আতিয়া বেগম তার মেয়ের প্লেটে মাছের টুকরা দিয়েছে একটা ৷ আর ছেলের প্লেটে দিয়েছে ২টা! লামিয়া তার ছোট ভাইযের প্লেটে দুটা মাছ দেখে তার মাকে ইষৎ রাগের স্বরে চেঁচিয়ে বলল,
___আম্মা, এটা তুমি কি করলা? সুমনের প্লেটে দুটা মাছ দিছো, আমার প্লেটে একটা কেন? তার মা জবাব দিল হাসি মুখেই,
___সুমন ছেলে মানুষ আর তুই মেয়ে ৷ তাই সুমন বেশি পাচ্ছে! লামিয়া অবাক হলো এটা শুনে ৷ দীর্ঘশ্বাস ফেলে ৯ বছরের অবুঝ মেয়েটি বলল,
___ইশ! আমি যদি ভাইয়ার মত ছেলে মানুষ হতে পারতাম!
আতিয়া জোরেসোরে হাসতে লাগল ৷ ওদিকে সুমনের এসবে কোনো ভ্রুক্ষেপ নেই সে খেয়েই চলছে ৷ তার মা বোন কি নিয়ে কথা বলছে হয়তো সে শুনতেও পায়নি!
আতিয়া বেগম মধুর এই ঘটনাটি শেয়ার করছিল বিখ্যাত সাংবাদিক শামিম চৌধূরীর নিকট! শামিম চৌধূরী একজন স্বনামধন্য সাংবাদিক ৷ দেশ জুড়ে তার পরিচিতি! পত্রিকায় মূল পাতায় তার লেখা রিপোর্ট ছাঁপা হয় H পত্রিকায়! এবার তার উপর যে কাজের দায়িত্ব পড়েছে সেটা হচ্ছে বৃদ্ধাশ্রমের কয়েকজন বৃদ্ধ ও বৃদ্ধার সাক্ষাৎকার নিতে হবে ৷ ইতোমধ্যে তিনজনের সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে আর দুজনের সাক্ষাৎকার নিতে পারলেই তার কাজ সম্পন্ন হবে! শামিম চৌধূরী আতিয়া বেগমের সাক্ষাৎকার নিচ্ছিলেন ৷ আতিয়া বেগম তার সন্তানদের ছোট বেলার ঘটনা খুলে বলছিল ৷ উপরের ঘটনাটি ছিল মিনা, মিঠু গল্পের মতই, যেটা তার ও সন্তানদের সাথে ঘটেছিল ৷ পরিবারের ছেলে সন্তানকে প্রতিটা মা, বাবা প্রাধান্য দেয়, মেয়ে সন্তানের তুলনায় ৷ এটা ধ্রুব সত্য! আতিয়া বেগম আরো বলছিল,
___যখন ছেলের বয়স ১৬ হলো অর্থাৎ এসএসসি পাস করলো তখন তাকে ঢাকায় ভাল একটি কলেজে পড়তে দিলাম ৷ আমার মেয়েটা সুমনের চেয়ে এসএসসিতে ভাল রেজাল্ট করেছিল ৷ দু ভাই বোন একই সাথে পরীক্ষা দিয়েছিল এসএসসিতে ৷ রেজাল্ট মেয়েটা ভাল করলেও আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম আর পড়াবোনা তাকে ৷ মেয়েদের এত পড়িয়ে কি লাভ হবে? তাছাড়া যুগটা ভালনা, কোনো ছেলের পাত্তায় পড়লে লজ্জায় পড়তে হবে আমাদের ৷ তাই লামিয়াকে পড়াতে দিতে চাইলাম না ৷ কিন্তু সে নাছোরবান্দী, কলেজে ভর্তি হবার জন্য কান্নাকাটি শুরু করলো ৷ খাওয়া দাওয়া বাদ দিল ৷ সে চাইছিল সুমনের কলেজে ভর্তি হতে ৷ কিন্তু আমরা পাশেই একটি সরকারী কলেজে ভর্তির জন্য তাকে এডমিশন করতে বললাম! ছেলেটা ঢাকা একটি প্রসিদ্ধ কলেজে ভর্তি হয়ে সেখানে বাসা ভাড়া নিয়ে পড়ে থাকলো! দু বছর পর এইচএসসি পরীক্ষার রেজাল্ট এলো তাদের দুজনের ৷ দুজনই GPA-5 পায় ৷ খুব খুশি হয়েছিলাম আমরা! শামিম চৌধূরী তাকে থামিয়ে দিয়ে বলল,
___তারা কি বিষয়ে ইন্টার পাশ করে? সায়েন্স, আর্টস নাকি কমার্স? আতিয়া বেগম উত্তর দেয়,
___দুজনই সায়েন্সের শিক্ষার্থী ছিল ৷ তারা দুজনই ওরকম রেজাল্ট পেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির জন্য ভর্তি পরীক্ষার এডমিশন নেয় ৷ পরীক্ষায় দুজনই সফল হয় ৷ ভর্তি হয়ে