মেয়েটাই পকেট মেরে দিয়েছে!

মেয়েটাই পকেট মেরে দিয়েছে!

। ।এক।।
আমাদের বীজেশ ……….
এম.এর ছাত্র। হালকা পাতলা চেহারা, বেশ ফর্সা। টিকালো নাকের নীচে গোঁফটা বেশ মজবুত না হলেও কি, পাড়ার বৌদি মহলে ওর ডিমান্ড মন্দ নয়।
তাই বলে ওর বয়সী একটি মেয়ে?
হস্টেল থেকে বেরোতে বেশ দেরি হয়ে গেল
বীজেশের। সকালে রুমিকে পড়িয়ে পাওয়া হাজার টাকার নোটটা ড্রয়ারে না রেখে ভাবলো,মানি ব্যাগে
থাক না।
আজকেই নারীবাদের উপর কয়েকটা বই!
বালিগঞ্জ স্টেশন থেকে ট্রেনে উঠতেই দেখলো
দরজার কাছটাতে একটা অকারণ ভিড়। সেই ভিড়
কাটিয়ে, বীজেশ একটু ভিতরে যেতে চাইলে একটি সলিড মেয়ে, এমন করে ওর গা ঘেঁসে দাঁড়ালো যে,
ওর ন যযৌ, ন তস্তৌ অবস্থা!!
ডানে কিম্বা বায়ে কোনোদিকেই ওর নড়বার উপায় নেই। ও বেশ কিছুটা বিরক্ত হয়ে বললে,
-একটু সরে যেতে পারেন কি?
মেয়েটি একটু হেসে বললে, নিশ্চিত।
তারপর……..
মেয়েটি ওর ডান হাতটা বীজেশের কোমরের পিছন দিকে নিয়ে এমন করে দাড়ালো,যে মেয়েটির
নরম বুকের একটা উত্তুঙ্গ পিন্ড…..!!
কি ভীষণ একটা উত্তাপ বীজেশের সারা শরীর-ময়
খেলে যাবার অাগেই পার্ক সার্কাস এসে গেলো!!!!!
।।দুই।।
রচনা সামন্ত……..
স্বপন সামন্তের মেয়ে। সেই কবে বীজেশের প্রাই মারীর সহপাঠিনী ছিলো। ওদের বয়স..তখন কতই
বা অার হবে।
বেশ ফর্সা টর্সা, একটু লালচে অাভার বীজেশকে
দেখলেই রচুর মধ্যে কি যেন ঘটে যেত। দৌড়ে এসে বীজেশকে দুহাত দিয়ে জোরসে জড়িয়ে ধরতো!
বীজেশের মা…….
ও দুটোকে বীজেশের বাপের বাইকের পিছনে তুলে দিয়ে বলতেন, দুটোতে কিন্তু বেশ মানায়!
অতএব..
তখন থেকেই বেচারা বীজেশের প্রতি রচুর কি একটা প্রবল অধিকার বোধ জন্মেছিলো।
সেই অধিকারের বশেই রচু………
আজ শেয়ালদা সাউথে, বেশ কয়েকটা মাস পরে বীজেশকে দেখেই.. কি এক অাবেগে সোজা দৌড়ে এসে পিছন থেকে বীজেশকে জাপটে ধরলো। আর বললে, তুই অামার সংগে চল?
বীজেশ বললে, তার অাগে তুই আমাকে ছাড়!
রচু বললে, মানে?
-দামড়া মেয়ে,………. তুই জানিস না?
-জানি তো। তোকে এভাবে ধরলে অামার ভিতর…!
বীজেশ হেসে ফেলে বললো, একটা বিশেষ….?
কথাটা শেষ হতে পারলো না।
তার অাগেই রচনা বিদ্যুৎ বেগে বীজেশের সামনে এসে, সারা শরীর-ময় একটা ঢেউ…স্মার্টলি বললে,
-তুইও সেটা জানিস, একটা বিশেষ সুড়সুড়ি!!!!!!!
।।তিন।।
কলকাতার হাওয়া……..
গ্রামের ছেলে মেয়েদের গায়ে একবার লাগলেই
কি যে একটা ঘটে যায়! আপ টু ডেট না….কি সব
হতে গিয়ে, রচু জিন্সের সাথে নানা ধরণের স্লোগান লেখা টি-শার্ট পরে থাকে।
আজ বিজেশ ওর দিকে তাকাতেই দেখলে, ওর
বুকের উপর একটা লেখা জ্বল জ্বল করছে………
-গা ঘেঁষে দাঁড়াবেন না!!!!!!!!
বীজেশের মথাটা গরম হয়ে গেলো। ও বললে,
-বুকের উপর ও-সব কি লিখেছিস, তোর কি?
কফি হাউসে গরম কফির কাপে চুমুক মেরে রচু
বললে, আমার কি?
-নিশ্চিত তের মাথা খারাপ হয়েছে?
-মানে?
-তোর এমন সেনার অঙ্গ নয় যে, এই ভিড়ের শহরে একটু কারো ঘঁষা লাগলে খয়ে যাবে!
পিছনের পকেট থেকে বীজেশ মানি ব্যাগটা বের করতে গিয়ে আরো বললে,…আজই তো বালিগঞ্জে
এক সুন্দরী………….
বীজেশের কপালে ঘাম, কি একটা অস্থিরতা!
রচনা বললে, এনি প্রবলেম, বিজু?
-ইয়েস। একটা বড়ো প্রবলেম তো বটে, অামি……!
-তুমি কি?
-মনে হয়, বালিগঞ্জ স্টেশনের ওই… গা ঘেঁষে আসা
মেয়েটাই আমার…….
-তোমার কি?
-পকেট-টা মেরে দিয়ে, ট্রেন থেকে নেমে গেছে!!!!!!

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত