপ পার্টিটা দিয়েই দিই!
পারবো না দিতে।
বাবু বলছি সোনা বলছি।
এই যে রিলেশন থাকলে এই সব বলছো এই না :
ওকে, ডাইনি বলছি রাক্ষসী বলছি, দেও না টাকা।
তুই যাবি নাকি পুলিশ ডাকবো?
একি পুলিশ কেন?
বলবো আমাকে রেপ করবি। তখন বুঝবি কেমন লাগে।
ওরে না আমি খুব ছোট নির্বোধ বালক এই সব আমার দ্বারা হবে না।
এই ছেলে কানে কথা যায় না? যাও এখান থেকে আমাদের মধ্যে আর কিছু নাই!
” ওরে চশমা আলীর প্রেমে পাগল হয়েছি “
গানটা উচ্চ স্বরে গাইছি!
নতুন জিএফ কি চশমা পড়ে নাকি?
ওরে না মুখ ফসকে বের হয়ে গেছে! এটা আগের মানে x gf মানে তুমি!
ও আচ্ছা!
আচ্ছা শোন!!!!!!!
কি?
ধন্যবাদ
কেন?
এই যে আমার সাথে রিলেশন করার জন্য (একটু ইমোশনাল হয়ে বললাম)
হ্যাঁ তার পর? ফোনের কথা টা বলবে না?
হ্যাঁ বলবো তো আমাকে সময় দেও!
ওকে বলো বলো!
আমি তো কোন দিন ফোন দিতে পারি নি!
আর কিছু?
না!
এখন দূর হও এখন থেকে!
কেন তুমি কি করবা এখানে?
আমি জানি এখনে অনেক ছেলে পাওয়া যায় তাই আরেকটা ধরবো!
ও আচ্চা তাইলে আমিও একটা ধরবো!
ধরো ভাই!
এই যে মিস…..
একটা মেয়েকে দেখেই ডাক দিলাম!
এই তুমি ওরে ডাকলা কেন?
প্রেম করবো তাই!
ইশ কি বাজে চয়েজ
আমি আবার কি হীরের টুকরো?
তাই বলে এইটা?
তো?
পাশের মেয়েটাকে দেখতে পাও না?
বলেই মাথাটা নামিয়ে নিলো!
-কই কেউ তো নেই!
আশে পাশে তাকিয়ে বললাম!
তা দেখবি কেন? আমি তো পুরোনো হয়ে গেছি! আমাকে তো আর ভালো লাগে না! আর লাগবেই কেন? অনেকেই তো আছে তোর জন্য! তুই যা তো, মরি যা তুই!
কই?
দুরে গিয়ে মর বাল
ছি ছি খারাপ কথা বলো কেন?
যাবি এখন থেকে?
আসলে হইছে কি পকেটে তো টাকা নেই তাই দুরে যেতে পারছি না যদি কিছু টাকা দেও তো ভালো হতো! পরে ফেরত দিয়ে দিতাম আর কি!
ভাইরে তুমি মরি গেলে আমারে টাকা দিবে কে?
ও তাই তো! আচ্ছা এক কাজ করি তাইলে তুমি আমাকে টাকা দিলে আমিও দুরে গেলাম কিন্তু মরলাম না! পরে সব টাকা ফেরত দিলাম!
ভাইরে তুই একটু চুপ কর তো!
কি বলো আমি তো সেই তখন থেকেই চৃপ করে আছি একটা কথাও বলি নি আমি! আচ্ছা শোন না দেখো ওই মেয়েটা দারুন না? আমার সাথে একটু লাইন টা করে দিবে?
কথাটা শুনেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলো!
তুই আবার অন্য মেয়ের দিকে তাকাস? আমাকে তোর চোখে লাগে না?
কি বলো ব্রেকআপের পর দেখে লাভ কি?
দরকার হলে আবার রিলেশন শুরু হবে তারপর আমারে দেখবি অন্য মেয়ের দিকে তাকালে তোর চোখ তুলে নিবো। না না চোখ বিশ্বকাপে পাঠাবো ইচ্ছা মতো কিক দিবে!
আহা কি ভাগ্য আমার!
মরার শখ আছে?
না তো।
তাইলে দেরি করিস না এখনি প্রোপজ কর।
কারে,?
আমারে দেখিস না?
দেখি তো।
তাইলে কর না হলে……..
ব্রেকআপের কি হলো?
বুঝছি তোর মরার শখ জাগছে!
ওরে না না ন। ভালোবাসি!