হঠাৎ করে কলিংবেলটা বেজেই চলছে। বাহিরে এতক্ষণ প্রচন্ড বৃষ্টির পর এবার অল্প অল্প বৃষ্টি হচ্ছে।বৃষ্টির ফোঁটাগুলো কাঁচ বেয়ে ঝরে পড়ছে অবিরত। চারদিকে শীতল হাওয়া গায়ে যেন শীত ধরিয়ে দিচ্ছে রাইসার।ঘুম ঘুম চোখে রবীন্দ্রসংগীত শুনছিলো রাইসা।কিন্তু এই কলিংবেলটার বাচ্চা বোধহয় আর শান্তিতে থাকতে দিলোনা। রাইসা ওর ঘর থেকেই চিল্লাচিল্লি শুরু করে দিলো কেন কেউ দেখছে না কে দরজায়।অগত্যা বাধ্য হয়েই নিজেই ঘর থেকে বের হলো।ওদিকে ওর মা রাইসাকে ডেকে যাচ্ছে দরজায় কে দেখার জন্য। রাইসা দেখলো ওর মা রান্নাঘরে কাজে ব্যস্ত।হাত ভর্তি মাছের আঁশ লেগে আছে।অবশ্য বেল এখন আর বাজছে না। তবুও রাইসা গিয়ে দরজাটা খুললো।কিন্ত একি!কেউ নেই এখানে তাহলে এতক্ষণ কি ভুতে বেল বাজাচ্ছিলো ভাবতে ভাবতেই মেজাজটা খারাপ হয়ে গেলো রাইসার।দরজা বন্ধ করবে এমন সময় পায়ের কাছে দেখলো বেশ কিছু তরতাজা কদম ফুল দরজায় রাখা।বেশ অবাক হলো রাইসা কদম ফুলগুলো দেখে।আরো খানিকক্ষণ এদিক-ওদিক দেখে ফুলগুলো হাতে তুলে নিয়ে দরজাটা বন্ধ করে দিলো।সোজা মায়ের কাছে যেতেই মায়ের প্রশ্ন,
-কিরে কে এসেছে?
~কেউ না ভুত এসেছিলো আবার চলেও গেছে
-সব সময় কেন ফাইজলামি করিস বলতো!
~ওমা সত্যি বলছি তাই বিশ্বাস হচ্ছেনা তাই না!
-মাইর দিবো একদম বুঝলি।কে এসেছিলো বল?
~মা সত্যিই ভুত এসেছিলো আর তোমার জন্য কদম ফুল দিয়ে চলে গেছে।এই দেখো এখন আপাদত আমার হাতে সেই ফুল
-আরে এতো দেখছি সত্যি কদম ফুল।কে দিলো!
~তোমার কি মনে হয় মা আমি এখনো মিথ্যা কথা বলি!আর বললামই তো ভুতে দিয়ে গেছে।কারণ দরজায় কোন মানব কিংবা মানবীকে দেখি নাই আমি।
-চুপ থাক তো একটু।এই তোর কোন প্রেমিক দিয়ে গেল নাতো আবার!
~উফফ মা তুমি ন্য একটা। আমার যদি প্রেমিক থাকতোই তবে আর তোমার পছন্দের আঁতেলরে বিয়ে করার জন্য রাজি হতাম না বুঝলা।
-না ধর এমন কেউ যে হয়তো তোকে পছন্দ করতো কিন্তু বলতে সাহস পায়নি তাই চুপিচুপি এসে দিয়ে গেছে।
~হ্যাঁ খুব ভাল বলেছো মা।সেই হতভাগার এতদিনে সাহস হয়েছে বুঝি! তাই বিয়ে ঠিক হবার পর দিয়ে গেছে ফুল, হাস্যকর মা খুবই হাস্যকর তোমার যুক্তি।
-চুপ থাক তো এখানে হাস্যকরের কি দেখলি তুই! আর তোর যা স্বভাব আর মেজাজ কেউ পাগল না হলে তো তোর আশেপাশে ভিড়বে না।
~তুমি কি আমার মা!ওদের হয়ে দালালি কেন করো বুঝিনা
-আর আঁতেল কেন বললি আমার জামাইকে?
~ও মাই গড!এখনি জামাই হয়ে গেলো তোমার?ওয়েট মা ওয়েট জামাই হবে এখনো হয়নি কিন্তু বুঝলে।
-হয়নি মানে কি! তোর মতলব কি বলতো?শুধু কবুল বলাই তো বাকি আছে আর সেটার দিন-ক্ষণও খুব জলদি ঠিক হয়ে যাবে।তুই কিন্তু নিজে রাজি হয়েছিস রাইসা এখন এসব কি কথা
~ওহহো মা তুমি না,নো টেনশন ওকা।জাস্ট কিডিং আর জানি আমি নিজে রাজি হয়েছি আর ভয় পাবার কোন কারণ নেই। জামাই আঁতেলটাই হবে তোমার।
-আবার আতেল বলিস! ওর কি নাম নাই নাকি বদ মেয়ে একটা। যাঃ কাজ করতে দে এখন
~আচ্ছা বাবা করো কাজ।মা শোননা ফুলগুলো কিন্তু খুব সুন্দর একদম তরতাজা বৃষ্টি ভেজা ফুলদানীতে রেখে দিলাম আমার ঘরের আচ্ছা, এমন আবহাওয়ার সাথে মানাবে বেশ।
এই কথা বলে ফুলগুলো নিয়ে নিজের ঘরে চলে এলো রাইসা।ফুলদানীতে কদমগুলো একটা একটা করে সাজিয়ে দিলো।রাইসা মনে মনে ভাবছে ফুলগুলো কে দিয়ে গেল এমন দিনে।আচ্ছা বাবা সারপ্রাইজ দিলো নাতো আবার! বাবার যা স্বভাব প্রায়ই এমন করে থাকেন উনি সবার জন্য।সবার বলতে মা,রাইসা আর ওর ছোট ভাইয়ের জন্য আরকি।অবশ্য বাবা কাল রাতেই ঢাকার বাহিরে গিয়েছেন আর মিটিং শেষ করে এত তাড়াতাড়ি আসবে না।আর বাবা কখনো অন্যের হাতে কোন কিছু পাঠান না।আর যতদূর মনে পড়ছে মা’র কদম ফুল পছন্দ না আর রাইসারও।তবে কে পাঠালো? আচ্ছা আঁতেলটা ফুলগুলো দেয়নি তো!গল্প,উপন্যাস, নাটক, সিনেমায় দেখেছে কত এমন কাহিনী কিন্তু বাস্তবে কি এমন হয় নাকি!তাও আবার এমন আঁতেল ছেলের পক্ষে এটা সম্ভব না কখনো।এসব ভাবতে ভাবতে খানিক মন খারাপ করে রাইসা।এবার আসা যাক আঁতেলের পরিচয়ে। আঁতেলের নাম সুপ্ত। চোখে মোটা ফ্রেমের চশমা সব সময় থাকে।আর থাকবেই বা না কেন পড়তে পড়তে তো চোখ একেবারে খেয়ে ফেলেছে।দিন রাত বইয়ে মুখ গুঁজে থাকে।আরে বাবা পড়াশুনা তো আমিও করেছি তোর মত কি সারাদিন বইয়ে মুখ গুঁজে থেকেছি নাকি।মাঝে মাঝে রাইসা নিজেই অবাক হয়ে যায় কি করে এই আঁতেলটার সাথে বিয়েতে রাজি হয়ে গেল।অবশ্য আঁতেলটার সরলতা ওকে খুব মুগ্ধ করেছিল।তাই সাত-পাঁচ না ভেবেই পরিবারের পছন্দকেই নিজে পছন্দ করে নেয়।অবশ্য আঁতেলটার সাথে এখনো রাইসার খুব একটা কথা হয়নি। অনেক কিছুই জানার বাকি আছে রাইসার।ভেবেছে আস্তে আস্তে জেনে নিবে সবটা।একটু সময় তো দরকার।রাইসা কদম ফুলগুলোর ঘটনাটা বলার জন্য সুপ্ততে থুক্কু আঁতেলটাকে ফোন দিলো।একবার রিং হতেই আঁতেলটা কল রিসিভ করে নিলো মনে হচ্ছে রিসিভ করার জন্য ফোনের পাশেই বসে ছিলো।রিসিভ করতেই হাঁপাতে হাঁপাতে বললো,
-ফুল পেয়েছো!ফোন দিলে তার মানে পেয়েছো আর তুমি জানলে কিভাবে যে আমি ফুল রাখতে গিয়েছিলাম। আচ্ছা তুমি আমাকে দেখে ফেলোনিতো!
রাইসা কয়েক সেকেন্ড স্তব্ধ থাকে তারপর মনে মনে ভাবে তাহলে সত্যিই আঁতেলটাই ফুলগুলো রেখে গিয়েছে।আনমনে হেসেই ফেলে এই ভেবে যে,আঁতেলটার নিজেই ধরা খেয়ে গেছে।রাইসা তো জানতোই না কে দিয়েছে ফুলগুলো কিন্তু গাধারাম নিজেই বলে দিলো।যথাসম্ভব স্বাভাবিক থেকে রাইসা উত্তর দিলো,
~মানে কিসের ফুল?কই আমি কোনো ফুল টুল পাইনিতো।আপনি কি এসেছিলেন আমাদের বাসায়?আর আমি তো ফুলের কথা জিজ্ঞেস করিনাই আপনি নিজ থেকেই বলে দিলেন।এত আঁতেল কেন আপনি!
-এই যাঃ তাইতো তুমি তো জিজ্ঞেস করোনি আসলেই আমি একটা বোকা।ছোটোবেলায় সবাই তাই বলতো আমি একটু বোকা। মা তো এখনো বলে আমার বোকা ছেলে একটা।
~একটু বোকা!আপনি একটু বোকা হলে বেশি বোকা কাদের বলে তবে!
-ওহহো ছাড়ো তো বলো এবার ফুলগুলো কেমন লেগেছে তোমার?
~সত্যি বললো না মিথ্যা!নাকি দু’টোর সংমিশ্রণে বলবো?
-অবশ্যই সত্যি বলবা মিথ্যা আমার একদম পছন্দ না
~আর কদম ফুল আমার পছন্দ না
-তো কি হইছে!আমার পছন্দ তাই দিয়েছি।আপনার পছন্দ না হলেও চলবে।এমন কি কোথাও লিখা আছে পছন্দ ছাড়া কিছু দেয়া যাবেনা!আর যতদূর জানি ফুল তোমার অপছন্দও না কি ঠিক বলিনি?
~তা ঠিক আছে তবে যাকে দিচ্ছেন তার পছন্দের একটা ব্যাপার আছে না!যদিও প্রিয় ফুল এটা না আমার।
-যে দিচ্ছে তারও তো পছন্দের একটা ব্যাপার আছে তাই না বলুন রাইসা!
~যাই হোক এই ঝুম বৃষ্টিতে এত কদম পেলেন কোথায়?
-আর বলবেন না কি যে প্যারায় ফুলগুলো যোগাড় করলাম।এক ছোকরাকে ডাবল বকশিস দিয়ে গাছে তুলে দিয়েছি আরো চেয়েছিলাম কিন্তু সে আর উঁচুতে উঠতে পারলো না।
~আপনার এই বাজে স্বভাবটা কবে বদলাবেন বলুনতো!
-কোন স্বভাবের কথা বলছো তুমি?
~এই যে এইবার তুমি একবার আপনি করে কথা বলা
-ওহ এইটা আচ্ছা বদলে ফেলবো। আচ্ছা আপনি কি চান আমি তোমাকে আপনি বলে ডাকি নাকি আপনাকে আমি তুমি বলে ডাকি!
~উফফ অসহ্য একটা আঁতেল কোথাকার
-এই কয়দিনে তোমার মুখে আঁতেল শুনতে শুনতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি ভালই লাগে ডাকটা এখন।মনে হয় কত ভালোবাসা মিশে আছে এই আঁতেল শব্দটার মাঝে।
এরপরেই খট করে লাইনটা কেটে দেয় রাইসা।আঁতেলটার সাথে কথা বললে এখন মেজাজ আরো খারাপ হয়ে যাবে।ওদিকে ফোনের ওপাশে বৃষ্টিতে ভিজে হাঁচতে হাঁচতে হ্যালো হ্যালো করতে থাকে সুপ্ত।বেশ বুঝতে পারছে ওর এখন জ্বর আসবে।সুপ্তের আবার বৃষ্টির পানি একদম সহ্য হয়না।রাইসাকে সারপ্রাইজড করতে গিয়ে বোধহয় নিজেই হয়ে গেল।পুরো তিনদিন সুপ্তের সাথে যোগাযোগ বন্ধ রাইসার।অন্যদিন আঁতেলটা নিজ থেকেই কল করে কিছু হলোনা তো আবার এসব ভেবে রাইসা নিজেই কল দেয় কিন্তু অনেক্ষণ রিং হবার পরও যখন ফোন ধরলো না তখন রাইসা ভাবলো আঁতেলটা আবার রাগ করলো না তো!বেশ চিন্তিত হয়ে ওর হবু শ্বাশুড়িকে ফোন দিয়ে রাইসা জানতে পারে সুপ্তের ১০২/১০৩ ডিগ্রী জ্বর।ওদিকে জ্বরের ঘোরে এমন অদ্ভুত স্বপ্ন দেখে সুপ্ত নিজেই হাসছে একমনে। খুব গরম লাগছে ওর ঘেমে গেছে পুরো।জ্বরটা বোধহয় কিছুটা কমেছে।সুপ্ত দেখছে রাইসা বউ সেজে বসে আছে ঘোমটা দিয়ে।খুব সুন্দর লাগছে ওকে দেখতে একদম পরী পরী তবে ডানা টানা নেই। যেহেতু ঘোমটা দেয়া তবুও সুপ্ত দেখতে পেরেছে অপরূপ লাগছে ওকে।স্বপ্নে ঘোমটা কোনো ব্যাঘাত ঘটায়নি কিন্তু সুপ্ত এখনো রুমে যায়নি।রাইসা ক্লান্ত মনে অপেক্ষা করছে সুপ্ত’র জন্য আর আঁতেলটার একদিন কি আমার একদিন কি সব বিড়বিড় করছে আর রেগে যাচ্ছে।এদিকে সুপ্ত ঠিক করেছে রাইসাকে সুন্দর একটা গিফট দেবে যা দেখলেই ওর মন ভাল হয়ে যাবে।সুপ্তকে আঁতেল আঁতেল ভাবাটা একটু বন্ধ করবে কিন্তু কিছুতেই বুঝতে পারছেনা কি দিবে।একবার ভাবছে রাইসার পছন্দের কিছু দেবে আবার ভাবছে ওর পছন্দের কিছু যেমন কদম ফুল দিয়েছিল।কিন্তু কোথাও কিছু পাচ্ছেনা মনের মতন।অবশেষে খালি হাতেই ঘরে ঢুকতে ঢুকতে বললো গিফট পায়নি স্যরি।তোমার যে কি দিব তাই ভেবে পাচ্ছিনা।আর হ্যাঁ এখন কিন্তু ঠিকঠাক তুমি করে বলি আমি তোমাকে।এদিকে ওর ওমন অসহায় মুখটা দেখে রাইসার দয়া হচ্ছিলো আর হাসিও পাচ্ছিলো।রাইসার হেসেই ফেললো এবার যখন বললো সুপ্ত আচ্ছা গিফট কি তোমার পছন্দের হবে নাকি আমার পছন্দের হলেও চলবে!কি সুন্দর সেই হাসি,আহা দেখলে মনে হচ্ছে মুক্ত ঝরছে।যেন সুপ্ত অনন্তকাল চেয়ে থাকবে সেই হাসির দিকে।ঠিক এমন সময় হাসতে হাসতেই রাইসা রেগে গিয়ে গ্লাসে রাখা পানি সুপ্তের মুখের উপর ছুড়ে মারলো আর বললো ক্ষুধায় আমি মরি আর উনি আছেন গিফট নিয়ে যদি কিছু দিতেই হয় তাহলে বিরিয়ানি নিয়ে আসেন তাড়াতাড়ি। আর এ বাড়িতে রান্নাঘর চিনিনা আর উপর নতুন বউ কাউকে কিছু বলতেও পারছিনা। নাউ গেট আউট ফ্রম হিয়ার আর তখনি ঘুমটা ভেঙ্গে গেল সুপ্তের।
এমন সময় দরজায় কড়া নাড়লো কে যেন।সুপ্ত ভাবছে এখন আবার কে এলো!আর ওর রুমে কড়া নেড়ে আসবে এমন কে আছে এ বাড়িতে। সুপ্ত দরজা খোলা আছে ভিতরে আসুন বলতেই রাইসা তড়িঘড়ি করে সুপ্তের কাছে এসে জ্বর কেমন,এখন কি অবস্থা হাজারো প্রশ্ন শুরু করে দিলো।এদিকে রাইসাকে দেখে সুপ্ত নিজেও অবাক হয়েছে।অবাক হয়েই বললো,
-আপনি না মানে তুমি এখানে!
~আমি এখানে মানে কি?আমার শ্বশুর বাড়ি আমি এসেছি তোমার কি স্যরি আপনার কি!
-না মানে এখনো হয়নিতো
~আপনার মতলবটা কি বলেন তো?
-তুমি করেই বলো শুনতে ভাল লাগছে
~আমার ফোন ধরেননি কেন?
-ওহ স্যরি আসলে আমার জ্বর এসেছিলো তাই ধরতে পারিনি কিন্তু তুমি কেন এসেছো বললে নাতো!
~উফফ এত গাধা হয় নাকি কেউ।
-আমি আসলে একটু গাধা বুঝলা।
~হুহ বুচ্ছি আর এই গাধা/আঁতেলরে নিয়েই জীবন কাটাতে হবে আমার
-আপত্তি আছে?থাকলে বলো বিয়ে ক্যান্সেল করার সময় কিন্ত এখনো আছে
~কি বললেন! আবার বলেন দেখি সাহস বেশি হয়ছে তাইনা!মেরে নাক ফাটায়ে দিমু
-হাহাহা আচ্ছা ফাটাও
~চুপ একদম চুপ
অতঃপর সুপ্তের পাশে গিয়ে বসে খানিকটা উদাস হয়ে চোখের জল গড়িয়ে পড়তে লাগলো রাইসার আর ওদিকে আবার কি হলো এই ভেবে কান ধরে রাইসাকে স্যরি বললো সুপ্ত। রাইসা হেসে দিয়ে হঠাৎ জড়িয়ে ধরলো সুপ্তকে আর বললো,ভালোবাসি আঁতেল আপনাকে খুব ভালোবাসি।ওমনি সুপ্ত বলে উঠলো,আচ্ছা তুমি কি সারাজীবন আমায় আঁতেল বলেই ডাকবে!
রাইসা সুপ্ততে ছেড়ে দিয়ে মুখ ভেংচি দিতে দিতে বললো,আগে বিয়েটা হোক তারপর বলবো কি কি বলে ডাকবো।আর ওষুধ খেয়ে সুস্থ হয়ে উঠুন জলদি।আমি চাই বিয়ের আগের এ ক’দিন আমরা প্রেম করবো তারপর বিয়ে।সুপ্ত মিন মিন করে বললো,
না ইয়ে মানে আমি তো কখনো প্রেম করিনি আচ্ছা প্রেম ঠিক কিভাবে করে রাইসা!রাইসা রাগান্বিত স্বরে অসহ্য আঁতেল একটা বলতে বলতে বেরিয়ে গেল।মনে মনে হেসে বললো দাঁড়া শিখাচ্ছি তোকে আঁতেল কিভাবে প্রেম করতে হয়।সুপ্তও ভাবতে লাগলো কিভাবে প্রেম করতে হয়।মনে মনে সুপ্তও ভাবছে প্রেমটা বুঝি এবার ওর হয়েই যাবে।