মুখ থেকে লেপটা সরাতেই দেখি তাম্মি চা হাতে দাড়িয়ে আছে। কি ব্যাপার আজকে ছোট বোন চা নিয়ে আসলো। তাও মুখে আজকে হাসি।
— কিরে আজ কি সূর্য ভুল দিকে উঠছে যে তুই চা নিয়ে আসলি?
— না মানে ভাইয়া, খুব তারাতারি তো তোর পায়ে শিকল পড়ছে তাই একটু সমাদর করছি আর কি..
— মানে কি?
— মানে হলো গতকাল বাবা আর মা যে মেয়ে দেখতে গিয়ে ছিল ওইটা তোর জন্য পাকা কথা দিয়ে এসেছে। এবার শুধু বিয়ের তারিখ বের হওয়া বাকি।
— হা হা হা যতই পাকা কথা হোক। দেখবি বিয়ে ভেঙ্গে যাবে।
— হেসেঁ লাভ নেই। বিয়ের আগে পর্যন্ত তোর সাথে মেয়ের দেখা হওয়া মানা। বাবার আদেশ।
— আরে এটা কেমন নিয়ম?বিয়ের আগে নিজের হবু বউকে দেখবো না। তার সাথে কথা বলবো না।
— শুধু কথা বলতে গিয়েই তো ১১টা বিয়ে ভেঙ্গে দিয়েছিস।
তার মানে বাবা মা প্ল্যান করে এইসব করছে আর তাদের বুদ্ধি দিচ্ছে এই শয়তানী। আমিও দেখে নিবো কেমন করে বিয়ে করায়। তবে বিয়ে ভাঙ্গতে হলে আগে মেয়ের সাথে দেখা হওয়াটা প্রয়োজন। আজ আর চা খাবো না। ফ্রেশ হয়ে আগে বাবার সাথে কথা বলে নেই। খাবার টেবিলে সবাই বসে আছি। বাবাকে কিছু বলবো এর সাহসও পাচ্ছি না। আর কথা না বলা পর্যন্ত গলা দিয়ে খাবারও নামাতে পারছি না। আর এদিকে অফিসের লেট হচ্ছে।হঠাৎ বাবা বলে উঠলো….
— রাজ তোমার দুইজন বন্ধুকে বলো তো আমার সাথে দেখা করতে?
— কেন?
— আরে বিয়ে বাড়ির কাজ কি আমি একা সামলাতে পারবো। তাই তোমার বন্ধুদের কাজ গুলো ভাগ করে দিবো।
— কার বিয়ে বাবা? ( মলিন গলায়)
বাবা আমার দিকে তাকালো। মনে হয় চোখ দিয়ে পুড়িয়ে ফেলবে। বাবা গুলো এমন হিটলার কেন? বাবার চোখের তাকানো দেখে আমিই বললাম…
— হুমম আমারই তো বিয়ে।
— শোনো একটা কথা মাথায় ডুকিয়ে নাও। এবার বিয়েটা যদি ভেঙ্গে যায় তাহলে কি হবে তুমি কল্পনাও করতে পারবে না। এটাই আমার শেষ কথা।
— হুমম
বাবার আর কোন কথা না বলে টেবিল থেকে উঠে গেলো। আর এদিকে তাম্মি হাসছে। সব এই ফাজিলের কাজ। দেখি মায়ের থেকে মেয়ের বাড়ির ঠিকানাটা পাওয়া যায় কি না।এদিকে অফিসের লেট হয়ে যাচ্ছে। রাতে এসে ঠিকানা নেওয়া যাবে। রাতে বাসায় ফিরে খাওয়া দাওয়া করে ফেসবুক চালাতে চালাতে ভুলে গেছিলাম আমার যে ঠিকানাটা নেওয়ার কথা। প্রায় চোখটা লেগে আসছিল ঘুমে। তখনই ফোনটা বেজেঁ উঠলো। অপরিচিত নাম্বার, হতে পারে কোন জরুরি কল তাই রিসিভ করলাম।
— শোনলাম বিয়ে ভাঙ্গা আপনার নাকি এক ধরনের বাতিক আছে? (একটা মেয়েলী কন্ঠ)
— কে বলছেন?
— যার সাথে আপনার বিয়ে ঠিক হয়েছে সে বলছি?
— ও যাক ভাল হয়ে গেল। আপনার সাথে আমার দেখা করাটা খুব জরুরী।
— কেন? আপনার কি কি সমস্যা তাই বলতে তো?
— আপনি মানে…
— আরে রাজ সাহেব, আপনার এইসব বাতিক অন্য সব মেয়েদের দেখান। আপনাকে আমি অনেক আগে থেকেই চিনি। যখন আপনার সাথে আমার বিয়ে ঠিক হয় তখন আমার হাসি পেয়ে ছিল।
— কেন?
— কারন আপনি তো বিয়ে ভাঙ্গার জন্য উল্টা পাল্টা কত কথাই বলবেন আর এই গুলো আমায় শুনতে হবে?
— আচ্ছা আপনার নামটা কি?
— নাম দিয়ে কি আসে যায় তবে আপনি কি কি বলতে পারেন সেই গুলো আমি খুব ভাল করেই জানি।
— বলেন তো আমি কি বলবো?
— আপনি একটু কাদোঁ কাদোঁ গলায় বলবেন। “শুনেন আমার না একটা গোপনে বিয়ে হইছে আর ২টা বাচ্চা আছে। কিন্তু বাবার ভয়ে বলতে পারি নি। আপনি এই বিয়েতে মানা করে দেন প্লিজ।” তাই তো মিস্টার রাজ।
–ওই আপনি কে বলেন তো?(শকড খেয়ে)
— সেটা বিয়ের দিনই দেইখেন। আজকের জন্য এখানেই গল্পটা সমাপ্ত। টা টা।
— ওই শোনেন।
কে শুনে কার কথা, ওপাশ থেকে ফোন কেটে দিলো। এ বিয়ে ভাঙ্গা তো মুশকিল হয়ে গেল। কিন্তু এই মেয়ে যে ভাবে আমার সাথে কথা বলেছে, মনে হচ্ছে এই মেয়ে আমার পরিচিত। আর আমার নাম্বার নিশ্চিত তাম্মি দিয়েছে আর আমার সম্পর্কেও এইসব তাম্মি বলেছে। ছোট বোন থাকলে বাড়ির পিছনে বাশঁ বাগানের প্রয়োজন হয় না। যা দরকার ছোট বোনই করে দেয়। আজ ১৬ই ডিসেম্বর তাই অফিস বন্ধ। রিজু আর অনিককে ফোন দিয়ে বাসা থেকে বের হলাম। তিন জনে নদীর পাড়ে বসে আড্ডা দিচ্ছি। তবে আমাদের আড্ডার মূল টপিক হলো আমার বিয়ে ভাঙ্গা।
— দেখ বন্ধু এবার তোরা যদি আমার বিয়েটা ভেঙ্গে দিতে পারস তাহলে গত ১১ বারের থেকে বেশ বড় করে পার্টি দিবো।
— কেন রে? এত চাপে আছিস কেন? আগে যেভাবে আমরা মিলে বিয়ে ভেঙ্গেছি সেভাবে ভাঙ্গবো। তুই মেয়েকে ফোন দিয়ে বলবি তুই বিবাহিত আর তোর বাচ্চা আছে আর আমরা মেয়ের বাসায় গিয়ে তোর নামে বদনাম করে আসবো।(রিজু)
— এত সহজ নয় এবার। মেয়ে এইসব সব জানে আর বিয়ের আগে পর্যন্ত মেয়ের সাথে দেখা করা যাবে না। এটা বাবার আদেশ।
— তো আর কি বিয়ে করে নে? এমনি অনেক দিন হলো বিয়ের দাওয়াত খাওয়া হয় না।(অনিক)
— এটা সম্ভব না।
— কেন সম্ভব না আর তুই বিয়ে করতে চাস না কেন?(রিজু)
— আমার কয়েকটা ছোট স্বপ্ন আছে যা পূর্ণ করার আগে পর্যন্ত বিয়ে করার ইচ্ছা নেই।
— কি স্বপ্ন?(অনিক)
— নিজের টাকায় ছোট একটা দুতলা বাড়ি করবো, সেখানে বাবা মা আর বোনকে নিয়ে শান্তি তে থাকবো। ছোট একটা বাগান থাকবে।
— এমন ভাবে বলছিস যেন তোর বাড়ি নেই। ( রিজু)
— আরে ওইটা তো আমার বাবার তৈরি বাড়ি।
— দেখ রাজ, এইসব বাদ দিয়ে এবার চুপচাপ বিয়েটা করে নে। আর এত চাপ নিস না। বিয়ের পরও এইসব করা যায়।(অনিক)
— আমি জানি না আমার হবু বউ কেমন? সে আমার পরিবারকে কি চোখে দেখবে আর আমি বিয়ের পর কিভাবে স্বপ্ন পূরন করবো।
— ধুর!! আমরা আর তোর বিয়ে ভাঙ্গানিতে নেই। আঙ্কেল গতকাল রাতে ফোন দিছিল। বলছে এবার তোর বিয়েটা করিয়ে দিতে পারলে টানা তিন দিন পার্টির খরচ দিবো। (রিজু)
— যা ভাগ!! শালা ঘর শত্রু বিভীষনরা।
দুইটায় হাসতে হাসতে চলে গেছে আর আমি সেই জায়গায় বসে নিজেই ভাবছি কি করবো? এমন একটা সমস্যায় পরলাম যে কি করবো বুঝতে পারছি না।তখনই ফোনটা বেজেঁ উঠলো। ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখি সেই অপরিচিত নাম্বারটা।আবার সেই মেয়ে…
— হুমম বলেন হবু বউ।
— ও মা আজ আমার জানুর মুখে এত ভালবাসা কেন?
— ও মা আর কয়টা দিন পর আমাদের বিয়ে। এখন ভালবাসা না দেখালে ভবিষ্যৎ এ কি করবো?
— আমার বাসার ঠিকানা পাওয়ার জন্য এত মধু তাই না। এই মেয়ে এটা বুঝলো কেমন করে? আরে এটা মেয়ে না সর্ব জান্তা।
— কি হলো মশাই সব রোমান্টিক কথা শেষ?
— না আসলে ঠিকানাটা দিলে ভাল হতো।
— ঠিক আছে আমি ঠিকানা ম্যাসেজ করে দিচ্ছি আপনি বিকালে চলে আসেন।
— হুমম ধন্যবাদ।
রিজুকে সাথে নিয়ে বিকালে মেয়ের বাসায় চলে আসলাম। বাহ্ বেশ আয়োজন হয়েছে তো। বাসায় এসে বসতেই চিৎকার মেরে উঠলাম।
— ও মা গো…
— ওই কি হয়েছে? (রিজু)
— এই বসার জায়গায় পিন রাখছে কে?ও মা গো, কি ব্যাথা?
কপাল ভাল যে রুমে কেউ ছিল না। দেখলে তো মানসম্মত ধরে টানাটানি হতো। যাই হোক, সমস্যা না। একটু পর আঙ্কেল আসলো।
— বাবা তুমি যে আসবে আমার জানা ছিল না। তাই বেশি আয়োজন করতে পারি নি।
— সমস্যা নেই আঙ্কেল। কিন্তু আঙ্কেল আপনার সাথে আমার কথা ছিল?
— বাবা রাগ করো না। তোমার সাথে আমি একটু পর কথা বলি। একটু আগে তোমার বাবা এসেছে। পাশের রুমেই আছে।
— বাবা!!!
— হুমম তুমি বসো আমি ডাকছি।
আমি রিজুর দিকে তাকিয়ে আছি আর রিজু হেসেই চলেছে। হায়রে কপাল, এবার মনে হয় আমার কোরবানি হয়েই যাবে। একটু পর আমার বাবা রুমে আসলো আর বাবাকে দেখে “আমার হয়ে গিয়েছে”।
তখন আঙ্কেল আমায় বলল…
— নাও বাবা এবার কি বলবে বলো? তোমার বাবা আর আমি দুইজনেই এখানে আছি।
— না আঙ্কেল এমনি
— বাবা তুমি চাইলে আমার মেয়ে তনুর সাথে দেখা করতে পারো।
— হুমম।
একটা পিচ্ছি মেয়ে এসে আমাকে একটা রুমে নিয়ে আসলো। তারপর মেয়েটা চলে গেল। রুমে কেউ নেই নাকি। আমি ভাল করে রুমটা দেখতে লাগলাম। ভালই গোছানো রুম। তবে টেবিলের বই গুলো এলো মেলো কারন টেবিলের বই গুলো ঠিক নেই। মনে হয় মেয়েটার বই পড়ার অনেক শখ। সব বইয়ের মাঝে একটা বই আমার নজর কারলো “নবনী”। আমিও এই রকম একটা বই একজনকে দিয়ে ছিলাম।
— কারো অনুমতি ছাড়া কারো জিনিস ধরতে নেই জানেন না। (পিছন থেকে একটা মেয়ে বলল)
পিছনে ফিরতেই আমি থমকে গেলাম। এই তো সেই তনু যারে একটা বার দেখতে প্রতিটা গৌধুলীর রং গায়ে মেখে ব্রিজে দাড়িয়ে অপেক্ষা করতাম। এটা সেই তনু যার জন্য বৃষ্টিতে চুপি চুপি ওর কলেজের সামনে গিয়ে দাড়াতাম। আজ এত বছর পর আবার মুখমুখী। তাও, তার সাথেই আমার বিয়ের কথা। এটা কি ভাগ্য নাকি স্বপ্ন।
— কি হলো চুপ করে আছেন কেন?
— তনু তুমি কি স্বপ্ন?
— চিনতে পারছেন তাহলে।
— চিনতে পারছি বলেই তনু শব্দের সাথে তুমি উচ্চারন করেছি। নয়ত আপনি করেই বলতাম।
— হুমম বলেন তাহলে আপনার কি কি সমস্যা? কেন বিয়ে করতে চান না?
— তনু একটা গৌধুলি তোমার পাশে থাকার অধিকার চাই।
— বাব্বা মশাই আসলেন বিয়ে ভাঙ্গতে আর এখন কিসব বলছো?
— জানি না। তবে এটা বলতে চাই তোমাকে আর হারাতে পারবো না।
— তবে আমি বিয়ে করতে পারবো না?
— কেন?
— এমন ভিতু ছেলেকে তো আর বিয়ে করা যায় না ।যে বিয়ে করতে ভয় পায়।
— দেখো আগে যদি বিয়ে না ভাঙ্গতাম এখন তো তোমায় পেতাম না।
— যদি আগের ১১টা মেয়ের মাঝে আমি একজন হতাম।
— যা হওয়ার তা হয়ে গেছে আর কিছু বলো না প্লিজ।
— সরি আমি এখনই গিয়ে বলবো। তুমি আমায় রিজেক্ট করেছো।
— ওই না।
আর কোন কথা না বলে তনু রুম থেকে বেরিয়ে গেল আর সবার সাথে কথা বললো। আমি আর কারো সাথে কথা না বলো চুপচাপ রুম থেকে বেড়িয়ে আসলাম। যা ভেবে ছিলাম তাই হলো। বাবা বাসায় এসে যা না তাই বলে আমায় কথা শুনিয়েছে। কিন্তু আমি কিভাবে বুঝাবো এই তনুর জন্য এখনো অপেক্ষা করছি। তনুর বাসা চিনতাম না বলে বিয়ের কথাও বাসায় বলতে পারি নি। কিন্তু এখন কেন পেয়েও হারাচ্ছি।
সকালে অনেকদিন পর সাইকেল চালাতে বের হলাম। তবে সাইকেলটা ছোট এক ভাইয়ের। আজকে ইচ্ছা হচ্ছে আরেকটা বার তনুর পথে দাড়াবো। হয়ত ওর কাছে আমি কিছু না তবে আমি তো আর ভুলতে পারবো না।
তনুর বাসা থেকে একটু সামনে একটা চায়ের টংয়ের বাইরে দাড়িয়ে চা খাচ্ছি। কিছুক্ষণ পর মহারাণী বাসা থেকে বের হয়েছে। মনে হচ্ছে কোথাও যাবে। আমাকে দেখেও না দেখার মত পাশ কাটিয়ে চলে গেল। আমি চায়ের টাকা দিয়ে সাইকেল নিয়ে তনুর পিছনে নিলাম। তনু একটা রিকশা নিয়ে যেতে লাগলো আর আমি ওর পাশে। ও মাঝে মাঝে আমায় দেখছে তবে এত রাগের কি হলো বুঝলাম না? রিকশাটা পাবলিক লাইব্রেরীতে এসে থামলো। ও রিকশার ভাড়াটা দিয়ে আমার দিকে তাকালো…
— এভাবে পিছু নেওয়ার মানেটা কি?
— পিছু কোথায় নিলাম? আমি তো তোমার পাশে দিয়েই যাচ্ছি।
— দেখো রাগাবে না একদম।
— ও সত্যি তুমি রেগে গেছো?এতই রেগেছো যে আপনি থেকে সোজা তুমি তে চলে এসেছো।
— যা ইচ্ছা হয়েছে ডেকেছি, তাতে তোমার কি?
— ও আমাকে ডাকবে আর আমি কিছু বলতে পারবো না।
— ভাল হচ্ছে না কিন্তু…
— বিয়েটা তো করলে না, অন্তত বিয়ের দাওয়াতটা তো নাও।
— মানে?(অবাক হয়ে)
— এত দিন তো তোমার কথা ভেবে বিয়ে করি নি কিন্তু এখন যেহেতু তুমি বিয়ে করবে না তাহলে আমাকে তো বিয়ে করতেই হবে। তাই গতকাল একটা মেয়ে দেখে আসলাম আর সামনেই বিয়ে, এটা জানাতেই আসলাম।
— সত্যি বলছেন। (অন্য দিকে মুখ করে, গলাটা যেন ভেঙ্গে আসছে)
— ও তেরি, বিয়ের কথা শুনে তুমি থেকে আপনিতে চলে গেলে।
— জানি না।
— আচ্ছা তাহলে আমি আসি। তোমার বাসায় বিয়ের কার্ড চলে যাবে। আমি আর কথা না বাড়িয়ে চলে আসছিলাম তখন পিছন থেকে আবার ডাকলো।
— রাজ…
— হুমম বলো।
— সত্যি আপনি বিয়েটা করবেন। একটুও কষ্ট হবে না।
— কি করবো?তুমি তো আর বিয়ে করবে না।
— এখন যদি রাজি হই।
— তাহলে তো অন্য দিকে তাকিয়ে কথা না বলে একটু আমার হাতটা ধরে হাটা যায় না।
— মানে?
— আরে বোকা মেয়ে তোমার মনে আমার জায়গাটা কতটুকু এটা দেখতেই তো নাটক টা করলাম। আসলেই আমার বিয়েই ঠিক হয় নি। আমার দিকে তনু রাগি চোখে তাকিয়ে আছে। এতক্ষণ যে কান্না করবে করবে ভাব আর সেই এখন রিনাখান ভাব।
— শুধু বিয়েটা হতে দাও। কপালে কি আছে শুধু দেখো। আমাকে কষ্ট দেওয়ার মানে টা দেখো।
— যা আছে কপালে, দেখা যাবে বিয়ের পর। এবার চলো একটু সামনে যাই।
— যাবো তবে সাইকেলের সামনে বসবো কিন্তু ..
— চলে আসো। যাই হোক গে, যে আছে কপালে সে কখনো হারায় না। তনুকে হারানো সম্ভব না।