মায়মুনা!
মায়মুনা’র মাথায় খাবার ছাড়া আর কিছুই ঘুরছেনা।
এতো সুন্দর করে দুপুরে লেজ মাথা আর ছোট দুই টুকরো মাছ দিয়ে বেগুন রেঁধেছে, তার ভাগে পড়লো শুধুই বেগুন!
সে হাভাতের মতো কিছুক্ষণ শ্বাশুড়ির পাতে নেয়া শেষ বড় লেজ টুকরোর দিকে তাকিয়েছিলো। শ্বাশুড়ি তার দৃষ্টি পাত্তা না দিয়ে সুন্দর করে বেছে বেছে এবং পরিশেষে লেজের কাঁটা চুষে যখন রসটা নিংড়ে খাচ্ছিলো, মায়মুনা’র চোখের কোণায় একফোঁটা জল জমেছিলো!
মনে মনে বদদোয়া পাড়ে সে,
বয়স তো কম হয়নাই, আর কতো খাবে? পেটের অসুখ হোক তোমার নইলে গলায় বিঁধুক কাঁটা।
তার বদদোয়া সত্যি হয়েই যেন ছোট্ট একখানা কাঁটা বিঁধে যায় শ্বাশুড়ি মায়ের গলায়!
তিনি ওয়াক ওয়াক করে রান্নাঘরের পেছনের দরজা খুলে বাইরে যান।
মুখে হাত দিয়ে টেনে আনতে চান কাল্পনিক কাঁটা। সে কাঁটা কি আর গলায় বিঁধে আছে! ফুঁড়ে দিয়ে কবেই পেটে চালান হয়ে গেছে। ব্যথাটায় রয়ে যায়। আর মনে হয়, কাঁটা ওখানেই আছে।
শ্বাশুড়ি গালি পাড়ে,
“আর কতো খাবি রাক্ষসী! গ্লাসে করে পানি আন, কুলি করি, খেয়ে দেখি কাঁটা যায় কিনা।”
মায়মুনা দৌড়ে পানি দিয়ে আসে।
কিন্তু কাঁটার উপস্থিতি এখনো জানান দিচ্ছে, ব্যথা যায়না। তিনি ব্যথায় কোঁকড়াতে কোঁকড়াতে আবার বলেন,
“ভাত দিয়ে শক্ত করে লোকমা বানা, গিলবো।
“ভাত ঠাণ্ডা, ঝরঝরা, লোকমা হবেনা।” মায়মুনা জবাব দেয়।
“তাইলে কলা আছে কিনা দেখো।”
শ্বাশুড়ির মন নরম হয়ে আসে। তুমি করে বলে এখন।
” জি দেখতেছি। ”
মায়মুনা কলা এনে দেয়। খাওয়ার পর তার ভালো লাগে। পাতের ভাতগুলো আর না খেয়েই পান মুখে দিতে চলে যান তিনি।
মায়মুনা খুশি হবে কিনা বুঝতে পারেনা। তবে সে খেয়েই উঠে। যদিও ওয়াক ওয়াক শব্দে তারও বমি বমি ভাব লেগেছিলো। কিন্তু পেটে খিদে , না খেয়ে খালি পেট থাকার কোনো মানে হয়না।
শুধু আজ নয়, প্রায় প্রতিবেলা সে রাঁধে কিন্তু পছন্দসই কিছুই খেতে পারেনা। তার আগে খেতে বসা, ননদ দেবর, শ্বশুর শ্বাশুড়ি মুরগি’র হাড়ওয়ালা মাংস সব ছেঁটেপুটে খেয়ে তার জন্য রাখে বুকের মাংসটা! অথচ মায়মুনা বিয়ের আগে কখনোই বুকের মাংস খায়নি, তার বমি আসে। ঐ মাংসে লবণ মরিচ কিছুই ঢুকেনা মনে হয় তার।
কিন্তু এখন তাও অতি আগ্রহ নিয়ে খেতে হচ্ছে, ওটা হলেও যেন ঢেকচিতে থাকে, সেই দোয়ায় করে! ছেলেটি বুকের দুধ খায়তো, মায়মুনা’র পেটে সারাক্ষণ খিদে লেগে থাকে। তাই তার মাথায় সারাক্ষণ খাবার ছবিই ঘুরে!
মায়মুনা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা’র চাকরির পয়সায় ঘর খরচ কোনোভাবে চলে যেতো। কিন্তু মায়মুনারা শুধু তিনবোন। মায়মুনা বড়। কলেজে উঠার পর থেকে তার জন্য বিয়ের প্রস্তাব আসা শুরু হয়। তার চেহারা সুরত যেমন সুন্দর, তেমনি পড়ালেখাতেও ভালো। তার বাবা অন্তত কলেজ শেষ হবার অপেক্ষা করেন।
প্রস্তাব সবও বিবেচনায় রাখেন। যদিও তাদের প্রত্যেকের অনেক দাবি দাওয়াও রয়েছে। কারো টিভি ফ্রিজ, কারো মোটরসাইকেল, কারো বা নগদ টাকা!
মায়মুনা’র বাপ ভেবে পায়না, তারা বিয়ে করে ঘরে বউ চায় নাকি জিনিষপত্রের জন্যই বিয়ে!আচ্ছা, যৌতুক ছাড়া কি মধ্যবিত্ত, নিম্নমধ্যবিত্ত ঘরের মেয়েদের বিয়ে হয়না!?
সবার দেখি বউ নয়, বউয়ের সাথে কি দেবে এটাই জিজ্ঞাসা! তাহলে কি তার তিন কন্যা’র একজনকেও সে বিয়ে দিতে পারবেনা? তার এতো সাধ্য কই, মোটরসাইকেল, টিভি, ফ্রিজ দেয়ার?
সে নিজেই কি মোটরসাইকেল চরেছে কখনো নাকি ফ্রিজ কিনেছে…!
সারাজীবন প্রতিবেশিদের ফ্রিজে, মাছ কখনো যদি সস্তা পেয়ে বেশি এনেছে, রেখেছে। মুরগি অর্ধেক রেঁধে বাকিটা তাদের ফ্রিজে জায়গা আছে কিনা দরজায় দাঁড়িয়ে জানতে চেয়েছে। তাও কদাচিৎ। সবসময় মাছ মাংস কেনার তৌফিক কয় তার!
তবে সাদাকালো টিভি একখানা আছে, যা অর্ধেকেরও কম মূল্য দিয়ে পুরনো টিভি ফ্রিজ বিক্রির দোকান থেকে কিনেছে।
মেয়েগুলো বড় হচ্ছে, অন্যের ঘরে গিয়ে টিভি দেখতে বসে থাকে, তার ভালো লাগেনা। কার মনে কি আছে, কে বলবে! তাই কিনে দেয়া । সেই বছর ঈদে কাপড় না পেয়েও তারা খুশিতে আত্মহারা ছিলো। তাদের নিজেদের একটা টিভি, ভাবা যায়!
একটা পুরনো, আধা মূল্যের টিভি কেনার সামর্থ্য যার নাই। ওটা কিনতে গেলে তিন কন্যার ঈদ জামা কেনা হয়না, সে কিভাবে বর পক্ষের এতো এতো চাহিদা, উপহারাদি দিতে পারবে!