যায়! ইন্টার থেকে মেয়েটার লেখাপড়াতে খুব কম খরচ বহন করতে হয়েছিল আমাদের ৷ তবুও আমরা মেয়েটার পড়াশোনার প্রতি অসন্তুষ্ট ছিলাম বলা যায় ৷ ইন্টার প্রথমবর্ষ থেকেই সুমনের লেখাপড়ার খরচ প্রতিমাসে তার বোনের চেয়ে ৩গুণ ছিল ৷ মাসে ১২ হাজার টাকা দিতে হতো তাকে ৷ অথচ তার বাবার মাসিক আয় ছিল ২০ হাজার টাকা ৷ মেয়েকে ঐসময় ৪হাজার টাকা দিতাম লেখাপড়ার খরচ বাবদ! ছেলে মেয়েদের লেখাপড়ার খরচ মিটাতেই ১৬ হাজার টাকা শেষ হয়ে যেত ৷ ৪ হাজার টাকা দিয়ে কেমনে যে সংসার চলতো আল্লাহ ভাল জানেন!সংসারের এমন অবস্থার কারণে মেয়েটা যখন ভার্সিটি ভর্তি হলো তখন সে বলল,
___তোমাদের আর আমার লেখাপড়ার খরচ বহন করতে হবেনা ৷ আমি টিউশনি করে চলতে পারবো!
মেয়ের কথামত তাকে আর কোনো টাকা পাঠানো হলোনা ৷ শুধু সুমনকে মাস শেষে ১৪ হাজার টাকা দেওয়া হতো ৷ তার বাবা খুশি মনেই টাকাগুলো দিয়ে দিতো ৷ এখন জানি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে খরচ লাগেনা ৷ খুব বেশি হলে সুমনের ৮ হাজার টাকা লাগতো ৷ অথচ সে ৬হাজার টাকা বেশি নিয়ে তার মন খুশি কাজে ব্যায় করতো! তবুও তার বাবা তার জন্য গর্ববোধ করতো এই ভেবে যে টাকা না ফুরাক, ছেলে তো দেশের সেরা ভার্সিটিতে পড়ছে!তার বাবা আগে ৮ ঘন্টা কাজ করতো ৷ ভার্সিটিতে ছেলে মেয়ে ভর্তি হবার পর তিনি ওভার টাইম কাজ করা শুরু করেন ৷ পরিশ্রমের মাত্রা বাড়িয়ে দিলেন ৷ দিনদিন শুকিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি ৷ তবুও ওনার কথা, “ছেলেটার জন্য কষ্ট করতেই হবে, মেয়েটা তো নিজের খরচ নিজেই চালাচ্ছে তবুও মেয়েকে বলেছিলাম তার পড়তে হবেনা ৷ পড়ছে যখন পড়ুক ৷ তবে সুমনের ভাল ফলাফল চাই এটাই কামনা!”
ভাই, বোনের শিক্ষাজীবন পর্ব শেষ হয়ে যায় ৷ ততোদিনে সুমনের বাবা রুগ্ন হয়ে গেছে ৷ ডায়াবেটিস ধরা পড়েছে তার! লামিয়া হাইস্কুলের শিক্ষিকা হিসেবে যোগদান করে ৷ তার টাকায় সংসার চলতে থাকে! ওদিকে সুমন দেশে লেখাপড়া শেষ করে এবার ইতালি গিয়ে পিএইচডি করার ইচ্ছা পোষণ করে ৷ আমরা তো জানতাম না সে বড় লোকের মেয়ের প্রেমে পড়েছে ৷ তার ভালবাসার মানুষের বুদ্ধিমত পিএইচডি করতে যায় ৷ আমাদের তখন সাহায্য লাগেনি ৷ কোনো খরচও দিতে হয়নি ৷ ইতালি যাবার পূর্বে বাসায় দুদিন থেকে বিদায় নিয়েছিলো ৷ পিএইচডি শেষ করার পর সাথে ওদেশে আরো দুবছর কাটিয়ে দেশে চলে আসে! আমাদের বাসায় সে মাত্র সাতটা দিন ছিল ৷ তারপর আবারো ঢাকায় চলে যায় ৷ সে নাকি অনেক বড় ইঞ্জিনিয়ার হয়েছে, ঢাকায় থাকতে হবে! চলে গেল ছেলেটা! দূঃখের কথা কি বলবো, ১বছরের মধ্যে সে আর দেখা করেনি ৷ মাসে একবার কি দুবার ফোন দিয়ে জেনে নিতো কেমন আছি আমরা! তাকে ফোন দিলে ফোন বন্ধ পাওয়া যেতো ৷ সুমনের বাবা ছেলের জন্য কান্না করতো প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর পূর্বে ৷ বারবার বলতেন, “কি চেয়েছিলাম আর কি হয়ে গেল! যাকে নিয়ে এত স্বপ্ন দেখলাম স্বপ্নটা পূরণ ঠিকই হলো কিন্তু তাকে হারিয়ে ফেললাম!”
.
তবুও আমাদের আপসোস ছিলনা কারণ ছেলে উন্নতি করছে করুক; এটাই আমাদের চাওয়া ছিল ৷ তখন আমাদের সংসারের কোনো সমস্যা এসে দেখা দেয়নি ৷ কারণ মেয়েটা পুরো সংসার চালাচ্ছিল ভালভাবেই ৷ মাস শেষে ২০ হাজার টাকা আমাদের হাতে দিতো ৷ মেয়েটা পুরো ১টা বছর শিক্ষকতা করে আমাদের সংসার চালায় ৷ কিন্তু আর কতদিন? তার তো বিয়ের দরকার আছে ৷ এমনিতেই বয়স পার হয়ে গেছে ৷ তার জন্য পাত্র দেখা হলো ৷ পাত্র ডাক্তার! মেয়ের পছন্দ হলো পাত্রকে, পাত্র ও তার পরিবার আমার মেয়েকে পছন্দ করে এবং বিয়ের দিন ধার্য হয় ৷ শেষপর্যন্ত বিয়েটা হয়ে যায়!
প্রথম ছয়মাস মেয়েটা আমাদের সংসারের খরচ বহনের জন্য ১৫হাজার করে টাকা পাঠাতো প্রতি মাসে ৷ কিন্তু যখন তার জামাইটা জেনে গেল তখন সে আর টাকা পাঠাতে পারলোনা ৷ ডিভোর্সের ভয় দেখাতো ৷ পেটে মেয়ের অনাগত সন্তান ৷ তার জন্যই সে বাধ্য হয়ে সিদ্ধান্ত নেয় টাকা পাঠাবেনা! সুমনের বাবা ডায়াবেটিসের প্রভাবে চোখের দৃষ্টিশক্তি অনেকটা হারিয়ে ফেলেন ৷ কাজ করার মত কোন শক্তি নাই তার ৷ ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেছিল অনেক আগেই! শেষপর্যন্ত আমাদের দূঃসহে দিন পার করতে হলো ৷ লামিয়া যখন সুমনকে আমাদের কথা বললো ৷ তখন ছেলেটা আমাদের ঢাকায় নিয়ে গেল ৷ সুমন যে বিয়ে করে ফেলছে আমরা জানিওনা ৷ তার বাড়িতে মাত্র ৭টা দিন ছিলাম ৷ তাও তার দূরসম্পর্কের আত্মীয় হিসেবে!
তারপরই ছেলেটা আমাদের দুজনকে বৃদ্ধাশ্রমে রাখে! আমাদের বড় ধরণের পুরস্কার দেয় ৷ যেটা আমরা হয়তো চাইতাম ৷ ঠিকই তো! সুমনের বাবা তার ছেলের ভাল রেজাল্ট পেয়ে গর্ববোধ করে প্রায়ই বলতো, “আমরা তো বর্তমানে টিনের চালের ঘরে আছি, একসময় আমরা ইট পাথরের দালান করা বাসায় থাকবো!” তিনি ঠিকই বলেছিলেন এবং সেটা পূরণও হয়েছে! সাংবাদিক বাবা এইযে দেখো আমি কিন্তু এই ইট পাথর সিমেন্টে গড়া রুমে বসে আছি ৷ ফ্যানের পাখা ঘোরে সবসময় ৷ সপ্তাহে একদিন গরুর গোশত দিয়ে ভাত খাই ৷ এইতো অনেক! অনেক সুখেই তো আছি ৷ ছেলে স্বপ্ন পূরণই করেছে বলা যায়! আতিয়া বেগমের চোখ থেকে অজস্র চোখের জল গড়িয়ে পড়েছে ৷ এবার কয়েক ফোঁটা চোখের জল গাল বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে ৷ যখনই আরো কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পড়বে তখনই শাড়ির আঁচল দিয়ে মুছে ফেলে! এরপর কিছু মুহূর্ত নিরব থাকে ৷ দীর্ঘশ্বাস ফেলে বলে,
____কিন্তু কষ্ট যে এমন সুখ সুমনের বাবার বেশিদিন কপালে সইলোনা, মানুষটা মারা গেল!
সাংবাদিক শামিমের চোখ দিয়ে পানি গড়গড়িয়ে পড়ছে আতিয়ার মুখে আত্মকাহিনী শুনে ৷ আতিয়া বেগমের চোখে পানি সেই প্রথম থেকে ৷ উনি সাংবাদিকের সামনে গলা ছেড়ে কান্না করতে পারছেন না ৷ কষ্টে জর্জরিত কান্না বুকে চেপে চোখের লোনা জল ফেলে মনটা হালকা করছে তার ছেলের দারুণ প্রতিদানের কথা প্রকাশ করে! আতিয়া বেগম তার পুরোনো শাড়ির আঁচল দিয়ে চোখের অশ্রুজল মুছে ফের বলল,
___তুমিই বলো বাবা, আমাদের মত মা, বাবারা কি সন্তানদের থেকে খুব বেশি কিছু কামনা করে? আমরা তো চাই সন্তানদের নিয়ে জীবনের শেষ সময়টুকু পর্যন্ত কাটিয়ে দিতে! কিন্তু সন্তানরা কেন সেটা বোঝেনা? এইযে আমার ছেলে আমাকে এখানে রেখেছে এরজন্য তাকে টাকা গুণতে হচ্ছে প্রতি মাসে ৷ অথচ সে যদি আমাকে তার বাসায় রাখতো তবে শুধু দু বেলা দু-মুঠো ভাতের খরচ হতো ৷ হয়তো তার মা পঁচে গেছে, তাই দূর্গন্ধ থেকে বাঁচতে দূরে ফেলে রাখছে ৷ তার বাবা আমাকে জড়িয়ে ধরে মৃত্যুর সময়ে বলেছিলেন, “ছেলেটা যেন তোমাকে অন্তত তার কাছে রাখে, নাহলে মরার পরও শান্তিতে থাকতে পারবোনা”! জানিনা আমার স্বামীর চাওয়া পূরণ হবে কিনা! বাবা তোমাকে আমার শেষ চাওয়াটা বলেই কথা শেষ করবো, নামাজের সময় হয়ে গেছে ৷ নামাজ পড়তে হবে; ছেলেটার জন্য মন খুলে দোয়া করতে হবে ৷ তার প্রতি নারাজ হয়েছি একটু, আল্লাহ সেটা যদি ধরে নেন তবে ছেলের ক্ষতি হয়ে যাবে; যেটা আমি কেন কোনো মা চায়না! শোনো আমার শেষ ইচ্ছা, “মরার সময় ছেলেটা যেন আমার দূর্গন্ধযুক্ত কপালে মৃদ্যু ভাবে চুমু দেয়!” আতিয়া বেগম সাংবাদিক সাহেবকে নরম স্বরে কিঞ্চিৎ হাসি মুখে বলল,
___বাবা তুমি এখন আসতে পারো!
আতিয়া বেগম মাথা নিচু করে নিঃশব্দে কাঁদছে ৷ এমন একজন মায়ের চোখের পানির জন্য শামিমের বুকটা কষ্টে হাহাকার করছিল ৷ তার মন বলছিল দুনিয়ার সমল্ত মানুষকে জানিয়ে দিতে যে সন্তানরা তোমরা বাবা, মাকে অন্তত বৃদ্ধাশ্রমে দিওনা; তাদের নিজের কাছেই রেখো ৷ তবুও তারা সুখে থাকবে! কারণ তারা সবসময় সন্তানের হাসিমাখা মুখটা দেখতে চায়!
শামিম চৌধূরী ভারাক্রান্ত মন নিয়ে আতিয়া বেগমের রুম থেকে বেড়িয়ে পড়লো ৷ টিস্যূ দিয়ে চোখ মুছতে মুছতে মনে মনে বলতে লাগল, “আমার মাকেও তো বৃদ্ধাশ্রমে রেখেছি, যদিও মানুষ জানে বাবা, মা মারা গেছে; কিন্তু আমি তো জানি সত্যটা কি? নাহ, আজই তাকে বাসায় নিয়ে আসবো; অনেক বড় ভুল করেছি জীবনে ৷ এটা শুধু ভুল নয় গর্হিত পাপ, অন্যায়; এমন পাপ ক্ষমার যোগ্য নয়! এটা বলতে বলতে ফুঁপিয়ে কাঁদছিল সে! তার দামী বিএমডব্লিউ গাড়িতে বসে আরো কিছুক্ষণ বুক ফাঁটিয়ে কান্না করতে লাগলো! তখনই তার ফোনে কল আসে তার মা যেই বৃদ্ধাশ্রমে থাকে সেখান থেকে! ফোন রিসিভ করে সে জানতে পারে, “তার মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে”!