পরিণীতা

পরিণীতা

আলমারির ডানদিকের ড্রয়ারটা খুলে কেয়া কিছুক্ষন থম মেরে রইল,টাকা ত থাকার কথা, গতমাসেই ব্যাংক থেকে ত্রিশহাজার উঠানো হয়েছিল।এর মধ্যে ইদের জন্য সে একটা হারমনিয়াম কিনেছিল গতসাপ্তায়।ওখানে কিছু খরচ হয়েছে আর কোন খরচ করেছে বলে মনে পরছেনা,অথছ বটুয়াতে মাত্র ছয় হাজার টাকা আছে,এখন পুরা মাস কিভাবে সামাল দিবে কেয়া বুঝতে পারছেনা।দিনদিন খরচ বেড়েই যাচ্ছে অথচ নাঈম গায়ে হাওয়া লাগিয়ে ঘুরে বেড়ায় খরচের কথা বল্লেই রেগে যায় আজ প্রায় দেড়বছর কেয়া টাকা চাওয়া ছেড়ে দিয়েছি, নিজে যা আয় করে সেটা দিয়েই ম্যানেজ করার চেষ্টা করে,এখন আর ঝগড়াঝাটি করতে ভালো লাগেনা।।

ইদ তার একমাত্র মেয়ে,খুব শখ করে শহরের নামকরা একটা ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করেছে মেয়েকে। এখন ক্লাশ ফাইভে পরে কিন্তু মাশআল্লাহ্ গ্রোথ ভালো দেখে ওর যে মাত্র ১০ বছর বয়স মনেই হয়না।

কেয়া যখন অনার্স ২য় বর্ষে পড়ে পালিয়ে বিয়ে করে নাঈমকে,সে তার বাবামায়ের একমাত্র কন্যা,তার ব্যারিষ্টার বাবা ইউনিভার্সিটির গন্ডি না পেরনো বড়লোকের ছেলে নাঈমকে একেবারেই পছন্দ করলেন না,যার জন্য ঘরবাড়ি ছেড়ে কেয়াকে চলে আসতে হয়েছিল নাঈমের কাছে।

বিয়ের রাতে বউ হয়ে যখন কেয়া এ বাড়িতে আসে উঁচু ঘোমটার ফাঁকফোকর দিয়ে বারবার বাড়ির অবস্থা দেখে চমকাচ্ছিল,নাঈম তাকে যেমনটা প্রেজেন্ট করতো তার সাথে এই বাড়ির কোন মিলই নেই, এখানে কেউ শুদ্ধভাবে কথা বলেনা যেমনটা নাঈম বলতো,সবাই কেমন যেন উদ্ভট ভাষায় কথা বলছে।

কেউ কেউ ওর গায়ের রং নিয়েও হাসাহাসি করছে অথচ তার মাথাই আসছেনা কেন তারা গায়ের রং নিয়ে এতোটা কানাঘুষা করছে, কেয়া দেখতে শ্যাম বর্ণ কালো কিন্তু না।আরো অবাক হচ্ছে এ বাড়ির প্রায় সবাই বলতে গেল কালো, কেউই ফর্সা না তারপরও কেন সবাই গায়ের রং নিয়ে এতো ধরণের কথা বলছে সে বুঝতেই পারছেনা ব্যাপারটা সত্যিই হাস্যকর।সে নিজেকে শান্ত করে চুপচাপ বসার ঘরে বসে রইল,অনেকই এসে এসে তাকে দেখে যাচ্ছে।নাঈমের মা এর মধ্যে এসে ওকে একজোড়া বালা পরিয়ে গেল।

বাসর ঘরে ঢুকে কেয়া চমকে উঠল,কিসুন্দর করে রজনীগন্ধা আর গোলাপ দিয়ে সাজানো একটা সিংগেল বিছানা,নাঈমের এক ফুপুতবোন তাকে নিয়ে বিছানার মাঝখানে বসালো, কেয়ার যে কি লজ্জা লাগতে লাগলো,যার সাথে গত দু’বছর ধরে প্রেম করেছে এখন তার বেডরুমে নিজের উপস্থিতি চিন্তা করেই তার কেমন যেন নার্ভাস লাগতে লাগলো।

ফটোগ্রাফার কিছু ছবি তুলল তখন নাঈম কেয়ার পাশেই ছিল,ফটোগ্রাফারের সাথে সেও বের হয়ে গেল,ঘরে এখন নাঈমের ৮/৯ জন ভাইবোন, ভাবীরা সবাই।নাঈমের ছোটবোন দিশা প্লেটে করে ভাত নিয়ে কেয়াকে খাওয়াতে আসল,কোনরকম দুই লোকমা মুখে দিয়েই করুন চোখে ওয়াসরুমে যাইতে চাইল কেয়া,দৌড়ে গিয়ে মুখ ভর্তি করে বমি করল, আজকে সারাদিনের ধকলটা শরীর আর নিতে পারছেনা,সমস্ত জগৎ যেন দুলে উঠছে।দিশা নতুন ভাবীকে ধরে এনে ঘরে সোফায় বসাল। এরমধ্যে সবাই মিলে হুরাহুরি করে সমস্ত ফুলের সাজানো লন্ডভন্ড করে দিল, কেয়া আহত চোখে তাকিয়ে দিশার কাছে জানতে চাইল কিহচ্ছে।

বিয়ের ৭দিন পর কেয়া আর নাঈম একরুমে থাকার পার্মিসন পেল,একটু অন্যভাবে বিয়ে হয়েছে বলে এই নিয়ম নাকি মানতে হয়,বিয়ের পরপরই কেয়ার ভিতরে বিশাল এক পরিবর্তন চলে আসে। যে নাঈমকে সে ভালোবেসে ছিল এই ছেলে সে একেবারেই না,এই নাঈম ভীষণ বদরাগী,ভাষার আমুল পরিবর্তন,কথায় কথায় অদ্ভুত ভাবে গালি দিয়ে উঠে,অপরিচিত ড্রেসআপ সব মিলিয়ে যে মানুষটারে গত দু’বছরে চিনেছিল তা যে এভাবে ভুল প্রমাণিত হবে কেয়া তা কল্পনাও করতে পারেনি। নাঈমের মা এক কথায় জানিয়ে দিয়েছিল কেয়ার এখানে থাকতে হলে লেখাপড়া একদম বন্ধ,চাকরীবাকরির তো প্রশ্নই উঠেনা,যেহেতু তার বাবা নাঈমকে নাকচ করে দিয়েছিল সেই বাবার বাড়িতেও কারো সাথে যোগাযোগ রাখা যাবেনা।

কেয়া একটা প্লাস্টিকের মোরায় বসে শাশুড়ির সকল ডুস ওর ডোন্ডস মন দিয়ে শুনে পায়ের নখ ফ্লোরে ঘষা দিচ্ছিল,বারবার চোখ ঝাপসা হয়ে যাওয়াটা আড়াল করে হাসি মুখে নিজের নিয়তি কোথায় তাকে নিয়ে যায় তার চিন্তা করছিল।সেদিনের মতো অসহায় তার ২০ বছরের জীবনে সে কখনও ফিল করেনি। এর মধ্যে একদিন ল্যান্ডফোনে মায়ের ফোন পেয়ে নিজের ভিতরের জিদটা আরো বেড়ে যায় কেয়ার,মা তাকে বারবার বলছিল ফিরে আসতে।কেয়ার বাবা সবদিকে খবরনিয়ে জেনেছিল সে যে পরিবেশে বড় হয়েছে কেয়া এখানে কখনই সারভাইব করতে পারবেনা।

কি এক অদ্ভুত কারণে কেয়ার নিজের উপর রাগ না উঠে মাবাবার উপর রাগ বেড়ে যায় (হয়ত বয়স কমে বিয়ে করে সম্পূর্ণ ভিন্নরকম পরিবেশে এসে নিজেকে খাপ খাওয়াতে পারছিল না বলে বিচারবুদ্ধি লোপ পেলে যা হয় আরকি)তাকে শশুড় বাড়িতে প্রতিনিয়ত তার বাপের বাড়ির আভিজাত্য আর অহংকারের খোটা শুনতে হচ্ছে।শুনতে হচ্ছে রান্না পারেনা মাকিছু শিখাইনি,ওড়নাটা পিনাপ করে পরতে জানেনা,এই কালো মেয়েরে নিয়ে বাপমার কি এত অহমিকা?আরো কতকি।

একদিকে শাশুড়ি যেভাবে করে ছেলের বউকে সাজগোজ করতে বলে,কেয়া সেভাবে কাপর পরে সেজে এসে শাশুড়ির মন জয় করতে চায় ঐ দিকে নাঈম এসে তাকে দেখে নিত্যনতুন উৎপাত শুরু করে এমন উৎভট কড়া মেকাপ আর চাকচিক্যে ভরা জামা কাপর দেখে কারণ কেয়াকে কখনই এমন কড়া সাজে আগে কখনই দেখেনি নাঈম যা কেয়ার জন্য খুবই বেমানান। এমন দুমোখো আচরণ,দু ধরণের জীবন যাপনে ব্যালেন্স করতে গিয়ে কেয়া নিজের ব্যক্তিস্বত্বাটা হারিয়ে ফেলে। এর মধ্যে দুইবার নার্ভাস ব্রেকডাউন হয়ে হসপিটালেও নিতে হয়েছিল তাকে।

অদ্ভুত পরিবেশটায় বছরের পর বছর নানা যুদ্ধ করে কেয়া খুব ধৈর্যের সাথে নিজেকে খাপ খাওয়াতে সফল হলো,দিনেরপর দিন কটাক্ষ কথা,স্বামীর অত্যাচার, সবকিছু কিভাবে যেন সামলে ফুটফুটে ইদের জন্মদিল।বিয়ের পর থেকে নাঈমের বদলে যাওয়া দেখে খুব কষ্ট পেত কেয়া, কত রাত নাঘুমিয়ে বালিস চোখের পানিতে ভিজিয়ে কেঁদেছে তার কোন ইয়াত্তা নেই।

নাঈম কে কিছু সরাসরি জিজ্ঞেস করলেই বলতো,”তোমার বাবামা আমার পরিবারকে ছোট করেছে তারা কেন মেনে নিল না আমাদের বিয়ে?এই জন্য আমি এমন।তোমাকে আমার বাবামা থাকতে দিয়েছে এবাড়িতে তাই তুমি এখন খাও দাও থাক আমার কাছে কিছু আশা কইর না” কেয়া অবাক হয়, অনেক বার ভেবেছিল বাবার বাড়ি চলে যাবে, এত ব্রাইট স্টুডেন্ট ছিল সে, একটা চ্যানেলে পার্টটাইম জবও করত। সবকিছু নাঈমের মায়ের এক কথায় ছেড়েছুড়ে সংসারে মন দিল অথচ তার প্রতিটা কাজে দোষ দেওয়া থেকে সে একটা গুড ফর নাথিং বানাতে ব্যস্ত ছিল ওরা সবাই।দিনকে দিন নিজের ভিতরের আত্মমর্জাদা,কর্ মক্ষমতা,কনফিডেন্স সব হারিয়ে যাচ্ছিল কেয়ার।সে যেন একটা জড় বস্তুতে রুপান্তরিত হল। কেয়া বুঝতে পারত নাঈমকে তারা তাদের অঞ্চলের মেয়ে দিয়ে বিয়ে করাতে চেয়েছিল, চেয়েছিল দুধেআলতায় ছোটখাট লালটুকটুকে বউ।

কেয়ার যেহেতু রংও ময়লা লম্বাও একটু বেশী তারউপর তার বাবার বাড়ির একরকম অনিহা সব মিলিয়ে তার শশুড়বাড়িতে নিজের অবস্থান তৈরী করাটা একরকম অসাধ্য হয়ে যাচ্ছিল,সে ভেবেছিল ইদ হবার পর হয়ত নাঈম একটু বদলাবে,বাড়ির সবার ব্যাবহারে পরিবর্তন আসবে,কিন্তু তেমন কিছুই হলোনা বরঞ্চ মাতৃত্বকালীন অসুস্থতায় নাঈম আরো বেশী বাইরে বাইরে থাকতে লাগলো কেয়ার সাথে দূরত্ব বেড়ে গেলে আরো দ্বীগুন।

কেয়া আশেপাশের দুঃখকষ্ট সব এক সাইডে রেখে ইদকে নিয়ে স্বপ্ন বুনতে শুরু করলো,মায়ের মতই মেধাবী হয়েছে ইদ স্কুলে টিচাররা সবসময় ইদ কে নিয়ে সুন্দর সুন্দর কথা বলে।কেয়ার তখন মনে হয় আর কি লাগে জীবনে।
ইদ বড় হবার সাথে সাথে বাড়ির ঝগড়াগুলোকে কেয়া খুব হালকাভাবে নিতো,খুব একটা মনে লাগাতো না,সে চাইতনা ইদের মনের উপর কোনরকম প্রেশার পরুক।তাছাড়া নাঈমের কাছে খরচের টাকা চাইলেই যে পরিস্থিতি অন্যরকম হয়ে যায় সেটা এতদিনে কেয়া বুঝে গেল।অনেক ভেবে চিন্তে গুগল করে, বই পড়ে নিজে নিজে ফ্রীল্যান্সিং শিখল,ঘরের বাইরে না গিয়েই অস্তে আস্তে সে টাকা কামানো পন্থা খোঁজা শুরু করল এবং সফলও হলো।

প্রথম প্রথম নাঈম বেশ রাগ করতো সারাক্ষণ কি ল্যাপটপ আর মোবাইল নিয়ে গুতাগুতি?এসব নিয়ে মাঝে মাঝে অনেক কথা শুনাতো একবারতো আছাড় মেরে মোবাইলই ভেঙে ফেলেছিল,ঐদিন নাঈমের মা নালিস করেছিল বউ আজকাল তার পায়ে তেল দিতে আসেনা,সারাক্ষণ রুমের মধ্যেই থাকে আরো কতকি। নাঈম অবশ্য পরেরদিকে তেমন ডিসটার্ব করতো না যখন দেখলো কেয়া তার কাছে খরচতো চায়ইনা বরং টুকটাক প্রয়োজনিয় জিনিষ নিজেই কিনে আনে।

ভালোই যাচ্ছিল কিছুদিন,কিন্তু কেয়া খেয়াল করল ইদের স্কুলের খরচ ছাড়া আর কোনকিছুরই খরচ নাঈম দেয়না,ইদানীং তো মাঝে মাঝে বাজারও করতে হচ্ছে কেয়াকে।প্রথম প্রথম ভালো লাগলেও পরে খুব বিরক্ত লাগতো নাঈমের এমন উদাসীন আচরণ। সংসারে খরচ না করে বন্ধুবান্ধব, নিজের শখ সবকিছুতেই প্রচুর খরচ করছে কিন্তু সংসারের বেলাতে সে নির্বাক এদিকে শ্বাশুড়ির বিষমাখা কথা তো আছেই।

ইদানীং বড্ড হাপিয়ে উঠেছে কেয়া,যতই সব গোছগাছ করে ততই এলোমেলো হয়ে যায়,নিজেকে একটা মেসিন ছাড়া কিছুই মনে হয়না,শেষ কবে নাঈমের হাতে হাত রেখে গল্প করেছে মনে পরেনা কেয়ার।তাদের দুরত্ব দেখলে বোঝার উপায় নাই কোন এক সময় পাগলের মতো ভালোবেসে একজন আরেকজনের জন্য ঘর ছেড়ে ছিল।

আজকের সকালটা অন্যরকম,নিজের প্রতি যেই অন্যায় এতো বছর করেছে কেয়া সেটার মৃত্যুর সময় হয়ে এসেছে।
দিনেরপর দিন নাঈমের অবহেলা,শ্বাশুড়ির কটু কথার অত্যাচার,খাবারের খোটা, সবকিছু যেন তুচ্ছ হয়ে শরীর মন দুটোই বিদ্রোহ করেছে, ঢেড় সহ্য করেছে আরনা। কয়েকদিনেরই তো জীবন তাহলে কেন এতো সহ্য করা? ইদানীং বড্ড মাথা উঁচু করে বাঁচতে ইচ্ছে হয় কেয়ার।দীর্ঘ ১৫ বছরের সংসার জীবনের অবসান করতে যাচ্ছে একটু ভালো থাকার আশায়।

ইদের স্কুলের পাশেই ২ কামরার একটা বাসা ভাড়া নিয়েছে সে।এখনও কাউকে কিছুই বলেনি।নাঈম গত পরশু বন্ধুদের সাথে বেড়াতে গেছে বান্দরবন। যাওয়ার আগে কেয়াকে জিজ্ঞেস করার প্রয়োজনও মনে করেনি প্রতিবারের মতই।তাদের প্রতি নাঈমের এই দুর্ব্যবহারে নিজেকে বড় তুচ্ছ মনে হয় কেয়ার।

অনেক কষ্টে তীলে তীলে মানষিক ভাবে নিজেকে তৈরী করেছে আজকের দিনটার জন্য,ডিভোর্সের কাগজটা ড্রেসিং টেবিলের উপরে রেখে,ইদকে নিয়ে বের হয়ে আসল তার এতো বছরের নামেমাত্র সংসার থেকে।

কেয়ার শ্বাশুড়ি কিছুই বুঝতে পারছেনা বোকাসোকা ছেলের বউটা হঠাৎ এতো তেজী হয়ে উঠল কিকরে,পেছন থেকে বারবার ডাকছিল, বলছিল ইদকে রেখে যেতে। কেয়া আজ আর কারো কথা শুনবেনা,শুধু তার মন কি চায় তা সেই পথে হাঁটবে,একটু স্বাধীনভাবে বাঁচবে,নতুন পৃথিবী গড়বে,যেই পৃথিবীতে আছে সে আর তার একমাত্র কন্যা।
সেখানে কেউ তাকে কালো বলে খোটা দিবেনা, বলবেনা এতো খাও কিভাবে খেয়ে খেয়ে তো সব শেষ করে দিলা, কেউ বলবেনা বের হয়ে যাও আমার বাড়ি থেকে।

রিক্সায় উঠে হুড খুলে মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বসল,গ্রীষ্মের এই ঝাঝালো রোদেও একটা মিষ্টি বাতাস ছুঁয়ে গেল তাদের। অনেক অনেকদিন পর কেয়া তার চুলগুলো খুলে দিল। ইদ অবাক হয়ে তার মাকে দেখছে,এতো সুন্দর তো মাকে আগে কখনও লাগেনি।রিক্সা ছুটছে দুরন্ত গতিতে আকাশ হঠাৎ কালো করে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি নামলো রিক্সাওয়ালা পলিথিন দিতে ব্যস্ত হতেই কেয়া মানা করল।

হুডখোলা রিক্সায় মেয়েকে জড়িয়ে ধরে বৃষ্টিত মন ভেজাচ্ছে একজন লড়াকু সৈনিক,বন্ধচোখের নীচে গাল বেয়ে জীবনে বয়ে যাওয়া দুঃখগুলো ধূয়েমুছে যাচ্ছে বৃষ্টির পানির সাথে।বিজলির আওয়াজের সাথে বুকের হুহু করা ব্যথার আওয়াজ মিলিয়ে যাচ্ছে,কেয়াকে যে আরো শক্ত হতে হবে, সে যে আজ থেকে নতুন যুদ্ধে নামার প্রস্তুতি নিয়েছে।সে যে পারবে এই যুদ্ধেও জয়ী হতে সেটা পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে তার ঠোঁটের কোণের হাসিতে।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত