একদা অতীতে!
১৯২৯ সাল।
তেরো বছর বয়সী এক কিশোরী , ব্লাউজ ছাড়া এক প্যাঁচে শাড়ি পরে পুকুর থেকে কাঁখে করে পানি নিয়ে বাড়ি যাবার পথে দেখে,
দুই মাঝবয়সী তার দিকে হা করে তাকিয়ে কি যেন বলাবলি করছে।
মাথার উপরে কাক ফাটা রোদ। কিশোরী একটু আগেই পুকুর থেকে আঁজলা ভরে পেট পুড়ে পানি খেয়ে নিয়েছে, কিছু পানি চোখে মুখে ছিটিয়েও নিয়েছে।
ইচ্ছে ছিলো, পুকুরে গা ডুবিয়ে বসে থাকতে। কিন্তু একা আসলে নামতে মা বারবার করে নিষেধ করে দিয়েছে।
মাঝবয়সী দুইজন এগিয়ে এসে জানতে চায়,
“কার ঘরের বেটি তুই?”
তেজি মেয়ে ঘাঁড় বাঁকিয়ে জবাব দেয়,
“এই বুইড়া, তোদের কি দরকার? আমার দিকে চাইলেই (পা দেখিয়ে বলে) লাত্থি খাবি।”
বলেই সে হনহন করে হাঁটা দেয়।
কথাটা যিনি জিজ্ঞেস করলেন, তিনি অতি প্রভাবশালী একজন, দশ গ্রাম তাকে চিনে।
আর এই পিচ্চি মেয়ে কিনা এতো বড় কথা বলে কোমর নাচিয়ে চলে গেলো! পিচ্চি হলে কি হবে, বিয়ের বয়স তো পার হচ্ছে!
তিনি মেয়ের পেছন পেছন যেতে বলেন দ্বিতীয় ব্যক্তিকে। এই পাড়ায় তাদের খুব একটা আসা হয়না। ভালো কিছু ধানী জমি’র সন্ধান পেয়েছেন বলেই নিজের চক্ষে দেখতে আসা।
সাথের ব্যক্তি গিয়ে খবর এনে মান্য ব্যক্তিকে দেন। এবার দুইজন মসজিদে গিয়ে হুজুরকে সাথে করে মেয়ের বাড়ি যান।
মেয়ের বাপকে ডেকে মান্য ব্যক্তি আজমল বলেন,
“তোমার মেয়ে সাজাও, এখুনি বিয়ে হবে আমার সাথে। হুজুর নিয়ে আসছি।”
মেয়ের বাপ তরতর করে কাঁপে। বউকে আদেশ করে,
জলদি ভালো দেখে একখানা শাড়ি পরিয়ে আনো খাতিজাকে। আমাদের আজমল চাচার সাথে তার বিবাহ হবে। খবরদার, থামি লুঙি পরাবেনা। তোমাকে ৫/৬ বছর আগে গোলাপি রঙা একটি শাড়ি কিনে দিছিলাম, মনে আছে? ঐটা পরাও, যাও।
খাতিজা তো ঘটনার আকষ্মিকতায় হতবিহ্বল!
কাকে সে পা দেখিয়ে এলো! বাপজান পর্যন্ত খাতির করছে তাকে?
ঐ বেটার এককথায় তাকে বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে মুহূর্তেই!
হায় আল্লাহ, না জানি কপালে কতো দু:খ আছে তার!
সে ক্ষীণ প্রতিবাদ করতে চায় কিন্তু বাপজান আর মা কানেই তুলেনা সে কথা। তাকে সাজিয়ে ঘরের ভেতর বসিয়ে রাখা হয় । সাজানো বলতে, মাথায় একগাদা তেল দিয়ে সিঁথি করে, পেছনে একটি হাত খোঁপা।
তখনো তার খালি পায়ে বাইরের কাদা লেগে আছে।
হুজুর দোয়া দরুদ পড়তে থাকেন সামনের কক্ষে। ঘরের একপাশে পাটি বিছিয়ে বসতে দেয়া হয় তাদের । ঘরের আরেক কোণে ছালা ভরা ধান রাখা আছে । রোদ দেখানো শেষ হয়েছে এগুলোর। এবার ধানগুলো ঢেঁকিতে ছিঁড়িয়ে চাল নেয়া হবে।
আশেপাশের দুই তিনঘরের মুরুব্বিদেরও বাপজান ডেকে আনে। সবাইকে ঘরের পেছনে গাছে ধরা লেবু আর তার আনা পুকুরের পানি আর মিসরি মিশিয়ে শরবত বানিয়ে খেতে দেয়া হয়। সাথে মুড়ি আর গুড়।
কয়েকজন ছোকরা মতো ছেলেদের হাতে তালপাতার পাখা ধরিয়ে দিয়ে মুরুব্বি আর জামাইকে বাতাস করতে বলা হয়। তারা খুশি মনেই তা করে।
খাতিজা’র এমনিতেও বিয়ের বয়স পার হয়ে যাচ্ছে। তেরো বছর বয়স কম নয়! খাতিজা’র মাকে খাতিজা’র বাপ যখন বিয়ে করেন, তখন তার বয়স ছিলো নয়। তবে দিনকাল পালটেছে। এখন সবাই মেয়ের বয়স এগারো বারো না হলে বিয়ের চিন্তাই করেনা।
গত দুই বছরে, দুই চারটা প্রস্তাব যে খাতিজার জন্য আসে নাই তা কিন্তু নয়। তবে বেশিরভাগ কামলা টাইপ প্রস্তাব। দুই একটা বহু দূর গ্রাম থেকেও এসেছে, প্রস্তাব ভালো হলেও, এতো দূর পথ বাপের মন সায় দেয়নি। আসল কথা হচ্ছে, আল্লাহ রিজিক রেখেছেন, আজমল চাচা’র ঘরে। সে কি করে দূর গাঁয়ে বিয়ে দেয়!
আজমল, খাতিজা’র বাপের চেয়ে কম করে হলেও দশ বছরের বড় হবে, আরো বেশিও হতে পারে। ঘরে তার তিন বউ, অনেকগুলো ছেলে মেয়েও আছে তাদের ঘরে। কিন্তু খাতিজা’র বাপের সাহস নেয় যে, জিজ্ঞেস করে, কেনো মেয়ের বয়সী খাতিজাকে বিয়ে করতে চান তিনি। কিংবা হঠাৎ করে আজই বা কেনো বিয়ে হবে।
প্রশ্ন করার অতো সাহস খাতিজা’র বাপের নেই, মেয়ে বিয়ে দেওয়ার পরও সে সাহস কখনোই তার হবেনা। আজমল হচ্ছেন, মালিক শ্রেণীর মানুষ, আর তারা কামলা।
আজমলের ঘরে দশ বউ থাকলেও অভাব হবেনা, তার অনেক ধানী জমি, চাষবাস, সম্পত্তি। খাতিজা’র বরং রাজকপাল। হাজার চেষ্টাতেও তিনি কি চাইলে, এমন প্রস্তাব আনতে পারতেন মেয়ের জন্য? কখনোই পারতেন না। আর পুরুষ মানুষের আবার বয়স কি! দুই তিন চার বউও থাকতে পারে, খেতে পরাতে পারলে, দশ বউয়েও সমস্যা নাই।
আর আল্লাহ’র আদেশ এর বাইরে কি গাছের পাতা নড়ে নাকি এক বালি কেউ হেলাতে পারছে কখনো ! খাতিজা’র ভাগ্যও নিশ্চয় তিনিই নির্ধারণ করেছেন।
বরং মেয়ের কপাল ভালোই বলতে হবে, আচমকা ঘরের দুয়ারে লক্ষি এসে হাজির!
বিয়ে পড়ানো হয়ে গেছে। আজমল সাহেব কাবিন ধরেছেন দুইশত টাকা! কম নয় অতো। ঘরে গিয়ে দশ ভরি সোনাও দিবেন, জানালেন! খাতিজা’র বাপ লম্বা করে আলহামদুলিল্লাহ বলেন। মুহূর্তে পালকি নিয়ে বেয়ারা এসেও হাজির। নিশ্চয় নতুন জামাই বাবাজি আজমল চাচা আগেই খবর দিয়ে এনেছেন! কি সৌভাগ্য তার, ঘণ্টাখানেকের ভেতর তার কন্যা দায় শেষ! কয়জনের ভাগ্য এমন ভালো হয়। নিশ্চয়ই তিনি কোনো পূণ্য কাজ করেছেন।
খাতিজা ঘটনার আকষ্মিকতায় যে বোবা হয়ে বসে ছিলো, সে অবস্থায় তাকে পালকিতে তুলে দেয়া হয়। খাতিজা’র মা সুর ধরে গানের সুরে টেনে কাঁদতে শুরু করেন।
“অ আল্লাহরে, অ আমার কলিজার টুকরারে…”
এভাবে কাঁদাই মনে হয় নিয়ম।
প্রতিবেশী কয়জনও থামি চাদর পরে দাঁড়িয়ে বিদায় দেন, চাদরে চোখও মুছেন বারেবারে। বর আর তার সাথের কয়জন হেঁটেই রওনা দেন।
কুড়ি মিনিট হাঁটার পর, আজমল সাহেবের বাড়ি। পালকি দেখে অনেকেই পিছু আসেন। কিছু জিজ্ঞেস করার সাহস অবশ্য কারো নেয়। যদিও সবার বুঝতে বাকি থাকেনা, চার নাম্বার বিবি এনেছেন আজমল।
ঘরের সামনে পালকি নামালেও ঘরের বউ ঝি কেউ বের হয়না। তাদের সামনের উঠোনে আসার নিয়ম নেয়। তবে পালকি’র পেছন আসা ছেলে ছোকরার দল, ঘর পর্যন্ত আসার সাহস পায়নি, তারা ভেগেছে।
আজমল খাতিজাকে পালকিতে রেখেই বড় বউকে ডাকতে যান। বড় বউ সতীন হলেও
শ্বাশুড়ীর মতোন। যেহেতু আজমলের মা বেঁচে নেয়, তাকে সে দায়িত্ব পালন করতেই হবে। দায়িত্ব পালন বলতে, পালকি থেকে বের করে ঘরে নিয়ে আসা। আর কিচ্ছু না। এই দায়িত্ব বড় বউ আজমলের ৩য় বিয়েতেও পালন করেছেন।
বড় বউয়ের বয়সও হয়েছে। পঁয়ত্রিশ হবে, অনেক বয়স! ঘরে বসে থেকে থেকে শরীর হয়েছে ভারি, কিছু চুলে পাকও ধরেছে। তার ঘরের দুই মেয়ের বিয়ে দিয়ে তারা নানা নানীও হয়ে গেছেন। মুখের ভেতর সারাক্ষণ পান চিবুতে থাকেন তিনি।
আজমল বড় বউকে ঘটনা বললে সে ভাবলেশহীন ভাবে বলে,
“সেজ বইন পোয়াতি, আর কিছুদিন পর বিয়ে করতেন।”
“ধুর বিয়ে কি সখে করছি নাকি?
মাইয়ার বিষ বেশি হইছে, বিষ দাঁত ভাঙা দরকার ছিলো, তাই বিয়ে করছি। যাও ঘরে তুলে আনো। ”
নতুন বউ ঘরে আনতেই সামনের ঘরে খালি গায়ে বসা তুরতুরে দাঁতহীন বুড়া জানতে চায়,
“কেডা বড় বউ?”
বড় বউ মাথার ঘোমটা আরেকটু টেনে, জবাব দেয়,
“আমার আরেকটা সতীন বাপজান। আপনার নতুন আরেকখানা ছেলের বউ।”
“অ আইচ্ছা। তা এবার খবরবাতি ছাড়া যে?”
