ছাদে দাঁড়িয়ে গাছে পানি দিচ্ছি, এমন সময় মনে হলো পিছনে কেও আছে কিন্তু ছাদে তো আমি ছাড়া অন্য কেও আসা মানা,,পিছনে তাকিয়ে দেখি একটা সুন্দর ছেলে,আমি তো ক্রাশ তাও ভাব নিয়ে-
আমিঃএই আপনি কে?
ছেলেঃতোমায় দেখলে মনে হয় হাজার বছর আগেও ছিল পরিচয়।
আমিঃআম্মুউউ
ছেলেঃ চুপ চুপ নিলাঞ্জনা চুপ,কথা বলো না,তুমি আমি এখানে কেও জানে না।
আমিঃআপনার পরিচয় কি?
ছেলেঃশুধু গান গেয়ে পরিচয়।
বুঝলাম হয়তো ছেলের মাথা খারাপ না হয় আমার মাথা খারাপ করার ধান্দা,তাই চুপ করে নিচে চলে আসলাম,পিছন থেকে শুনতে পেলাম ছেলে গান ধরছে “ওওওওও সাথী রেএএএ” রুমে এসে আম্মু কে প্রশ্ন করলাম ছেলে টা কে?
আম্মুঃকোন ছেলে?
আমিঃআজকে ছাদে উঠছিল,লম্বা মতো
আম্মুঃনিলয় মনে হয়,তোর ফারুক কাকার ছেলে,ট্রেনিং এর জন্য এই খানে আসছে ১৫ দিন থাকবে।
আমিঃতো ছাদে কি?
আম্মুঃ১৫ দিন ই তো একটু মানায় নে।
২দিন পরে, রাত প্রায় ৯ টা ছাদে দাঁড়িয়ে আকাশ দেখছি এমন সময় পিছন থেকে “মুজে তুমছে মোহাব্বত হে” বুঝলাম নিলয় এর আগমন ঘটছে,
আমিঃএত রাতে ছাদে আসার হেতু কি?
নিলয়ঃ আপসোস হে কিয়া তুজেএএ মে তেরি দিবানি হুউউউ
আমিঃআরে মিয়া কথা বলতে পারেন না?
নিলয়ঃ ও মধু I love you I love you
মেজাজ টা এই পরিমানে গরম হয়লো যে হাতের কাছে রামদা থাকলে ওরে কুপায় তামাতামা কইরা দিতাম কিন্তু ভাগ্য ভালো হাত খালি ছিল,নিচে এসে হাত ফোন নিতেয় দেখি ম্যাসেজ আসছে ” বোল দো না জারায়ায়ায়া দিল মে জোহে চুপায়ায়া” নিচে লেখা নিলের নিলয়। খবর নিয়ে জানলাম ভদ্রলোক নিলয় আমার সাথেই এমন করে কিন্তু কেন করে মাথায় আসে না।। এমন করেই ১৫ দিন শেষ হয়ে গেলো।সেদিন হালকা বৃষ্টি ছিল,ইচ্ছে হলো ছাদে যায় কিন্তু নিলয়ের গানের প্যারায় রুম থেকেই বের হতে মন চাই না,আমি বুঝি না সময় মতো ঠিক গান কি করে মনে পরে,ফোনে টুং করে ম্যাসেজ আসার শব্দ হলো,চেক করে দেখি “এই বৃষ্টি ভেজা মিষ্টি দিনে বলো না কোথায় তুমি” যদিও রাগ হলো তাও ছাদে গেলাম।
আমারে দেখেই নিলয় গান ধরলো ” পাগল তোর জন্য রে পাগল এ মন” আমার কি বলা উচিত ভেবে না পেয়ে চুপ চাপ দাঁড়িয়ে আছি,, পাগল টার পাগলামি দেখতে দেখতে আজ ১৫ দিন শেষ,এই ১৫ দিনে পাগল টারে অনেক বেশি ই ভালো লেগে গেছে হয়তো এমন পাগলের হাত ধরে হাটা যায়। নিলয় আমার হাত টা ধরলো,ভাবলাম এইবার হয়তো কথা বলবে না আমার আশার আলো নিভিয়ে বান্দা বলল- তেরে হাত মে মেরা হাত হো সারে জান্নাতে মেরে সাত হোওওওও” না আর যায় হোক এই ভুল ভাল গান মানা যায় না,এক ঝাটকাতে হাত ছাড়িয়ে নিয়ে রুমে চলে আসলাম। ৭ দিন পরে, নিলয় তার বাবা মা নিয়ে আসছে,এখন নিলয় সবার সাথে ভালো করে কথা বলছে, আমি দরজার পিছনে দাঁড়িয়ে সবার কথা শুনছি,যেই না বিয়ের কথা ফাইনাল হলো দরজা লাগিয়ে আমার তো লুঙ্গি ডেন্স লুঙ্গি ডেন্স বিয়া করাম বিয়া করাম।।।। দরজায় কড়া নাড়ার শব্দ হলো
আমিঃকে?
ওপাশ থেকেঃআমি নিলয়
আমিঃতো
নিলয়ঃবলছিলা কথা বলা শিখলে কথা বলবা এইবার দরজা খুলো দরজা খুলতেই নিলয় ভেতরে আসলো
আমিঃবলেন
নিলয়ঃমুঝে সাদি করো গিইইইই ও রানী মুঝে সাদি করো গিইইই।
না এই বান্দর টা ভালো হবার না কিন্তু ভালোবাসি অনেক তাই উপায়ন্তর না দেখে বিয়ের সাজ সেজেয় নিলাম। বাসর রাতে বসে আছি ভাবছি কি হবে আজকে, আরে না ও সব না মানে ইয়ে গান না কথা কি যে বলবে। নিলয় রুমে ডুকতেই আমার বেহুস হওয়ার অবস্থা, কেমন সন্ন্যাসী সন্ন্যাসী ভাব
আমিঃএই তুমি ড্রেস চেঞ্জ করছো কখন
নিলয়ঃ সংসার আমার ভাল্লাগেনা সংসার বিষের বড়িইইই আমি ডানে বামে লাঠি খুজতেছি, ঠিক তখন ই নিলয় গান ধরলো “উত্তরে ভয়ঙ্কর জঙ্গল দক্ষিণে না যাওয়াই মঙ্গল ”
আমিঃহারেরেরেরে আমায় ছেড়ে দেরেরে আমার গান শেষ হতেই ধপাস করে একটা শব্দ হলো চোখ খুলে দেখি নিলয় বেহুশ। চোখে পানি দিয়ে জ্ঞান ফিরানোর পরে ওরে বললাম- স্বামী অনেক হয়ছে এই বার তোমার গানের ফুলঝুরি থামাও প্লিজ না হয় আমি গেলাম বাপের বাড়ি।
নিলয়ঃপারবো না আমি ছাড়তে তোকে, পারবো না আমি ছেড়ে বাচতে তোকে।
তারপরে ইসসস লেখিকা বলে কি লজ্জা নাই তারপরে কাহিনী ও পড়তে চাইছেন, হু।
সমাপ্ত