নিউ জলপাইগুড়িতে যখন নামলাম ফর্সা হয়ে আসছে রাতের আকাশ। প্লাটফর্মে নেমে মাটির ভাঁড়ে এককাপ চা খেলাম। সমস্ত পথশ্রমের ক্লান্তি দূর হল। রবি আসবে আমাকে নিয়ে যেতে। ফটোতে দেখেছি ওকে। মাঝারি উচ্চতা ফর্সা গোলগাল চেহারা। চিনতে অসুবিধা হবে না।
একটু পরে রবি এল গাড়ি নিয়ে। মাফ চেয়ে বলল,
” সাব একটু লেট হয়ে গেল। কিছু মনে করবেন না প্লিজ।”
” আরে না না। কোনো ব্যাপার না।” মৃদু হেসে আশ্বস্ত করলাম আমি।
আমাদের গাড়িটা সরু পাহাড়ি রাস্তা ধরে চলছে ডুয়ার্স এর দিকে।
ডুয়ার্স এর একটা চা বাগানের ম্যানেজার এর চাকরি নিয়ে নর্থ বেঙ্গল আসতে হয়েছে আমাকে। কাল হাওড়াতে ট্রেনে চড়ার পরই মিস করতে শুরু করেছিলাম আমার শহরকে। তবে এখন নর্থ বেঙ্গলের শোভা চেটেপুটে উপভোগ করছি ।সমস্ত মন খারাপ ম্যাজিক এর মত উধাও হয়ে গেছে। রাস্তার এক ধারে পাইন,ওক,ফার নানান পাহাড়ি গাছ আর আর এক পাশে গভীর খাদ। সাক্ষাৎ মৃত্যুর হাতছানি। আমি সিটে হেলান দিয়ে বাইরের দিকে তাকিয়ে রইলাম।
প্রায় ৬০ কিমি রাস্তা পেরিয়ে ডুয়ার্সে এসে পৌঁছলাম। ছবির মত সাজানো সুন্দর জায়গা। যেন কোন ইউরোপিয়ান দেশে হাজির হয়েছি। পাহাড়ের কোলে মাইলের পর মাইল জুড়ে বিস্তৃত চা আর আপেলের বাগান। পাহাড়ি মেয়েরা কাঁধে ব্যাগ নিয়ে চা পাতা সংগ্রহ করছে। ভারী সুন্দর সে দৃশ্য।
সাদা দোতলা এক বাংলোর সামনে এসে থামল আমাদের গাড়ি। রবি বাংলোর দিকে আঙুল দেখিয়ে বলল,” সাব এটাই আপনার থাকার বাংলো। আইয়ে। অন্দর মে আইয়ে।”
গাড়ি থেকে লাগেজ নামিয়ে
রবি কে অনুসরণ করে ভেতরে চললাম। ভেতরে দুটো মাত্র ঘর। সাথে কিচেন আর অ্যাটাচড বাথরুম। আর ওপরে ছাদ । রবি বলল অফিস এখান থেকে তিন মাইল দূরে। অফিস থেকে স্কুটার দেওয়া হবে আমার যাতায়াতের জন্য। আমি একটু চিন্তিত হয়ে জিজ্ঞেস করলাম,” সবই ঠিক আছে।কিন্তু আমার রান্না আর খাওয়াদাওয়ার কি ব্যাবস্থা হবে! ব্যাচেলর মানুষ আমি। নিজেও রান্না জানি না।”
রবি আশ্বস্ত করল আমাকে। বলল,” আপনার রান্নাবান্নার জন্য রাই আছে। ও রান্নাবান্না ছাড়া ঘরের অন্য কাজও করতে পারে।”
একটু পর রাই এল। কতই বা বয়স হবে। খুব বড়োজোর কুড়ি বা একুশ। টুকটুকে ফর্সা,টানাটানা দুটো চোখ। বেশ লাবণ্যময়ী। প্রথম দেখাতেই বেশ ভাল লেগে গেল রাইকে। রবি চলে গেলে রাই কে বললাম ,” তোমার নাম রাই। রবি বলেছে বলেছে আমাকে।”
একটু হেসে উত্তর দিল সে,” হ্যাঁ বাবুজি।”
” তুমি থাকো কোথায়?”
