গ্রামের দর্ষি মেয়ে

গ্রামের দর্ষি মেয়ে

জানালার পাশে দাঁড়িয়ে নীলা ভাবছে । তার চোখ ভিজে গেছে , এত ভালো ঘর , এত ভালো শ্বশুড় শ্বাশুড়ী , এত বিলাসিতা , এইসব কি ওর পাওয়ার কথা ছিলো নাকি ও এই সবের যোগ্য ছিলো । সেইদিন তো নীলা নিরুপায় ছিলো । হয়তো তাই এইসবের মাসুল গুনতে হচ্ছে নীলাকে আজ ।

-৬ মাস আগের কথা ।
-(নীলার পরিচয়)
-গ্রামের প্রাণ-চঞ্চল সহজ সরল মেয়ে । সদা হাসি-খুশি থাকা , পেয়ারা চুরি , ডাব চুরি , সব করে বেড়াতো । বাবা মায়ের আদরের মেয়ে । বাবার দারিদ্র্যতার মাঝেও নীলার সুখের অন্ত নেই । নীলা কোন রকম এইচ.এস.সি পাশ করছে ।

-এইবার আসি (হৃদয়ের এর পরিচয়)
-শহরের high class এ belong করা একটি ছেলে । যা চায় তাই পায় । বাবা মায়ের অবাধ্য সন্তান যাকে বলে আর কি । তবে মানুষ হিসেবে সে খুব ভালো ।

-হৃদয় এর বাবা বিরাট বড়লোক । তেমনি ভালো মানুষ । হৃদয় এর মাও খুব ভালো , বোন ২ জন তারাও খুব ভালো । একদিন গ্রামের বাড়ি তে বেড়াতে গেছে তারা । সেইখানে তারা নীলা কে দেখে অবশ্য সে হৃদয় এর ছোট বোনের সাথে খুব মিশে । মাঝে মধ্যে হৃদয়ের বাড়ি আসতো নীলা । ছিমছিমে শরীর , মায়াবী হাসির নীলাকে হৃদয়ের পরিবারের সবাই আদর করতো । এই ভাবেই হৃদয়ের পরিবারের সাথে নীলার পরিচয় । হৃদয়েরা ও ঢাকা চলে আসে । আর নীলাও গ্রামে থেকে যায়।

-একদিন নীলার বাবা মা গ্রাম থেকে একটু দূরে হাটে যায় । নীলার বাবার শরীর ভালো যাচ্ছে না । তাই ডাক্তার দেখাতে গেছে । কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাসের কাছে হার মানতে হয় নীলাকেও । ওর বাবা মাকে সেদিন লাশ হয়ে ফিরতে হয় । নীলা এতিম হয়ে যায় । জীবন যেন এক মুহূর্তে বিলিন করে দিলো নীলাকে । আর নীলাও ভাগ হয়ে যায় তার চাচা ফুফুদের মাঝে । নীলা তখন থাকত তার ফুফুর কাছে । অনাদর অবহেলায় নীলার দিন গুলি যেন ফুরাতেই চাইছে না । কোনদিন কাজে দেরি হলে নীলার ফুফু তাকে ভাত দেয় না , সারাদিন না খাইয়ে রাখে । লাকরির মাইর যেন নীলার সারা পিঠ জুরে বসবাস করে । ফুফু চাইছিলো নীলা যাতে এইখান থেকে সরে যায় । তার জন্য ফুফু খুব ভালো প্ল্যানিং করে রাখছে । গ্রামের এক ধনী বুড়োর কাছে মোটা টাকায় নীলাকে বিক্রি করে দেয় ফুফু । বিয়ে হবে নীলার ওই বুড়োর সাথে । নীলাও চুপচাপ । সে ভাবে যার কেউ নাই তাকে কে দেখবে । নীলার এক ফুফাতো বোন ছিলো , খুব ভালো মেয়েটা । নাম তার ভানু । সে বিয়ের কয়েক দিন আগে নীলাকে বলে ,

-বড় বু , তুই ভাইগা যা (ভানু)
-কই যামুরে , কোনহানে যামু , কার কাছেই বা যামু (নীলা)
-তোরে আমি শহরের গাড়িতে উঠাই দিয়াম , তুই শহরে যা গা বু (ভানু)
-থাউক যা আছে কপালে (নীলা)
-এরই মাঝে হৃদয়ের পরিবার গ্রামে আসে । আসলে হৃদয়েরা মাঝে মাঝেই গ্রামে আসে এই গ্রাম টা হৃদয়ের দাদার বাড়ি । এইখানে ওদের একটা বাংলো আছে । হৃদয়ের ছোট বোন পাওলি ভানুকে দেখে বলে

-এই ভানুমতী শোন তো (পাওলি)
-কি অইছে (ভানু)
-তোমার নীলা আপু কোথায় (পাওলি)
-কিতা কন হে , আফু কিতা আবার , বু বু (ভানু)
– হেসে , হে তোমার বু কোথায় (পাওলি)
-হেতির আইজগা বিয়া হইবো কত কইরা মুই কইছি তারে এই বিয়াডা করিস না , বুইড়া খাটাস টার লগে আমগো মায় হেতির বিয়া দিয়া দিতাছে (ভানু)
-এই বলে কান্না করতে করতে ভানু চলে যায় ।
-পাওলি তার মায়ের কাছে গিয়ে সব খুলে বলে আর পাওলির মাও তার বাবার কাছে সব বলে।
-সন্ধ্যায় বিয়ে নীলার ।

যেই না কাজী আসলো ঠিক তখনই হৃদয়ের পুরো পরিবার নীলার ফুফুর বাড়ি পৌছালো । তাও আবার পুলিশ নিয়ে এই গ্রামে হৃদয়ের বাবার ভালো দাপট আছে । তারপর এক রকম জোর করে বিয়ে টা ভেঙে দেয় । নীলার ফুফু অনেক রেগে যায় আর বলে “এহন হেতিরে বিয়া করব ক্যাডা?” এই শুনে হৃদয়ের মা হিতাহিত জ্ঞান ভুলে হৃদয়ের সাথে নীলার বিয়ে দিয়ে দেয় । এই বিয়েতে হৃদয়ের কোনো মত ছিল না । কিন্তু সে তার বাবা মায়ের কথা শুনে বিয়েতে রাজি হয় ।হৃদয় এই বিয়েটা কিছুতেই মানতে পারছে না । হৃদয়ের ছোট বোন অনেক খুশি । সে নীলাকে ভাবি ভাবি বলে ডাকে। যথারিতি হৃদয়ের পরিবার নীলাকে নিয়ে ঢাকা চলে আসে ।

-রাতে নীলাকে হৃদয়ের রুমে রাখা হয় । হৃদয় রুমে এসে দেখে নীলা তার বিছানার উপর বসে আছে । হৃদয় খুব ঠান্ডা মাথার ছেলে । সে নীলার পাশে বসে নীলাকে সব বুঝিয়ে বলে ।

-তুমি কতটুকু পর্যন্ত পড়াশোনা করেছো? (হৃদয়)
-ইন্টার পাশ করছি (নীলা)
-হৃদয় চৌধুরীর বউ মাত্র ইন্টার পাশ (মনে মনে বলে) । শোনো নীলা তোমার সাথে আমার কোনোভাবেই যায় না। আমার একটা স্ট্যান্ডার্ড আছে । আর আমি কখনো তোমাকে কারো সামনে নিয়ে যেতেও পারবো না । so তুমি বুঝতেই পারছো (হৃদয়)

-আমনে কি কইতাছেন আমি কিছুই বুজি নাই (নীলা)
– সোজা-সাপটা কথা, আমি তোমাকে স্ত্রী হিসেবে মানতে পারবো না । তুমি এই বাড়িতে থাকবে, তবে আমার স্ত্রী হিসেবে নয় । এই ঘরে আমার সাথে থাকবে ঠিকই, তবে আমাদের মধ্যে কোনোদিন কোনো সম্পর্ক গড়ে উঠবে না (একটু বিরক্তি নিয়ে)(হৃদয়)

-নীলা কিছুই বুঝে না । ও শুধু চুপ করে শুনে থাকে।
– এখন যাও তুমি নিচে গিয়ে ঘুমাও আর আমাকেও ঘুমাতে দাও (হৃদয়)
-আর কিছু কইবেন (নীলা)
– সুন্দর করে কথা বলো । আর হ্যা , কখনো আমার কোন ব্যাপারে কথা বলতে আসবে না (হৃদয়)
-আইচ্ছা (নীলা)
-নীলা উঠে দাঁড়াতেই হৃদয় লাইট বন্ধ করে দেয় সেই রাতে হৃদয়কে লুকিয়ে নীলা অনেক্ষণ কাঁদে আর মনে মনে বলে, “আমি তো গেরামেই ভালা আছিলাম । হেইখানেও যেমন এইখানেও হেমন”। এই ভেবেই নীলা রাত কাটিয়ে দেয় ।

-এইভাবেই কেটে যায় ছয় টি মাস । হঠাত নীলার ছোট আপু মানে হৃদয়ের ছোট বোন নীলা যাকে ছোট আপু বলে ডাকে সে নীলাকে ডাক দেয় । আর নীলাও তার ছয় মাস আগে ঘটে যাওয়া কাহিনীর ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসে।

-পাওলি নীলার রুমে ঢুকে বলে কি ব্যাপার কি হয়েছে তোমার, এইখানে এইভাবে দাঁড়িয়ে আছো । মা ডাকছে তো তোমাকে । নীলা উত্তর দিলো আইতাছি । সকালবেলা নাস্তার টেবিলে।

-হৃদয় , আমি , তোমার বাবা আর পাওলি একটু বাহিরে যাবো এক সপ্তাহের জন্য । নীলাকেও নিয়ে যেতাম কিন্তু ওর ভিসার সমস্যা ছিলো । আর তুমি তো অফিস সামলাবে তাই তুমি তো যেতেও পারবে না । আমরা ফিরে না আসা অবদি নীলার খেয়াল রেখো (হৃদয়ের মা)

-আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে , আসি এই বলে হৃদয় উঠে চলে গেলো (হৃদয়)
-নীলার শ্বশুড়-শ্বাশুড়ী , ননদ ওরা দুপুরেই চলে গেলো । পুরা বাড়িতে নীলা আর তাদের কাজের মেয়েটা । নীলা কারো সাথেই তেমন কথা বলে না । যেই মেয়ে এক সময় পুরা গ্রাম জুরে চড়ে বেড়াতো আজ সেই মেয়ে নিশ্চুপ হয়ে গেছে । সময় মানুষ কে বদলায় কিন্তু এতটাই বদলিয়ে দিবে কে জানতো ।

-হৃদয় রাতে আসে , রুমে এসে দেখে নীলা রুমে নেই ।হৃদয় ফ্রেস হয়ে নিচে যায় দেখে টেবিলে তার জন্য খাবার সাজিয়ে রাখা আছে ।হৃদয় বুঝে যে এইসব নীলার কাজ । নীলা যদিও গ্রামের মেয়ে তেমন কথাও বলতে পারে না তারপরও decoration টা নীলা খুব ভালো পারে , তেমনি রান্নার তো কোন তুলনাই হয় না । খাবার শেষ করে হৃদয় রুমে যায় সেইখানেও নীলাকে দেখে না পরে হৃদয় এদিক ওদিক খুজতে থাকে , পরে আরেক টা রুমে দেখে নীলা শুয়ে আছে , ঘুমিয়ে গেছে । মেয়েটার বুদ্ধি আছে ।

-পরদিন সকাল ১১ টা নাগাদ হৃদয়ের ভার্সিটির সব বন্ধু বান্ধবিরা বাসায় চলে আসে না জানিয়ে । ওদের দেখে হৃদয় পুরা ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায় কারন ওদের কেউই জানে না যে হৃদয় এখন বিবাহিত । হৃদয় কাউকেই বলে নাই যে সে বিয়ে করেছে । নীলাও কিছু বলে না । কাজের মেয়েটার কাছ থেকে জানতে পারে যে এরা সবাই হৃদয়ের ফ্রেন্ড । নীলা সবার জন্য নাস্তা নিয়ে ড্রইং রুমে যায় । তখন হৃদয় কিছু টা অপ্রস্তুত হয়ে পরে । নীলা হৃদয়ের মুখ দেখে তা বুঝতে পারে । তাই সেও আর কিছু বলে নাই । পরে নিজ থেকেই তাদের জিজ্ঞাস করে , আপনেরা দুপুরে খাবার খাইবেন তো । সবাই শুনে বলে , না সমস্যা নেই তোমাকে এত ব্যস্ত হতে হবে না যেই নাস্তা দিয়েছো । তারপর নীলা তাদের বলে আপনেরা গল্প করেন , আমি খাওন বানাই । নীলা একটু সামনে এগোয় আর তখনই হৃদয়ের এক ফ্রেন্ড নাম জুনায়েদ সে বলে

-মেয়েটা কেরে হৃদয় (জুনায়েদ)
-কিছুক্ষন চুপ থাকার পর বলে আমাদের বাসার maid (হৃদয়)
-নীলা গ্রেজুয়েট না হলেও সে জানে maid অর্থ কি ।

তাই সে চোখের পানি মুছতে মুছতে রান্না ঘরে চলে যায়।। দুপুরে সে সব রান্না করে । তারপর টেবিল সাজিয়ে দিয়ে আরেক কাজের মেয়েকে দিয়ে তাদের ডাকায়।। হৃদয়ের ফ্রেন্ডরাও যথেষ্ট ভালো । তারা টেবিলের সামনে গিয়ে অবাক চোখে তাকিয়ে থাকে । তার কারন খাবার টেবিল টা এত সুন্দর করে সাজানো । তারপর নীলা বলে বসেন আপনেরা । তারপর সবাই খেতে বসে । নীলা এক এক করে সবাইকে খাবার পরিবেশন করে দেয় সাথে হৃদয়কেও । নীলা খুব লক্ষী একটা মেয়ে । হৃদয়ের এক ফ্রেন্ড জিজ্ঞাস করে তুমি রান্না করেছো । নীলা বলে হো ।

– just mind-blowing এত মজা (জুনায়েদ)
-হুম আমার মা ও তো এত ভালো রান্না করতে পারে না (রিয়া)
-হৃদয় সবার কথা শুনতেছে । আর মনে মনে একটু হলেও খুশি হচ্ছে । এরই মধ্যে রিয়া বলে উঠলো।
-এই হৃদয় তোদের এই maid টাকে আমাদের বাসায় ২ দিনের জন্য দে না প্লিজ আমার মাকে বলব ওর কাছ থেকে রান্না শিখে নিতে এই ছোট মাছ টা যা মজা হইছে না (রিয়া)

– আপনি আরো খাইবেন (নীলা)
-হেসে সব শেষ তো খাবো কিভাবে (রিয়া)
-আপনি বসেন আরো আছে আমি আপনেরে বক্সে কইরা দিয়া দিমু বলে নীলা রান্না ঘরে চলে যায় (নীলা)

-হৃদয় তখনো তাদের কথা শুনে।
– দোস্ত আমি ভাবতেছি গ্রামের মেয়ে বিয়ে করবো রে , ওদের বিয়ে করলে লাভ আছে ভালো ভালো খাবার খাওয়া যায় । এই হৃদয় ওর নাম কিরে (জুনায়েদ)
– নীলা (হৃদয়)
-wow নাম টা সুন্দর দেখতে ও সুন্দর কেউ বলবেই না যে কাজের মেয়ে । এই হৃদয় ওরে আমি বিয়ে করবো রে , আন্টির সাথে একটু কথা বলে দেখ (জুনায়েদ)
-এ কথা শুনে পুরা বেকুব হয়ে যায় , কি বলস হ্যা , মাথা ঠিক আছে তোর (হৃদয়)
-হুম একদম ঠিক আছে । ওরেই বিয়ে করবো (জুনায়েদ)
-আর সবাই হাসে
– ভুল কইলেন , ঘরের বউ কহনো maid অয় না আর maid কহনো ঘরের বউ অয় না (নীলা)
-তারপর সবাই পিছন ফিরে নীলার দিকে তাকিয়ে থাকে । সবাই অবাক হয়ে যায় ।

তারপর সবাই বলে না আসলে আমরা একটু মজা করেছিলাম । তারপর সবাই আড্ডা মেরে বিকেলে চলে যায় । নীলা সব ঘুছায় আর তখন হৃদয় নীলাকে কিছু বলার জন্য নীলার কাছে আসে আর নীলা তখন সেইখান থেকে চলে যায় । এক সপ্তাহ পরে বাড়ির সবাই চলে আসে । অনেক শপিং করেও আনে নীলার জন্য ।

-একদিন সন্ধ্যায় হৃদয় রেডি হয়ে বাহিরে যাচ্ছে তখন হৃদয়ের মা বলল কোথায় যাচ্ছো ?
– পার্টি আছে একটা (হৃদয়)
– নীলাকেও সাথে করে নিয়ে যাও (হৃদয়ের মা)
-মা প্লিজ আর কত মা এইবার আমাকে একটু শান্তি দাও , এই মেয়েকে নিয়ে আমি বাহিরে যাবো কিভাবে ওর না আছে চলাফেরা না বলতে পারে ঠিক মতন কথা একে নিয়ে বাহির হওয়া যায় মা ? (হৃদয়)

-এই বলে হৃদয় বাহির হয়ে যায় । পাওলি আর মা তাকিয়ে থাকে । তারপর কাজের মেয়েটা এসে ওইদিনের সব কথা হৃদয়ের মাকে বলে দেয় । এইটাও বলে যে হৃদয় নীলাকে maid বলেছে । এইসব শুনে নীলার কাছে যায় পাওলি আর হৃদয়ের মা । গিয়ে দেখে নীলা খাটের একটা কোনে নিচে বসে বাবা মায়ের ছবি হাতে নিয়ে খুব কান্না করছে । তারপর পাওলি আর তার শ্বাশুড়ী কে দেখে আরো কান্না শুরু করে নীলা তার শ্বাশুড়ির পা ধরে বলে , কেন আমারে এইখানে আনছেন , কেন আমারে আমনের পোলার লগে বিয়া দিতে গেলেন মা , সে তো আমারে তার বউই মানে না । আমি বলে maid . নীলার কান্না দেখে হৃদয়ের মা আর পাওলিও কান্না করে দেয় ।

-তারপর থেকে হৃদয়ের মা উঠে পরে লাগে নীলাকে হৃদয়ের যোগ্য করার জন্য । হৃদয়ের বাবার সাথে কথা বলে নীলাকে ভার্সিটিতে ভর্তি করে দেয় । আর কথা বার্তা শেখায় পাওলি । এইদিকে কোম্পানির কাজে হৃদয়কে U.K পাঠিয়ে দেয় হৃদয়ের বাবা মা, যাতে নীলা নিজেকে ঠিক মতন তৈরি করে নিতে পারে।

-কেটে যায় এক বছর।
-আজ হৃদয় দেশে ফিরবে । নীলাকে হৃদয়ের মা তার বড় মেয়ের বাড়ি পাঠিয়ে দেয় । (ওহ একটা কথা তো বলাই হয় নাই) নীলা তার 2nd semester শেষ করে ফেলেছে । নীলার রেজাল্ট বের হয়েছে । নীলা 1st class পেয়েছে শুধু 1st class না নীলা 1st class 1st হয়েছে । নীলা খুব ভালো ছাত্রী ।

-হৃদয় বাড়ি আসে , সবাই আছে কিন্তু নীলা নেই।নীলাকে না দেখে অনেক টাই অবাক হয় হৃদয়। কিন্তু কাউকে জিজ্ঞাস করে নাই নীলার কথা । রাত্রে হৃদয় শুয়ে শুয়ে ভাবছে , নীলার সাথে এই এক বছরে একদিন ও সে কথা বলে নাই , নীলা কোথায় ও কি এখন আর এইখানে থাকে না । তারপর এইসব ভাবতে ভাবতে হৃদয় ঘুমিয়ে পরে ।

-নীলা এখন অনেক change হয়ে গেছে । যেমন তার কথা তেমনি তার চলা , নীলা এখন ফোন use করে আবার facebooking ও করে । গত এক বছর নীলা হৃদয়ের সাথে facebook এ active ছিলো । কিন্তু হৃদয় জানতো না যে এই টা নীলা। নীলার আইডির নাম আইরিন চৌধুরী।আইরিন নীলার আসল নাম যেইটা হৃদয় জানে না । হৃদয় মাঝে মধ্যে আইরিন নামের আইডির সাথে chat করতো তবে সেই chat নীলা করতো না , করত পাওলি ।

-আজ হৃদয়ের ভার্সিটিতে reunion হবে , সমস্ত প্রাক্তন ছাত্র-ছাত্রীদের invite করা হয়েছে । হৃদয় এবং তার ফ্রেন্ড রা সবাই যাবে আজ । আজ নীলার ভার্সিটিতেও function আছে । নীলাকে আজ প্রাইজ দেয়া হবে ভালো রেজাল্ট করার জন্য , (ওহ হো তোমাদের তো বলা হয় নি হৃদয় যেই ভার্সিটিতে পড়েছে এখন নীলাও সেই ভার্সিটিতেই পড়ে) ।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত