হযরত সুলায়মান (আঃ) তিনি একদিন নদীর তীরে বসে ছিলেন। এমন সময় উনার চোঁখ পড়লো একটি পিঁপিঁলিকার উপর ।
পিঁপিঁলিকাটি মুখে করে একটি গমের দানা নিয়ে নদীর তীরে আসলো। নদীর তীরে পৌঁছতেই একটি ব্যাঙ হা করে অমনি পিঁপড়াটিকে গিলে ফেললো !!
দীর্ঘক্ষন পানিতে ডুবে থাকার পর ব্যাঙটি পুনরায় নদীর তীরে ভেসে উঠে হা করে পিঁপিঁলিকাকে ছেড়ে দেয় !!
হযরত সুলায়মান (আঃ) তিনি তীক্ষ্ণ দৃষ্টিতে তাকিয়ে রইলেন তাদের প্রতি! হযরত সুলায়মান (আঃ) এর মোজেযার মধ্যে একটি
মোজেযা হচ্ছে তিনি সব মাখলুকের কথা বুঝতেন!!
পিঁপিঁলিকাকে ডেকে জিজ্ঞেস করলেন কি ব্যাপার…? কোথায় গিয়ে ছিলে? কেন গিয়ে ছিলে ? উত্তরে পিঁপিঁলিকা বললো নদীর
নীচে একটি বিশাল পাথরে ভিন্ন রকম কিড়া- মাকড়ের জন্ম, তাদের অনেকে অন্ধ,তারা রিযিকের তালাশে বাহিরে যেতে পারেনা!!
এদের রিযিকের জিম্মাদারীত্ব মহান আল্লাহ্ পাক তিনি আমায় দিয়েছেন । ওদের পর্যন্ত রিযিক পৌঁছাতে আমি অক্ষম, তাই পানির নীচের বাহন হিসেবে মহান আল্লাহ্ পাক তিনি এই ব্যাঙকে আমার অনুগামী করে দিয়েছেন!!
আমি ওর মুখের ভিতরে নিরাপদ সফর করে তাদের পর্যন্ত রিযিক পৌঁছে দিয়ে পুনরায় তারই মুখের ভিতরে করে ফিরে আসি!!
হযরত সুলায়মান (আঃ) তিনি জিজ্ঞেস করলেন! সেখানকার অন্ধ কিড়া-মাকড়দের কোনো তাসবীহ্ পাঠ করতে কি শুনেছো ?
পিঁপিঁলিকা বললো হ্যাঁ !!
তারা রিযিক পেয়ে বলতে থাকে- পবিত্র সত্তা মহান আল্লাহ্ পাক তিনি ! যিনি আমাদের এই গভীর পানির নীচে ও ভুলেননি!
(সুবাহানআল্লাহ্)
মহান আল্লাহ্ পাক আমাদের সবাইকে অপরিমিত রিযিক দান করুন।