প্রায় অনেকবছর অাগের কথা।তখন অামি গ্রামের বাড়িতে থাকতাম।অামরা যে পাড়ায় থাকতাম সে পাড়ায় মোটামোটি অামার বাবার নাম ডাক ছিল।জনে জনে শ্রদ্ধা করত সবাই অামার বাবাকে।বাবার সুনামে অামিও সকলের স্নেহের পাত্র হয়ে উঠেছিলাম সকলের।এবার অাসি পরের কাহিনিতে—
অামাদের তিনঘর পরেই ছিল হরি কাকার বাড়ি।হরি কাকা নিম্নবিত্ত।ইলিশ অানতে পান্তা ফুরোই।বিলের কাজকাম করে টেনেটুনে সংসার চালায়।তার দুই মেয়ে এক ছেলে।বড় দুই মেয়ে শ্রাবনী ও অবনীকে এক বছর অন্তর বিয়ে দিয়েছে।ছেলেটার নাম সুমন।এইবার ষষ্ট শ্রেনিতে নাম তুলেছে।হরি কাকা পরপর দুই মেয়েকে বিয়ে দিয়ে বড্ড চাপে পড়েছে।ভেবেছিল বড় মেয়ে শ্রাবনীর বিয়ের বছর চারেক পর অবনীর বিয়ে দিবে।কিন্তু সেটা সম্ভব হয়নি।শ্যামল ঘটকের এমন চতুর কথায় মন ভোলে তার।পাত্র দেখতে সুন্দর, সরকারি চাকুরি করে, দুইতলা পাকা বাড়ি।সবচেয়ে বড় কথা যৌতুকের নির্দিষ্ট কোন দাবি নেই এমন সুযোগ্য পাত্র হাতছাড়া করতে চাইলনা হরি কাকা।মেয়ে হয়ে যখন জন্ম নিয়েছে পরের বাড়ি তো একদিন না একদিন পাঠাতেই হবে।তাইতো বড় মেয়ের ঋণের বোঝা হালকা হতে না হতেই ছোট মেয়েকে বিয়ের পিড়িতে বসান তিনি।
অবনি অার অামি প্রায় সমবয়সী।অামরা একসাথে একই স্কুলে পড়তাম।ওর দিদি একটু বদমেজাজি ধরনের হলেও অবনি ছিল একদমি শান্ত ধীর প্রকৃতির একটা মেয়ে।খুবই কম কথা বলত ও।বাচালতা ওর মধ্যে একেবারে ছিলনা।উঁচু গলাই কথা বলতে কখনো শুনিনি।সদ্য দশম শ্রেনিতে উঠেছিলাম অামরা তখন।অবনি অামাকে একবার বলেছিল ওর স্বপ্নের কথা।সে চেয়েছিল টেইলারিং করতে।তার মত গ্রামের অার দশটা গরীব মেয়েকে টেইলারিং শিখিয়ে স্বাবলম্বী করতে।
যাতে কোন মেয়েই তার বাবা- মার কাছে বোঝা বলে গণ্য না হয়।কিছু পুরুষ সমাজের মুখে অাঙ্গুল দেখিয়ে বলতে চেয়েছিল-মেয়েরাও ছেলেদের থেকে কোন অংশে কম নয়।তারাও পারে টাকা রোজগার করতে।সংসারের হাল ধরতে।এত মহৎ স্বপ্ন দেখার পরেও ও কিভাবে বিয়ের পিড়িতে বসতে পারল সেটাই অাজ পর্যন্ত বুঝতে পারিনি অামি।অামার শুধু মনে হয়েছিল ও বিয়েটা করবেনা।এমনকি ওরা যখন সাতপাকে বাঁধা পড়ছিল, সিঁদুর দান, মাল্যদান করছিল অামি তখনও ভেবেছিলাম বিয়েটা এইমাত্র নাখোশ করবে অবনি।সত্যি বলতে এমন কিছুই ঘটেনি।সে রাতে বিয়েটা সম্পন্ন হয়েছিল।অার শক্ত হাতে খুন হয়েছিল কিছু স্বপ্নেরা।নিজেকে খুব বোকা বোকা মনে হচ্ছিল তখন।মিছেমিছি ওর স্বপ্নের সমর্থন করে গেলাম।যেখানে স্বপ্নদ্রষ্টাই স্বয়ং স্বপ্নবিধ্বংসী।
বিয়ের পর যখন অবনি দ্বিরাগমনে অাসছিল অামি তখন পূুকুর ঘাটে বসেছিলাম।পুকুরে মহিলাদের ভীড় ছিল তাই নামতে পারছিলামনা কিছুতেই।হঠাৎ চোখে পড়ে নীল রঙের শাড়ি পড়ে কেউ বাড়ির দিকেই যাচ্ছে।প্রথমে বুঝতে পারিনি ওটা অবনি।ওর বরকে দেখে বুঝতে পারি।অবনির দুই- তিন কদম পিছন পিছন হাঁটছিল লোকটা।হাতে তার বড় বড় মিষ্টির প্যাকেট।দুইজনের মুখেই হাসির রেখা।অবনি দূর থেকে অামাকে দেখতে পেয়ে জোরে বলল-
– কিরে সেতু কেমন অাছিস?
– ভালো অাছি রে।তোরা ভালো অাছিস ?
– হ্যাঁ।
তারপর অবনি লোকটাকে ফিসফিস করে কি যেন বলে দুজনেই বাড়ির ভিতর ঢুকে গেল। অাজকাল হরিকাকা বড্ড চিন্তায় দিন পার করছে।চারপাশে অজস্র পাওনাদার কাকের মত ঠোকরাচ্ছে তাকে।পরিশ্রম করছে দিগুন পরিমাণে।তারপর হঠাৎ একদিন শুনি যে হরিকাকা বিলে মাটি কোপানোর সময় স্ট্রোক করে মুখ থুপড়ে পড়ে অাছে।খবর শুনে অামি সাথে অারো কয়েকজন মিলে দৌড়াতে দৌড়াতে সেখানে যায়।প্রথমে হরিকাকাকে অামরা উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি করি।পরে তারা অপারগতা প্রকাশ করলে অামরা ওনাকে নিয়ে জেলা হাসপাতালে ভর্তি করি।হরিকাকার অবস্হা খারাপ বাঁচার সম্ভাবনা খুব কম।সুমন অামার সাথে সাথেই অাছে।খুব ভয় পেয়ে অাছে বেচারা।পাশের হোটেল থেকে ভাজি- পরোটা খাইয়ে এনেছি।
সে যাত্রায় বেঁচে যায় হরিকাকা।তবে সে বাঁচা যেন বাঁচা নয়, মৃত্যুর সমান।হরিকাকা বাকশক্তি হারিয়ে ফেলে।সোজা হয়ে দাঁড়ানোর জোর হারিয়ে ফেলে।স্টিক ছাড়া দুই কদম হাঁটতে পারেনা।এমন দিন দেখতে হবে সেটা সুমন ও তার মা, বোনেরা কখনই ভাবেনি।ওই ঘটনার পর হরিকাকার পরিবারে দূর্দশার সীমা থাকেনা অার।যাইহোক ছোট মেয়ের জামাই ভালো মানুষ পেয়েছে মানতে হবে।ভাগ্য করে এমন জামাই কপালে জুটে।সবদিক থেকে সাপোর্ট করছিল সে হরিকাকার পরিবারকে।কিন্তু সেটা ছিল লোক দেখানো কিছু সময়ের জন্য।কয়েকমাস পরেই হরিকাকার পরিবার রাস্তায় নামে।দুইবেলা ডাল ভাত ঠিকমত জুটেনা। তার উপর দিনে ১০০ টাকার ওষুধ লাগে হরিকাকার।অবনি স্বামীর অবর্তমানে কিছু টাকা পাঠাত গোপনে মার কাছে।নাহলে সংসারটা কবেই মারা পড়ত। একদিন দুপুরের খাবার শেষ করে বিছানায় গা টানা দিয়েছিলাম।চোখ দুটো ঝিমিয়ে অাসছিল এমন সময় চোখে পড়ে সুমনকে চেয়ারের উপর।বললাম-
– কিরে সুমন তুই এখানে, অার কখন অাসছস?
– এইমাত্র অাসছি দাদা।
– ওহ! কি দরকারে অাসছস বল?
– দাদা মা বলছে অামাকে অার পড়াবেনা।মোটর ওয়ার্কসপের কাজ শিখতে পাঠিয়ে দিবে।কিন্তু দাদা অামি পড়তে চাই।অনেকদূর পড়তে চাই।তুমি অামার মাকে একটু বুঝাবে দাদা। কথাগুলা বলার সময় খেয়াল করলাম সুমনের চোখে জল চিকচিক করছিল।বললাম-
– ঠিক অাছে তুই একদম চিন্তা করিস না।অামি তোর মাকে বুঝিয়ে বলব।
সুমন রুম থেকে বের হয়ে গেল।সফল হওয়ার জন্য প্রয়োজন চেষ্টার।অার চেষ্টার মানসিকতা তৈরি হয় অাগ্রহ থেকে।সুমনের মধ্যে সেদিন অামি প্রচুর অাগ্রহ দেখে বুঝেছিলাম ছেলেটা জীবনে অনেক বড় হতে পারবে। সন্ধ্যায় সুমনকে সাথে নিয়ে ওর মায়ের কাছে গেলাম।কাকি তখন রান্নায় ব্যস্ত ছিল।কাকি অামাকে দেখতে পেয়ে জলচৌকি টেনে দিল।অামি সেখানে বসতে বসতে বললাম-
– কাকি শুনলাম অাপনি সুমনকে অার পড়াতে চাইছেন না?
– হ্যাঁ বাবা।অভাবের সংসারে পড়ালেখা করে কি হবে।তার চেয়ে ভালো একটা হাত বিদ্যা শিখে রাখা।
– কিন্তু কাকি সুমন তো পড়তে চাইছে।তাছাড়া অাজকাল অশিক্ষিত মানুষের সমাজে কোন দাম নেই।কষ্ট যখন করছেন অারো কিছু সময় করেন।সুমনকে মেট্রিক পাস করান।তারপর নাহয় কোন কাজে দিয়ে দিয়েন।
– তা বললে হয়না বাবা।শ্রাবনীর বাবা বিছানায় পড়ে অাছে একবছরের বেশি।সংসার চলে অনেক কষ্টে।এ পরিস্হিতিতে ওর পড়ালেখার খরচ মিঠানোর সাধ্য অামার নেই।
– কাকি, সুমন অামার ছোট ভাইয়ের মত।দরকার হলে ওর পড়ালেখার ব্যাপারে অামি ওকে সবরকম সাহায্য করব।অাপনি অার না করবেন না।
– ঠিক অাছে।তুমি যেটা বলছ সেইটাই হবে।সুমন পড়ুক।
রান্নাঘর থেকে বের হওয়ার সময় সুমন কোথ থেকে জানি অামার সামনে এসে পড়ল।তারপর বিনয়ের স্বরে জিজ্ঞাস করল-
– দাদা, মা কি বলল?
– তোর মা রাজি হয়েছে।
মুহুর্তেই সুমনের মুখে হাসির রেখা দেখা গেল।বেচারার মন খুশিতে ভরে উঠল। অামি তখন ইন্টার ২য় বর্ষে উঠেছিলাম।অার সুমন ক্লাস এইটে।অামি দুইটা টিউশানি করে কিছু টাকা পেতাম।এর বাইরেও বাবা অামাকে হাত খরচের জন্য নিয়ম করে টাকা দিত।যেটা দিয়ে অামার যাবতীয় খরচাপাতি অনায়াসে মিটে যেত।বাকি টাকা সুমনের স্কুলের ফিস,বেতনে ব্যয় করতাম।সুমনের মা রনজিত বাবুদের বাড়িতে কাজ করে কিছু সাহায্য পেত।যদিও সুমনের মা সেদিন বলেছিল ছেলের পড়ালেখার খরচ চালানোর সামর্থ্য তাদের নেই।কিন্তু সুমনের পড়ালেখার কোন খরচ তাকে অাটকে রাখতে দেখিনি।ধার হোক কিংবা কর্জ করে সময়মত সবকিছু পূরন করে দিয়েছে।বেশ ভালো লেগেছিল বিষয়টা অামার কাছে।
গত দুই- তিন বছরে অামি সুমনকে অনেক পোশাক দিয়েছিলাম।যে প্যান্টগুলা সামান্য পুরনো হত, যে প্যান্টের কোমর ছোট হয়ে যেত, যে শার্টগুলা একটু চিপ হত কিংবা অন্য কোন সমস্যা থাকলে অামি সেটা সুমনকে দিয়ে দিতাম।সুমন খুশিমনে তা পড়ে নিত।সেদিন সুমনকে ডাকতে ওদের ঘরে গিয়েছিলাম।সেখানে হরিকাকা বসেছিল।অামাকে দেখতে পেয়ে হরিকাকা তার কাছে যাওয়ার জন্য ইশারা করল।অামি হরিকাকার কাছে গিয়ে বললাম-
– কিছু বলবেন কাকা??
হরিকাকা কথা বলতে পারেনা।তবে বিড়বিড় করে কিসব যেন বলে বলে অামার মাথার উপর হাত বুলাইতে লাগলেন।হয়ত দীর্ঘকাল বেঁচে থাকার অার্শিবাদ করছিলেন।
দেখতে দেখতে অারো কয়েক বছর কেটে যায়।সুমন এসএসসি পাস করে ফেলে।ওর যেদিন এসএসসি রেজাল্ট দিয়েছিল সেদিনের কথা অামার এখনো মনে অাছে।অামি কলেজ থেকে বাড়ি ফিরছিলাম তখন।সুমন অামাকে দেখে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করল।কিন্তু অামি দেখে ফেলি, অার ডাক দিই-
– সুমন, এদিকে অায়। ও অামার সামনে এসে জিজ্ঞেস করল-
– কি হয়েছে দাদা?
– কি হয়েছে মানে, তোর রেজাল্ট কেমন হয়েছে সেটা বল। জিপিএ কত অাসছে? হঠাৎ করে সুমন পা ছুঁয়ে অামাকে সালাম করল।তারপর মাথা তুলে বলল-
– দাদা জিপিএ কম এসেছে।
– কত অাসছে বল?
– দাদা, ৪.৭৫।
– কম কি এসেছে।
– দাদা অামি যাই, মা- বাবাকে পাসের খবরটা দিয়ে অাসি।
– হ্যাঁ যা।
সুমন অামাকে দেখে পালাইতে চাইল তার কারন অাছে।জেএসসি তে কম জিপিএ এসেছিল বলে অামি সেদিন ওকে খুব বকেছিলাম।তাছাড়া এ পরীক্ষাতেও ওর প্রিপারেশন যথেষ্ট ভালো ছিল।অন্ততপক্ষে এ প্লাস অাসা তো উচিৎ ছিল।কেন এমন হয় বুঝিনা।যাই হোক, ওকে নিয়ে এবার নতুন স্বপ্ন দেখার পালা।
সুমন একটা সরকারি কলেজে চান্স পেয়েছিল।অামি সব মিলিয়ে তিনটা টিউশান করতাম ওখান থেকে একটা টিউশান সুমনকে করতে দিলাম।পরবর্তী দুই মাসে সুমন নিজেই অন্য অারেকটা টিউশান খুঁজে নিয়েছিল।মাস শেষে সুমন যা টাকা পেত তা দিয়ে নিজের পড়ালেখার খরচ চুকিয়ে বাড়তি টাকা সংসারের কাজে দিত।এতে সুমনের মা- বাবা দুজনেই খুশি।কারন ছেলে বেশি টাকা হোক কিংবা অল্প টাকা দিয়ে সংসারের হাল ধরেছে এটাই বড় কথা।তাছাড়া অাজকাল এমন বাবা-মা খুঁজে পাওয়া দুষ্কর যারা নিজেদের ছেলেমেয়েকে সুশিক্ষিত করার ব্যাপারে অনাগ্রহ প্রকাশ করে।প্রত্যেক বাবা- মা’ই চাই ছেলে পড়ালেখা করে মানুষের মত মানুষ হোক।সমাজে মাথা উঁচু করে দাঁড়াক।সুমনকে কাজে পাঠানোর কথা ভাবতে পারলেননা সুমনের মা অার।তারা নিজেরাও এখন সুমনকে নিয়ে নতুন স্বপ্ন সাজাতে শুরু করে দিয়েছিলেন।
বছর খানেকপর অামার অনার্স শেষ হয়।বাবা অামাকে একটা প্রাইভেট ফার্মের চাকুরিতে জয়েন করে দেয়।শুরুতে পোস্টিং হয় অন্য জেলায়।সেদিন যাওয়ার জন্য ব্যাগপত্র গুছাচ্ছিলাম এমন সময় সুমন অামার রুমে এসে হাজির।বললাম-
– কিরে সুমন কিছু বলবি? সুমন প্রথমে কিছু বললনা।তাই অামি অাবার জিজ্ঞেস করলাম-
– চুপ করে অাছিস যে খানিকক্ষণ পর হঠাৎ সুমন ছিঁচকে কেঁদে উঠে।অার বলে-
– দাদা, তুমি চলে যাচ্ছ….
– অারে বেকুব কাঁদছিস কেন মেয়েদের মত।অামি তো অার সারাজীবনের জন্য চলে যাচ্ছিনা।পূজো- পার্বণে অাসব তোদের খোঁজ নিতে।চোখের পানি মুছে ফেল এবার। তারপর অামি বাকি প্যান্ট-শার্ট গুলোও ব্যাগের মধ্যে ডুকিয়ে চেইন টানতে টানতে বললাম-
– শোন মন দিয়ে পড়বি।তোকে ইদানিং অনলাইনে বেশি দেখা যাচ্ছে।ফেসবুকে কম থাকবি।
– সুমন মাথা নেড়ে হ্যাঁ বলল।
তারপর অামার পা ছুঁয়ে সালাম করল। বললাম- থাক।থাক।কোনো অসুবিধায় পড়লে ফোন করিস। সুমন মাথা নেড়ে রুম থেকে চলে গেল।
তারপর অারো কিছুসময় পার হয়ে যায়।অামি নতুন চাকরি নিয়ে এত ব্যস্ত ছিলাম যে ছয় মাসে একবারের জন্যও বাড়িতে অাসতে পারিনি।একদিন দুপুর নাগাদ সুমন ফোন করে অামাকে।রিসিভ করে বললাম- হ্যাঁ সুমন বল..অার রেজাল্টের কি খবর?
– দাদা, পাস করছি।
– পাস সবাই করে।জিপিএ কত বল?
– দাদা এ+ পাইছি।পুরো কলেজে অার কেউ ফাইভ পয়েন্ট পায়নি একমাত্র অামি ছাড়া।
– অারে এটা তো খুশির খবর।পাড়ার সবাইকে মিষ্টি এনে খাওয়া।তোর পাস করার কথা শুনে কাকা কাকি অনেক খুশি হয়ছে না?
– এখনো জানায়নি কাউকে।প্রথমে তোমাকে জানিয়েছি দাদা।
– ওদেরকে তাড়াতাড়ি জানিয়ে দে তোর পাসের খবর।
– অাচ্ছা দাদা।রাখি এখন।পরে কথা বলব।
– হুম রাখ।
না জানি সুমনের মুখ থেকে পাসের খবরটা শুনে হরিকাকা অার কাকিমা কতটা খুশি হবেন।বাড়িতে থাকলে হয়ত সেটা দেখতে পেতাম।বুঝলামনা সেটা ভাবতে গিয়ে হঠাৎ চোখের কোণে পানি কেন জমে গেল।