উত্তরে রাই জানাল এখান থেকে একটু দূরে অন্য একটা চা বাগানের পাশে ছোট্ট একটা বাড়িতে থাকে সে। রাই এর মা আমাদেরই চা বাগানে কাজ করে। আর রাই এই বাংলোর ম্যানেজারের দেখাশোনা করে।
রান্না বান্না সেরে বাড়ি ফিরে গেল রাই।বলে গেল বিকেলে আবার আসবে সে।
রাই এর বানানো গরম ভাত, মুরগির মাংস আর সাথে আমের আচার দিয়ে জম্পেশ খাওয়াদাওয়া হল। একটা জিনিষ বুঝতে পারলাম রাই শুধু দেখতে সুন্দর না,সাথে রান্নার হাতও বেশ চমৎকার।
খাওয়া সেরে ছাদে এসে দাঁড়ালাম। সামনে মাইলের পর মাইল সবুজ গালিচার মত বিস্তৃত চা বাগান। তারও পেছনে দূর থেকে কুয়াশার মত দেখা যাচ্ছে হিমালয়ের সুউচ্চ পর্বতশ্রেণী।
বেশ কিছুক্ষন ছাদে দাঁড়িয়ে পাহাড়ের রানীর সৌন্দর্য প্রত্যক্ষ করলাম। তারপর নিচে শোওয়ার ঘরে এসে একটু জিরিয়ে নিলাম। আজ কোনো কাজ নেই। কাল থেকে আমার ডিউটি শুরু। চা বাগানের ম্যানেজার এর কাজ সেরকম কঠিন কিছু না। তবে শক্ত স্নায়ু না হলে টিকতেই পারবে না এই নির্বন্ধব জায়গাতে।
বিকেলে রাই এল। আমি তখনও ঘুমোচ্ছিলাম। ওর চুড়ির রিনরিনে শব্দে চোখ খুলে তাকালাম। আমাকে চোখ খুলতে দেখে বলল,” সাহেব…রাতে কি খাবেন আপনি? তাহলে সেই অনুযায়ী রান্না করবো।”
আমি হেসে বললাম,”তুমি ভালোবেসে যা খাওয়াবে তাই খাবো।”
লজ্জায় রক্তিম হয়ে উঠল রাই এর দুই গাল।
আমি আবার বললাম, “আমাকে কক্ষনো সাহেব বলবে না। এখন থেকে রাজিবদা বলে ডাকবে।”
রাই ঘাড় নাড়ল।
” তাহলে কি খাওয়াবে ঠিক করলে?”
” রুটি আর ফুলকপির তরকারি।” বলে রাই হাসল।
আমি বললাম,” বেশ বেশ। তাই বানিও।”
রান্না শেষ হলে রাই আমার ঘরে এসে ঢুকল।
বলল,” রাজিবদা হয়ে গেছে রান্না। আজ তাহলে আমি যাই?”
” দাঁড়াও। আমিও বেরোব একটু। আশেপাশে একটু ঘুরে দেখবো। নতুন জায়গা কিছুই চিনি না। তাছাড়া অন্ধকারে হয়ত পথ চিনে ফিরতেও পারব না।”
মৃদু হেসে রাই বললো,” ঠিক আছে। আমার সাথেই চলুন। আমি আপনাকে বাংলোয় ছেড়ে তারপর বাড়ি যাবো।”
বিকেলের আলো প্রায় ফুরিয়ে আসছে। চারদিক থেকে বেলাশেষের গান শোনা যাচ্ছে। পাহাড়ি মেয়েরাও কাজ শেষে বাচ্চা কোলে ঘরে ফিরছে। আমি আর রাই পাশাপাশি হাঁটছি। খেয়াল হল সিগারেট শেষ। এক প্যাকেট কিনতে হবে। জিজ্ঞেস করলাম আশপাশে দোকান আছে কিনা। রাই বলল কিছুদূর গেলেই ছোট একটা বাজার আছে। সেখানে সবই পাওয়া যায়।
হাঁটতে হাঁটতে রাইকে জিজ্ঞেস করলাম,” আচ্ছা রাই..তোমার বাড়িতে শুধু তুমি আর মা? আর কোনো পুরুষ মানুষ নেই?
রাই উত্তরে জানাল বাবা মারা গেছে তার যখন পাঁচ বছর বয়েস। একটা ভাই ছিল। সেও হায়নার আক্রমণে মারা গেছে প্রায় সাত বছর আগে। তারপর থেকে মা মেয়ের সংসার। মা সারাদিন চা পাতা সংগ্রহ করে আর রাই ম্যানেজারের বাংলোয় কাজ করে এক্সট্রা ইনকাম করে মা কে সাহায্য করে।
দোকানে এসে একটা সিগারেট প্যাকেট,আর একটা লাইটার আর কিছু শুকনো খাওয়ার কিনলাম।
” চলো। এবার ফিরে যাই।”
হাঁটতে হাঁটতে একটা সিগারেট ধরালাম।
রাই জিজ্ঞেস করল,” আপনি তো কলকাতা থেকে আসছেন। কে কে আছেন আপনার বাড়িতে?”
” বাবা মা বোন আর দিদিভাই।”
” বিয়ে করেননি এখনও?”
” নাহ।”
আবার নিরবতা। আমি বললাম,” তাড়াতাড়ি চলো রাই। তোমাকে আবার বাড়ি ফিরতে হবে। এদিকে সন্ধেও নেমে আসছে।”
হাঁটার গতি বাড়ালাম দুজনে। জোরে জোরে হাঁটার কারণে রাইয়ের বুক ওঠানামা করছিল দ্রুত। সেদিকে চোখ পড়তেই সাথে সাথে চোখ ফিরিয়ে অন্যদিকে তাকালাম।
রাই বোধহয় বুঝতে পারল ব্যাপারটা। মৃদু হাসল শুধু।
বাংলোয় পৌঁছে রাইকে বললাম,” সাবধানে যেও।”
বাংলোর দরজায় দাঁড়িয়ে রাই এর দিকে তাকিয়ে রইলাম।
কিছুদূর যাওয়ার পর রাই হটাৎ পিছন ফিরে তাকাল। তারপর আবার হাঁটতে শুরু করল। নিছক তাকানো সেটা না। অন্ধকারেও ওর হাসিটা চোখে পড়েছে আমার।
পরেরদিন অফিসে গিয়ে ডিউটিতে যোগ দিলাম। আমার কোম্পানীর নাম ” “জয়রাম টি মার্চেন্ট” ।
পুরনো ম্যানেজার আমাকে সব দায়িত্ব বুঝিয়ে দিলেন। দায়িত্ব বলতে বাগান থেকে চা পাতা সংগ্রহে তদারকি করা।
বাগানে ঘুরে ঘুরে দেখতে লাগলাম চা পাতা সংগ্রহের কাজ। মহিলা শ্রমিকরা মাঝে মাঝে কাজ থামিয়ে আড়চোখে জরিপ করে নিচ্ছে তাদের নতুন ম্যানেজার বাবুকে। বেশ গর্ববোধ হল আমার। এত কম বয়েসে ম্যানেজার হওয়া কম কথা নাকি!
কিছুদিনের মধ্যেই অফিসে সবার সাথে বেশ ভাব হয়ে গেল। বয়েস অল্প হওয়ার কারণে মালিক খুব স্নেহ করতেন আমাকে। প্রায়ই তাঁর বাংলোতে নেমন্তন্ন করতেন। তাঁর বাংলো কাছেই।
রাই এর সাথে আমার সম্পর্কও অনেক সহজ হয়ে গেছে আগের থেকে। রান্নাবান্নার পরে রাই অনেকক্ষণ আমার বাংলোতে থাকে। নিরবান্ধব উত্তরবঙ্গে সেই আমার একমাত্র বন্ধু।
এই সময়ে যারা উত্তরবঙ্গে নতুন আসে অনেকেই আক্রান্ত হয় ব্ল্যাক ওয়াটার ফিভারে। ঠিকঠাক চিকিৎসা না হলে মৃত্যু অনিবার্য। আমার ক্ষেত্রেও এর ব্যাতিক্রম হল না। সেদিনও অন্যদিনের মত বাগানে গিয়ে চা তোলার তদারকি করছিলাম হটাৎ কাঁপুনি দিয়ে জ্বর এল। তাড়াতাড়ি ছুটি নিয়ে বাসায় ফিরে গেলাম। কম্বল গায়ে চাপানোর পরেও ঠকঠক করে কাঁপছিলাম। তারপর কতক্ষন সংজ্ঞাহীন অবস্থায় পড়ে ছিলাম জানি না,রাই এর ডাকে হুঁস ফিরল। ও রান্নাবান্না করতে এসে আবিষ্কার করে আমি সংজ্ঞাহীন।
জড়ানো গলায় বললাম, “আমার খুব জ্বর। আজ আর রান্না করতে হবে না। একমুঠো চিড়ে বা মুড়ি খেয়ে শুয়ে পড়ব। তুমি বাড়ি চলে যাও।”
রাই উৎকন্ঠিত হয়ে আমার বিছানায় এসে বসল। তারপর একটা হাত রাখল আমার কপালে।
“ইস! জ্বরে গা পুড়ে যাচ্ছে দেখছি। দাঁড়াও জলপট্টি নিয়ে আসছি।”
তারপর আবার সংজ্ঞাহীন হয়ে পড়েছিলাম বোধহয়। রাই কখন রান্নাঘর থেকে জলপট্টি এনে মাথায় দিল কিছুই আর মনে নেই।
রাত তখন কত হবে জানি না,জ্ঞান ফিরলে আবিষ্কার করলাম সারা শরীর জুড়ে যাতনা। মাথাটাও অসম্ভব ভারী। মাথাটা অল্প তুলে দেখলাম আমার মাথার কাছে রাই বসে! অবাক হলাম। রাই রাতে বাড়ি যায়নি! ওর বাড়িতে যদি চিন্তা করে!
আমাকে উঠে বসতে দেখে মাথায় একটা হাত রেখে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলল।
“যাক বাবা। কপাল ঠান্ডা এখন।”
আমি অবাক হয়ে বললাম, “রাই! বাড়ি যাওনি?”
” তোমার এরকম জ্বর। ফেলে যাই কি করে! ”
” কিন্তু তোমার বাড়িতে যদি চিন্তা করে!”
” সে একটু করবে হয়ত।” বলে খিলখিল হেসে উঠল। সেলফোনটা ওর হাতে দিয়ে বললাম,” এই নাও,মাকে ফোন করে জানিয়ে দাও। নাহলে উনি সারারাত চিন্তা করবেন।”
ফোন করা শেষ হলে রাই বলল,” রাত শেষ হতে এখন অনেক বাকি। তুমি ঘুমাও।আমি বসে আছি।”
রাই আবার হাত রাখল আমার মাথায়। আবেশে চোখ বুজে এল আমার। মা এর কথা ভীষণ ভাবে মনে পড়ছে। রাই এর স্পর্শে যেন মাকে খুঁজে পেলাম। নিজের কথা, বাড়ির কথা ভুলে রাই যেভাবে আমার সেবা করছে সেটা কি নিছক দায়িত্বপালন না তার থেকেও বেশি কিছু!
কিছুদিন পর বেশ সুস্থ হয়ে উঠলাম। আগের মতই চলতে থাকে সবকিছু। অফিসের কাজে প্রায়ই আমাকে কাছের দু চারটে চা বাগানে যেতে হয়। অবশ্য সন্ধ্যার আগেই বাসায় ফিরে আসি। এই কদিনে রাইয়ের সাথে ঘনিষ্ঠতা আরো বেড়েছে। বলতে দ্বিধা নেই,আমি রাইকে ভালোবেসে ফেলেছি। কে ভেবেছিল কলকাতা ছেড়ে এই পাহাড়ি
অজপাড়াগাঁয়ে নিছক এক পাহাড়ি মেয়ের প্রেমে পড়ব! রাই আসলে আমার কাছে পাহাড়ি রাজকন্যা। আমার মন জুড়ে শুধু রাই।কিন্তু রাই কি চায়! সেও কি আমাকে কামনা করে! যদি আমার ধারণা ভুল হয়!
কিন্তু আমার প্রতি ওর বিমুগ্ধ অ্যাটেনশন, অসুস্থতার সময় সারারাত জেগে আমার পাশে থাকা, এগুলো তো মিথ্যা নয়!
অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে সন্ধে হয়ে এল। পাহাড়ি রাস্তা ধরে ফিরতে ফিরতে দেখলাম এক জায়গায় এক পাহাড়ি মহিলা হরেক ফুল বিক্রি করছে। গাঁদা, গোলাপ, অর্কিড থেকে শুরু করে সুগন্ধি বেল ফুলের মালা সবই আছে। আমি পাঁচ টাকা দিয়ে একটা বেল ফুলের মালা কিনলাম।
বাংলোয় ফিরে দেখলাম রাই এর রান্না বান্না কমপ্লিট। রান্না ঘরে উঁকি দিয়ে দেখলাম বেশ সুন্দর গন্ধ আসছে। আরে! এ তো পায়েসের গন্ধ। হটাৎ পায়েস!! পরক্ষনেই মনে পড়ে গেল আজ আমার জন্মদিন। কিন্তু রাই…হ্যাঁ। মনে পড়েছে। কিছুদিন আগে রাইকে জানিয়েছিলাম আমার জন্মদিন ২০ই এপ্রিল। কি আশ্চর্য! আমি নিজেই ভুলে গিয়েছিলাম অথচ রাই ভোলেনি!
দুজনে ছাদে এসে দাঁড়ালাম। আজ পূর্ণিমা। চা বাগানের আকাশ জুড়ে চাঁদ উঠেছে।
কাছে সরে এসে বুকে টেনে নিলাম রাইকে। কিন্তু একি! রাই এর চোখে জল টলমল করছে!
আবেগমথিত কণ্ঠে বললাম “কি হয়েছে রাই?”
রাই এর ঠোঁট দুটো কেঁপে উঠল। তারপর ধরা গলায় বলল,” আমি এক সামান্য পাহাড়ি মেয়ে। আর তুমি এই চা বাগানের ম্যানেজার। বিস্তর ফারাক তোমার আর আমার জীবনের। তুমি যেটা ভাবছ সেটা সম্ভব না রাজিবদা।”
” তুমি সামান্য মেয়ে নয় রাই। আমার কাছে তুমি পাহাড়ি রাজকন্যা। ” বলে চুমু খেলাম ওর কপালে।
” রাজিবদা!”
আর কিছু বলার সুযোগ দিলাম না রাইকে। একটা হাত রাখলাম ওর চিবুকে। বেল ফুলের মালাটা গুঁজে দিলাম রাই এর খোঁপায়।
বেল ফুলের গন্ধ উপচে ভেসে আসছে রাই এর নিজস্ব গন্ধ। এই গন্ধ আমার ভীষণ আপন আর ভীষণ পরিচিত।
ঝিঁঝিঁর ডাকে ঘোর কাটল দুজনের। আদুরে গলায় রাই বললো,” নিচে চলো। পায়েস বানিয়েছি। নিজের হাতে খাইয়ে দেব তোমাকে।