একটি অশান্ত বিকেল

একটি অশান্ত বিকেল

রাত দু’টো বেজে পঁয়তাল্লিশ মিনিট। হঠাৎ যেন বাজ পড়ার আওয়াজ পেলাম। হুড়মুড়িয়ে ওঠে শুনি মায়ের কান্নার আওয়াজ। তার মানে বজ্র নয় আমার মানব রূপী দানব বাবা মাকে ঠাস ঠাস করে থাপ্পর মেরেছেন। বিদ্রোহের আগুনে পুড়ে মনটা শক্ত ইমারত সম হয়ে গেলো। আজ একটা কিছু বিহিত করতেই হবে। রান্না ঘর থেকে আঁশবটি নিয়ে দরজার সামনে এসে তিন চারটে লাথি মেরেছি। বাবা দরাজ কণ্ঠে চেঁচিয়ে বললেন, “এই মেঘলা চলে যা এখান থেকে। আমার মাথা আজ খুব বেশি গরম।”

“বাবা দরজা খোল বলছি।”
“বললাম না এখান থেকে যা।”
“যাবনা।”
“তাহলে দাঁড়িয়ে থাক।”
“দরজা খোল নইলে আঁশবটি দিয়ে দরজায় কোপ দিব।”
“কী তোর এত বড় সাহস?”
“হ্যাঁ আমি তোমার রক্তেই গড়া বীরাঙ্গনা।”
“মেঘলা, যা বলছি।”
“না আমি যাবোনা। রোজ রোজ এক নাটক আর দেখতে পারবো না। দরজা খোল বলছি।”
“যেতে বলছি যা। নইলে খুব খারাপ হবে কিন্তু বলে দিলাম।”
“কী আর করবে? আমায় মারবে? সেই সুযোগ আর দিবোনা।”
“এত বড় সাহস?”
“হ্যাঁ ঠিক তাই।”

খাট থেকে নেমে রাগে গজ গজ করতে করতে বাবা দরজা খুলেই আমাকে থাপ্পর মারতে হাত উঠালেন। আমিও বটি উপরে উঠিয়েই ধরে রেখেছি। আজ একটা হেস্ত নেস্ত করেই ছাড়বো। বাবা চমকে গেলেন। সত্যি সত্যি আঁশবটি দেখবে এটা হয়তো ভাবতে পারেননি। আপনারা হয়তো ভাবছেন মেয়েটা কত খারাপ জন্মদাতা পিতার সাথে এমন খারাপ ব্যবহার করছে। আজ শুধু নয় এমন ঘটনার উৎপত্তি আমাদের বাসার দৈনন্দিনকার রুটীন। সেই ছোট্টবেলা থেকে দেখে আসছি মায়ের উপর বাবা নির্যাতন করে আসছেন। জানেন আমার মায়ের গায়ের রঙ ছিলো কাচা হলুদের মত? রোজ রাতে মদ খেয়ে এসে বাবা মাকে মারেন। সারা শরীরে ছোপ ছোপ দাগ পড়ে কালসিটে পড়ে গেছে। ইদানিং মায়ের মাথায় সমস্যা দেখা দিয়েছে কিছু মনে রাখতে পারেনা।

রোজ রাতে কী হয় জানিনা বাবার। গতকাল মাকে লাথি মেরে খাট থেকে ফেলে দিয়েছেন। অপরাধ কী জানেন? বাবার ডাকের সাথে সাথে মা সাড়া দেননি কেন? আপনারাই বলুন ঘুমের মানুষ মরা বললেই চলে? যদি বিদ্যুৎ চলে যায় মা সারারাত হাতপাখা দিয়ে বাতাস করেন, হাত পা টিপে দেন। বাবার গাড়ি আসার শব্দে মা সব খাবার থরে থরে সাজিয়ে দেন। এতকিছুর পরেও একটু লবণ না হলেই সমস্ত খাবার মায়ের শরীর বা মুখের উপর ছুঁড়ে মারেন। নীরবে চোখের পানি ফেলা ছাড়া মা কিছু বলেন না। আমরা তিনভাই বোন বড় হয়েছি। চোখের সামনে এমন অন্যায় কী আর সহ্য করা যায়? নানা বাড়ি গরীব বলে বাবা সব সময় মাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। আপনারাই বলুন এতে মায়ের কী দোষ? গরীব ধনী আল্লাহর দান।

ঘরে ঢুকে মাকে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে আমার ঘরে নিয়ে এলাম। ক্ষত স্থানে মলম লাগিয়ে মা আর ভাইবোন মিলে খুব করে কিছুক্ষণ কাঁদলাম। জন্মদাত্রী মায়ের উপর অন্যায় দেখলে কোন সন্তানের সহ্য হয় বলুন? তাই বাবাকে বললাম আর কোনোদিন যদি মায়ের গায়ে হাত তোলেন তাহলে মাকে নিয়ে আমরা অন্যত্র চলে যাবো। কথাটা বলায় মনে হয় বাবা আরো খুশি হলেন। তিনি চেঁচিয়ে বললেন, “হ্যাঁ হ্যাঁ যেখানে খুশি চলে যা। পৃথিবীটা ঘুরে দেখ এত সহজে খাবার ঝুটবে না আছেতো একখান ফকিন্নি মার্কা নানা বাড়ি। আমার ঘাড় থেকে নাম দেখ কেমন লাগে?”

রাতটা নির্ঘুম কাটিয়ে মাকে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাচ্ছি। অটোতে উঠে মায়ের মুখে তাকিয়ে দেখি চোখটা এমনভাবে ফুলে উঠেছে তাকাতে পারছেন না। এজন্যই মা ডানহাত দিয়ে চোখটা ঢেকে রেখেছেন। আমার মাথার উপর আকাশটা যেন আঁধারে ঢেকে যাচ্ছে। এতটা নির্মম কোনো মানুষ হতে পারে? ডাক্তার দেখিয়ে আসতে আসতে রাত দশটা বেজে গেল। এসেই শুনি বাবা ছোট ভাইবোনদের ডেকে বলছে, “এই মরাটা গেলো কোথায়? কোন গর্তে লুকিয়েছে?”

কথাটা শুনেই মেজাজের বারোটা বেজে গেছে আমার। কিছুটা এগিয়ে এসে বললাম, বাবা তোমার লজ্জা হয়না? মায়ের চোখটা তুমি নষ্ট করেছো। কাল যেভাবে আমার মাকে মেরেছো ডাক্তার বলেছিল তোমার নামে থানায় নির্যাতনের মামলা করতে। আমার মা অত্যন্ত ভদ্র ঘরের সন্তান তাই এত অত্যাচারিত হয়েও তোমার বিরুদ্ধে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। “তা তোর মাকে ঐ ডাক্তারের কাছে রেখে আসলেই পারতে। আমার বিরুদ্ধে নারী নির্যাতনের মামলা করতে পারতো।” “আচ্ছা বাবা তুমিতো একজন এগ্রিকালচার অফিসার তাহলে তোমার ব্যবহার এত নির্বোধের মত কেন?” “খেয়ে খেয়ে বেশি তেল বেড়ে গেছে তোদের। আগামিকালই তোদের রাজত্বের শেষ দিন।”

আমি আর কোনো জবাব না দিয়ে মাকে ঔষধ খাইয়ে শুইয়ে দিলাম। ঘুম থেকে ওঠে সমস্ত কাজ দুই বোনে মিলে করেছি। বাবাকে ভাত দিয়েছি উনি না খেয়েই অফিসে চলে গেলেন। বিকেলে প্রাইভেটে থেকে ফিরে মাত্র ঘরে পা রেখেছি। মায়ের গায়ে হাত দিয়ে দেখি জ্বর এসেছে। উনার মাথায় পানি ঢালছি হঠাৎ দরজায় টোকা পড়েছে। ছোট ভাই শিমুল দরজা খুলতেই দেখি বাবার পাশে বধূ বেশে দাঁড়িয়ে আছে এক অল্প বয়সী মহিলা। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছিনা বিধির এ কোন খেলা? পায়ের নিচ থেকে মাটি সরে যেতে লাগল। মায়ের কপাল পুড়েছে সাথে আমাদেরও। কাকে বিয়ে করেছে জানেন? আমাদের বড়ই বাগান দেখাশোনা করতো এই মহিলা। মাঝে মধ্যে বাসায়ও কাজ করতো। সবাই কান্না করছি ভাইটা আমার বলল, “মা আমি বড় হয়ে তোমাকে অনেক সুখ দিব, কেঁদোনা মা।” বহুত কেঁদেছি আর নয়। ছোট বোন সিমলাকে কাপড় গোছাতে বলেছি।

ফজরের নামাজ পড়েই মাকে নিয়ে আমরা তিন ভাই বোন মিলে ঘর থেকে বেরিয়ে পড়েছি। মা যাবার সময় ঘরটাকে কয়েকবার তাকিয়ে দেখছিলো। নিজের হাতে গড়া সাজানো সংসার। চোখের কোণে জমাট বাঁধা বিষাদ বিন্দু লুকিয়ে ঝরছিলো। আমাদের কষ্টে বন্ধু আকাশ বারি ঝরাচ্ছে নীরবে। গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি কণা আমাদের আশীর্বাদ দিয়ে খুব সন্তর্পনে বরণ করছে। বৃষ্টির জলে আমাদের বিদায়ী লুকোনো অশ্রুকণা মিলে মিশে একাকার। পাড়া পড়শি আত্মীয় কাউকে কিছু না জানিয়ে প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসে চলে যাচ্ছি অজানা ঠিকানায়।

