আজ অনেকদিন কোথাও বাটপারি করে টাকা পাচ্ছিনা।অনেক মেয়ের সাথে প্রেমের অভিনয় করে অনেক টাকা খেয়েছি। পকেটে হাত দিয়ে দেখি মাত্র দুই টাকা আছে। দেখি বাড়িতে গিয়ে ফেসবুকে কোন বোকা সোকা মেয়ে খুঁজে পাই কিনা।যেভাবেই হোক আমাকে চলতে হবে। এই ছাড়া আর কোন বিকল্প খুঁজে পাচ্ছিনা।এক একটা বন্ধু আমার কাছে হাজার খানেক উপরে টাকা পাবে। তাই সবাই আমাকে নাম উপাধি দিয়েছে লেয়াজুবাজ।
মা-বাবাও আমাকে পকেট খরচ দেয় না।টাকা খুঁজতে গেলে কত ধরনের লজ্জা দেয় এত বড় হয়েও বাবার কাছ থেকে টাকা খুঁজতে লজ্জ্বা লাগেনা।তাই এবার থেকে ভাবতেছি বাটপারি করে টাকা রোজগার করা ছাড়া আর কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছিনা।বাড়িতে এসে ফেক আইডি থেকে অনেক মেয়ে কে ম্যাসেজ দিলাম।কেউ একসেপ্ট করতেছেনা।অবশেষে ১০মিনিট পর একটা মেয়ে রিকুয়েস্ট একসেপ্ট করলো।মেয়েটির ফেসবুক আইডির নাম রুপকথা। হাই-হ্যালো সব কিছু বললাম কোন উত্তর পাচ্ছিনা। মনে মনে ভাবতেছি এগুলো তো কমন এসএমএস।বাকি ১০জন যেভাবেই এসএমএস দেয়, সেভাবেই দিলে বছরের পর বছর মেয়েটির ইনবক্সে ম্যাসেজ পড়ে থাকবে।তাই একটু অদ্ভুদ ভাবে ম্যাসেজ করা যাক।”এই যে শুনছেন ফেসবুক আইডির মালিক কি হারিয়ে গেছে?মনে হয় বিজ্ঞাপনে নিউজ দিতে হবে?
–একটা হাহা রিয়েক্ট দিয়ে বলল না হারিয়ে যাইনি। ” তাহলে আমাকে আর এত কষ্ট করে নিউজ দিতে হবে না।
–তাই নাকি। “জ্বি তাই।কি করছেন?
—এইতো একজন লেখকের গল্প পড়তেছি।আপনি? “আমি চাঁদের হিংসা করা মেয়েটার সাথে কথা বলতেছি ?
— চাঁদের হিংসা করা মেয়েটা আবার কে? ” এইতো এখন যার সাথে কথা বলতেছি?সেই মেয়েটার চাঁদের চাইতেও সুন্দর। চাঁদ আপনারে দেখে হিংসা করে তাহলে আপনি চাঁদের হিংসা করা মেয়েটা হইলেন না?
–বাহ্ বাহ্!এতো সুন্দর কথা কয়টা মেয়েকে বলছেন, নাকি শুধু আমাকে বলতেছেন? “ধুর কি যে বলেন?আমি এই প্রথম কোন মেয়েকে এসএমএস দিছি।আপনার নামটা ভাল লাগছে তাই। খুব সুন্দর নাম?
–এই যুগে তাহলে নামটা ও সুন্দর হয়। ” হুম হুম!এত সুন্দর নাম আগেই শুনিনি?নামটা কিআঙ্কেল নাকি আন্টি রাখছে?
–আমার আব্বু রাখছে। “দেখতেছি আঙ্কেলের পছন্দ আছে। মনে মনে ভাবতেছি দেখতে অনেক পয়সাওয়ালার মেয়ে মনে হবে।সময় হলে তোমাকে আমি রুপকথার রাণী থেকে পাতালপুরীর রাণীর কাছে পাঁঠিয়ে দিব। এভাবেই ১৫দিন পর রুপকথাকে ভালবাসার প্রস্তাব দিলাম। ” আচ্ছা রুপকথা তোমার মনের ভিতর একটা প্লট লাগবে।আমায় দিবা।
—নিয়ে যাও? “ফ্যাসিলিটি তোমার প্লটে কি কি আছে?
—এক কথা সব আছে? ” আমারতো শুধু ভালবাসার ফ্যাসিলিটি লাগবে।
—বাহ্?
“ওহে ওহে!তার পর ভালবাসার তিন অক্ষরের কথাটা বলে ফেললাম। এতো সুন্দর ভাবে চ্যাট হচ্ছে কত রোমান্টিক ভাবে কথা বলতেছি, আর মনে মনে ভাবতেছি প্রেম এর অভিনয় করে অনেক বড় অংকের টাকা নিবো।বুঝতে পারবা তখন কত ধানে কত চাল।অবশেষে রুপকথার সাথে আমার প্রেম হয়ে গেলো।কিন্তু রুপকথা আমার কাছে পিকচার খুঁজলো আমি দিছি।আর রুপকথার কাছে পিকচার চাইলে মুখের অর্ধেক হাতের পিকচার, পিছনের পিকচার,পায়ের পিকচার,এর চেয়েও আর বেশজ কিছু দেয় না।পিকচার চাইলে বলে সোনা তুমি আমাকে সরাসরি দেখবা।ফেসবুকে দেখে কি করবা সরাসরি আমাকে দেখলে ঘুরে পড়ে যাবা।
আমি কিছুক্ষণ চ্যাট অফ করে ভাবতেছি এত বোকা নির্বোধ মেয়ে আছে কখনো ভাবতে পারেনি।এখন তোমার সাথে প্রেম করে পকেট চালানো আমার একমাত্র উপায়। জানু তুমি কথা বলতেছো না কেনো।তুমি কি রাগ করছো।আচ্ছা আমরা কালকে দেখা করবো। এইবার খুঁশি তুমি। সত্যি তুমি দেখা করবা।আমি খুঁশি না শুধু আমার খোদা পর্যন্ত খুশি হয়ে গেছে।
—-আমি কালকে ধানমন্ডি ৩২ লেকের সামনে যে রেষ্টুরেন্ট টা আছে।বাম পাশে একটা নৌকা ঘাট আছে ওইখানে দাঁড়িয়ে থাকবো, আর আমার গায়ে কালো বোরখা থাকবে।তুমি আমাকে কল দিবেনা আমি নিজে তোমাকে ইশারা দিবো হাত দিয়ে।
“আচ্ছা ঠিক আছে?
কালকে প্রথমদিন রুপকথাকে আমি খাওয়াতে হবে।বাবার পকেট থেকে ৫০০টাকা মেরে সুন্দর ভাবে চলে গেলাম ধানমন্ডি ৩২। অবশেষে আমাকে হাত দিয়ে ইশারা দিয়ে ডাকলো। আমি রুপকথার সামনে যাই।রুপকথা আমার সাথে কথা বলতেছেনা শুধু তাকিয়ে আছে। মনে মনে বললাম প্রথম দিনতো তাই লজ্জ্বা পাচ্ছে। আমি বললাম কোথাও গিয়ে বসি আর কথা বলি। ও আমাকে হাত দিয়ে ইশারা করে বললো একটু সামনে গিয়ে বসতে। আমি রুপকথা কে নিয়ে ওই জায়গাটার কাছে যাই।আমার মধ্যে চোরের মত প্রশ্ন আসলো। এই জায়গাটা নিরিবিলি কেউ নাই।যা করতে হবে এখানে করতে হবে।
আচ্ছা রুপকথা আমি কি তোমার হাতটা ধরতে পারি। ও কিছু বলতেছেনা।হাত ধরে দেখি ছেলেদের মত পশম। আমি বললাম তোমার হাতে ছেলেদের মত এত পশম কেন। কিছুক্ষপর দেখি চারপাশে আমাকে ঘেরাও করে ফেলছে। আমাকে বলছে যা আছে দিয়ে দেয় না হলে গুলি করে খুলি উঠিয়ে দিবো।এতক্ষণ যার সাথে প্রেমের আলাপ করছি সে হলো রুপকথার গল্পের ভিলেন। মানেই আমি এতদিন ছেলের সাথে প্রেম করছি। ওরা আমার সব কিছু কেড়ে নিয়ে গেলো ।পুরো শরীর থেকে সব খুলে নিয়ে গেছে। হাফপ্যান্ট টা ধরে অবাক হয়ে বললাম বাপের ও বাপ আছে।