কেয়ারফুল

কেয়ারফুল

” আপনাকে এক গ্লাস সরবত করে দিব? ” এই কথা বলে অতিথি দাড়িয়ে তাকল। শাড়ির আচল টা শুধু পেঁচাতে লাগল। আমি জুতা টা খুলতে খুলতে বললাম ” তোমার কাছে আমি সাহায্য চেয়েছি? ”

মেয়েটা চুপ করে দাড়িয়ে আছে। আমি জুতা টা আলমারি মধ্যে রেখে ফ্রেশ হতে গেলাম। অনেক ক্লান্ত লাগছে। সারাদিন অফিসের কাজ করে এসে কিছু ভালো লাগে না। একটু আলো ফেলে অনেক ভালো হতো। আলোর দিকে চেয়ে তাকতাম। চুপচাপ হয়ে তাকতে এখন অনেক ভালো লাগে। টেবিলের মধ্যে সব ধরণের তরকারী রাখা আছে। আমি সব কিছু পছন্দ করি। কিন্তু একটা জিনিষ পছন্দ করি না। সেটা হলো আলু। আমার খেতে ভালো লাগে না। আমি খাইতে ছিলাম অতিথি আমার পাশের চেয়ারে বসে আছে। মেয়েটা দিন দিন রোগা হয়ে যাচ্ছে। আমার খুব ভালো লাগছে। হউক তাতে আমার কি? আমি একটু আরাম করে খেতে লাগলাম। একটাবার বলে নি অতিথি তুমি কি খাবে? এমন সময় আমার অফিসের কলিগ কল দিল। আমি সুন্দর করে বললাম ” কি ম্যাডাম রাতের খাবার খেয়েছেন?”

মেয়েটা আমার পাশ থেকে উঠে ছাদে দাড়িয়ে তাকল। আমি খাওয়া দাওয়া শেষ করে একটা বই নিয়ে ছাদে একটা চেয়ারে বসে গল্প পড়তে তাকলাম। গল্প পড়ছি আর হাসছি। কি সুন্দর কথা। ভালবাসায় কোনো রং তাকতে নেই।

মেয়েটা চাঁদেরকণার দিকে চেয়ে আছে। একবার আমার দিকে তাকাচ্ছে। আরেকবার চাঁদেরকণার দিকে তাকাচ্ছে। মেয়েটার চোখের কোণে পানি।

আসুক তাতে আমার কি? আমি গল্পের বইটা পড়তে তাকলাম।

শেষ বিকালবেলা হাটতে ভালো লাগে। বিকালবেলা শেষ হলেই যেন ক্লান্তি টাও শেষ। ক্লান্তি জিনিষটা অনেক বিরক্তিকর। মাঝে মাঝে শরীর টা কেঁপে উঠে। শরীর টা যেন আজকাল শুত্রু হয়ে গেছে। নিজের কথা মতো চলে না। সব কিছুতে বাধা হয়ে দাড়ায়। পকেটের ভিতর একটা শব্দ হলো আমি বুঝতে পারছি কেউ কল দিয়েছে। মোবাইল টা বের করে দেখলাম অতিথি কল দিয়েছে। আমার কথা বলতে ইচ্ছা করছে না । আবার আরেক টা মিসকল দিল। এবার কল দিয়ে চুপ করে তাকলাম। মেয়েটা বলল ” আপনি আমাকে ঘুরতে নিয়ে যাবেন। আমি রাস্তার সামনে দাড়িয়ে আছি। আমার খুব ইচ্ছে হলো বিকালবেলা উপভোগ করব।”
আমি না করতে পারলাম না। আমার কেন যেন মনে হলো তাক মেয়েটার ইচ্ছে টা পূরণ করি।

আমরা দু’জন হাটছি। মেয়েটা হঠাৎ বলল ” আমার ছোটবেলার অনেক কাহিনী শুনবেন? ”
আমি খুব আগ্রহ নিয়ে বললাম শুনব।

মেয়েটা শাড়ির আচল পেঁচাতে পেঁচাতে বলল ” আমি প্রতিদিন ঘুম থেকে উঠে সাদা- নীল আকাশ টার দিকে চেয়ে তাকতাম। জানেন আমার না খুব ইচ্ছে হতো কেউ আমার হাত টা ধরে হাটবে। আমার নরম হাতের স্পর্শ পেয়ে ছেলেটা বলবে ভালবাসি। আকাশ টা সাক্ষী হয়ে তাকবে। মাঝে মাঝে আকাশ রাগ করে আমাদের কে তার কান্না দেখাবে বৃষ্টির মাধ্যমে। মা আমাকে অনেক গালাগালি করতেন। যখন ঘুমাইতাম তখন ঘুম থেকে উঠতে চাইতাম না। মা আমার শরীরে অনেকদিন পানিও দিয়েছেন। আমি উঠে শুধু কান্না করতাম। বাবা আমাকে অনেক ভালবাসতেন। বাবা আমাকে রাগানোর জন্য বলতেন ” তোকে একটা শালিক পাখির সাথে বিয়ে দিব। শালিক পাখি তুই দেখবি ? তাইলে তুই আম গাছের উপরে গিয়ে দেখ। আমি সেখানে ছুটে যেতাম। ইশ! কত সুন্দর পাখি টা। মাও বলতেন শালিক পাখির বউ। আমি শুধু শালিক পাখির দিকে চেয়ে হাসতাম। লজ্জাও পাইতাম। আমার ছোট ভাই আমাকে ঘুমাতে দিত না। আমি রাতে ঘুমালে মুখের মধ্যে লবণ দিত। মাঝে মাঝে অনেক মারতাম।স্কুল থেকে আসার সময় প্রতিদিন চকলেট কিনে আনতাম। একদিন কিনে আনে নি তাই অনেক কান্না করেছিল। আমার একটা বই ছিঁড়ে ফেলেছিল। আমার ভাইটা সাইকেল চালাতে পারত না। আমি ছোটবেলায় সাইকেল চালাতে শিখেছিলাম। বাবা শিখিয়ে ছিলেন। স্কুল জীবনে একদিন প্রথম হয়েছিলাম। পুরষ্কার টা বাবার হাতে দিয়েছিলাম। বাবা অনেক খুশি হয়ে ছিলেন। জানেন আমি জানি আপনি কেন আমাকে পছন্দ করেন না। মা মারা যাওয়ার পর বাবা আমাকে বিয়ে দিয়েছিলেন। ছেলে টার স্বভাব ভালো ছিল না। প্রথম আমরা জানতাম না। আমার শ্বশুরবাড়ি অনেক বড়লোক ছিলেন। ছেলেটা একদিন আমাকে মারে। আমি কাউকে বলি নি। কয়েকদিন পর ছেলে টা আবার আমাকে মারে। এরপর বাবা আমাকে একদম মুক্ত করে আনেন। তারপর কয়েকবছর পর শুনলাম বাবা আমাকে আবার বিয়ে দিবেন আর সে ছেলেটা আপনি নিজে। ”

এরপর মেয়েটা আর কথা বলে নি চুপ করে আছে। আমার কোনো চিন্তা নেই। নেই কোনো আবেগ।

যোহরের সময় ঘুম থেকে উঠলাম। আকাশে অনেক বৃষ্টি। এক ফুটা দুই ফোটা করে পড়তেই শুরু করল। নামাজে যাব। অতিথি আমাকে একটা ছাতা দিল। নামাজ শেষ করে বাসায় আসতে যাব ঠিক তখন রাস্তায় পড়ে গেলাম। পাঞ্জাবি টা একদম ভিজে গেল। বাসায় আসতেই অতিথি বুঝতে পারল। অতিথি বলল ” পাঞ্জাবি টা দেন ধুয়ে দিচ্ছি।”

আমি ল্যাপটপ নিয়ে বসলাম। অফিসের অনেক কাজ করতে হয়। সব কাজ একা আমাকে ঐ করতে হয়। একটু সময় পর অতিথি ডাক দিল। আমার কাছে এসে বলে ” আপনার জন্য পিঠা করেছি। টেবিলে যান। খাবেন।”
ইশ! অনেক দিন পর পিঠা খাচ্ছি খুব ভালো লাগছে। নিজের ইচ্ছা মতো করে পিঠা খেতে লাগলাম।

এখন তো বৃষ্টির দিন। তাই বাজারে ভালো ভালো মাছ পাওয়া যায়। দেখতে যেমন সুন্দর তেমনি খেতেও মজা। আমি অনেক ইচ্ছা করে মাছ টা কিনে এনেছিলাম। বাসায় এসে অতিথি কে বললাম ” এই মাছ টা ভালো করে পিয়াজ আর তেল বেশি দিয়ে রান্না করবে।”

রাতে খেতে বসলাম। অনেক খিদা লাগছে। যখন খেতে বসলাম তখন মনে মনে ভাবলাম অনেক ভাত খাব কিন্তু বেশি করে খেতে পারি নি। মাছ টা তেমন ভালো করে রান্না করতে পারে নি। অনেক রাগ উঠে ছিল কিন্তু নিজের মধ্যে রেখে দিলাম। অতিথি বুঝতে পারল রান্না ভালো হয় নি। অতিথিও মন খারাপ করল। মেয়েটার প্রতি এখন আমার অল্পতেই রাগ উঠে। অনেক রাগ উঠেছিল। জানালা টা খুলে বাহিরের দিকে চেয়ে তাকলাম। বাহিরের অনেক বাতাস। অল্পতেই মন টা ভালো হয়ে যায়।

সকালবেলা আজ ঘুরতে গেলাম। অফিস বন্ধ। স্যারের মেয়ের আজ জন্মদিন তাই রাতে সকলকে ডিনারের জন্য দাওয়াত দিয়েছেন। স্কুল মাঠে গিয়ে দেখলাম ছোট ছোট বাচ্চারা খেলা করছে। খুব সুন্দর দৃশ্য। অনেক রোদ। বাসায় আসতেই মেয়েটা আমার কাছে আসল। আমার কপাল টা মুছে দিল। শাড়ির আচল টা একদম ভিজে গেল। আমার কপাল টা মুছে দিতে গিয়ে । মেয়েটার প্রতি আমার রাগ হলো।মেয়েটার প্রতি ইচ্ছা মতো রাগ ঝাড়লাম। মেয়েটা মাথা নিচের দিকে করে আছে। রাগ করে বন্ধুর বাসায় চলে গেলাম। সেখানে রাতে তাকলাম। ঘুম টা কত আরাম করে হয়েছে বলে বুঝাতে পারব না। সকালে ঘুম থেকে উঠে পাখির শব্দ শুনতে পেলাম। সকালের সুন্দর দৃশ্য দেখতে হলে সকালে উঠতে হবে। রান্নাঘর থেকে কি মিষ্টি ঘ্রাণ। ইশ! তাও বুনা মাংস। খেতে কত ভালো লাগে। জিহ্বার পানি যেন একেবারে পড়ে যাচ্ছে। আমি সকালবেলা বাসায় আসলাম। বাসার আসার পর একটা চিরকুট পেলাম। আপনাকে মুক্ত করে দিলাম। কোনো অধিকার নিয়ে আপনার কাছে আসব না। আমি জানি আপনি আমাকে সহ্য করতে পারতেন না তবুও আপনার আশেপাশে তাকতাম। একটু ভালবাসার জন্য। কিন্তু ভালোবাসা তো জোরাজোরি করে আদায় করা যায় না। ভালবেসে সে ভালোবাসা টা আদায় করে নিতে হয়। কোনো দিন ভাবি নি আমার জীবনে প্রেম আসবে। না আমি পারি নি। আমি ভালবেসে ফেললাম। তাও আপনার মতো একজন গুনী মানুষকে। আমার ভালবাসা আপনার কাছে কিছু হবে না। আমি তো বোকা। তাই আপনাকে ভুলতেও পারব না। ভালো থাকবেন।

বাসায় আসার পর কেউ ব্যাগ টা হাতে নিয়ে বলে না ” বাসায় এতো দেরী করে আসেন কেন? তাড়াতাড়ি আসবেন। আমার ভয় করে।

“বাসায় কেউ আর চুল শুকায় না। ফ্যানের কাছে বসে কেউ গল্পের বই পড়ে না। রান্নাঘর থেকে বলে না ” আপনার জন্য চা করে নিয়ে আসব। ”
আমার বুকের ভিতর একটা ব্যথা অনুভব করতে পারলাম। কোনো দিন এমন ব্যথা অনুভব করে নি। আজ প্রথম তাও মেয়েটা কে ভাবতে গিয়ে। মেয়ে টা আমার মন টা প্রায় দখল করে আছে। ১৫ দিন পর অফিস থেকে আসার সময় অতিথির বাসায় গেলাম। অতিথি জানালার দিকে চেয়ে আছে। আমাকে দেখে রুম থেকে বের হয়ে অবাক চোখে দেখতে লাগল। মাথায় ঘুমটা দেওয়া। চোখের কোণে পানি। রাস্তায় আসার সময় অতিথির জন্য চকলেট, বাদাম কিনে ছিলাম। অতিথির হাতে দিয়ে বললাম ” অনেক খিদা লাগছে খাবার কি পাওয়া যাবে?”

” আছে তো। অনেক খাবার আপনার জন্য করে রেখেছি। জানেন পথের দিকে আপনার জন্য চেয়ে তাকতাম। আপনি আসবেন বলে কিন্তু আপনি এতো দিন আসেন নি। আশেপাশের লোকজন আমাকে নিয়ে অনেক কথা বলতো । আমি নাকি অতবাকা। আমি নাকি একটা অভিশাপ। আমাকে নাকি কেউ ভালবাসবে না । আমার নাকি ঘরবাঁধার কোনো যোগ্যতা ঐ নাই। আমার অনেক কষ্ট হতো। আমার বুকের ভিতর আপনাকে হারানোর ভয় ছিল। নিজেকে খুব অসহায় লাগত। আয়নার দিকে চেয়ে চেয়ে কান্না করতাম। বাবা অনেক সময় বুঝে যেতেন। কিন্তু আমি না বুঝার ভাণ করতাম। আপনার পছন্দের পিঠা তৈরি করে রেখেছি।”

আমি কিছু বললাম না। মেয়েটার প্রতি আরেকটুকু ভালোবাসা বেড়ে গেল। রাতে দু’জন ছাদের উপরে বসে আছি। দূর থেকে বাশির শব্দ আসছে। খুব মনযোগ দিয়ে শুনতে লাগলাম। জানো অতিথি কোনো দিন প্রেম করে নি। প্রেম কি বুঝতাম না। প্রেম শব্দ টা বুঝতাম ফালতু কিন্তু আমি তোমার প্রেমে পড়ে হাবুটুবু খাচ্ছি। আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি। তোমার প্রেমে পড়ে গেছি আমি বুঝতেই পারি নি। যখন তুমি আমার কাছ থেকে চলে আসলে তখন বুঝতে পেলাম ভালবাসা এমনি এমনি হয়ে যায়। ভালোবাসা টা একটা ছুয়াচ্ছি রোগ।

জানো অতিথি আমার ভালবাসা ভারসাম্যহীন –
উঁচু – নিচু। ভাঙ্গা – চোরা খানাখন্দময়।
জানো অতিথি আমি চাইনা আমাকে কেউ ভালোবাসুক। আমি চাই শুধু আমি অফিস থেকে আসার পর আমার ব্যাগ হাত নিয়ে বলবে ” অফিস থেকে এতো দেরী করে আসেন কেন? তাড়াতাড়ি আসবেন।
আমি চাই কেউ আমাকে পাহারা দেউক। আমি যখন খেতে বসব তখন কেউ আমার দিকে চেয়ে থাকুক। মশা মাছি যেন আমার উপর না পড়ে সেদিকে কেউ খেয়াল রাখুক। আমি যখন বাজারে যাব তখন সে যেন আমাকে বলে ” বাজার থেকে আসার সময় আমার জন্য আইসক্রিম কিনে আনবেন।”

আমার কাপড়চোপড় আমি নিজে পরিষ্কার করতে পারি। কিন্তু জানালা টা যেন সে খুলে দেয়। এতেই আমি খুশি।
অতিথি আমার দিকে চেয়ে বলে ” আমাকে এতো ভালবাসতে হবে না। শুধু আপনার পাশে তাকার একটু সুযোগ করে দিবেন। আমাকে মাসে মাসে শপিং করে দিতে হবে না । একটা শাড়ি কিনে দিলেই হবে। এতেই আমি খুশি। ”
অতিথি আমার কাধে মাথা টা রাখল। বাঁচতে হলে আনন্দ দরকার। কষ্ট নিয়ে বাচা যায় না।

একটা রিক্সা করে বাসায় আসছি। অতিথি কেমন লজ্জা লজ্জা ভাব নিয়ে বসে আছে। মাথায় ঘুমটা টা দিয়ে মুখ টা ঘুরল । আমার লজ্জা নেই। আমি বললাম ” কি হলো?”
অতিথি ঘুমটার ভিতর থেকে বলল “আমার ছোট বেলার স্যার।”
মুচকি হাসি দিয়ে কিছু বললাম না।
শেষপ্রান্তে এসে রিক্সা থেকে নেমে গেলাম । অতিথি বসে আছে। আমি বললাম ” নামবে না? ”
অতিথি বলল ” আমাকে কেউ নামায় নি তাই আমি নামব না।”

মুখে ভেংচি দিয়ে অন্যদিকে চেয়ে রইল। আমি বুঝতে পারছি। বললাম ” আমার হাতে ধরো। ”
অতিথি আমার হাতে হাত ধরে নামল। মুচকি মুচকি হাসি দিয়ে হাটতে তাকল ।
ভালোবাসা টা অন্য রকম। আপনি নিজে সুখ খুজে নিতে হবে তাইলে সুখ পাওয়া যায়।

ঘুমিয়ে আছি। এমনসময় অতিথি বলল “কেয়ার ফুল চাই।”
আমি তো অবাক। মেয়েটা বলে কি?
বললাম ” এখন পারব না। এখন অনেক রাত হয়েছে।”
মুচকি হাসি দিয়ে বলে ” এখনও রাত হয় নি। মিথ্যা কথা বলেন কেন?”
আমি অভিমান করে বসে আছি। কোনো কথা বলছি না।
“কি হলো কথা বলেন না কেন?”
দাঁতের মধ্যে দাঁত রেখে একদম চুপ করে বসে আছি অতিথি বুঝতে পারছে অভিমান করছি।
“অভিমান কেন করলেন?”
বললাম ” আমাকে তুমি আপনি করে বলেন কেন? ”
অতিথি হাসি দিয়ে বলল ” ঠিক আছে অভিমান করতে হবে না। এখন থেকে তুমি করে বলব। খুশি তো।
কিন্তু আমার কেয়ারফুল কে এনে দিবে? ”
ভাবতে লাগলাম কি বলব। বললাম ” কাল রাতে আসার সময় কিনে এনে দিব। এখন ঘুমিয়ে পড়ো। হেহেহে। ”

সমাপ্ত।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত