বিকট একটা শব্দ শুনে ভয় পেয়ে যায় ফিমু। শব্দটা কোথা থেকে এলো, সেটা তার অজানা। তবে শব্দটা রুমের মধ্যে থেকেই এসেছে, এটা শিওর। সে ব্যাগপত্র বিছানার উপর রেখে খুঁজতে থাকলো শব্দটা কোথা থেকে এলো।
রুমে ঢুকতেই সে এমন একটা পরিস্থিতিতে পড়বে, এটা তার কল্পনাতীত ছিলো। শব্দটা স্বাভাবিক হলে তার কাছে তেমন কিছু মনে হতো না। কিন্তু শব্দটা এতোটাই অদ্ভুত এবং ভূতুরে কিসিমের যে, শরীরে কাঁটা দিয়ে ওঠে, পুরো শরীরটা ঝিনঝিন করে ওঠে তার।
সে ঘামতে থাকে প্রচুর পরিমাণে। পরপর দুইবার শব্দটা রুমের মধ্যে প্রতিধ্বনিত হয়। কিছুক্ষণ খোঁজাখুঁজি করার পরেও সে শব্দটির কোন উৎস না পেয়ে ভাবলো, হয়তো এটা তার মনের ভুল। হয়তো গাড়িতে চড়ে আসার জন্য এমনটা হয়েছে। রাস্তায় কত জানজট, কত সব রকমের শব্দের সমাহার। ওগুলোই বোধ হয় এখনো তার কানে বাজছে। সে মন থেকে সব ভয়-ভীতি সরিয়ে ফেলে ব্যাগ থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসগুলো বের করে যথাস্থানে সাজাতে থাকে। বাম দেয়ালে একটা বড়সড় আলমাড়ি। ফিমু তার কাপড়গুলো সেখানে সাজিয়ে রাখে। রুমটাও বেশ গোছালো। রুমের এক সাইডে শোয়ার জন্য একটা খাট। দরজা থেকে খানিকটা দূরে দেয়ালের সাথে আয়না লাগানো একটা মাঝাড়ি টেবিল। পাশেই বেলকনি। এক কথায় রুমটা বেশ সুন্দর।
প্রায় আধা ঘন্টা ধরে রুমের কাজগুলো শেষ করার পরে সে ফ্রেশ হতে বাথরুমে চলে যায়। সারাদিনের ক্লান্তি দূর করতে সে অনেক্ষণ যাবত বাথরুমের মধ্যে অবস্থান করে। সকালে বাসে চড়ে সে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। যখন চারিদিকে সন্ধ্যা সন্ধ্যা একটা ভাব চলে আসে ঠিক তখনই সে ঢাকায় এসে পৌঁছায়। বাসস্টপ থেকে তার চাচাতো বোন রিমু তাকে রিসিভ করে। তারপর রিমু তাকে তার পাশের রুমে থাকার একটা ব্যবস্থা করে দেয়। ফিমু তার ব্যাগপত্র নিয়ে রুমে ঢোকার জন্য দরজা খুলতেই সেই বিকট আওয়াজটা শুনতে পায়। প্রথমে সে বিষয়টাকে তেমন গুরুত্ব না দিলেও দ্বিতীয়বার শব্দটি হলে সে গুরুত্ব দেয়।
ফিমু অনার্সে একাউন্টিং পড়ার জন্য গ্রাম থেকে ঢাকাতে আসে। তার পরিবারে সে, তার বাবা মা আর একটা ভাই অাছে। তার পরিবার সম্পর্কে বলতে গেলে এটা বলতেই হবে যে, তারা বেশ ধনী। না আছে তাদের খাবারের অভাব, না আছে থাকার অভাব। জায়গা জমিও প্রচুর তাদের। উত্তরের মাঠের এক দাগে তিনশো বিঘা জমি তাদের। আর অন্যদিকে তো টুকিটাকি আছেই। তার বাবার বয়সটাও যথেস্ট হয়েছে। তাই তিনি ফিমুর নামে উনার সকল সম্পত্তির অর্ধেকাংশ লিখে দিয়েছেন। আর বাকি অর্ধেক ছেলের নামে।
ফিমু ফ্রেশ হয়ে এসে দেখে রিমু খাবার নিয়ে বসে আছে। খাওয়ার সময় ফিমু ভাবছে, সেই অদ্ভুত শব্দটার কথা সে রিমুকে বলবে কিনা! তার মনের মধ্যে দু’টো ভাবনা কাজ করছে। এক, সামান্য একটা শব্দের ব্যাপারে এতোটা সিরিয়াস হওয়া মোটেই সাহসিকতার লক্ষণ না, বরং এটাতে তার বোকামি ধরা পড়তে পারে। দুই, যদি সে বলেও, তবু হয়তো রিমু সেটা বিশ্বাস করবে না। কারণ রিমু এই রুমটাতে গত তিন বছর ধরে ছিলো। এখন ফিমুর আসাতে সে পাশের রুমে গিয়েছে। ফিমু এক লোকমা খাবার মুখে নিয়ে প্লেটে থাকা পুরো খাবারে আঙ্গুল বুলাতে থাকে। তার মনে বারবার একটা প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে থাকে, এমন অদ্ভুত শব্দ কোথা থেকে এলো? আর শব্দটা কিসেরই বা ছিলো? সে ভাবছে, নাহ! আমি শুধু মিছে মিছে ভয় পাচ্ছি। একটা ঘুম দেওয়া দরকার আমার। আর শব্দ তো হতেই পারে, এতে ভয় পাবারই বা কী আছে? খাওয়া দাওয়া শেষে ফিমু ঘুমিয়ে পড়ে।
ঘুমিয়েও সে শান্তি পায় না। অদ্ভুত একটা কিছু তাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে, তার পিছু নিচ্ছে, এমনটাই সে তার স্বপ্নের মধ্যে দেখতে পায়। যখন তার ঘুম ভাঙে, তখন সে দেয়ালে টানানো বড় ঘড়িটার দিকে একবার চোখ বুলিয়ে নেয়। দেখে কেবল রাত ১ টা বেজে ২৩ মিনিট। সে টেবিলের উপর থেকে এক গ্লাস পানি খেয়ে ঘুমাতে যাবে, ঠিক সে সময় একটা কালো আবছায়া দেখতে পায় সে। চুলগুলো বড় বড়। সুঠাম দেহ ছায়াটির। এক পলকই দেখতে পায় সে। ছায়াটির মানুষটা কে ছিলো, এটা দেখতে সে দ্রুত পায়ে জানালার কাছে যায়। জানালার পর্দাটা সরিয়ে দেখে কেউ নেই সেখানে। জানালা দিয়ে মৃদু মৃদু বাতাস আসছে ঘরের মধ্যে। কিন্তু পর্দাটা সেই বাতাসকে বাধা দিচ্ছে ঘরের ভেতরে প্রবেশ করতে।
ফিমু জানালাটা একেবারে বন্ধ করে দিয়ে যেই না পিছনে ফিরেছে, অমনি আবারও সে ঐ অদ্ভুত শব্দটা শুনতে পায়। এবারে সে ভয় পেয়ে মাটিতে বসে পড়ে। দাড়ানোর শক্তিটুকু সে হারিয়ে ফেলে। রিমুকে ডাক দিতে গিয়ে দেখে তার গলা থেকে আওয়াজ বের হচ্ছে না। সে কাঁপা কাঁপা শরীরে হামাগুড়ি দিয়ে সুইচবোর্ডের কাছে গিয়ে রুমের আলোটা জালিয়ে দেয়। প্রচুর ঘামছে সে। আলো জ্বালানোর সাথে সাথে ফ্যানের ভলিউমও বাড়িয়ে দেয়। কিছুক্ষণ পর সে লক্ষ্য করে দেখে তার মোবাইলটা অনবরত বেজেই চলেছে। এতো রাতে আর এই অসময়ে আবার কে ফোন দিলো! ফিমুর সারা শরীর তখনও কাঁপছে। সে ফোনটা রিসিভ করতেও ভয় পাচ্ছে। কাঁপা কাঁপা হাতে সে ফোনটা রিসিভ করে। অপর প্রান্ত থেকে ভেসে আসে তার বাবার কণ্ঠ।
– মা, তুই ঠিক আছিস?
ফিমু তার বাবার করা প্রশ্নের কোনো উত্তর দেয় না। তার বাবা তাকে আবারও জিজ্ঞেস করে, মা তুই ঠিক আছিস? তোর শরীর ঠিক আছে তো? ফিমু তার বাবার এমন ভয়ার্ত কণ্ঠ শুনে তোতলাতে তোতলাতে বলে, হ্যা.. হ্যাঁ বাবা, আমি ঠিঠিঠিক আছি। তু.তু..তুমি কেমন আছো?
– কিরে মা অমন করে কথা বলছিস কেন? কিছু হয়েছে?
– না না, না বাবা।
– মা তুই নিজের খেয়াল রাখিস। রাতের বেলা কেউ দরজায় টোকা দিলে খবরদার দরজা খুলবি না।
– বাবা তুমি ঠিক অাছো তো?
– শোন, আরেকটা কথা। রাতে একা একা থাকিস না। রিমুকে সঙ্গে নিয়ে ঘুমাস।
এটুকু বলেই ফিমুর বাবা ফোনের লাইন কেটে দেয়। ফিমু বুঝতে পারে না হঠাৎ করে এতো রাতে তার বাবা তাকে ফোন দিলো কেন? আর ফোন দিয়ে এসব কী বললো! তাহলে কি বাবার সাথেও এমনটা হচ্ছে? যেমনটা কিছুক্ষণ আগে তার সাথে হলো! সেই রাতে আর ফিমুর ঘুম হয়নি। সে সারারাত জেগেই কাটিয়ে দেয়। পরদিন সকালে সে রাতের বিষয়টা রিমুর সাথে শেয়ার করে। রিমুও অবাক হয়ে যায়। সে বলে, কী বলিস? আমি পুরো দুই বছর ঐ রুমে থেকেছি। আমি তো কখনও এসব অদ্ভুত আওয়াজ শুনিনি। আর ছায়া? তোর কোথাও ভুল হচ্ছে। যা বিশ্রাম নে। নতুন জায়গা, তাই হয়তো তোর কাছে এমনটা মনে হচ্ছে। ফিমু তার রুমে চলে আসে। এসে নিরবকে কল দেয়। নিরব তার ফ্রেন্ড। আবার শিক্ষকও বলা চলে। কারণ সে যেই কলেজে ভর্তি হবে, নিরব সেই কলেজেরই শিক্ষক।
– হ্যালো নিরব?
– হ্যাঁ ফিমু বলো?
– কোথায় তুমি? আজকে একটু দেখা করতে পারবে?
– দেখা করবো মানে? তুমি কী ঢাকাতে এসেছো?
– হ্যাঁ, গতরাতে এসেছি।
– তবে আমাকে বলোনি কেন?
– ক্লান্ত থাকায় জানানো হয়নি।
– ও, তা কোথায় দেখা করবে?
– আমি চিনি না তো কিছুই। তুমি বলো কোথায় দেখা করবে?
– খামারবাড়ি আসতে পারবে?
– চিনি না যে!
– কাউকে সাথে নিয়ে এসো।
– আচ্ছা।
নিরবের সাথে কথা বলে ফিমু একটু স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলে। সে বিকেলে রিমুকে সাথে নিয়ে খামারবাড়ি যায়। গিয়ে দেখে নিরব তার জন্য অপেক্ষা করছে। সে রিমুকে বলে নিরবের সাথে একটু আড়ালে যায়। নিরব বলে, কিছু হয়েছে ফিমু?
ফিমু কান্না করে দেয়। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে সে গতরাতে যা যা হয়েছে তার সাথে, তার সবটুকুই বলে। আর এও বলে যে, তার বাবার সাথেও বোধ হয় এমনটা হচ্ছে। তা না হলে গতরাতে বাবা ফোন দেবে কেন? নিরব ফিমুকে সান্ত্বনা দেয়। বলে, আরে ওসব কিছুই না। সবই তোমার মনের ভুল। তুমি শুধু শুধু চিন্তা করছো। কিন্তু ফিমু নিরবের কথাতে দ্বিমত পোষণ করে। সে বলে, এসব মোটেও কোনো মনের ভুল নয়। ফিমুকে উত্তেজিত হতে দেখে নিরব ব্যাপারটাকে সিরিয়াসলি নেয়। সে তাকে বলে তুমি চিন্তা করো না। আমি দেখছি ব্যাপারটা। তুমি বাসায় যাও। ফিমু সেদিনের মতো বাসায় চলে আসে। তবে সেদিনের পর থেকে সে আর তেমন কোনো বিদঘুটে শব্দ, কোনো আবছায়া দেখতে পায়নি।
ছয়টা মাস কেটে গিয়েছে। এর মাঝে ফিমু ভুলেও গিয়েছে ছয়মাস আগের সেই রাতটির কথা। কিন্তু আজ হঠাৎ করেই আবার সেই শব্দটা শুনতে পায় সে। তবে এবার কোনো অদ্ভুত শব্দ নয়। সে লক্ষ্য করে দেখে একটা পূর্নাঙ্গ বাক্য প্রতিধ্বনিত হচ্ছে পুরো রুম জুড়ে। সময়টা তখন সন্ধ্যা। ঠিক সেই মুহূর্তে তার ফোনে আবার কল আসে। সে ফোনের দিকে তাকিয়ে দেখে তারা বাবা ফোন দিয়েছে। সে ফোনটা রিসিভ করতেই অপর প্রান্ত থেকে তার মায়ের কান্নার আওয়াজ শুনতে পায়। মায়ের কান্না শুনে সে ভয় পেয়ে যায়। বাবার কিছু হয়নি তো? সে কিছু জিজ্ঞেস করতে যাবে ঠিক তখন তার মা বলে ওঠে, মা তুই ঠিক আছিস তো? তোর কিছু হয়নি তো?
ফিমু অবাক হয়। তার মা হঠাৎ তাকে এসব কথা বলছে কেন? সে তার মাকে বলে, মা কি হয়েছে? তোমরা সবাই ঠিক আছো তো? মা কান্না করতে করতে বলে, শিহাব হাসপাতালে। তোর চাচা কথাটা পুরোপুরি শেষ না হতেই পেছন থেকে কেউ একজন ফিমুর মুখ চেপে ধরে। সে ভয় পেয়ে যায়। নিজেকে ছাড়ানোর ব্যর্থ চেষ্টা করে সে। কিন্তু পারে না। একজন শক্ত সামর্থ লোক তাকে ধরে রেখেছে। মুখে মাস্ক লাগানো। সে খেয়াল করে দেখে পাশেই তার বোন রিমু দাঁড়িয়ে। সে রিমুকে ডাক দেয়। কিন্তু রিমু সাড়া ঘর কাঁপিয়ে একটা হাসি দেয়। ফিমু বুঝতে পারে না তার সাথে এসব কী হচ্ছে। কিন্তু খানিক পর যখন মুখে মাস্ক পড়া লোকটি নিজের চেহারা প্রদর্শন করে তখন ফিমু কিছু একটা আঁচ করতে পারে। সে বলে ওঠে, ভাইয়া তুমি? তখন প্রিতম সহাস্যে বলে ওঠে, হ্যাঁ আমি। এই নে, এটাতে সই কর।
– কি এটা?
– সই করলেই বুঝতে পারবি।
ফিমুর বুঝতে বাকি রইলো না প্রিতম আর রিমু তার কাছে এবং তার পরিবারের কাছে কী চায়! পাশে থেকে রিমু বলে ওঠে, আমাদের দাদা তোর বাবার নামে তার সব জমিজমা লিখে দিয়েছিলো কিন্তু আমার বাবার নামে দিয়েছিলো শুধু বাড়ির জমিটা। কিন্তু এটা তো আর আমরা মানতে পারি না। আমরাও সেই সম্পত্তির ভাগ চাই।
ওদিকে তোর ভাইয়ের নামে তোর বাবা যেটুকু সম্পত্তি লিখে দিয়েছিলো সেটুকুও এখন আমাদের আয়ত্তে। শংকর এতক্ষণে তোর ভাইয়ের থেকে দলিলে সই করিয়ে নিয়েছে। আর এখন তুই সই করলেই খেল খতম। নে দ্রুত সই কর। রিমু আর প্রিতমকে আজ ফিমুর কাছে বড্ড অচেনা মনে হচ্ছে। সে কখনো কল্পনাতেও ভাবেনি, তার আপন চাচাতো ভাইবোন তাদের সাথে এমনটা করতে পারে। ফিমু দলিলটাতে সই করতে যাবে ঠিক সেই মুহুর্তে দরজায় কেউ কড়া নাড়ে। প্রিতম বলে ওঠে, কে? অপর প্রান্ত থেকে জবাব আসে, আমি শংকর। দরজা খোল, ওদিকের কাজ শেষ। রিমু গিয়ে দরজা খুলতেই নিরবসহ পাঁচ ছয়জন পুলিশ রুমে ঢুকে পড়ে। প্রিতম আর রিমুকে তারা আটক করে। পুলিশ তাদেরকে নিয়ে চলে গেলে নিরব ফিমুকে বলে, তুমি ঠিক আছো তো?
– হ্যাঁ আমি ঠিক আছি। কিন্তু তুমি এখানে?
– হ্যাঁ, আমি এখানে।
প্রথম যেদিন তুমি আমাকে তোমার সাথে ঘটে যাওয়া ঐ অদ্ভুত ঘটনাটা শোনালে সেদিন থেকেই আমি এর পিছনের ঘটনাটা বের করার চেষ্টা করি। আর ঠিক সেই জন্য আমি আমার একটা বন্ধুকে তোমার পরিবারের দেখাশোনার দায়িত্ব দেই। সে আড়ালে থেকে তোমার পরিবারের উপর নজর রাখে। কিছুদিন যেতেই সে আমাকে জানায় তোমার তিন চাচাতো ভাই আর বোন তোমার আর তোমার ভাইয়ের নামের সম্পত্তিটুকু পেতে চায়। ঠিক তার পর থেকেই আমি তোমার উপরে নজর রাখতে শুরু করি। আর ঠিক তখনই আমি দেখতে পাই, প্রিতম আর রিমু তোমার পিছে লেগে আছে। তুমি কি জানো ঐ অদ্ভুত শব্দ কোথা থেকে আসতো? ফিমু উত্তরে না সূচক মাথা নাড়ে। নিরব তাকে হাত ধরে টেনে নিয়ে দেয়ালের সাথে থাকা আলমাড়িটার কাছে নিয়ে যায়। আর বলে, শব্দটা এখান থেকেই আসতো। সে আলমাড়িটা সরিয়ে ফিমুকে বলে, এবার দেখো। ফিমু দেখে সেখানে একটা সুরঙ্গ। সুরঙ্গটা তার রুম থেকে সোজা রিমুর রুমে চলে গিয়েছে।
সবকিছু যখন শান্ত হলো তখন ফিমু নিরবকে বললো, আমার ভাই কেমন আছে? নিরব বললো, হ্যাঁ সে এখন ভালো আছে। তাকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। যখন তার সাথে শংকরের হাতাহাতি হয়। তখন শংকর ছুড়ি বের করে তার বাম হাতে আঘাত করে। তবে টেনশন নিওনা, তাকে ঢাকাতে নিয়ে এসেছি আমি। কাল সকালে নিয়ে যাবো তোমায়। তোমার বাবা মাও এসেছে সাথে।