-“শোনো তানির মা, তুমি যদি তিন দিনের মধ্যে আমার পাওনা টাকা না দাও, তাইলে কিন্তু তোমারে আমি ভিটা ছাড়া করমু। মনে রাইখো”
বারেক আলীর কথায় চমকে ওঠে আছিয়া। পাশে আঁচল ধরে দাঁড়িয়ে থাকা তানিকে ডান হাত দিয়ে নিজের সাথে শক্ত করে চেপে ধরে। তারপর কাতর গলায় বারেক আলীর উদ্দেশ্যে বলে,
-“আমারে আর কয়টা দিন সময় দেন। আপনে তো জানেনই আমার অবস্থা। আমি তিন দিনের মধ্যে ওতো টাকা ক্যামনে জোগাড় করমু।”
-“আমি বাপু ওতো শতো বুঝিনা। তুমি এক বছর হইলো টাকা নিছো। কিন্তু এহুনো দেওয়ার নাম নাও না। নেহাত তুমি বিধবা, আর ঘরে বাচ্চা একটা মাইয়া আছে, তাই কিছু বলিনা। কিন্তু আর কয়দিন চুপ কইরা থাকমু?”
-“আমারে আর তিন মাস সময় দেন। আমি তো আর আপনার টাকা নিয়া পালাইয়া যাইতেছি না। ঠিক দিয়া দিমু আমি।”
-“তোমার তিন দিনের মধ্যেই টাকা দিতে হইবো। আমি তিন দিন বাদে আবার আসমু। এহুন গেলাম।”
আছিয়াকে আর কিছু বলার সুযোগ না দিয়ে চলে গেল বারেক আলী। বারেক আলী এই গ্রামের সবচেয়ে ধনী লোক। তিনি গ্রামের লোকের বিপদের সময় চড়া সুদে টাকা ধার দেয়। আর সেই টাকার জোরেই সে এখন গ্রামে নিজের আধিপত্য বিস্তারে ব্যস্ত।
আছিয়া একই গ্রামের অসহায় একজন নারী। যে বাড়ি বাড়ি কাজ করে সংসার চালায়। সংসার বলতে সে আর তার এগারো বছরের মেয়ে তানি। স্বামী গত হয়েছে চার বছর আগে। তারপর থেকেই আছিয়ার কষ্টের দিন শুরু।
গত বছর তানির টাইফয়েড হলে বারেক আলীর থেকে পাঁচ হাজার টাকা ধার নিয়ে মেয়ের চিকিৎসা করিয়েছেন আছিয়া। কিন্তু এখনো সেই টাকাটা দিতে পারেনি সে। প্রতি মাসে সুদের পাঁচশত টাকা দিতেই হিমশিম খেতে হয় তাকে। সেটাও কয়েক মাস ঠিক মতো দিতে পারেনি। তাই সুদ আর আসল মিলিয়ে টাকার হিসাবটা বেড়ে আট হাজারে দাঁড়িয়েছে। যা একসাথে দেওয়া আছিয়ার পক্ষে অসম্ভব।
আছিয়া ভেবে পায়না এতো টাকা সে কিভাবে শোধ করবে। কিন্তু টাকা শোধ করতে না পারলে ভিটে ছাড়া হতে হবে। সম্বল বলতে শুধু এই ভিটে টুকুই। এটা চলে গেলে মেয়েকে নিয়ে কোথায় যাবে ভেবে পায়না আছিয়া। সারাদিন কাজ আর রাতে মেয়েকে বুকে জড়িয়ে তিন দিন কাটিয়ে ফেলে সে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করেও টাকার জোগাড় করতে পারেনা। তিন দিন পর সকাল বেলা আছিয়া যখন মেয়েকে নিয়ে কাজে যাচ্ছিলো তখনই পথ আটকায় বারেক আলী। নিমের ডাল দিয়ে দাঁত খোঁচাতে খোঁচাতে বলে,
-“কি গো আছিয়া, তিন দিন কিন্তু হইয়া গেছে। টাকা জোগাড় করছো?” আছিয়া মাথা নিচু করে জবাব দেয়,
-“না।”
-“বলো কি, এহুন তো তাইলে তোমারে ভিটা ছাড়া হইতে হইবো।”
-“আট হাজার টাকার জন্যে আপনে আমারে ভিটা ছাড়া করবেন?”
-“তো আর কি করার আছে আমার। তুমি যেহেতু টাকা দিবাই না, সেহেতু আমার টাকা তো আমারেই উসুল কইরা নিতে হইবো।”
-“আমি টাকা দিমুনা তো বলি নাই। আমি বলছি আমারে আর তিনটা মাস সময় দেন।”
-“শোনো তানির মা, আমি আর সময় দিতে পারমু না। তবে তুমি চাইলে পুরা টাকাটাই মাফ কইরা দিতে পারি। যদি..”
“যদি” শব্দটা একটু টেনে বলেই থেমে যান বারেক আলী। চোখ দিয়ে বোঝানোর চেষ্টা করে সে কি চায়। আছিয়া তার চাহনি বুঝতে পেরে ঘোমটাটা আরো ভালো মতো টানতে টানতে বলে,
-“কি কইতে চান আপনে?” এদিক ওদিক একবার তাকিয়ে আছিয়ার দিকে আরেকটু এগিয়ে আসে বারেক আলী। বলে,
-“তুমি বোঝো না আমি কি চাই? তোমার সব টাকা মাফ কইরা দিমু। তোমার মাইয়ার সব দায়িত্ব নিমু। খালি তুমি একবার রাজি হইয়া যাও। কেউ কিছুই জানবে না। আমি রাতের অন্ধকারে তোমার ঘরে যামু, আবার বেলা ওঠার আগেই চইলা আসমু। তোমার মাইয়ার জন্যে আরেকখান ঘর তুইলা দিমু। ও ওই ঘরেই থাকবে। আর আমি তো প্রতিদিনই যামুনা। তুমি রাজি হইয়া যাও আছিয়া। তোমার তো জামাই নাই। আমি তো বুঝি তোমারে।” আছিয়া ঘৃণা ভরা দৃষ্টিতে বারেক আলীর দিকে তাকিয়ে বলে,
-“ছিঃ, শরম করে না আপনার? নিজের ঘরে তো চান্দের মতো একখান বউ আছে। তাও অন্যের বউয়ের প্রতি লোভ জাগে?”
-“সবার বউয়ের প্রতিই জাগে না। খালি তোমার প্রতিই জাগছে।”
-“আপনের মুখে থুথু ফেলতে ইচ্ছে করছে আমার। আমি কাল যেভাবে পারি আপনের টাকা দিয়া দিমু। এহুন পথ ছাড়েন।” আছিয়ার কথায় প্রচন্ড রেগে গেলো বারেক আলী। দাঁতের ওপর দাঁত চেপে বলল,
-“কি কইলি তুই! আমার মুখে থুথু ফেলতে চাস? দেখ আমি তোর কি হাল করি। তোরে শুধু ভিটা ছাড়া করমু না, মাথা ন্যাড়া করে গ্রাম ছাড়াও করমু।”
কথাটা বলেই হনহন করে চলে যায় বারেক আলী। সেদিকে কিছুক্ষণ তাকিয়ে থেকে মেয়েকে নিয়ে বাড়ির দিকে পা বাড়ায় আছিয়া। আজ আর কাজে যায়না সে। মেয়েকে জড়িয়ে ধরে কাঁদে কিছুক্ষণ। আছিয়া জানে বারেক আলীর ক্ষমতা। সে যা বলে তাই করে। নিজের কপালে যে কি পরিমান দুর্দশা আছে তা ভাবতেই গা শিউরে ওঠে তার। তানিকে বাড়িতে থাকতে বলে সে বের হয় টাকার উদ্দেশ্যে। আপাতত কারোর থেকে টাকা নিয়ে বারেক আলীর টাকাটা শোধ করতে পারলেই বাঁচে সে। সারাদিন পুরো গ্রাম ঘুরেও কারোর কাছে থেকে টাকা পায়না আছিয়া। কেউই ওকে এতো টাকা ধার দিতে রাজি হয়না। হতাশ হয়ে বাড়ি ফেরে সে। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই গ্রামের সকল মুরুব্বি আর দলবল নিয়ে আছিয়ার বাড়িতে হাজির হয় বারেক আলী। উঠোনে দাঁড়িয়ে ডাকে,
-“তানির মা, বাড়িতে আছো?”
আছিয়া ডাক শুনে ঘর থেকে বের হয়ে আসে। উঠোন ভর্তি লোকজন দেখে অবাক হয়না সে। যেন এমন কিছু হবে সে আগে থেকেই জানতো। তবে এতো লোকজন দেখে প্রচন্ড অবাক হয় তানি। তবে মা মেয়ে অবাকের চুড়ান্তে পৌঁছায় তখন, যখন কেউ একজন বলে ওঠে,
-“তুমি নাকি বারেক আলীর থেকে বিশ হাজার টাকা নিছো? আবার তা নাকি অস্বীকার ও করো? বারেক আলী আমাদের কাছে নালিশ দিছে। তার কাছে সাক্ষী ও আছে।” সাথে সাথে ভীড়ের মধ্যে থেকে কয়েকজন বলে ওঠে,
-“হ্যাঁ হ্যাঁ, আমরা সাক্ষী আছি।”
আছিয়া চুপ করে থাকে। কিছু বলে না। কারণ সে জানে তার কথা এখানকার কেউই বিশ্বাস করবে না। তাই সত্যি কথা বলে কোনো লাভ নেই। কেউ একজন আবার বলে ওঠে,
-“শোনো, বারেক আলী আমাদের সব বলছে। তুমি তারে কু প্রস্তাব ও দিছো। কিন্তু সে রাজি হয় নাই।” এসব শুনে তানির চোখ লাল হয়ে যায়। চিৎকার করে বলে,
-“সব মিথ্যা কথা। আমার মা ওর থেকে বিশ হাজার টাকা নেয় নাই।
পাঁচ হাজার নিছিলো, কিন্তু এহুন সুদ দিয়া আট হাজার হইছে। আর আমার মা ওরে কুপ্রস্তাব দেয় নাই। ওই বেটাই আমার মারে কুপ্রস্তাব দিছে। আমি নিজে সাক্ষী আছি।” তানির এমন কথায় একটু অবাক হলো সবাই। বিশেষ করে বারেক আলী। সব সময় চুপচাপ থাকা মেয়েটা এসব কিভাবে বলল! তবে আর সুযোগ দিলো না সে। একটু মন খারাপের ভাব নিয়ে বলল,
-“দেখছেন, মাইয়াটাও মায়ের মতোই হইছে।” একজন বলল,
-“হুম, তাই তো দেখতেছি। মাইয়াটা বেশ বেয়াদব হইছে। শোনো তানির মা, আমরা ঠিক করছি তোমার মতো এমন নষ্ট মাইয়ারে গাঁয়ে রাখমুনা। কাল সকাল দশটায় বটতলা সালিশ হইবো। হাজির থাইকো তুমি। আমরা এখন যাই।”
আছিয়া যেন কথাগুলো শুনে আকাশ থেকে পড়লো। ছলছল দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলো উঠোনে দাঁড়িয়ে থাকা মানুষ গুলোর দিকে। কিছু মানুষ কখনোই প্রতিবাদ করতে পারে না। তাদের মধ্যে আছিয়া একজন। সে শুধু সব অন্যায় সহ্য করে চোখের পানি ফেলতে জানে। কিন্তু তানি অন্যায় সহ্য করতে পারেনা। তানি বেশ বুঝতে পারছে তাদের সাথে কতভাবে অন্যায় করা হচ্ছে। শুধু অন্যায় করা হচ্ছে না, মিথ্যে বদনাম ও দেওয়া হচ্ছে। প্রথমত বিশ হাজার টাকা নেওয়ার বদনাম। দ্বিতীয়ত তার মায়ের নামে কুপ্রস্তাবের বদনাম। তানি নিজে দেখেছে কে কাকে কুপ্রস্তাব দিয়েছে। কিন্তু তাদের কথা কেউ বিশ্বাস করবে না। উল্টো আরো তার মাকে নষ্টা বলে গেল। কাল তো আরো কতকিছু বলবে, আর কতকিছু করবে ভাবতেই চোখ লাল হয়ে যায় তানির। সে কিছুতেই অন্যায় মানবে না। মিথ্যা দোষে শাস্তি ও পাবে না। যে অন্যায় করেছে সে শাস্তি পাবে। আর শাস্তি দেবে তানি নিজেই।
কিছুক্ষণ চুপচাপ বসে অনেক কিছু ভাবলো তানি। তারপর হুট করে উঠে এক দৌড়ে ঘরে ঢুকে মাটির ব্যাংকটা ভাঙলো সে। কয়েকটা খুচরো পয়সা বের হলো সেটা থেকে। তানি গুনে দেখলো সাতান্ন টাকা। টাকাগুলো নিয়ে আবার এক দৌড় দিয়ে বাড়ি থেকে বের হয়ে গেল সে। আছিয়া এসব লক্ষ্য করলেও কিছু বলল না। তার মাথায় এখন শুধু কালকের চিন্তাই ঘুরছে। সন্ধ্যার দিকে তানি বারেক আলীর বাড়িতে গেল। বারেক আলী তখন বারান্দায় পায়চারী করছিল। তানিকে দেখে সে খানিকটা অবাক হয়ে বলল,
-“কি রে, কি চাই?”
-“মা একটা কথা বলার জন্য পাঠাইলো।”
-“কি কথা?”
-“মা আপনেরে যাইতে কইছে।” কথাটা শুনে যেন চোখ দুটো চকচক করে উঠলো বারেক আলীর। বলল,
-“কখন যাইতে কইছে?”
-“নয়টার দিকে। কিন্তু একখান সমস্যা আছে।”
-“কি সমস্যা?”
-“আমাদের বাড়িতে যাইতে যদি আপনারে কেউ দেখে তাইলে তো আপনের দুর্নাম হইবো। তাই মা আপনারে মাচাল ঘরে যাইতে বলছে।”
-” তাইলে তো আরো ভালো। আচ্ছা তুই এহুন যা।”
-“আচ্ছা, আগে ভাগেই যাইয়েন কিন্তু।”
বারেক আলীর সাথে কথা শেষ করেই দোকানে যায় তানি। নিজের কাছে থাকা পুরো টাকাটা দিয়ে কেরোসিনের তেল কিনে নেয় সে। তারপর হাঁটা দেয় মাচাল ঘরের উদ্দেশ্যে। মাচাল ঘরটা গ্রামের একদম শেষে, নদীর সাথে। এটা বানানো হয়েছে মাছ পাহারা দেওয়ার জন্য। নদীর এই অংশটা বারেক আলীর দখলে। সে এখানে মাছ চাষের যাবতীয় ব্যবস্থা করে ফেলেছে। এখন শুধু মাছ ছাড়ার অপেক্ষা। আর মাছ ছাড়ার পর মাছ যেন কেউ চুরি করতে না পারে তার জন্য একজন পাহারাদার রাখতে হবে। যে রাতে নদীর পাশে থাকবে আর মাছ পাহারা দেবে। আর তার থাকার জন্যই বানানো হয়েছে মাচাল ঘর। মাচাল ঘর সাধারণত বড় একটা বাঁশের মাচা। যার চার পাশে বাঁশের চাটাই দিয়ে বেড়া দেওয়া। এমনকি ওপরের চালটাও বাঁশের চাটাই দিয়েই দেওয়া।
তানি একগাদা খড় ও কেরোসিন তেলের বোতলটা নিয়ে মাচাল ঘরে ঢুকলো। খড় গুলো মাচালের ওপর সুন্দর করে বিছিয়ে দিয়ে তার ওপরে আবার একটা ওড়না বিছিয়ে দিলো। বিছানা মোটামুটি তৈরি হয়ে গেলে তানি কেরোসিন তেলের বোতলটা মাচালের নিচে এক কোণায় রেখে দিয়ে বিছানার ওপর উঠে বসে অপেক্ষা করতে লাগলো বারেক আলীর জন্য। বারেক আলী সাতটার দিকেই খাওয়া দাওয়া শেষ করে রওনা দিলো মাচাল ঘরের উদ্দেশ্যে। তার যেন তর সইছে না। হাজার রকম কল্পনা করতে করতে সে মাচাল ঘরে পৌঁছালো। কিন্তু সেখানে আছিয়ার পরিবর্তে তানিকে দেখে সে বেশ অবাক হয়ে বলল,
-“কিরে, তুই এখানে ক্যান?”
-“মা বলল তার আসতে একটু দেরি হইবো। তাই আমি আপনারে জানানোর জন্য এখানে বসে ছিলাম।” বারেক আলী একটু হতাশ হয়ে বলল,
-“ঠিক আছে। তুই যা।” তানি বারেক আলীর কথায় পাত্তা না দিয়ে বলল,
-“মা না আসা পর্যন্ত আপনে শুইয়া থাকেন। আমি আপনার পা টিপা দেই।”
-“আচ্ছা দে।”
বারেক আলী খড়ের বিছানায় শুয়ে পড়লো। আর তানি পা দিপে দিতে লাগলো তার। একসময় চোখ লেগে এলো বারেক আলীর। আর খুব তাড়াতাড়িই ঘুমিয়ে পড়লো সে। বারেক আলীকে নাক ডাকতে দেখে সাবধানে মাচাল থেকে নামলো তানি। তারপর মাচালের নিচে থেকে কেরোসিন তেলের বোতলটা বের করে প্রথমে মাচালের চারপাশে ভালো করে ছিটিয়ে দিলো। তারপর ছিটিয়ে দিলো বেড়ার চারপাশে। তেল ছেটানো হয়ে গেলে মাচাল ঘরের একপাশে গেটের মতো করে কাটা চাটাই টা টেনে ভালো করে লাগিয়ে দিলো। যেন বারেক আলী বের হতে না পারে। শেষে নিজের হাতে থাকা ম্যাচের দিকে লাল হয়ে যাওয়া চোখ দিয়ে তাকিয়ে রইলো তানি।
পরদিন সকাল পুরো গ্রামের লোক জড়ো হয়েছে নদীর পাড়ে। আশেপাশের গ্রাম থেকেও এসেছে অসংখ্য দর্শক। সাথে পুলিশ তো আছেই। গ্রামের শেষ প্রান্তে বারেক আলীর মাচাল ঘরে গত রাতে আগুন লেগে কেউ একজন মারা গেছে। কে মারা গেছে কেউ বুঝতে পারছেনা। এখানে শুধু কিছু হাড়গোড় পাওয়া গেছে। তবে আশ্চর্যের ব্যাপার হলো গত রাতে বারেক আলী বাড়ি ফেরেনি বলে জানিয়েছেন তার স্ত্রী। তবে কি এটাই বারেক আলী? সকলের মনেই এক প্রশ্ন। তবে আছিয়ার মনের প্রশ্নটা ভিন্ন। সে এক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে তানির দিকে। সে স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছে তানির ঠোঁটের কোণে হাসি, আর চোখ জোড়ায় কেমন যেন মুক্তির আনন্দ।
সমাপ্ত