একসময় সত্যিই এর নাম ছিল ঝিনুকনদী।
ছিল জল থৈ-থৈ এক আদিগন্ত স্রোত। ছিল বুক ভর্তি ঝিনুক। আর ঝিনুক খুললেই রাশি-রাশি মুক্তো! যেমন ঝিকমিক-ঝিকমিক, তেমনই মূল্যবান। পাড়ার লোকজন জাল ফেলে যেমন মাছ ধরত হরেক রকমের, সঙ্গে ঝিনুকও তুলত অনেক। আর ঝিনুক মানেই মুক্তো। আর মুক্তো মানেই পেটজুড়ানোর রসদ। বেঁচে থাকার শ্বাসবায়ু, অক্সিজেন…
কিন্ত সেও অনেককাল আগেকার কথা। সেদিনের সেই ঝিনুকনদী আর নেই। নেই ওর বুকভর্তি ঝিনুকও। আর ঝিনুকই যদি না থাকে তো মুক্তো আসবে কোত্থেকে? তাইতো নদীটার মতনই ঝিনুকপাড়াটাও আজ বড়ো মনমরা হয়ে দিন কাটাচ্ছে। একরত্তি হাসিখুশিও নেই ওপাড়ার কারো মুখে। নেই আগেকার দিনের পাড়ামাতানো সেই আমোদ আহ্লাদও। রোজ সন্ধে নামার আগে আগেই কখন গোটা পাড়াটা জুড়ে দীর্ঘশ্বাসের মতন এক অন্ধকারের ছায়া নেমে আসে। ভারী বিষণ্ণতায় ভরে ওঠে তখন গোটা তল্লাটটা, সে আর চোখে দেখার মতো নয়।
ঝিনুকনদীর তীরে অবস্থিত হওয়ায় পাড়াটারও নাম হয়ে কখন হয়ে গিয়েছিল ঝিনুকপাড়া। খুব বড়ো না, নেহাতই ছোট্টো এই ঝিনুকপাড়ায় বাস করত সাকুল্যে শ’খানেক পরিবার। আর সব পরিবার মিলিয়ে লোকও বড়োজোর শ’চার-পাঁচেক। চাকরিবাকরি করত না এখানকার কেউই। নদীর জলে পুষ্ট উর্বর জমি-জমাগুলোতে চাষবাস করেই চলত সবার। আর ওই যে বললাম, কারো চলত সেই কাকভোরে উঠে ঝিনুকনদীর বুকে জাল ছড়িয়ে দিয়ে মাছ ধরে, নয় ঝিনুক কুড়িয়ে। কিন্তু হাতে সোনার ডিম পাড়া অমন হাঁসটিকে পেয়েও একবার মর্ম বুঝল না এপাড়ার লোকজন? এমন নির্বোধও হয় বুঝি কখনো মানুষ!
নদীর কান্না প্রথম শুনতে পেয়েছিল বড়ো মাছরাঙা। সে-ই একদিন ছোঁ মেরে তুলতে গিয়ে ওই মায়াকান্নার সুর শুনে থমকে গিয়েছিল। ঠোঁটে চিপে মাছ তুলবে কী, কাণ্ড দেখে তো ও আকাশ থেকেই পড়ল ও। আশ্চর্য, অমন বেহাগ-বাগেশ্রীর সুর ছড়িয়ে কাঁদছেটা কে? ভুল শুনছে না তো? ছোঁ মেরে ধরতে যাওয়া মাছটির কথা বেমালুম ভুলে অবাক হয়ে এদিক-ওদিক তাকাতে লাগল খালি। আর অমনি একজন সমব্যথী বন্ধুর সন্ধান পেয়েছি ভেবে আরো ডুকরে কেঁদে উঠল ঝিনুকনদী।
দেখে-শুনে বড়ো মাছরাঙাও যারপরনাই বিস্মিত। বিড়বিড় করে বলতে লাগল, সে কী কথা, নদী আবার কাঁদে কোন দুঃখে? ওর-ও আবার সুখ-দুঃখ হয় নাকি? ভারী আশ্চর্যের কথা! বড়ো-বড়ো চোখ করে আরো একবার ফিরে তাকাল বড়ো মাছরাঙা ঝিনুকনদীর দিকে। তারপর একে একে জিজ্ঞেস করতে লাগল আরো নানা প্রশ্ন।
কাঁদছ কেন ঝিনুকনদী? তোমার আবার দুঃখ কী? এ তো বড়ো ভালো কথা নয়!
চোখ পিটপিট করে অমনি তাকাল ঝিনুকনদী বড়ো মাছরাঙার দিকে। কেমন লোক হে তুমি, দেখেও আমায় বুঝতে পারছো না কেন কাঁদছি? তোমার দৃষ্টিশক্তি তো সবার চাইতে ভালো বলেই জানি।
শুনে চমকে উঠল বড়ো মাছরাঙা। খানিক লজ্জাও পেল। চোখ রগড়ে নিয়ে বলল, কিছু মনে কোরো না গো ঝিনুক নদী, সত্যিই বুঝে উঠতে পারছি না যে কিছু। একটু খুলেই বল যদি-
বেশ, তবে তুমিই বলো, এই তো কত্ত কাল দেখছো আমায়? আর শুধু তুমিই বা কেন, তোমার বাপ-মা-ঠাকুদ্দার কাছেও শুনে এসেছ আমার কথা?
ঘাড় নাড়ল বড়ো মাছরাঙা। তা ঠিক। কিন্তু একথা বলছো কেন? এমন কী ঘটলো যে-
বলতে গিয়ে দীর্ঘশ্বাস ফেলল ঝিনুকনদী। সেই কথাই বলছিলাম রাঙাভাই, আদ্যিকালের কথা না হয় ছেড়েই দিলাম, বছর দশ আগেও কি আমায় এমনটি দেখেছো বলো? এমন রুক্ষ-শুক্ষু। মনমরা, এমন পিনপিনে হাড্ডিসার? সেদিনের সেই আমিটি রইলাম আমি আর বলো?
অমনি নদীর মনের কথা সব বুঝতে পেরে মাথা দোলাল বড়ো মাছরাঙা। তারপর মুখ ব্যাজার করে বলল, ও এই কথা তবে? সে তো ঠিকই বলেছ ঝিনুকনদী। এখন যে তোমার দৈন্যদশা বড়ো। কলকল সেই জলস্রোতই বলো, আর মাছ-ঝিনুকই বলো, নাঃ, কিচ্ছুটি নেই তেমনটি আর তোমার বুকে। তেমনি নেই তোমার দুইপাড় জুড়ে থরে-থরে সাজানো সবুজ গাছপালাও। নেই আমাদের মতন জন্য হেথা- হোথা থেকে উড়ে আসা রঙবেরঙের পাখিরাও। অথচ কী আশ্চর্যের কথা, যাদের জন্য তোমার এই মরণদশা, তাদের যে ভ্রুক্ষেপ বলতে নেই। মাছ আর মুক্তোর কথা ছাড়ান দাও, তোমার জল না পেলে কদিন বাদে চাষ-আবাদই বা করবে কী দিয়ে, সেই চিন্তাও যে নেই ব্যাটাদের! এ যে নিজের পায়েই কষিয়ে কুড়ুল মারা গো! নিজের ভালোমন্দ বলতে কবে আর বুঝবে এই চরের মানুষজন?
ঝিনুকনদীর কান্নার কথাটা দিনে-দিনে চাউর হয়ে গেল সব পশু-পাখিদের মধ্যে। বড়ো মাছরাঙা প্রথমে বেশ আক্ষেপের সঙ্গে বলল ওর বউমাছরাঙা আর তার ছানাদু্টিকে। তা শুনল কাঠঠোকরা, কাঠবেড়ালিরা, শুনল রোজ-রোজ মুখ ডুবিয়ে জল খেতে আসা হরিণ, শেয়াল, বুনো মোষ, বাঘ-ভালুকেরাও। শুনে ভারী মন খারাপ সকলের, কিন্তু করবেই বা কী ওরা? যত সর্বনাশের গোড়া তো ওই ঝিনুকনদীর চরের মানুষজনেরা। ওদের বোঝাবে কে? কে ফরমান জারি করে বলবে যে, সাবধান! নিজেরা বাঁচতে চাইলে এমন অপকর্মটি এবারে বন্ধ করো। বিবেকের চোখদুটি খোলো এবারে। নয় যে, নিজেদের খোঁড়া গর্তেই চাপা পড়বে একদিন!
শেষে কাজের কাজটি করল ওই বড়ো মাছরাঙা আর কাঠঠোকরাই। করল কী, ললিতাবতী ঢাউস এক ময়লার প্যাকেট হাতে নিয়ে নদীরপাড়ে এসে দাঁড়াতেই, গাছের মগডাল থেকে উড়ে এল ওরা তেড়েফুঁড়ে। তারপর কটাস কটাস করে মারতে লাগল ললিতাবতীর হাতে-মাথায় একের পর এক ঠোক্কর। মুখে কিছু বলবে কী, বা তেড়ে আসবে কী, এমন অভূতপূর্ব কাণ্ড দেখে ললিতাবতীও এক্কেবারে থ। চোখ বড়ো বড়ো করে হাত পা নেড়ে নিজেকে বাঁচানোর চেষ্টা করল খানিক। তারপর শাড়ির আঁচল গুটিয়ে যাকে বলে দে-দৌড়, দে-দৌড়…
রমনীমাধব তখন কাব্য করছিলেন মনের খেয়ালে। কিন্তু লেখা সাঙ্গ হবার আগেই ঘটল বিভ্রাট। মানে বউ ললিতাবতী হাঁপাতে হাঁপাতে এসে হুমড়ি খেলেন তার পড়ার ঘরেই। অমনি কলম গুটিয়ে বউ-এর দিকে অবাক চোখে তাকালেন কবি। চোখদুটি গোলা পাকিয়ে বললেন, একী! আবার ঘটল এই সক্কালবেলা? গেলে তো নদীতে জল আনতে, আনোনি?
বড়ো-বড়ো শ্বাস ফেলে কথা বলে উঠল ললিতাবতী। শোনো, বড়ো আশ্চর্যের এক ঘটনা ঘটল আজ নদীতে। আমি তো পড়ি-মরি করেই একপ্রকার ছুটে এসে প্রাণে বাঁচলাম।
সে আবার কী কথা? সেখানে আবার কী বিপদ হল? কুমির-টুমির কিছু…
আরে না গো না। কুমির-টুমির কিছু নয়, কটি মাছরাঙা আর কাঠঠোকরা।
মাছারাঙা আর কাঠঠোকরা? কেন, ওরা আবার কী করল?
আবারও চোখ বড়ো বড়ো করল ললিতাবতী। আরে বাবা, সে কথাই তো বলছি। কিন্তু আজ যে ওরা আমার পিছু নিল। যেমন খুশি ঠোকরাল, কামড়াল! বলে হাত-মাথা-পা সব উল্টে পাল্টে দেখাল ললিতাবতী। রমণীমাধবও যারপরনাই অবাক। এ আবার কী কথা! কাঠঠোকরারা কাঠ ঠোকরায় সবাই জানে, মানুষও ঠোকরায়, এমনটি কেউ কখনো শোনেনি! সঙ্গে মাছরাঙাও?
প্রায় কাঁদো কাঁদো হয়ে বলল ললিতাবতী, দ্যাখোই না, নোংরা-আবর্জনার প্যাকেটটা যেমন নিয়ে গেছি, তেমনই নিয়ে পালিয়েছি আবার। ফেলতেই পারলাম না যে ওটি নদীতে। এমন ধরল এসে সবকটা একসঙ্গে…
রমণীমাধব বারান্দায় রাখা ঢাউস ময়লার প্যাকেটটার দিকে তাকাল। তারপর গালে হাত দিয়ে অবাক হয়ে ভাবতে চেষ্টা করল ব্যাপারটা। এমনকি বিকেল হতে হাঁটতে হাঁটতে গিয়ে উঠল একবার নদীর চরে গিয়েও। আর অমনি সব রহস্যের উদ্ঘাটন হয়ে গেল নিমেষে।
মস্ত সেই ময়লার ঝোলা হাতে কবিকে দেখে গাছ থেকে বনবন করে উড়ে এল মাছরাঙা, কাঠঠোকরা, আরো রাজ্যের পাখিরা, আর বন থেকে তড়াক তড়াক করে লাফিয়ে এল যত জন্তু-জানোয়ারও। এরা সবাই ঝিনুকনদীর বন্ধুবান্ধব। সকলকে একসঙ্গে এমন আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে দেখে খানিক ভড়কেই গেল রমণীমাধব। খানিক ভয় ভয় বুকে থমকেও দাঁড়াল সে। অমনি সামনে এসে দাঁড়াল বড়ো মাছরাঙা। তারপর মাথা দুলিয়ে বলল, এই যে, ভালোই হয়েছে তুমি এয়েচো। তুমি ছাড়া আমাদের এই দুঃখ কষ্টে কতা বুজবেই বা কে? পাড়ার সবকটাই তো আকাট মুখ্যু আর স্বার্থপরের দল।
রমণীমাধব খানিক ভ্যাবাচ্যাকাই খেল বটে এমনটি দেখে। প্রায় ভিরমি খাবার জোগাড়। অবাক বিস্ময়ে ভাবতে লাগল, এরা আবার কথা বলা শিখল কবে? শুনিনি তো আগে কোনোদিনও!
কবির মনের কথা কেমন করে জানতে পারল কাঠঠোকরা। অমনি কটাস করে উত্তর দিল, ওহে, কথা বুঝি তোমরাই বলতে পারো শুধু? আমরা বুঝি পারিনে? শুনে রাখো, কথা আমরাও কইতে জানি। বলিও, তেমন লোক পেলে। যেমন বড়ো বড়ো মানুষেরা মানেই দুষ্টু-পাজি-খারাপ, কিন্তু তোমাদের ছানাগুলো তো তা নয়। তাই সময় সুযোগ মিললেই ওদের সঙ্গে আমরা কথা কই। খেলি। মজা করি।
রমণীমাধবের তখনো বিস্ময়ের ঘোর কাটেনি। ভাবতে যাচ্ছিল বোধ হয়, তবে আমার সঙ্গেই বা কেন? আমি তো বড়োমানুষ। দুষ্টু। ছানাপোনা তো নই।
আমনি পাশ থেকে বউমাছরাঙা বলে উঠল, না গো, তোমায় আবার খারাপ কে বলে। তুমি তো কবি। কবিরা কখনো খারাপ হয়? কবিদের তো ফুলের মতন মন। যেমন কোমল, তেমনই পবিত্র। তাই তো তোমার কাছে ছুটে আসা। সব কথা জানাতে আসা।
ঠোঁটে মৃদু হাসে মাখিয়ে রমণীমাধব বলল, বেশ তো, বলো কী কথা তোমাদের?
অমনি আসল কথাটা পাড়ল বাঘমামা। বেশ জলদগম্ভীর স্বরে। বলি, দিনরাত তো কাব্যি করে বেড়াও। খোঁজ রাখো না কিচুরই। ওদিকে পাড়ার লোকজন রোজই এসে এখানে জাল মারে আর মাছ ঝিনুকে চুবড়ি ভর্তি করে বাড়ি ফেরে। বুঝি বা সংসারও চলে তোমাদের ওতে?
মাথা নাড়ল রমণীমাধব।
তো একবারও ভেবে দেখেছো কবিবর, এই ঝিনুকনদীই যদি না থাকে আর তবে ভবিষ্যতে খাবে কী তোমরা? কোথায় পাবে মাছ, কোথায় পাবে মুক্তো, ঝিনুক?
না-থাকবে কেন ঝিনুকনদী? এই নদীই যে আমাদের মা। যুগ যুগ ধরে। অবাক হয়ে বলল রমণীমাধব।
তাই যদি হবে, তবে হাতে ওটি কেন কবি?
বাঘমামার কথায় চোখ পিটপিট করে হাতের দিকে তাকাল রমণীমাধব। একটু অবাক হওয়ার ভঙ্গিতেই বলল, এ তো কিছু নয়। একটু নোংরা আবর্জনা…
সে কথাই তো বলছি কবি। সবাই যদি রোজ রোজ এমন কাঁড়ি কাঁড়ি ময়লা এনে ফেলো নদীটার বুকে, তবে সে আর বাঁচে কেমন করে? তুমিই বলো, এমনটি কি ছিল আগে তোমাদের এই ঝিনুকনদীটি? টইটুম্বুর জল, কলকল স্রোত, আর দু’পার জুড়ে সবুজগাছের সার, কোথায় বলো এখন! আছে আর কিছু?
নাঃ, আর কিচ্ছু বলতে হয়নি কবি রমণীমাধবকে। সেদিন সেও নদীর একপ্রান্তে দাঁড়িয়ে নিজের কানে ঝিনুকনদীর কান্না শুনতে পেয়েছিল। আর মনে মনে প্রতিজ্ঞা করেছিল, পাড়ায় গিয়ে আজই বসতে হবে সবাইকে নিয়ে। বুঝিয়ে বলতে হবে ভাবী সর্বনাশের কথা। আমরা যে নিজেরাই নিজেদের হনন করার কাজে এগিয়ে চলেছি দিবারাত্র। এমন চললে যে পাড়াটাই নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে একদিন। যেমন করে হোক, নদীটিকে বাঁচিয়ে রাখা যে আমাদের সকলেরই কর্তব্য।
ব্যাস ওতেই কাজ হল। পাড়ার একমাত্র শিক্ষিত, কবি মানুষ রমণীমাধবের কথা কেউই আমান্য করল না। ওর কথায় সম্মতি জানিয়ে সকলেই মাথা দোলাল যেমন, তেমনই দুশ্চিন্তায় কপাল ভাঁজ করল। ভীষ্মের এক প্রতিজ্ঞাও করল সবাই অমনি- না, এমন ভুল আর একবারের জন্যও নয়।
শুধু কি তাই? পরদিনই সবাই দলবেঁধে ছুটল ঝিনুকনদীর দিকে। সকলেরই হাতে শাবল, কোদাল, গাঁইতি, এইসব। গিয়ে একে একে নামল সবাই ঝিনুকনদীর বুকে। আর থরে থরে টেনে তুলতে লাগল ওর বুকে জমে ওঠা ময়লা আবর্জনার স্তূপ। বুক যত হালকা হতে লাগল, ততই কলকল করে হেসে উঠতে লাগল ঝিনুকনদীও। এই হাসিটা কেবলমাত্র কবি নন, শুনতে পেল আর সকলেও। শুনে সবার মনেও অপূর্ব এক আনন্দের অনুভূতি হতে লাগল…
গাছের ডালে ডালে আর বনের আশেপাশে দর্শকরূপে হাজির থাকা পাখি, মাছরাঙা, কাঠঠোকরা, কাঠবেড়ালি, বা বুনো জন্তু-জানোয়াররাও এমন অপরূপ এক দৃশ্য দেখ তে পেরে বড্ড খুশি!