“কি জানি!” বড় বউয়ের জানার আগ্রহও নেই তেমন। সোয়ামীর বিয়ে, বছর বছরে বাচ্চাকাচ্চা, এসব নিত্যদিনের ঘটনা।
“আইচ্ছা যাও, হাত পাখাটা আমার হাতে দিয়ে যাও তো। কই রাখছি খুঁজে পাইনা। ”
আজমল তার বাপের ২য় নাম্বার বউয়ের ঘরের ছেলে। বাপকে সে মান্য করে আর সয়সম্পত্তিও বেশি আজমলের, তাই এখানেই থাকেন উনি। উনার দুই বউই মারা গেছেন। তিন নাম্বার বউকে তালাক দিছেন । মহিলা বড় বেশি ঝগড়াটে ছিলো। অনেক মারধোর করেছেন, কাজ হয় নাই। মহিলা না বলে সামনের উঠোনেও চলে যেতো। তাকে মান্য করতো কম, অবশ্য বয়স তার অল্প ছিলো, তাই হয়তো তেজ ছিলো বেশি।
মাইয়াদের অতো তেজ, রাগ ভালো না, তাই এক দুই বলে, তিন তালাক!
রাগ হচ্ছে পুরুষ মানুষের ভূষণ। এখনো তিন নাম্বার বউয়ের কথা মনে করলে বুড়া গালি পাড়েন, “শয়তানী, হারামী” বলে।
আজমলের বড় বউ তার ঘরটাই খাতিজাকে দিয়ে দেয়। এখন তারা চার সতীন হলো, ঘরে অনেক ছেলেমেয়ে, বুড়া শ্বশুর, বাড়তি খালি ঘর আর নেই।
তিনি, সেজবউ আসুস্থ, তার ঘরেই চলে যাবেন, ভেবে রাখেন । যাবার আগে খাতিজাকে বলে,
“আলমারিতে আমার অনেক শাড়ি আছে, থামি চাদরও আছে। নিয়ে পরিও।”
খাতিজা তাকে পেছনে ডাক পাড়ে,
“আপনি কে?”
“তোমার বড় সতীন। আরো দুই সতীন আছে।”
“বুবু, আমার বড় ভয় করছে। আপনার জামাই মানুষ কেমন? আমাকে কি মারবে? আজ তারে লাথি দিবো বলছি।”
“আমার জামাই কি আবার! আজ থেকে সে তোমারও জামাই। যদিও তোমার চেয়ে বড় মেয়ে আমার আছে। সে মানুষ ভালো, শুধু একটু গরম মেজাজের। দেখলেনা, তোমাকে বিয়ে করে শোধ নিলো। ”
“আপনি কি আজ আমার সাথে থাকবেন?”
“না বইন, আজ তোমার বাসররাত।
আচ্ছা, আসো আমার সাথে, সবার সাথে পরিচয় হও, তোমার ভালো লাগবে। আগে পুরান শাড়ি পরবে নাকি একটা, অনেক গরম পড়ছে।”
“জ্বি, দেন।
-না থাউক, আগে পরিচয়, তারপর পুরান ঠাণ্ডা শাড়ি পরিও। কিছু খাবে?”
“খাবো, খিদা লাগছে।” সংকোচ হীন জবাব।
রাতে, রুম থেকে খাতিজা’র চিল্লানি দিয়ে কাঁদার আওয়াজ শুনা যায়। এই চিৎকারের সাথে সবাই পরিচিত। এরপরেও তিন বউয়ের মন আবারো কেমন কেমন জানি করতে থাকে। ছেলেমেয়ে সবাই ঘুমে কাদা, কারো কান অব্ধি সে চিৎকার পৌঁছেনা বলে তাদের মায়েরা একটু সুখবোধও যেন করেন।
বুড়া বাপের রাতে ঘুম আসেনা। তিনিও ঐ রুমে কি হচ্ছে বুঝতে পারেন। তিনি তার মৃত বউদের ভেবে কেশঝরা বুকে হাত বুলাতে থাকেন। অভাববোধ করেন, বুড়াকালে এই সময়ে, পাশে একখানা বুড়া হাতের ছোঁয়ার। ছোট বউটারও অভাব বোধ করেন তিনি। শয়তানিটার তেজ একটু কম হলে, এখন তার সেবা যত্ন করতে পারতো। বুড়াকালে বউয়ের বড় দরকার। তিনি মনে মনে এও ভেবে রাখেন, সকাল হলে, আজমলকে বলবেন, বয়স্কা কোনো মেয়ের খবর পেলে বলতে, তার শেষ সময়ে ছেলে বউরা গু মুত ঘাটবে, তা কি হয়!
আজমল সাহেবের তিন ঘরে ছেলেমেয়ে কম নয়। বড় যে দুই মেয়ে বিয়ে দিয়েছেন, তারা স্কুল তো দূরের কথা, কোরান শিক্ষাও হয়নি তাদের। তবে ছোট ছেলেমেয়ে সবাইকে আরবি শিক্ষা দেবেন ভেবে হুজুরকে আসরের নামাজ শেষে পড়াতে আসতে বলেছেন তিনি।
গ্রামে তিন চার মাইলের ভেতর কোনো স্কুল নাই। আজমল চাইলেই একটা স্কুল ঘরের ব্যবস্থা নিতে পারেন। তবে, তার মাথায় সেই চিন্তাও একটু আছে। ছেলেদের জন্য একটা স্কুল ঘর বাঁধা যায়। কিন্তু মেয়েরা আরবি পড়লেই অনেক। ওদের চুলায় লাকড়ি জ্বলানো, স্বামী সেবা, বাচ্চা পালা, এই দুই তিন কাজ শিখলেই হবে।
সাড়ে নয়মাস পর, গোয়াল ঘরের পাশে ঘাস রাখার ঘরটাতে দাইয়ের হাতে বাচ্চা হতে গিয়ে খাতিজা আল্লাহর পিয়ারী হয়ে যায়।
ঘরের ভেতর আঁতুড়ঘর করার নিয়ম নাই। তাই ওখানে খাতিজা’র বাচ্চা হতে নেয়া হয়েছিলো তাকে। ঐ সময়টা মেয়েদের বড় নাপাকের সময় থাকে। চল্লিশদিন পর্যন্ত নাপাকি শেষ হয়না। তাই আলাদা ঘরে বাচ্চা প্রসব এবং সেখানেই বাচ্চার মায়ের খাওয়া দাওয়া পৌঁছিয়ে দেয়া হতো।
খাতিজা’র মৃত্যুতে সবার মন একটু খারাপ হয়। কিন্তু বাচ্চাকাচ্চা, ঘরের কাজকাম নিয়ে ব্যস্ত সবাই, ধীরেধীরে খাতিজাকে ভুলে যেতে থাকে।
সেজবউ গুণী মেয়ে, বুকে দয়াও আছে। নিজের ছেলের দুধের ভাগ খতিজা’র বাচ্চাকেও দিয়ে বাঁচিয়ে রাখে তাকে । ঘরভরা মানুষ, এর তার কোলে পিঠে চড়ে বড় হতে থাকে বাচ্চাটি।
আরো দুই মাস পর, পালকি হতে বড় বউ আরেকজন বউ নামিয়ে আনে। না, এই বউ অতো ছোট না। এর আগে একবার বিয়ে হয়েছিলো। বাচ্চাকাচ্চা হচ্ছিলোনা বলে সোয়ামী তালাক দিয়ে দিয়েছে।
আজমল সাহেবের বাচ্চার কি দরকার। বরং তিনি এই বিয়াতা মেয়ে বিয়ে করে, মেয়েটির একটা ব্যবস্থা করলেন। এটার জন্য নিশ্চয় তিনি সওয়াব পাবেন।