এসব প্রায়ই তার মাথায় ঘুরতো। তাই মিডলইস্টে ছোটো খাটো কাজ করে, মোটামুটি ভালোভাবে মা বাবা, ভাই বোন চারজনের সংসার চালানো ঐ ঘরের বড় ছেলের জন্য যখন প্রস্তাব আসে মায়মুনা’র জন্য এবং তাও যৌতুকবিহীন! আকাশের চাঁদ হাতে পেয়েছে মনে হয়েছিলো মায়মুনা’র বাপের।
এরপরেও কিছু ধার কর্জ করে ভালোভাবেই মেয়েকে বিদায় দিয়েছে, সস্তার দুই একটা ফার্নিচারও দিয়েছে, যা না দিলেই নয়। খাট, আলনা আর একটি আলমারি, মেয়ে কি ব্যবহার করবে ঐ ঘরে গেলে। তার নিজের বলতে তো কিছুই থাকবেনা নতুন ঘরটাতে।
বিয়ের দিন, মায়মুনা’র বাপ, তার বরের হাত ধরে, একটা আবেদন করেছিলেন, বলেছিলেন,
“বাপ, আমার মেয়েটার পড়ার বড় শখ, পারলে ওকে একটু বি এ ক্লাসে ভর্তি করে দিও।”
ছেলেটা, দুর্বলভাবে মাথা হেলিয়ে হ্যাঁ বোধক সম্মতি দিলেও, কথা রাখতে পারেনি।
তার একটু ইচ্ছে যে হয়নি, তা নয়। কিন্তু বন্ধুদের সাথে পরামর্শ করে শেষে পড়ালেখা করানোটা আসলেই খুব ভুল হবে, তাই ভেবে নিয়েছে।
এক বন্ধু বলেছে,
“তুইতো ইন্টারমিডিয়েট ফেল করেছিলি। বউ এমনিতেই তোর উপরে আছে, পাশ দিয়েছে। আরো উপরে গেলে তোকে, তোর পরিবারকে কি পাত্তা দেবে, ভেবে দেখ।”
আরেকজন বলে,
“তোর বউ দেখতে মাশাল্লাহ, কারো নজরে যদি পড়ে যায়, তুই বিদেশে থাকবি, কারো সাথে যদি প্রেম হয়ে যায়, ভেগে যায়, তখন কি করবি?”
আরেকজন বলে,
“অল্পবয়সী মেয়ে, বেঁধে রাখার ব্যবস্থা কর, মাথায় তুলিসনা, নামাতে পারবিনা। ভালো হয়, বাচ্চা দিয়ে যা। পড়ালেখা করাবি, সে কথা ভুলে যা। আমার, মোজাম্মেলের কার বউটা পড়েছে শুনি? নাকি মন্তাজের বি এ পাশ বউকে চাকরি করতে দিছে?”
কোন একজন ভুলেও বলেনি,
“বন্ধু শোন, পড়ালেখার উপরে কোনো কথা নেই। মেয়ে যখন মেধাবী, পড়ালেখার আগ্রহ আছে, তাকে পড়তে দে। ধন সম্পদ সব শেষ হবে কিন্তু পড়ালেখা, জ্ঞান কেউই কেড়ে নিতে পারবেনা। এটা সবার একান্ত সম্পত্তি, যা বিপদে আপদে কাজ দেবে, একা পথ চলতে সুগম হবে।”
আর তাই মায়মুনা’র বর তার মতো অর্ধ শিক্ষিত বন্ধুদের কথামতো একটা বাচ্চায় উপহার দিয়ে গেছে। বিয়ে করে গেছে দুইবছর পার হলো, ছুটি পাচ্ছেনা বলে, এখনো বাচ্চার মুখ দেখেনি!
বিয়ের আগে, মায়মুনা’র কাছেও জানতে চায়নি, কি চাওয়া তার। জানতে চায়লে সেও কি বলতে পারতো, আসলেই তার কি চাওয়া! একটু ক্ষীণ স্বরে বলেছিলো অবশ্য,
“বাবা, টিউশনি করে পড়বো, আরেকটু পড়তে দাও।”
কিন্তু যৌতুক বিহীন ঘর কি বাপ আর চায়লেই পাবে ! তাই মায়মুনা’র এই চাওয়া, ঐ চাওয়ার কাছে হারিয়ে যায়, চাপা পড়ে যায়।
মায়মুনা’র আর কিছুই চাওয়া ছিলোনা। এমনকি গ্রামের মেঠোপথে কলেজ আসা যাওয়ার পথে রাইসুল ভাইয়্যের প্রতিদিন একই সময় দাঁড়িয়ে থাকা, তাকিয়ে থাকা, এতো ভালো লাগতো! তাও ভুলে যেতো সে, যদি পড়তে পারতো। একবুক অভিমান নিয়ে বিয়ের পিঁড়িতে বসলেও, বাপ যখন গাড়িতে উঠার আগে বরের হাত ধরে পড়তে দেবার অনুরোধ করে, খুশিতে তার মন নেচে উঠেছিলো। মনে একটু আশা দানা বাঁধে, হয়তো সে পড়তে পারবে।
না, শেষ পর্যন্ত পড়া হয়নি মায়মুনা’র। বর ভুলেও পড়ালেখার কথা মুখে আনেনা। বিয়ের পঁচিশ দিন পর যখন সে বিদেশ চলে যাবার জন্য তৈরি হচ্ছিলো, মায়মুনা একবার সাহস করে বলেই ফেলে,
” আপনি আমাকে কলেজে ভর্তি করে দিয়ে যান।”
বরের মন এমনিতে খারাপ, মায়মুনা’র পেটে বাচ্চা এসেছে কি আসে নাই, সে আলামত বুঝতে পারছেনা। সে তো কম চেষ্টা করেনি, ধরতে গেলে প্রতিদিন থেকেছে, কখনো দুইবারও, হলোনা কেনো!
দু:শ্চিন্তায় সে মরে যাচ্ছে। সুন্দরী বউ যদি কারো সাথে প্রেম করে!
তাই অনিচ্ছাসত্ত্বেও একটা ধমক দিয়ে বসে।
“তোমার পড়ালেখা ধুয়ে কি আমি পানি খাবো? অনেক পড়েছো, এবার সংসারে মন দিয়ে আমার মা বাবার সেবা করো। তোমাকে শেখানো হয়নি, বিয়ের পরে শ্বশুরঘরই সব?”
মায়মুনা কি জবাব দেবে, চুপ থাকে, বাপের উপর কিছুটা অভিমানও হয়। কিন্তু এটাই হয়তো তার ভাগ্য লিখন, এই ভেবে মনকে সান্ত্বনা দেয়।
বর যাবার সপ্তাহ খানেকের ভেতর শুরু হয় মায়মুনা’র বমি আর বমি! কিছুই খেতে পারেনা। ছেলে ফোন করলে মা তাকে সুসংবাদ জানায়। সে রাতে খুশির ছুটে বর মহাশয় একফোঁটা ঘুমাতে পারেনি, তার আশা সফল হয়েছে। মায়মুনা বাচ্চা নিয়ে ব্যস্ত থাকবে, এখন সে পুরাই দু:শ্চিন্তা মুক্ত!
বাচ্চা হবার আগে, খাবারের কোন অভাব রাখেনি শ্বাশুড়ি। তরকারি হোক, মাছ হোক ঢেকচিতে যাই ছিলো তাকে জোর করে খেতে বলতো। কখনো তিন চারবেলা ভাত খাইয়ে ছাড়িয়েছে। কেনো? এতে নাকি পেট সবসময় ভরা থাকবে, বাচ্চা বড় হবার জায়গা পাবেনা!!
আর ঘরেই ধাইয়ের হাতে সহজে ডেলিভারি হয়ে যাবে!
ফলশ্রুতিতে বাচ্চা পেটে বড় হয়ে যায়। ব্যথা উঠলে ধাই অনেক দেখে শুনে জবাব দিয়ে দেয়, সে পারবেনা, হসপিটাল নিয়ে যেতে হবে।
শেষে হসপিটাল দৌড়াদৌড়ি, সিজার করে এত্তো এত্তো টাকা ডাক্তারকে গছিয়ে দুইদিন থেকে বাচ্চা নিয়ে ঘরে আসে তারা। কিন্তু এরপরেও মনে এই বলে বুঝ দেয়, যাক বাবা, ছেলে সন্তান হয়েছে!
এরপর থেকে মায়মুনা’র খাবার দাবারের প্রতি শ্বাশুড়ির অনীহা। এতো এতো খাইয়ে কোনো লাভ হয়নি, এখন সে কি খাচ্ছে, পাতে তার কি উঠছে, তাতে তার কোনো ভ্রুক্ষেপ নেয়। অনেকটা রাগ করেই, তার খাবারে মনোযোগ দেয়না এখন। এতো গুলো টাকা গচ্ছা যে গেলো!
গলায় কাঁটা বিধার পর, শ্বাশুড়ির মনে আসে, মায়মুনা নজর দেয়নি তো! যেমনটি সে দিতো!?
হ্যাঁ, তিনিও তার শ্বাশুড়ির খাবারে নজর দিতেন।
তার পাতে এক তরকারি নিয়ে, ওটা দিয়েই খাবার শেষ করতে হয়েছে, কতো শতবার!
শ্বাশুড়ির চোখ তার পাতের দিকে, ভয়ে সে অন্য ডেকচি থেকে মাছ মাংসটা আলগোছে নিতে পারেনি। তখন বদদোয়া দিতেন, বুড়ির গলায় কাঁটা বিঁধুক কিংবা মাংস বিঁধে কষ্ট পাক!
বুড়ি মরার পর সে একটু মাছ মাংস খেতে পারছে! তাও তার ছেলের টাকায়।
কতোবার স্বামীকেও বলেছে সে কথা,
“আমি কি কোনদিন মাছ মাংস খেতে পাবোনা?”
উল্টো সে ধমক দিয়েছেন।
“কেউ কি মানা করেছে?” এই বলে।
“মায়ের সামনে নিতে ভয় লাগে। সেও কোনদিন নিতে বলেন নাই।”
“তা কি আমার দোষ!”
এই বলে পাশ কাটিয়ে গেছে, সমাধান করেন নাই।
আচ্ছা বউয়েরও তো খেতে ইচ্ছে করে, তার মতো করে, তাইনা?
পরদিন দুপুরে সবার খাওয়া শেষে বউ, শ্বাশুড়ি খেতে বসে।
শ্বাশুড়ি ডেকচি থেকে চামচ দিয়ে এক টুকরো মাছ যখন নেয়, মায়মুনা মন খারাপ করে চোখ নামিয়ে ফেলে।
কিন্তু কি আশ্চর্য, টুকরোটা তার পাতেই পড়ে।
“খা বউ, এখন খাওনের বয়স তোদের।”
“ডেকচিতে তো আর কিছু নাই, আপনিই খান।”
“না, আমি বুড়ো হয়ে যাচ্ছি, চোখে কম দেখছি মনে হয়, গলায় বিঁধবে। তুই খা।”
মায়মুনা ছলছল চোখে কৃতজ্ঞতার দৃষ্টিতে মাছের কাঁটা বাছে। অর্ধেক মাছ বেছে শ্বাশুড়ির পাতে দেয়।
“মা, ভাগ করে খাই, এক টুকরো আমার জন্য বেশি হয়ে যায়।”
তারপর?
বিয়ের দুই বছর পর একে অন্যের সুখ দু:খের ভাগি হয় তারা।
অনেক অনেক অপূর্ণতার মাঝে শ্বাশুড়ির এই ভালোবাসা, আপনাপন যেন আশির্বাদ মনে হয়।
একদিন শ্বাশুড়িকে ফোনে ছেলেকে বলতে শুনেন,
“কবে আসবিরে তুই? তোর ছেলে তো তোকে চিনবেই না। জলদি ছুটি নিয়ে বাড়ি আয়।”
মায়মুনা’র মন খুশিতে ভরে উঠে।