জানেন মা বাবাকে তার অন্তর দিয়ে ভালোবাসতো। আমরা যে বাড়ি ছেড়ে চলে যাচ্ছি উনি একবারের জন্যও প্রশ্ন করেননি কোথায় যাবো? কী খাবো? কতটা কষ্ট পেলে মা এক কাপড়ে চলে এসেছেন আমাদের সাথে।
মাকে দেখেই আত্মবিশ্বাস গড়ে তুলেছি। আর মনের জোর থেকেই নেমে পড়েছি নিজেদের ভবিষৎ গড়তে। মামাকে ফোন করে ময়মনসিংহ শহরে একটা ছোট্ট একরুম এক বারান্দার বাসা নিতে বলেছিলাম। উনার ঠিক করা বাসাতেই গিয়ে উঠেছি। শূন্য হাতে মাথায় একরাশ চিন্তা নিয়ে রাতে মেঝেতে চাদর পেতেই কাটিয়ে দিলাম। পঁচিশশত টাকা বাসা ভাড়া। ঘরে এক মুঠো চাল নেই। মামা কৃষিকাজ করেই সংসার চালিয়ে নেন কোনো রকম। তবুও বাৎসরিক খাবারের ধান বিক্রি করে পাঁচ হাজার টাকা আর কিছু চাল দিয়ে গেলেন।

অনেকটা চিন্তা মুক্ত হয়ে বিকেলে টিউশনির খোঁজে বেরিয়ে পড়েছি। বোনটা প্রথম বর্ষে আমি ইন্টার ফাইনাল দিয়েছি ভাইটা সপ্তম শ্রেণীতে পড়ছে। আমার ছোটমামা আনন্দমোহন ফাইনাল ইয়ারে পড়ছে। উনার সহযোগিতায় চারটা টিউশনি পেয়েছি। আর একজায়গায় দোকানে মালা বানিয়ে পাইকারি সেল দেয়ার কাজটা শিখে নিলাম। সারাদিন প্রাইভেট আর মালা বানিয়ে মাত্র চারঘন্টা ঘুমাই। ভাইটাকে একটা সরকারি স্কুলে ভর্তি করিয়েে ইংরেজী অংকটা আমরা দু’বোনে দেখিয়ে দিলাম।

প্রথম মাসে সর্বমোট তেরোহাজার টাকা পাই। কোনো রকম খেয়ে পড়ে বেঁচে থাকা। রেজাল্ট বেরোলে আমি ইংলিশে অনার্স ভর্তি হই আনন্দ মোহন কলেজে। জানেন কলেজে শুধু ভর্তি হলাম কিন্তু ক্লাশ করার ভাগ্য আর হয়নি কখনো। অনেক স্যারেরা আমার বাবাকে চিনেন। এমন নিকৃষ্ট কাজ করায় কেউ তাকে সম্মান করেনা। শহরে আসায় উনারা আমাদের অনেক উৎসাহ দেন। জানেন অবসর টাইমে আমাদের বিনোদন কী?

ঘরের চারজন সদস্য মিলে কাগজ রং করে বিভিন্ন ডিজাইনে মালা তৈরি করি। মালা বানিয়ে বেলকোনিতে থরে থরে সাজিয়ে রাখি। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা হতো কে কয়টা মালা বানাতে পারে। অনেক সময় দোকানের অর্ডার বেশি হলে আশেপাশে লোকজনদের শিখিয়ে তাদের দিয়েও মালা বানাই। পরের মাসে সর্কমোট সতেরো হাজার টাকা পেয়ে মোটামুটি তোষক চৌকি কিনে তিনটা টেবিল সেট করি পড়ার জন্য। কিন্তু এই ছোট্ট বাসায় আর হচ্ছেনা। তাই তিনরুম নিয়ে একটা দোতলা বাসা ভাড়া নিলাম।

আমাদের আর পিছু ফিরে তাকাতে হয়নি। কখনো বাবা নামের সেই মানুষটার কাছে সাহায্য নেইনি। যদিও তিনি বহু লোক লাগিয়েছিলেন আমাদের সাথে সম্পর্ক জোড়া দিতে। আমরা বহু স্ট্রাগল করে জীবনটা দাঁড় করিয়েছি। প্রাইভেট পড়ানো কতটা কষ্টকর যে পড়ায় সে বোঝে। আমাদের ছুটি নেই শুধু পড়িয়ে যাওয়া। আবার ডিসেম্বরে বেতনটা নিয়ে লাল কার্ড পাওয়া।

