কাল আসছে

কাল আসছে

কাল তো রিয়া রা আসছে। (আম্মু) : কোন রিয়া?? : তোর ছোট বেলার লাভা..(আমার তাকানো দেখেই অর্ধেক বলেই থেমে গেলো,ভাই) : তুমি বলতো মা,কোন রিয়া? : ঐ যে ছোট বেলা তোর পেছন পেছন লেগে থাকতো : ও ঐ পেচি টা!! ভালোই তো আসুক ‘ সকালে নাস্তা করছিলাম তখনই এ খারাপ খবর টা শুনলাম। খারাপ খবর বলছি কারন রিয়া হলো আমার থেকে দুই বছরের বড় তবুও সারাক্ষন আমার পেছনে লেগেই থাকতো আর আমার বড় ভাই রফি ওর পেছনে,দেখতে যে আহামরি সুন্দরী তা না কিন্তু অনেক কিউট,

সারাক্ষন আমার পেছনেই লেগে থাকতো যা আমার একদমই ভালো লাগতো না আর তার উপর আমার প্রিয় খেলনাটাও ভেঙে ফেলেছিল একদিন ওর বাবার ট্রান্সফার হওয়ায় ঢাকা চলে যায়,আর আমার আপদ টাও.! কিন্তু কি ভেবে যে আবার ওদের বাসায় আসছে চিন্তায় আছি ‘ : কিরে,তোর জি এফ তো আসছে(রফি) : দেখ বেশি কথা বলবি না,ও আমার কোন কালের জি এফ?? : কেন ছোট বেলায় যে তোর পেছন পেছন ঘুরত : আর তুই ওর পিছনে,হাহা : হ কইছে.! : জানি তো : বেশি পাকামি করিস না তো,যা এখান থেকে.! : ও হেলো,আপনার অবগতির জন্য বলে দেই এটা আমার বাবার ঘর : আর আমার তো আংকেল! তাই না? : এএ তুই কেমনে জানলি?

: তুই গেলি এইখান থেকে?? ‘ কি যে হইছে ছাগল টা,আমার তো মাঝে মাঝে মনে হয় ও আমার সৎ ভাই,সারাদিন ঘুরে ঘুরে বাসায় আসলাম তাও শান্তি নাই.!! ‘ :ওই তুই কি করস ফোনে এতো?(আমি) :তর ভা..(অর্ধেক বলেই চুপ হয়ে গেল) :কি? :কিছু না,পড়তে বস :বই কে পড়ে,আমি তো বইয়ের ফাকে ফোন গুজে চ্যাটিং এ ব্যাস্ত ‘ রাতে খেয়ে সুন্দর একটা ঘুম দিলাম,কিন্তু আমার সুন্দর ঘুমটাকে নষ্ট করে দিলো মা.. ‘ :ওই ২০ মিনিট থেকে ডাকছি এতো ঘুমায় কেউ? উঠ তারাতারি বাইরে আয় একটু ‘ চোখ মুছতে মুছতে বাইরে গেলাম.. ‘ :কি হইছে?? :তোর আন্টিদের জিনিস গুলো আনতে সাহায্য কর :কোন আন্টি? :তোর নেহা আন্টি :ওইডা আবার কে?(হাই তুলতে তুলতে বললাম) :রিয়ার মা :তোমার বড় ছেলেরে কও,আমি পারমু না :সকালের নাস্তা বন্ধ.!! :ব্লেকমেইল করতাছো? :তুই যা বুঝিস.!!

‘ বলেই চলে গেলো,আর আমি গেলাম আন্টির সাহায্য করতে ২ঘন্টা কাজ করে ঘরে আসলাম এতো কাজ করলাম কিন্তু রিয়া কে দেখলাম না আসেনাই মনেহয় যাক ভালই হইছে বাচলাম..দুপুরে খেয়ে ঘুমাতে গেলাম কিন্তু গিয়ে দেখি হারামিটা সম্পূর্ণ বিছানা জুরে ঘুমিয়ে আছে আমিও একটু সাইড করে ঘুমিয়ে পরলাম!! কিন্তু এবারো শান্তিমতো ঘুমাতে পারলাম না কে জানি মুখে এক জগের মত পানি ঢেলে দিলো। তারাতারি উঠে দেখি এক সুন্দরী রমণী আমার সামনে দারিয়ে খিল খিল করে হাসছে, কে হতে পারে?? জিন.! না পেত্নী?? এমনি শীতের দিন তারওপর একজগ পানি আমার শরীরে ঢেলে দিয়ে হাসছে.. :ওই কে আপনি??(একেবারে রাগি গলায় বললাম) :তুমার যম :মানে? :কিছু না..(বলেই এক দৌড়ে চলে গেলো) ‘ মুডটাই খারাপ করে দিলো,কে ওটা?? ‘ :মা.!! ও মা!! :কি চিল্লাস কেন?

:ওই ছেমরি ডা কে? :মুখের ভাষা ঠিক কর,ওটা তো রিয়া কেন চিনতে পারিস নাই? আর তোর শরীর ভেজা কেন? :তুমার ঐ রিয়া ভিজিয়ে দিছে! আসতে না আসতেই শুরু করে দিছে,ওরে আমার থেকে দূরে থাকতে বলবা :আচ্ছা ‘ বলেই চলে গেলো,আমি পাশে তাকিয়ে দেখি আমার ভাই হা করে বসে আছে.. ‘ :ওই তোর কি হইলো? :খাইছি.! :কি খাইছিস? :ক্রাস :দুনিয়াতে কি আর কিছু নাই? :আছে :কি? :ক্রাস :মা.! ও মা.! তুমার বড় গাধারে পাবনা পাঠানোর ব্যবস্থা কর তো.. ‘ বিকেল হয়ে গেছে প্রতিদিনের মত আজও ছাদে চলে গেলাম,গোধুলির সেই অপরূপ সৌন্দর্য উপভোগ করতে।এখনো সন্ধে হয়নি গিটার টা নিয়ে এসেছিলাম বাজাবো ভেবে,কিন্তু কেন জানি বাজাতে ইচ্ছে করছে না.! মানুষ যে কি? কখন যে কি করবে নিজেও বুঝেনা.. ‘ গিটার বাজাতে পারেন না তো হাতে নিয়ে দারিয়ে আছো কেন?

‘ দারিয়েছিলাম কিন্তু উপরের কথাটি শুনে ভয় পেয়ে গেলাম,আমি ভালো করেই জানি কে বলেছে কথাটি এখন কি না কি করবে তাই ভয়ে আছি আস্তে করে পাশ কাটিয়ে চলে গেলাম কিন্তু মুখটাও দেখলাম না সকালেও ভালো করে দেখি নাই আর দেখার ইচ্ছাও নেই.. ইদানিং কলেজের কিছু ঝামেলার জন্য বাসায় থাকি না,আর থাকলেও বেশিক্ষন থাকাও হয় না তিন দিন চলে গেল এভাবেই, আজ বিকালেও চলে গেলাম ছাদে সেই গোধূলির সৌন্দর্য দেখতে অনেকদিন হয়ে গেলো এই সময়টা আর হয়ে উঠে না আজ গিটারটা নেই হারামি রফিটা বাজাতে গিয়ে দুইটা তার ছিড়ে ফেলেছে,হঠাৎ কানে কোন রমণীর কন্ঠ আসলো বুঝতে বাকি রইলো না কে এটা.. ‘ :ভয় পাও নাকি আমাকে? :ভয়.!! তাও আমি? হাহাহা :আমি হাসার কি বললাম? :না কিছু না.. ‘ বলেই চলে গেলাম,আমি জানি এই মেয়ের মাথায় কখনো ভালো চিন্তা থাকে না আমার পেছনে সারাক্ষন লেগে থাকবে আর ঝামেলা করবেই এটা ছোট বেলা থেকে হয়ে এসেছে,

তাই ওর থেকে দূরে থাকাই ভালো,ব্যাস্ততার জন্য আরো দুইদিন চলে গেলো এ দুইদিন আমি আমার ভাইয়ের মুখ দেখেছি নাকি তাও জানি না সময়টা শুধু খাওয়া আর বাইরেই চলে গেলো.. সকালে কলেজে যাচ্ছিলাম,এমনি লেট হয়ে গেছে আর বাসার গেট থেকে বের হতেই কার সাথে যেন ধাক্কা খেয়ে মাথায় আলু গজিয়ে ফেললাম সকালটা আবারো মাটি হয়ে গেলো,রাগ দেখিয়ে কিছু বলতে যাবো কিন্তু যে ব্যাক্তির সাথে ধাক্কা খেয়েছি তাকে দেখেই সব হাওয়ায় উরে গেলো,কোন মেয়ে এত সুন্দর হয় কিভাবে!! আর তার উপরে আমার সবচেয়ে দুর্বলতা ওই চোখ,আমি সাতার জানার পরেও তার চোখে ডুবে গেলাম..কিন্তু বালিকা কিছু না বলে রাগ দেখিয়ে চলে গেল সকালে নাস্তা খেতে পারিনি কিন্তু ক্রাস খেয়ে গেলাম,আর ভাবার বিষয় হলো এ মেয়ে আমাদের বাসায় কেন যাচ্ছে? কে এই মেয়ে!! আবার কি দেখা হবে???

(সমাপ্ত)

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত