আমি আপাতত গৃহবন্দী। আমার সাথে সাথে রুপাও গৃহবন্দী। রুপা হচ্ছে আমার ক্লোজ ফ্রেন্ড। ওকে অনেক ভালোবাসি। সেই স্কুল লাইফ থেকেই। কখনও সাহস করে বলা হয়নি ভালোবাসার গোছানো একটা কথা, ‘রুপা তোমাকে না অনেক ভালোবাসি।’ এই একটা কথা বলতে পারিনি জন্যই সে আজ অনেকদূরে। তার ভালোবাসার সুরগুলোয় আজ অন্য কেউ আশ্রিত।
শুনেছি আম্মা নাকি দাঁত লেগেছেন। আপাতত তার মাথায় পানি দেওয়া হচ্ছে। আব্বা বাড়িতে ফেরেন নি এখনও। ফিরলে তিনিও যে দাঁত লাগবেন না এটা আশা করা যাচ্ছে না। ভাইয়া সম্ভবত তার পুরনো বেতটা খুঁজতে ব্যস্ত। আপু আমাদের দুইজনের সাথে। উনি ভাবলেশহীনভাবে আমার দিকে তাকিয়ে আছেন। আমি গুরুত্ব না দিয়ে সিলিঙ্গে আটকানো ফ্যানটার ঘোরা দেখছি। বাসায় ঢুকেই গৃহবন্দী। কি হয়েছে এখনও জানিনা।
আপু একটু কেশে বলল,’মেয়েটা কে?’
আমি উদাসভাবে বললাম,’কোন মেয়ে?’
-দেখ শয়তানি করবি না একদম।এখন একটা সিরিয়াস মুহূর্ত।আমাকে সব খুলে বল।
-এই শীতকালে আমি কিছু খুলতে পারব না।
-থাপ্পপড় খাবি একটা। তোর পাশে ওই মেয়েটা কে?
-ও হচ্ছে রুপা। বিয়ে পাগল একটা মেয়ে।
-তুই ফাজলামো করতেছিস এই মুহূর্তে!
-উঁহু।সত্য।
আপু এবার রুপার দিকে ঘুরে জিজ্ঞেস করল, ‘এই মেয়ে তুমি কে?’
রুপা শান্ত মেয়ের মত বলল, ‘রুপা’
-আরে সে তো বুঝলাম। তুমি ওকে চিন কিভাবে?
-ও আমার ক্লাসমেট। আমরা একি সাথে পড়ি।
-তুমি মাকে কি বলেছ যে উনি দাঁত লেগেছেন?
-আমি রাসেলের গার্লফ্রেন্ড।
আমি রীতিমত চিৎকার করে উঠলাম ,’হোয়াট? তুমি মাকে এইসব বলছ? চলতেছেটা কি? আমি তো ভাবছিলাম অন্য কিছু। তুমি আমার গার্লফ্রেন্ড মানে?’
‘যা সত্য তাই বলছি’, রুপার সোজা-সাপটা উত্তর।
আমি জ্ঞান হারালাম। চোখ খুলে নিজেকে বিছানায় আবিষ্কার করলাম। সাথে এটাও আবিষ্কার করলাম আম্মা আমার পাশেই বসে। চোখ খোলার সাথে সাথেই আম্মা ঠাস করে একটা চড় মারলেন। কারণ বুঝতে বুঝতে আব্বার হুংকার। পালাব কিনা ভাবছিলাম।
-তোর বড় ভাই এখনও মেয়েদের দিকে চোখ তুলে তাকাল না আর তুই কিনা!
-আমি কিনা কি?
-চোপ হারামজাদা। তুই কোন সাহসে বিয়ে করার জন্য ওকে আনছিস?
আমি রুপার দিকে তাকালাম। ভাবটা এমন সে এর কিছুই জানে না। আমি বললাম, ‘ও আমার গার্ল-ফ্রেন্ড না। আর আমি তো কিছুই বুঝতেছি না। আমি কেন ওকে বিয়ে করতে যাব?’
আব্বা ঠাস করে একটা চড় মারলেন। আমি আবার জ্ঞান হারালাম।
জ্ঞান ঠিক কখন ফিরল বুঝলাম না। সম্ভবত সন্ধ্যা হবে। আমি চোখ খুলে আশেপাশে কাউকে না দেখে ভোঁদৌড় দিলাম। বাসায় কি হচ্ছে কিছুই বুঝতে পারছি না। তবে আর কিছুক্ষণ থাকলে যে আমার বত্রিশটা দাঁত পটল তুলবে এই বিষয়ে নিশ্চিত ছিলাম।
বাসার বাইরে বেড়িয়েই প্রাণপণে ছুট। সেফজোনে গিয়ে পকেটে হাত দিয়ে দেখলাম, ফোনটা আছে। একটা ভালো কাজ অন্তত হয়েছে।
ফোন লাগালাম অভি ভাইকে। অভি ভাই রুপার বয়-ফ্রেন্ড। দু’বার রিং হবার পর উনি ফোন ধরলেন।
-ভাই এসব কি চলতেছে?
-আমি সব শুনছি। আসলে ভাই…একটা উপকার কর ভাই।
-আমি এখন উপকার করার অবস্থায় নাই।
-আমি জানি।
-কি জানেন?
-তুবা তোদের বাসায় আশ্রয় নিছে।
-আশ্রয় নিছে মানে?আর আপনি কিভাবে জানলেন?
-ও বাড়ি থেকে পালিয়েছে।আমিই বলেছিলাম পালাতে।কিন্তু আমার আর একটা দিন সময় লাগবে রে ভাই।
-অভি ভাই চলছেটা কি?পরিষ্কার করে বলেন!
-দেখ,আপাতত ওকে তোর বাসায় রাখ।তুই তোর বাসায় বল ও তোর গার্ল-ফ্রেন্ড।ওকে তুই বিয়ে করবি।
-তা নাহলে করলাম। তারপর?
-ওই তুই কি করবি বললি?
-কিছু না।এসব করা আমার পক্ষে অসম্ভব। বাসায় আমি সব বলে দিব।
-শোন না ভাই,ওকে তুই আজকের রাতটা তোদের বাসায় রাখ। তারপর কাল আমি সব ম্যানেজ করব। একটা রাতেরই তো ব্যাপার।
বলেই ফোনটা কেটে দিলেন অভি ভাই। বহুবার ট্রাই করলাম,তার নাম্বার বন্ধ। এদিকে আমার প্রাণ যায়যায় অবস্থা।বাড়িতে বিশাল কেলেঙ্কারি। কেলেঙ্কারিটা তাও নাহলে নিজের জন্য হলে হত ,অন্য মানুষের জন্য কেলেঙ্কারি। নিজে তো কোন অকামই করি নাই।
আজ সকালে রুপা ফোন দিয়ে বলল ওর কয়েকটা নোট লাগবে তাই বাসায় আসবে। আমি তো সেই বিশ্বাসেই আছি। এদিকে যে সে বাসায় এই কাহিনী ঘটিয়ে রাখছে তাতো জানতামই না।আপুকে ফাজলামো করে বলেও ফেলেছি, ও বিয়ে পাগল একটা মেয়ে। মানে আমার বাঁচার আশা আপাতত নেই বললেই চলে।
বাসা থেকে কোন ফোন আসছে না। তার মানে বাসার পরিবেশ এখনও থমথমে। আব্বার হিটলারি চড়টার কথা মনে করলাম। ওটা এবার প্রথম নয়। তবুও প্রতিবারের অভিজ্ঞতা প্রথমবারের মতই। ছোটবেলা থেকেই তার ছোট ছেলেটি বেয়াড়া টাইপের। পিটিয়েও মানুষ করতে পারেন নি। বাসার রিমুট নষ্ট করা থেকে ভাইয়ার ল্যাপটপ,সব নষ্ট করার দায়িত্ব তার এই ছোট ছেলেটার উপরেই ন্যস্ত। অথচ তার বড় ছেলেটি কত শান্ত! মধু,মধু!
ভাইয়া নিশ্চয়ই বেতটা নিয়ে তৈরি। বাসায় ফিরলেই যেখানে যেখানে ওটার সঠিক ব্যবহার সম্ভব সেখানে সেখানে ব্যাবহার করতে কোন কার্পণ্য করবেন না। তিনি এই বিষয়ে মিতব্যায়িও নন।
আব্বা আর ভাইয়াকে নাহলে বাদই দিলাম। আম্মাও তো কম নন। তার এইচে টাইপের চড়ে বধিরও কানে শুনতে পারে। আব্বা,আম্মা,ভাইয়া এই তিন শ্রেণীর সমাজের সিরিয়াল শেষ হলে আসবে আপু। সুনিপুনভাবে দু’চারটা প্রবাদ বাক্য ঝাড়বে। এই যেমন আমি নাকি মানুষ নই। আমাকে পিটিয়েও মানুষ বানানো সম্ভব না। সাথে কয়েকটা খনার বচনও লাগাবে। অবশেষে ‘তুই একটা অসহ্য,’ বলে তার সংক্ষিপ্ত লেকচার বন্ধ করবে। আপু আর আমাকে যদি স্টেজে তুলে দেওয়া হয় আর আপুকে যদি জিজ্ঞেস করা হয় ‘আপনার এই গুণধর ভাই সম্পর্কে কি অভিমত’ ,আপু যদি এই লেকচারটা হুবহু কপি-পেস্ট মারে তাহলে আমি হলফ করে বলতে পারি আপু অনেক তালি কুড়োবে।
বাসার সদর দরজা বন্ধ। রাত দশটা বাজে। এত তাড়াতাড়ি কারও ঘুমাবার কথা নয়। বিশেষত আজকে তো নয়ই। এতক্ষণ খালেক মামার দোকানে ডাবল চিনি দেওয়া গরম শরবত যতগুলো পারি স্টোমাকে ঢালতে কৃপণতা করিনি।
সদর দরজা টপকে পার হলাম। দরজায় ভয়ে ভয়ে নক করলাম। রুপা দরজা খুলে দিল।
মেয়েটাকে দেখেই তো মাথার তাপমাত্রা কয়েক ডিগ্রি বেড়ে গেল।
-তুমি এখনও এখানে!
-অভি কিছু বলেনি? আমি কালকেই যাব।
-অভি ভাই আর কি বলবে? তোমরা দুইজন মিলে আমারে ক্যান ফাসাইলা?
-দেখ,একটু কম্প্রোমাইজ কর।
-কি বললা!
-প্লিজ
-উঁহু!পারব না।
-তুমি না আমার বেষ্ট ফ্রেন্ড?
-বাসার সবাই কোথায়?
-তোমার বাবার রুমে।
আব্বার রুমে ভয়ে ভয়ে ঢুকলাম। দেখি সবাই এখানেই। পরিস্থিতি দেখে যা মনে হল,গোল-বৈঠক,বৃত্ত-বৈঠক,আয়াতাকার-বৈঠক এবং ব্যাপারটা নিয়ে যে যে বৈঠক করা দরকার, তারা তার সবগুলোই পারফর্ম করেছেন। ঘরে প্রবেশ করার পর সবাই আমার দিকে যতটা অসম্ভব তার থেকেও বেশি রাগী দৃষ্টিতে তাকালেন।
আমি বললাম,’আমি আর বিয়ে করতে চাই না।’
আব্বা রাগ হয়ে বললেন,’ক্যান রে হারামজাদা?’
আমি বললাম,’ভাইয়া এখনও বিয়ে করেনি। আপুও করেনি।আমি বাড়ির ছোট ছেলে হয়ে কিভাবে করি?’
আব্বা হুংকার দিয়ে বললেন,’দেখ একবার সবাই! তাও তার কোন অনুতপ্ত বোধ আছে নাকি?’
আমি চুপ করে দাঁড়িয়ে রইলাম। আমার অনুপস্থিতে রুপার সাথে সবার কথা হয়েছে। রুপা যতটা পেরেছে নিজের সম্পর্কে মিথ্যা বলেছে। আর আমাদের প্রেম কাহিনীর একটা বানোয়াট গল্পও সবাইকে শুনিয়েছে। আমরা নাকি সেই দুই বছর হল প্রেম করি,আরও কত কি? ওর বাসায় নাকি বিয়ে দিয়ে দিচ্ছে ওকে। তাই পালিয়ে এসেছে।
প্রেম কাহিনীটা আপু অলরেডি দুইবার শুনেছে। তার নাকি আবার শুনতে ইচ্ছে করছে। রুপা আবার গুছিয়ে গুছিয়ে আপুকে গল্পটা শোনাচ্ছেও। আর যতটা পারছে গল্প বলাতে আগেরবারের থেকে বেশি পারদর্শিতা দেখাচ্ছে। গল্প শুনে আপু বলছে,’ওমা! কি সুইট প্রেম কাহিনী!’ এসব দেখে আমার রাগটা সপ্তম আসমানে ল্যান্ড করল।
বাসায় সিদ্ধান্ত হল, মেয়েটাকে বাড়ি পাঠিয়ে দেয়া হবে। আর আমাকে পাগলাগারদে। আমার পাগলাগারদে যাওয়াটা এখনও নিশ্চিত হয়নি। নিশ্চিত হলে আমি বড়ই নিশ্চিন্ত হব।
বাসার সবাই জেগে আছে। রুপার সাথে কথা বলার কোন সুযোগ-ই নাই। একবার অনেক কষ্টে সুযোগ পেয়ে রুপাকে জিজ্ঞেস করলাম, ‘কি কি হয়েছে এবার বলত!’
তুবা বলল, ‘সকালে তোমাদের বাসায় এসেছি। তোমাকে পাই নি। অ্যান্টির সাথে দেখা। উনি যে তোমার রবার্ট-ক্লাইভ মা এটা জানতাম না। উনি আমাকে নানাভাবে জেরা করা শুরু করেন। এদিকে আমি বাসা থেকে একবারেই পালিয়ে এসেছি। অভি পরে জানাল,ও আজকে পালাতে পারবে না। আমার এক বান্ধবীর বাসায় ওঠার প্লান করলাম। ওর দাদা নাকি অসুস্থ, ওরা সবাই ওর দাদুবাড়ি চলে গেছে। তাই আমি ভাবলাম তোমার বাসায়ই একটা রাত থাকি। তারপর কাল চলে যাব। আমি ওনাকে বললাম যে আমি তোমার গার্ল-ফ্রেন্ড। কথাটা শুনে যে তোমার মা দাঁত লাগবেন এটা বুঝি নি। তারপরের কাহিনী তো তুমি জানই।’
-গার্ল-ফ্রেন্ড বলতে গেলে কেন?
-না বললে থাকতাম কিভাবে আজকে?
কি বলব বুঝতে না পেরে একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললাম। যা হবার হয়েছে। মেয়েটাকে কালকে অভি ভাইয়ের কাছে পৌঁছাতে হবে।
রাতে কারই ভালমত ঘুম হয়নি। সবাই সকালের দিকে একটু ঘুমিয়ে পড়েছে। এই ফাঁকে আমি রুপাকে নিয়ে বেড়িয়ে পড়লাম। বাসার সবাই আমাকে আর রুপাকে না পেয়ে হয়ত ভাববে পালিয়ে গিয়েছি। যা ভাবার ভাবুক। রুপার জন্য এতটুকু করতেই পারি।
বাড়ি থেকে বেড়িয়েই মুহিত ভাইকে ফোন দিলাম। অভি ভাই ঘুম চোখে ফোন ধরলেন।
-অভি ভাই আপনি কই?
-এইতো রে ভাই বিছানায়।
-আরে মিয়া রুপারে নিয়া এখন কোথায় যাব?
-ভাইরে রুপারে বল ও যেন বাসায় ফিরে যায়। আমি অনেক ভেবে দেখলাম ওকে নিয়ে পালিয়ে করব টা কি? খাব টা কি? থাকব কোথায়? আমার তো চাকরীও নাই। আবেগ দিয়া তো আর সংসার চলবে না। তুই একটু ওরে বুঝা।
-আপনি এতক্ষণে এইসব কথা বলতেছেন? একটা মেয়ে আপনার উপর বিশ্বাস করে পালায় আসছে আর আপনি?
-ভাই আমার ব্যাপারটাও একটু বোঝ।
আমি ফোনটা কেটে দিলাম।কথোপকথন শুনে রুপা সব বুঝে গেছে।ও কাঁদতে শুরু করেছে।
-দেখ,বাসায় ফিরে যাও!
-সম্ভব না।আত্মহত্যা করব তবু বাসায় ফিরে যাব না।বাসায় ফিরে আমি কিভাবে মুখ দেখাব?কি বলব আব্বু-আম্মুকে?একটা রাত কোথায় ছিলাম?কিভাবে ছিলাম?তুমি বাসায় যাও রাসেল।তোমাকে অনেক কষ্ট দিলাম।স্যরি।
-উঁহু।চল বিয়ে করি।
বলেই হাতটা ধরলাম রুপার। আমার হাতের স্পর্শে ও শিউরে উঠল। যেন খুব বিপদে কেউ একজন তার পাশে আছে,যাকে হয়ত সারাটাজীবন ভরসা করা যায়। যার হাতটা হয়ত সারাজীবনই ধরে রাখা যায়।
বিয়ে করে বাসায় ফিরেছি। মনে মনে ঠিক করে নিলাম আব্বা কোন গালে চড় বসাবেন আর আম্মা কোন গালে? কিংবা এবার বাসা থেকেই বের করে দিবেন হয়ত।
আমি আর রুপা বাসার দরজায় দাঁড়িয়ে আছি। রুপার গায়ে বিয়ের সাজে নেই। আমার হাত ধরে রেখেছে খুব শক্ত করে। বাসার সবাই বুঝে গেছে আমরা বিয়ে করে এসেছি।
আব্বা বললেন, ‘কি করছিস?’
আমি বললাম, ‘আব্বা বিয়ে করছি।’
আব্বা এগিয়ে আসছেন। আরও কাছে। আরও কাছে। হঠাৎ সশব্দে ডান গালে একটা চড় বসিয়ে দিলেন। আমার কান তালি লেগে গেল। আব্বা বকবক করছেন। কিছু শুনতে পারছি না। তবুও একটু একটু কথা শুনতে পাচ্ছি।
আব্বা বলছেন,’সাবাস!বাপের ব্যাটা।তোর বাপ যেটা পারে নাই,তুই সেটা পাড়ছিস।তোকে তো জীবনও মানুষ করতে পারলাম না।তাতে কি?দুনিয়ার আর কয়েকটা মানুষরে তো দেখিয়ে দিলি ব্যাটা তুই কি করতে পারিস?’
আমি পুনরায় জ্ঞান হারালাম। জ্ঞান যখন ফিরল দেখলাম রুপা আমার পাশে বসে। ও মুচকি মুচকি হাসছে। একটা মেয়ে এই মুহূর্তে কিভাবে হাসতে পারে তা মাথায় এখনও ঢুকছে না।