আজ সূর্য্যটা আমার দিকে তাকিয়ে হাসছে। প্রাইমারি স্কুলের চাকুরির কার্ডটা আমার হাতে। চাকুরিতে জয়েন্ট দিলাম নেত্রকোণা সদরে। দুইমাস পর আবার ব্যাংকের চাকুরির ম্যাসেজ এলো মোবাইলে। আমি অনেক খুশি কিন্তু চাকুরিতে জয়েন্ট কার্ড আসতে আরো ছয়মাস দেরি হবে। তাই কষ্ট হলেও আরো কিছুদিন চাকুরিটা করছি। ব্যাংকে চাকুরি হয়েছে শুনে অনেক ভালো ভালো পাত্র বিয়ের প্রস্তাব নিয়ে এসেছেন মায়ের কাছে। শর্ত একটাই বিয়ের দিন হলেও যেন আমার বাবা পাশে থাকেন। আমার এক কথা এতদূর এসেছি বাবা ছাড়া আর বাকী জীবনটাও উনার হেল্প ছাড়াই পার হবো। দরকার নেই আমার অফিসার বরের। যে ব্যক্তি আমাকে আমার বাবার পরিচয় ছাড়া বিয়ে করবে আমি তাকেই বিয়ে করবো।

আমার ছোট বোনেরও প্রাইমারিতে চাকুরি হয়েছে। আমার ভাইটা ইন্টারে পড়ছে। ইতিমধ্যে একজন উপজেলা সচীব আমাকে পিতার পরিচয় ছাড়াই বিয়ে করতে রাজি হয়েছেন। আমার রোজগারের টাকায় উনার কোনো লোভ নেই। বিয়ে করতে চাইনি কিন্তু মায়ের কান্নাকাটিতে করতে হলো।

আমি ব্যাংকে জয়েন্ট দিয়েছি দু’মাস। আমার পুত্র সন্তান হয়েছে। মা তার নাতিকে রাখেন আমি অফিস করি। বোনটা চাকুরি করে নামে মাত্র জয়েন্ট করে বিসিএস দিচ্ছে। আমিও বিসিএস দিয়েছি কিন্তু বড্ড ক্লান্ত।
চাকুরি বাচ্চা বর সংসার পড়ায় মন দিতে পারছিনা। তাই বোনটাকে এখন আর বিয়ে দিচ্ছিনা। চাকুরিটা প্রায় ছাড়ার মতই রেখেছে পাশে। বিসিএসের পড়া প্রচুর পড়তে হয়। হাহা ওর ব্যাংকে চাকুরি হয়েছে। কিন্তু ওর একটাই কথা বাবার থেকে বড় অফিসার তাকে হতেই হবে। এবার রিটেনে হয়তো টিকে যেতে পারে।

আমরা মনের ভেতর একটা জেদ নিয়ে এগিয়ে এসেছি। “পারতেই হবে” এই ছিলো আমাদের সামনে এগিয়ে যাবার মূল মন্ত্র। এতটা স্ট্রাগল করেছি বলেই হয়তো আজ আমরা প্রতিষ্ঠিত। যদি প্রেম খেলায় নেমে যেতাম তাহলে সম্মান নামক জীবন তরীটা মাঝ নদীতেই ডুবে যেতো। ভাইটার একটা গতি করে তবেই আমি শান্ত হব। শিমুল খুব শান্ত ছেলে। ওর আমরা ছাড়া কোনো বাইরের বন্ধু নেই। ওকে নিয়ে আমাদের খুব গর্ব। কারণ আমরা যে এলাকায় থাকি সেটা নেশাখোরদের রাজত্ব বললেই চলে। তবুও আমার ভাইটাকে আমরা আগলে রেখেছি সবসময়।
আমরা পিতার পরিচয় ছাড়া এভাবে প্রতিষ্ঠিত হতে পারবো কেউ ভাবেনি। অনেক আত্মীয় স্বজন অনেক মন্তব্য করেছেন। আমরা নাকি মুখ থুবড়ে পড়ব। আজ আমাদের সাফল্যে উনারাই কব্জি ডুবিয়ে প্রশংসা করেন। আমরা আমার মাকে নিয়ে খুব সুখে আছি।

আমরা সবাই আনন্দ মোহন কলেজে পড়েছি। নামী দামী সরকারি ভার্সিটিতে পড়িনি কিন্তু চাকুরি পেয়েছি আমি। সরকারিতে পড়েও আপনারা পাচ্ছেন না। কারণ মনের ভেতরে আপনাদের সেই অদম্য আগুনটা জ্বালানো নেই। অল্পতেই হেরে গেছেন, কেউ কেউ খারাপ পথে হারিয়ে যাচ্ছেন। এমনটা না করে ঘরের দরজা জানালা বন্ধ করুণ আর “আমাকে পারতেই হবে” এই মূলমন্ত্রে এগিয়ে যান আপনার সফলতা অবশ্যম্ভাবি।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত