অসহায়

অসহায়

আবির ভাই আর আমি মেসের মধ্যে ঘুমিয়ে আছি। আবির ভাই ঘুম ঘুম ভাব নিয়ে বললেন ” তামিম একটা কাজ করতে পারবি? তোর ভাবি কল দিয়ে বলল তাদের বাসায় আজ মাংস রান্না করেছে। আমরা তো বেশ কয়েকদিন ধরে মাংস খাই না। তুই এক কাজ কর শিশিদের বাসায় গিয়ে তরকারী টা নিয়ে আয়।”

আমি খুব খুশি হয়েছে। যাক অবেশেষে মাংস খেতে পারব। আবির ভাই আর শিশির আপু ৪ বছর প্রেম করে বিয়ে করেছেন। পারিবারিক ভাবে। কিন্তু এখন তারা সংসার করতে পারবে না। আবির ভাই যেদিন চাকরী পাবেন সেদিন তারা দু’জন সংসার করবে। আমার আর আবির ভাইয়ের সম্পর্ক মেসের জীবন থেকে শুরু হয়েছিল। ৩ বছর ধরে দু’জন একসাথে আছি। আবির ভাই এবার মাস্টার শেষ করবেন।

ঘুম থেকে উঠে একটা পাঞ্জাবি পড়লাম। শিশির আপুর একটা ছোট বোন আছে। আমার খুব ভালো লাগে। টানাটানা চোখ। মায়াবী চেহারা। এতেই আমি প্রেমে পড়ে গেলাম। কোনো দিন কাউকে বলিনি। এমনকি আবির ভাই কেও না। আবির ভাই একটা ব্যাগ দিয়ে বললেন “তোর ভাবির হাতে এই ব্যাগ টা দিছ।”

আমি ব্যাগ নিয়ে চলে আসলাম শিশির আপুদের বাসায়। কলিংবেল দিতেই অতিথি দরজাটা খুলল। অতিথি আমার দিকে চোখ মোটা করে তাকিয়ে আছে।

আমি বললাম “ভাবি কোথায়? ”
অতিথি একটু অবহেলার ভাব নিয়ে বলল “ঘুমিয়ে আছে।”
আমি অভিমানী কন্ঠ নিয়ে বললাম “একটু কি ঢেকে দিবে? কথা ছিল।”
অতিথি একটু অহংকারী ভাব নিয়ে বলল “এখানে দাঁড়িয়ে থাকেন । আমি ঢেকে দিচ্ছি।”

আমি চুপ করে থাকলাম। মনে মনে ভাবতে লাগলাম। মেয়েটা খুব অহংকারী। ভিতরে বসতে দিলে এমন কি ক্ষতি হয়। আমি কি ভূত নাকি যে বাসার সব খেয়ে ফেলব। দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকলাম। একটু সময়পর শিশির ভাবি এসে বললেন ” তামিম ভিতরে আসো। বাহিরে দাঁড়িয়ে আছো কেন?”

আমি বললাম “ভাবি আমি ঠিক আছি।”
ভাবি একটা টিফিন বক্স দিয়ে বললেন “এই টার মধ্যে দু’জনের জন্য তরকারী দিয়েছি। গরম করে দু-তিন দিন খেতে পারবে।”

আমি মুচকি একটা হাসি দিয়ে বললাম “ভাবি ভাই এটা আপনার জন্য দিয়েছেন। ”
ভাবি ব্যাগ টা হাতে নিয়ে খুলে দেখলেন একটা সোনার চেইন আছে। ভাবি খুশি হয়ে বললেন ” পাগল টা রে বলবে। এসব যেন আর কোন দিন আমার জন্য না কিনে। নইলে আমি কথা বলব না। ”
ভাবি আমাকে বাহিরে দাঁড়াতে বললেন।

ভিতর থেকে দু’টা এক হাজার টাকার নোট দিয়ে বললেন “পাগল টার হাতে দিয়ে বলবে যেন একটা পাঞ্জাবি কিনে।”
আমি চলে আসলাম। পথ দিয়ে হাঁটছি। মনের অজান্তে হেসে দিলাম। এদের মধ্যে কি পরিমাণ ভালবাসা সেটা আমি কিছু টা জানি। কয়েক মাস আগে এদের মধ্যে সময় নিয়ে ঝগড়া হয়। আবির ভাই এক ধরণের ভালো মানুষ হলেও খুব অলস মানুষ। ভাবি কে রাস্তায় বসিয়ে আবির ভাই গোসল করতে তাকবেন। তারপর দেখা করবেন। এই নিয়ে দু’জন অভিমান করে কথা বলে নি।

একদিন আমাকে কল দিয়ে বললেন “তোমার ভাইয়ের সাথে আমার রাগ টা ভাঙ্গিয়ে দেও। আমি কথা না বলে তাকতে পারছি না।”

আমার খুব মায়া হলো। আমিও মেসের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হলাম। মেসে আসতে আসতে রাস্তায় আসরের আযান পড়ল। আমি নামাজ পড়তে গেলাম। নামাজ পড়লে সব দুঃখ কষ্ট চলে যায়। মনের মধ্যে শান্তি আসে।

মেসের কাছে আসতেই আবির ভাই আমাকে ডাক দিলেন। আমি ভাই কে বললাম ” ভাই কিছু বলবেন? ”
আবির ভাই লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বললেন ” তোর ভাবির সাথে আমার রাগ টা একটু ভাঙ্গিয়ে দে। তাইলে তোরে আজ বার্গার খেতে দিব। মনে কর এটার তোর ট্রিট।”

আমি মনে মনে অনেক খুশি। আমি মুরুব্বি হয়ে গেলাম।
সকালে দু’জন কে এক জায়গায় জড়িত করলাম। আবির ভাই আর ভাবি আমার দিকে চেয়ে রইলেন। তাদের মনের মধ্যে চলছে শুধু আমি কি বলি! হিহি।

আমি বুঝদার বুঝদার ভাব নিয়ে বললাম ” তোমাদের মধ্যে অনেক প্রেম। কেউ কাউকে ছাড়া তাকতে পারবে না। দু’জন আমাকে বলছ যেন আমি তোমাদের দু’জন কে এক করে দেই। তাইলে দু’জন কে খুব ভালবাসো। ” আবির ভাই ভাবির দিকে চেয়ে রইলেন।

আমাকে আবির ভাই পেট বড়ে বার্গার খেতে দিলেন।

মেসে আসার পর আবির ভাই একটা প্লেট নিয়ে মাংস দিয়ে ভাত খেতে লাগলেন। আমি মিনমিন করে বললাম “ভাই অতিথি খুব অহংকারী। আমাকে বাহিরে দাঁড় করে রেখে ছিল।”

ভাই ভাত খেতে খেতে বললেন “অহংকারী হওয়া ভালো। নইলে খারাপ ছেলেদের চোখ পড়বে।”
আমি মুখ টা কালো করে দিলাম। তাইলে আমি খারাপ। একটা অসহায় চেহারা করে ফ্রেশ হতে চলে যেতে চাইলাম। ভাই বললেন “মন খারাপ করিস না। তোদের মধ্যে বন্ধুত্ব করে দিব। ফ্রেশ হয়ে খেতে আয়। ”
“সত্যি ভাই?”
আবির ভাই চোখে জল এনে বললেন ” তুই আমার আপন ভাই না ঠিক আছে। কিন্তু তুই যা যা কাজ করে দিছত সেটা আপন ভাইও করে দিবে না গাধা। তুই আমার বুকের মধ্যে আছিস। ”
আমি খুশি খুশি ভাব নিয়ে ফ্রেশ হতে গেলাম।

ভার্সিটির ক্যাম্পাসে হাঁটছি। অতিথি ডাক দিয়ে বলল “আপনার সাথে আমার কথা আছে? যেখানে আছেন সেখানে দাঁড়িয়ে থাকেন। কোনো নড়াচড়া করবেন না।”

আমি মেয়েটার কথা শুনে একটু ভয় পেলাম। বুকের ভিতর একটা ভয় কাজ করল। আমার পা থেকে মাথা পর্যন্ত চেয়ে বলে ” চেহারা দেখতে তো বিদেশী মুরগির মতো। আবির ভাই কে কি বলছেন। আমি আপনার সাথে বন্ধুত্ব করব। কেন এতো শখ হলো আমার সাথে বন্ধুত্ব করার?”

আমি শরল – শান্ত মন নিয়ে বললাম ” আমি খুব ভালো ছেলে। আপনাকে একটু একটু ভালো লাগে। আপনার টানাটানা চোখ। ইশ! কত চমৎকার।”

” শুনেন এতো পটাতে চেষ্টা করবেন না। আমি করব না আপনার সাথে বন্ধুত্ব। ”
নাকের ঢকার মধ্যে একটা হাত দিয়ে ডুকর দিয়ে পনপন করে চলে গেল।

আবির ভাই কল দিয়ে বললেন ” আসার সময় একটা মোমবাতি নিয়ে আসিস। কারেন্ট চলে গেলে অন্ধকারে থাকতে হয়। পথে একটা বাচ্চা শিশু এসে বলে ” ভাইয়া ফুল কিনবেন? মাত্র ১০ টাকা।”

আমি একটা অসহায় মুচকি হেসে বললাম “ফুল দিবার মানুষ নাই তাকলে ঠিকি কিনতাম। তুই এক কাজ কর ২০ টাকা দিয়ে কিছু খেয়ে নিছ।”
ছেলে টা আমার দিকে চেয়ে রইল।

খাটের মধ্যে মাথা টা রেখে শুয়ে পড়লাম।
আবির ভাই বললেন “অতিথি কিছু বলছে?”
আমি চোখ বন্ধ করে বললাম ” হা ভাই বলছেন।”
আবির ভাই চুলের দিকে হাত ঢুকিয়ে বললেন ” গাধা তোর সাথে অতিথি প্রেম করবে না। মেয়েটা তোর মতো ফার্মের মুরগার সাথে প্রেমে করতে পারবে না। মেয়েটা চায়না চায় দেশি মুরগির মতো একদম শক্তিশালী মুরগা।”
আবির ভাইয়ের কথা একটু খারাপ লাগল। ভাবতে ভাবতে ঘুমিয়ে পড়লাম।

পড়ছি আর ফ্যানের দিকে চেয়ে আছি। অতিথি আমাদের মেসে এসে আমার দিকে চেয়ে আছে। বলল ” আবির ভাই কোথায়? ”
আমি বইয়ের দিকে তাকিয়ে বললাম ” গোসল করতে গেছেন। ”
আবির ভাই কে বলবেন ” বাবা বলছেন আমাদের বাসায় যেতে। কিন্তু আবির ভাইয়ের সাথে আপনাকে যেন না দেখি আমাদের বাসায়।”

আমার খুব মন খারাপ হলো। আমার চোখ বরাবর এমন কথা বলতে পারল। খুব অহংকারী মেয়ে।
আবির ভাই কে বলার আগেই আবির ভাই বললেন ” তোর ভাবির বাসায় যাব। তুই কি যেতে চাস? ”
আমি নিচ থেকে জুতা টা বের করতে করতে বললাম “তোমার অহংকারী শালী আছে না। আমাকে নিষেধ করছে বাসায় না যেতে। তাই আমি যাব না।”
আবির ভাই হাসতে হাসতে বাসা থেকে বের হয়ে গেলেন।

আবির ভাই কল দিয়ে কান্না করতে তাকলেন। কান্নার জন্য কথা বলতে পারলেন না। কান্না করে বললেন ” তোর ভাবির চামড়ায় ক্যান্সার হয়েছে। এখন আমি এতো টাকা পাব কোথায়? কি দিয়ে চিকিৎসা করাব?”

আমি হাসপাতালে গিয়ে সবাই কে দেখলাম একদম এতিমের মতো করে বসে আছেন। আমি কিছু সময় ভাবলাম। তারপর মাথায় একটা বুদ্ধি আসল। ফেবুকে পোস্ট দিলাম একজন রোগীর ক্যান্সার হয়েছে। কোনো দয়াবান মানুষ তাকলে টাকা দিয়ে সাহায্য করেন। বিকাশ নাম্বার দিলাম। রাস্তায় রাস্তায় বক্স নিয়ে বের হলাম স্কুল কলেজে ভার্সিটি তে গেলাম। দোকানে মানুষের কাছে সাহায্য চাইলাম। মানুষজন দশ টাকা বিশ টাকা দিয়ে সাহায্য করল। বিকাশ নাম্বারে কল দিয়ে মানুষ সাহায্য করতে চাইল। সবাই চিন্তায় যখন কান্না করতে তাকলেন। আমি কান্না কান্না চোখ নিয়ে বললাম “ভাই আমি গরীব মানুষ। এতো টাকা একা দেওয়া সম্ভব না। তাই মানুষের কাছে আমার সব বন্ধু বান্ধব নিয়ে সাহায্য চাইছি। মানুষ সাহায্য করেছে ।”

বক্সের মধ্যে এতো টাকা দেখে ভাই অবাক হয়ে গেলেন। আমাকে কান্না শরীর টা নিয়ে জড়িয়ে ধরে কান্না করলেন। ভাবির চিকিৎসা হলো।

আজ তিন মাস হলো ভাবি এখন সুস্থ। ভাই এখন একটা চাকরি করেন। নিজের বাসায় থাকেন। আমি মেসে একা একা থাকি। ভাবি কল দিয়ে বললেন ” তামিম আজ আমাদের বাসায় এসো। আমাদের বাসায় আজ মেহমান আসবেন। অতিথি কে দেখতে আসবেন। বাবা ছেলে পছন্দ করেছেন। ছেলে অস্ট্রেলিয়া থাকে।”

কেন যেন চোখের কোণে একটু পানি আসল। পানি মুছতে মুছতে মনে মনে বললাম “অতিথি আমার কেউ না। তবে আমার কান্না আসে কেন?”

রাতে ভাবিদের বাসায় গেলাম। অনেক মেহমান। আবির ভাই আমাকে দেখে জড়িয়ে ধরলেন। আমাকে দেখে বললেন “চিন্তা করিস না। তোর বড় ভাই আমি। তুই কি চাস আমি বুঝি। তুই খুব অভিমানী একটা ছেলে। মনের কথা টা কাউকে বলতে চাস না।”

ভাবি আমাকে দেখে একটা হাসি দিলেন। অতিথি কে দেখার জন্য অনুরোধ করলেন। আমি লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বললাম “না ভাবি।”

ভাবি কিছু টা চুপ থেকে বললেন “খুব ভালবাসো।”
আমি অসহায় মুখের মতো হালকা একটু ভেংচি দিলাম। মনের কষ্ট টা মনের ভিতর রাখলাম। ভাবির বাবা আবির ভাই কে ডাক দিলেন। ভাই – ভাবি আমাকে নিয়ে চাচার কাছে গেলেন। চাচা আমাকে দেখেই কান্না করে দিলেন।
চাচা ভাবির চিকিৎসার পর থেকে আমাকে দেখলেই কান্না করে দেন।

জামাই কে দেখলাম খুব সুন্দর। সবাই খাওয়া দাওয়া শেষ করল। অতিথি আর জামাই কে সোফায় বসানো হলো। অতিথি একবার আমার দিকে তাকিয়ে চোখ থেকে পানি মুছল। আমি মনে মনে ভাবতে লাগলাম। হয়তো চোখ টা আমার দিকে ভুলে পড়েছে। এটা ভেবে মন টাকে শান্ত্বনা দিলাম। সব মেয়েরাই বিয়ের দিন কান্না করে। তাই হয়তো অতিথি কান্না করল। চাচা এসে অতিথির কাছে বসলেন। খুব কাছে। জামাইয়ের দিকে তাকিয়ে জামাইয়ের হাত ধরে বললেন “বাবা। তুমি তো আমার মেয়ে কে বিয়ে করতে চাও নি। তোমার মা – বাবা জোরাজোরি করে তোমাকে বিয়ে করাচ্ছেন।”

ছেলেটা খুব খুশি ভাব নিয়ে বলল “হ্যাঁ। আমি এই বিয়ে করতে চাই না। আমার একটা গফ আছে। আমি তাকে বিয়ে করতে চাই।”

চাচা আমার দিকে এসে বললেন “আবির আমাকে সব কথা বলেছে। তুমি অতিথি কে ভালবাসো। তুমি কি আমার মেয়ে কে বিয়ে করবে? তোমার হাতে আমার মেয়ে কে তুলে দিতে চাই।”

আমি কিছু বললাম না। বিয়ে টা ভেঙ্গে গেল। খুব অভিমান নিয়ে চলে আসলাম। রাস্তায় একটু কান্না করলাম। আমাকে সবাই করুণা করে। এমনি কি আবির ভাইও এখন করলেন। খুব খারাপ লাগল। আবির ভাই কে আর কল দেই নি। সিম টা বন্ধ করে দিলাম। মেস টা চেঞ্জ করে দিলাম। ফাইনাল পরীক্ষা দিয়ে চলে আসলাম গ্রামের বাড়িতে।

গ্রামের জমিতে হাল চাষ করতে লাগলাম। শরীরে অনেক কাদামাটি। আমার ছোট বোন হাপাঁতে হাপাঁতে বলল “ভাইয়া শহর থেকে অনেক লোক আসছেন। তোমাকে খুঁজতাচ্ছেন।”

এই কথা টা বলতে না বলতেই পিছনের দিকে চেয়ে দেখলাম অতিথি। আমার খুব লজ্জা হলো। ভাবি এসে বললেন “খুব অভিমান আমাদের উপর। এতো টা মাস খুব কষ্ট দিয়েছ। ভার্সিটি থেকে তোমার সব কিছু ঠিকানা জেনে আমাদের গ্রামে আসতে হলো।”

অতিথি পিছনে দাঁড়িয়ে থেকে বলল “আমার উপর এতো রাগ কেন? আমি কি কখনও বলছি যে আমি আপনাকে পছন্দ করি না।”

আমার গরু টা অন্যের জমির ধান খেতে লাগল। আমি একটা দৌঁড় দিলাম। অতিথি না বুঝে দৌঁড় দিল। কিন্তু কাদামাটি তে পড়ে গেল। এখন কি করব এক দিকে অতিথি অন্য দিকে অন্যের জমির ধান খাচ্ছে গরু টা। একটু ভেবে চিন্তে গরুটা আগে আনলাম। তারপর অতিথি কে সাথে করে হাটঁতে লাগলাম। অতিথি কি রকম হিংসা হিংসা চোখ নিয়ে থাকিয়ে আছে। আমি বললাম ” অন্যর জমি নষ্ট করা ভালো না।”

অতিথি বলল “আমি তো ভাবছি। আপনি আবার পালিয়ে যাচ্ছেন।”
আমি হেসে বললাম “এবার আর পালাব না।”

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত