চা ঠান্ডা হচ্ছে আমার আর আমার সামনে বসেই আমার শশুর মানে হবু শশুর ফোনে কার সাথে যেন কথা বলছে। আমাকে ফোন দিয়ে ডেকে এনে এখন অন্যজনের সাথে কথা বলছে। ওনার ভয়ে তো চা খেতেও পারছি না।শশুর সাহেব ফোনে কথা বলা শেষ করেই আমার দিকে তাকালো…
— কি হলো চা খাচ্ছো না কেন?
— আসলে আমি চা খাই না।
— যাই হোক, তনু গতকাল আমাকে তোমার সম্পর্কে বলল। আমি রাতে তোমার আর তনুর ব্যাপারটা ভাবলাম। আমার মেয়ে কেমন করে তোমার মত এমন ছেলেকে ভালবাসলো কে জানে?
— মেয়েরা বেকার ছেলেই পছন্দ করে।
— কিহহ?
— না কিছু বলি নি আমি।
— ঠিক আছে। কাজের কথায় আসা যাক। তুমি তো জানো গত ৫ বছর আগে আমি এই শহরের নরসিংদী আসন-২ এর জন্য বিপুল ভোটে পাশ করেছিলাম।
— জ্বি।
— কিন্তু তোমাদের এলাকায় বর্তমানে আমার তেমন পরিচিত লোক নেই যে আমার হয়ে কাজ করবে?
তাই ভাবছি তুমি যদি এবার তোমাদের এলাকার ভোট গুলো আমাকে পাইয়ে দিতে পারো তাহলে আমার মেয়ের সাথে তোমার বিয়ে পাকাঁ আর তোমার লাইফ আমি সেটেল করে দিবো। শালার শশুর বলে কি? আমি তো রাজনীতির “র” বর্ণও জানি না আর আমি করমু নির্বাচনের কাজ। আমি ভোট চাইতে গেলে বিপুল ভোট তো দূরের কথা। হাতে গোনা আমার ভোট ছাড়া আর একটা ভোটও পাইবো না ।
— ওই রাজ কি এত ভাবছো?
— না আঙ্কেল তেমন কিছু না। আমি রাজি আপনের শর্তে।
— ভেবে চিন্তে বলছো তো। যদি ভোট না পাই তাহলে কিন্তু তনুর সাথে তোমার বিয়ে তো দূরের কথা।তোমায় এলাকা ছাড়া করবো।
— এমনে বইলেন না। হার্ট এমনি দুর্বল। কথায় কথায় এমন জোরে কথা বলেন কেন হে?
— হা হা হা হা তার মানে ধরে নিলাম তোমার এলাকার সব ভোট আমার। আর শোনো যত হেল্প লাগবো, শুধু আমাকে একটা ফোন দিবে।
— সব ঠিক আছে কিন্তু আপনের মার্কাটা কি?
— বাশঁ।
— কি?
— মানে বাশঁ মার্কা।
— ঠিকই পাশ করলে পাইবো জনতা বাশঁ আর হারলে পামু আমি বাশঁ।
— চাপ নিও না। মনে রেখো মার্কাটা কিন্তু বাশঁ।
শালার শশুর আর কথা না বলে চলে গেল তবে বিলটা ওনিই দিয়ে গেছে। তবে আমি তো চা খেলামই না। যাক গে, কিন্তু এবার আমি কি করবো? ভেবে ছিলাম বলবে নির্বাচনের আগে আমাদের বিয়েটা দিয়ে দিতে কিন্তু শালার শশুর তো আমাকেই বাশঁ দিলো। কি নমুনার মার্কা রে। আমি কি এখন মানুষের সামনে গিয়ে বলো ” আপনেরা বাশঁ মার্কায় ভোট দিয়ে আমার শশুরকে জয় যুক্ত করুন, ওনি আপনাদের বাশঁ দিবে। ” সব বন্ধুদের নিয়ে বসে আছি। আমাকে কি শর্ত দিলো সেটাও বললাম। সবাই এখন ভাবছে কি করবে? কারন গত পাচঁ বছরে আমাদের এলাকায় তেমন কোন উন্নয়ন হয় নি তাই কি দেখে পাবলিক ওনাকে ভোট দিবে। যদিও জানি ভোট পাওয়ার সম্ভাবনা নেই তবুও বন্ধুদের নিয়ে ভোটের কাজে নেমে গেলাম।কি কি করতে হবে এটার একটা তালিকা তৈরি করে শালার অসুর মার্কা শশুরকে ফোন দিলাম।
— হুমম রাজ বলো।
— আমাদের ৭০ হাজার টাকা লাগবো আর আপনার পোস্ট আর ব্যানার লাগবো।
— পোস্ট আর ব্যানারের ব্যাপারটা বুঝলাম কিন্তু এত টাকা কেন লাগবো?
— আপনে তো আমাদের এলাকার কোন উন্নয়ন করেনই নি। সেটা ধামা চাপা দিতে।
— ঠিক আছে ১ ঘন্টার মাঝে সব পৌছে যাবে।
রাতে এলাকার মোড়ে মোড়ে ব্যানার আর পোস্টার লাগানোর কাজ শেষ করে বাসায় আসলাম। বাসায় আসতেই বাবার চোখের সামনে পড়তে হলো। কারন আমার বাবা আবার বিরোধী দলের সাপোর্ট করে। ওনার সাথে কথা না বলে কোন রকমে রুমে চলে গেলাম। ইচ্ছা করছে, তনুকে ফোন দিয়ে ধুম ধারাক্কা গালি দেই। এমন ইটলার বাপ কারো হয়।একবার নিবার্চনটা শেষ হোক তখন দেখে নিবো।মনের কথা মনেই রয়ে গেল আর তনুর ফোন আসলো।
— হি হি হি হি
— ওই তনু হাসছো কেন?
— না আমার জন্য আমার বাবুটা কত কষ্ট করছে, এটা ভেবে হাসছি।
— এভাবে বাবু ডাকিস নে। ডিসেম্বর মাস চলছে।পাবলিক শুনলে কোলে করে নিয়ে স্কুলে ভর্তি করাই দিবো।
— ধ্যাত, বলো আজ কি কি করলে?
— আমার তো আপাতত একটাই কাজ আর সেটা হলো বাশঁ দেওয়া।
— মানে?
— তোমার বাপের মার্কা বাশঁ তাই মানুষকে তো সেটা বুঝিয়ে দিতে হবে। সামনে নিয়ে কেউ নিতে না চাইলে, পিছন দিয়ে তো দিতেই হবে।
— হা হা হা তো তোমাদের স্লোগান কি?
— সেটা তো জানি না তবে আমি বলবো “আমার শশুর তোমার শশুর,শালা মার্কা মারা অসুর, নামটা তার মশিউর ”
— ওই ভাল হচ্ছে না কিন্তু?
— তোমার বাপ পথে ঘাটে আমায় বাশঁ দিবে এটা কোন কিছু না আর আমি কিছু বললেই ঠিক হচ্ছে না হে।
–ধ্যাত যা খুশি বলো। আমি তোমাদের মাঝে নাই বাই।
— টা টা
প্রচারের শুরু: যেহেতু আমাদের এলাকার মানুষ আমাকে অনেক ভাল করে চিনে তাই এখানে ভোট পরে চাইলেও চলবে। বন্ধুদের নিয়ে পাশের একটা এলাকায় গেলাম। কয়েকজনকে পোস্টার টানাতে দিলাম আর আমি কয়েকজনকে নিয়ে ১টা বাড়িতে গেলাম। যেহেতু শীতের দিন তাই অনেকেই উঠানে রোদে বসে আছে।
— ভাল আছেন চাচা?আমরা ভোটের জন্য আসছিলাম।
— তা মার্কাটা কি বাবা?
— বাশঁ।
— আবার ওই মশিউর। ওই লোক তো গত বার জিতছিল কিন্তু আমাদের এলাকার কোন উন্নতিই হয় নি।
— হয় নি বলেই তো এবার হবে।
— বলেই হলো।
— বলেন কি চাচা? সকাল বিকাল সন্ধ্যে বেলা মশিউর শশুরের দরজা খোলা।
— কি?
— না না মানে ভাইয়ের হবে।
— ওহ্
— চাচা গেলাম, ভোট টা কিন্তু বাশঁ কেই দিয়েন।
— আবার পিছনে বাশঁ নিতে তাই তো।
আর কোন কথা না বলে বাসা থেকে বের হয়ে গেলাম। কারন ওই মুরুব্বির কথা শুনে বুঝলাম আমার অসুর মার্কা শশুর যদি এখানে ভোট চাইতে আসতো তাহলে ওনার বাশঁ দিয়ে ওনাকেই পিটিয়ে দিতো।
এমন করে অনেক গুলো বাড়িতে ঘুরে নিজের পিছনে বাশঁ গুলো নিলাম। একটা বার যদি কারো মুখ থেকে ভাল কথা শোনতাম। আর মার্কাটাও বাশঁ,তাই কিছু বলার থাকে না। শালার মাঝে মাঝে তো মনে হয় আমি নিজের অসুর মানে শশুরকে বাশঁ দিয়ে পিটাই। কিন্তু কপাল গুনে ও তনুর বাবা নয়ত দেখে নিতাম। মনের রাগ মনে রেখে গেলাম একটা চা স্টলে। ওইখানে অনেক মুরুব্বী পাবো। আশা অনুযায়ী অনেককেই পেলাম। সবার হাতে ছোট ছোট পোস্টার দিয়ে বলতে গেলাম। আমাকে ওরা থাকিয়ে দিয়ে একজন বলে উঠছো…
— কিও মিয়া তোমারে তো এই এলাকায় মাঝে মাঝে দেখছি। তুমি কবে থেকে এই বেটার বাশঁ পিছনে নিয়ে ঘুরছো।
— কেন আঙ্কেল কি হইছে?
–গত ভোটে কত অনুনয়ের নাটক করে পাশ করলো।পাশ করার পর তো এই বেটার চ্যান্দারাও এই ইউনিয়নে দেখি নাই।
— আঙ্কেল চাপ নিয়েন না, মশিউর মিয়ার দরজা সব সময় আপনাদের জন্য খোলা।
— হুমম গত বার ভাষণ দেওয়ার সময় মশিউরের প্যান্টের চেইন খোলা ছিল।
সবাই হাসাহাসি করতে লাগলো। ওই শালার অসুর এত মানুষের বদ দোয়া নিয়ে কেমনে যে বেচেঁ আছে উপরওয়ালাই জানে । যা বুঝলাম এই ইউনিয়নে ভোট মশিউরের বাশেঁ নাই। নিজে আসলে এমন কি বাশঁ খেতে হতে পারে।
এভাবে শত বাড়ির কথা শুনে সন্ধ্যা বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। তখনই শালা বাশেঁর ফোন।
–কি ব্যাপার রাজ? প্রচারনা কেমন চলছে?
— আপনের নামে যা গুণগান শুনছি। আপনি ভোট চাইতে আসলে হয়ত বাশঁ আপনার পিছনেই দিতো। (রাগের কারনে বললে ফেললাম)
— ধুর! এইসব কোন সমস্যাই না। রাজনীতিতে পায়ে পড়তে হলেও সেটা লাভ।
— ও ভাল তো, তাহলে আসেন একদিন পায়ে পড়তে। আমিও আজকাল দামী জুতা পড়ি। (আস্তে বললাম)
— কিছু বললে নাকি।
— না বাসায় যাচ্ছি।
— যাও বাবা, মন দিয়ে ঘুমাও।
শালার কুমিরের ভালবাসা দেখাতে আসছে। নেহাত তনু ওর বাপ বলে এখনো সম্মান করছি নয়ত কবেই… থাক এখন বাসায় যাই। বাসায় যেতেই বাবা আমাকে দেখে হাসছে। আমি কোন কথা না বলে রুমে চলে আসলাম। এভাবে কয়েকটা দিন কেটে গেল। যত বাড়িতেই যাই তত ধরনের কথা শুনতে হচ্ছে। এবার প্ল্যান করলাম মুরুব্বীরা তো আমার কথা শুনে নি। দেখি এলাকার মহিলাদের বলে। যেই ভাবনা সেই কাজ। আমি আমাদের এলাকার মহিলা সমিতিতে আসলাম। কয়েকটা ইউনিয়ন নিয়ে এই সমিতিটা বসে। এখানে আমাকে অনেকই চিনে কারন আমার মা এখানে সদস্য।
— চাচী,মামী,কাকী,খালা,বইন, বউ,শালী, ননদ সবাইকে আমার সালাম।
আমার কথায় সবাই আমার দিকে কেমন দৃষ্টিতে তাকাতেই বুঝলাম আমার লাইনে ভুল আছে। তাই আবার বললাম…
— দেখুন চাপের কারনে উল্টা পাল্টা বলছি। মাফ করে দিয়েন। আসলো আমি আসছি আপনাদের কাছে ভোটের জন্য।
— মার্কাটা কি?
— বাশঁ।
— দেখো বাবা আমরা গ্রাম গেরামের মানুষ। গ্রাম থেকে এই সমিতিতে আসতেই কষ্ট হয়। গতবার ওই মশিউর মিয়া বলছিল রাস্তা ঠিক করে দিবো। কিন্তু রাস্তার বদলে আমাদের বাশঁই দিলো।
— চাচী আর এমন হবে না। আমি বলছি তো।
— তোমার কথা তো বিশ্বাস হয় তোমার মায়ের কথা ভেবে কিন্তু ওই মশিউরকে বিশ্বাস নেই।
— চাচী শুনেন..
— দেখো বাবা আমাদের স্পষ্ট কথা, এমন ঠকবাজ নেতার সাথে আমরা নেই।
— ঠিক আছে আমার আর কিছু বলার নেই তবু একটু ভেবে দেইখেন।
আর কথা না বাড়িয়ে চলে আসলাম। যতটুকু বুঝলাম এবার শালার শশুরের হার নিশ্চিত আর আমার তনুকে হারানোর দিকটাও নিশ্চিত।
এভাবে ১ মাস পার করলাম। এর মাঝে কয়েকটা সমিতি,যুব সংগঠন,এলাকার বিত্ত লোক সবার সাথেই আলোচনায় বসলাম।এমন কি মাইকিং করলাম। কিন্তু কাজের কাজ কিছুই হয় নি। তাই ভাবলাম একটা মিছিলের ব্যবস্থা করি।
এলাকায় আমার সব পরিচিত লোক নিয়ে আর বাইরে থেকে লোক আনিয়ে একটা মিছিলের ব্যবস্থা করলাম। মিছিল নিয়ে বের হয়ে গেলাম। কয়েকজনের হাতে বাশঁ।
” মশিউর মিয়ার চরিত্র ফুলের মত পবিত্র ”
“সকাল বিকাল সন্ধ্যে বলে মশিউর মিয়ার দরজা খোলা”
” জিতবো এবার জিতবো রে মশিউর মিয়া জিতবো রে”
আরো কয়েক রকমের ছন্দ নিয়ে আমরা ছুটে চলেছি।মিছিল শেষে সবাইকে বিরিয়ানি আর টাকা দিতে হলো। পরশু দিন পর নির্বাচন। আপাতত সরকারে নির্দেশ অনুযায়ী সকাল প্রচারণা বন্ধ।প্রায় দেড় মাস পর আমি আর তনু একটা পার্কে বসে আছি। দুজনের চুপ করে আছি।নিরবতা ভেঙ্গে আমি বললাম…
— তনু দেখো হয়ত আমরা এক হতে পারবো না কারন আমাদের এলাকাতে তোমার বাবার পর্যাপ্ত বদনাম। ওনার কারনে আমিও অনেকের চোখে খারাপ। যারা আমাকে দেখে হাসি মুখে ডাক দিতো। তারা আজ আমায় দেখলে মুখটা ঘুরিয়ে নেয়। আমার ভুল ছিল শর্তে রাজি হওয়া। তোমাকে পাওয়ার জন্য আমি আজ হাজার মানুষের ভালবাসা হারিয়েছি।
–আমি আগেই বলছি বাবা আর তোমার মাঝে আমি নেই। আর রাজনীতি আমার পছন্দ না। তাই আমি হোস্টেলে বড় হয়েছি। আমি সব পারবো কিন্তু তোমাকে হারাতে পারবো না। (তনুর চোখে জল)
— আমি বুঝতে পারছি না কি করবো?তবে তোমার বাপের হার এবার নিশ্চিত।
— হারতে দাও, শুধু আমি তোমাকে জিতলেই চলবে।
— সত্যি তো
— হুমমম।
আজ নির্বাচনের দিন শালার অসুরের টেনশন একদম সপ্তমে চড়ে আছে।ভোট কেন্দ্রে ওনার ব্যবহার দেখে মনে হচ্ছে। ওনি কত্তো নিরিহ একটা মানুষ। আমিও ওনার পাশেই আছি। ওনি বার বার আমার দিকে তাকালেই বলছি ” আরে চাপ কিসের বাশঁ তো বাশঁ, পাবলিক নয়ত আপনি, একজন পেলেই হলো”। আমি ১০০% শিউর যে ওনি হারবেনই। কারন, ব্যবহার বা কাজ কোনটাতেই ওনি এগিয়ে নেই। আমার তো মনে হয় ওনি ওনার মেয়ের ভোট টাও পাবে না। তবে আমার ভোট টা ঠিকই ওনাকে দিছি।
বিকাল ৪টা থেকে ভোট গণনা শুরু হয়েছে। কারো হাসি আর কারো হাতে বাশেঁ বাকি একটু পর কি বুঝা যাবে? সময় যেন পার হচ্ছে না। আমি সকাল থেকে ওনার সাথে আছি। সন্ধ্যা সাতটার দিকে ঘোষণা করা হলো ভোটের রায়। আর মশিউর মিয়ে গুনে গুনে ৬২৯টা ভোট পেয়েছেন। আর ওনার বিপরীত প্রার্থী ২৩ হাজার ভোট পেয়েছে।ঘোষণা শুনেই ওনি চেয়ারে বসে পড়লেন আর আমিও একটু সরে দাড়ালাম। সব চেয়ে বড় কথা হলো আমাদের এলাকার ভোট কেন্দ্র থেকে নাকি মাত্র ৩টা ভোট পাইছে। ওনি হারায় তো লুঙ্গি ডান্স করতে ইচ্ছা করছে কিন্তু আপাতত চুপ থাকাটাই ভাল।
আমরা প্রায় অনেকেই হাসপাতালের ইমার্জেন্সির কাছে দাড়িয়ে আছি। আমার হাইব্রিডের রোগী শশুর এখন বেডে শুয়ে আছে। হার্ট স্ট্রোক করে ছিল। তনুকে খবর দিয়েছি। প্রায় ৩ ঘন্টা পর ওনার জ্ঞান ফিরলো। জ্ঞান ফিরতে আমি রুমে গেলাম।
— তুই রুম থেকে বের হো?(রাগ নিয়ে আমায় বললো)
— ওই মিয়া আপনি কি আর.এ.ফেলের প্লাস্টিকের মাল পত্র যে ভাঙ্গলেও মচকাবেন না।
— কি বলতে চাস?
— নিজে বলেন তো গত পাচঁ বছরে কি কি উন্নয়ন করেছেন আপনে?আরে পাবলিক ভোট দেয় উন্নয়ন দেখে।কারো পাওয়ার বা রূপ দেখে না। হ্যা উন্নত কিন্তু একটা জিনিসের হয়েছে আর সেটা আপনার পেটের। শালার কি খানদানি পেট রে।
— রাজ??(তনু)
— সরি। আঙ্কেল দেখুন আজকে আপনার হারাটা নিশ্চিত ছিল। মানুষ কাজের জন্য সম্মান পায়। আপনিও এখন থেকে ভাল হয়ে যান। সামনে আপনাকে পাশঁ করানোর দায়িত্ব কিন্তু আমার।
— তাহলে আমার মেয়েকে আগামী ৫ বছর পরই বিয়ে করিস।
— ও তাই বুঝি, আচ্ছা আঙ্কেল আপনের একটা কয় নাম্বার স্ট্রোক?
— ২ নাম্বার।
— ওকে আরেকটা স্ট্রোক হলে সমস্যা নাই। আমি আর তনু গত পরশুদিন বিয়ে করে ফেলেছি।
— কিহহ্?
— চাপ নিছেন কেন? ৭০ হাজার কি এমনি এমনি চাইছি নাকি। বাশঁ দিছেন ভাল কথা কিন্তু চান্সও সাথে দিছেন।
— হারামজাদা…
— হি হি চাপ কিসের মার্কা তো বাশঁই। সেটা পাবলিক বা আপনে খান।
অসুর মার্কা শশুর বুঝি আবার জ্ঞান হারাবে। তাতে কি, আমি তো আমার জ্যাকপট পেয়ে গেছে।