>> বন্ধু কি করিস? (আকাশ)
>> বন্ধু প্রেমিকার সাথে চ্যাট করি। জানিস বন্ধু মুমু আমাকে আজ কি বলছে?
>> তুই না বললে আমি কিভাবে জানব। আমাকে খুলে বল। তাইলে তো আমি জানতে পারি।
>> মুমু বলছে তোর কথা। তুই কেন একটা প্রেম করস না। তোকে খুব অসহায় লাগে । আমি তো হাসতে হাসতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে গেয়েছিলাম।
>> দ্যাত। প্রেম করে লাভ কি ?
প্রেমিকার প্যারা আমি সহ্য করতে পারব না। পরে আমার কাম শেষ। আমি তার চাহিদা মতো চলতে হবে। আমি যেমন আছি তেমন ওই ভালো।
>> বন্ধু আর কয়দিন। জীবন টা একটু উপভোগ কর।
>> কেন ? আমি আমার জীবন টা উপভোগ করছি না। শালা হারামী। আমাকে মরার জন্য যুক্তি দিচ্ছিস।
>> না রে বন্ধু। তোর যা ইচ্ছা তা কর।
আমি আর কিছু বলব না। শালা তুই তাড়াতাড়ি মরবি। রাস্তার ধারে বসে একটা মেয়ে কান্না করতাছে। খুব কান্না। দেখলেই যে কেউ এর খারাপ লাগবে। আকাশ মেয়েটির কান্না দেখে কাছে গেল। কিন্তু মেয়েটি কান্না করেই চলেছে। আকাশ মেয়েটিকে এক প্যাকেট টিসু দিল। মেয়েটি আকাশের হাতে টিসু দেখে খুব রাগ করে আকাশের দিকে তাকাল। আকাশ খুব অবাক হলো। এতে রাগ করার কি আছে। মেয়েটি বলতে লাগলো……….
>> আপনি সেই হনুমান। এখন আসছেন আমাকে এখান থেকে নিতে। আপনার কি জ্ঞানকাণ্ড নাই। একটা মেয়ে কে ফেইসবুকে টেক্সট দিয়ে বলেছেন। এখানে আসতে। আর আপনি কোথায়?
>> আমি আপনার কথা কিছু বুঝলাম না। আপনি সম্ভবত কোথায় ভুল করছেন। আমি খুব ভদ্র ছেলে। ফেইসবুক চালাই না।
>> ভদ্র ছেলে। ফেইসবুকে তো খুব কথা বলতেন। এখন আমাকে দেখে খুব ভদ্র হয়ে গেলেন। এই ছেলেদের একটাই স্বভাব। সব ছেলে এক। একটু ভিন্ন প্রকৃতির হয়ে আমার জীবনে আসতে পারলেন না।আপনাকে নিয়ে আমি সারাজীবন সংসার করব কিভাবে? কেন যে আমি আপনার প্রেমে পড়লাম।
>> আপনি কি কান্না করতে করতে চোখ লাল করে ফেলেছেন। ইশ!। আপনাকে দেখে মায়া হয়।
কিন্তু একটা সত্য কথা বলি। আমি আপনার ফেইসবুকের সেই ছেলে না। আপনি তাকে ফেইসবুকে টেক্সট করেন। বলেন আপনি চলে এসেছেন। আপনাকে এখান থেকে নিয়ে যেতে। তাইলে আমি বাঁচি।
>> আমাকে আপনি বোকা মেয়ে পাইছেন। আমি বোকা। আপনার চৌদ্দগোষ্ঠী বোকা। আমি সিলেটের মাইয়া। সিলেটের মাইয়ার সাথে চালাকি। খবরদার।
>> আচ্ছা আমি কি করতে পারি ? ওই আপনি কি আমাকে বিপদে পেলার জন্য এই কাজটা করতে বলেছেন?
>> এতো কথা বলতে পারব না। আমি আপনাকে ভালবাসি। তাই এখান থেকে আমাকে আপনার বাসায় নিয়ে যান। আমার ব্যাগ ধরেন। চলেন হাঁটেন।
>> বন্ধু এই মেয়ে কে?
>> বন্ধু আমি কিছু জানি না। এই মেয়ে আমাকে রাস্তায় পাইছে। পাইয়া বলে আমি নাকি এই মেয়েকে ফেইসবুকে বলেছি। আমার কাছে চলে আসতে। বন্ধু আমার কোনো দোষ নাই। তুই তো জানস আমি ফেইসবুক চালাই না। আমাকে বাঁচা বন্ধু। নইলে মা-বাবার কাছে মুখ দেখাতে পারব না।
>> ও কিছু একটা করতে হবে। এক কাজ কর। মেয়েটাকে বিয়ে করে পেল। আমরা যেহেতু ব্যাচেলর। আমাদের তো কেউ বাসা দেয় না। আপু আপনি ভিতরে আসেন। আপনার ব্যাগ আমার কাছে দেন।
>> ভাইয়া দেখছেন। আমি ওকে খুব ভালবাসি। কিন্তু ও আমাকে একটুও ভালবাসে না।
>> না ভালবাসে যাবে কোথায়? আপনি কিছু মনে করবেন না। মনে হয় বেচারা একটু টেনশনও আছে। হিহিহিহি।
>> এই তুই বাজে কথা বলবি না ।
খুব হয়েছে। তোর বিয়ে করার শখ হলে তুই বিয়ে করে পেল। এই মেয়ে আপনাকে বলে দিচ্ছি। আপনি এখান থেকে চলে যান। আমি মেস ছেড়ে বাসায় চলে যাব। আপনার জন্য আমি বিপদে পড়তে পারি বুঝতে পারছি।
>> ভ্যাএএএএএএএএ। ভাইয়া দেখছেন। আমাকে বকা দিচ্ছে। আমি এখন বাসায় যাব কি করে। মা-বাবার সামনে মুখ দেখাব কি করে। ভ্যাএএএএএএ। ভ্যাএএএএএএএএএএএ।
>> কেঁদোনা বোন। আমি তো আছি। তুই এই মেয়েকে বিয়ে করবি।
>> আমি বিয়ে করব না।
>> করবি না। তাইলে এই মেয়ে কে তুই তার বাসা থেকে কেন পালিয়ে এনেছিস। কেন এই মেয়ের এতো বড় সর্বনাশ করেছিস।
>> বন্ধু তুই বিশ্বাস কর। আমি কিছু জানি না। সব কিছু এই মেয়ের ধান্ধাবাজী। এই মেয়েটা ধান্ধাবাজী করতাছে। আমাকে পাশানোর জন্য আমাকে বলছে ভালবাসে।
>> বহুত হয়েছে। আর না। ভাইয়া আমার রুম কোথায়। দেখান।
আমি ফ্রেস হব। আর অনেক খিদা লাগছে রান্না করে খাব। আমি বুঝতে পারছি । আপনার মাথায় সমস্যা আছে। দু’দিনে ঠিক করে ফেলব। আমার নাম শিশির। এতো সহজে আপনাকে ছেড়ে যাব।
>> আপু আসেন। এই টা হলো আকাশের রুম। এখনও আপনারও রুম। দেখেন তো সব কিছু ঠিকঠাক আছে কিনা।
>> ইয়া ছি! এই রকম রুমে মানুষ থাকে। কত বিশ্রী। এই আপনি এতো অগোছালো কেন? রুমটারে কত নোংরা করে রেখেছেন।
>> আপু আপনি এই বন্ধুটারে একটু আলোর পথ দেখান। একদম অগোছালো। অফিসে যায়। অফিস থেকে এসেই এক ঘুম দেয়। আমি সব কাজ করি। রান্নাবান্না আমি করি। শালার বন্ধু কিছুই করে না।
>> বন্ধু সকাল সকাল এতো কিছু রান্না করছত? কেন বন্ধু? আজ কি তোর জন্মদিন? তাই আমাকে বাসায় ট্রিট দিচ্ছিস।
>> ওই বেডা ফাজলামি করছ। বছরে আমি কি দু’বার জন্মগ্রহণ করছি। আর আমি তোকে কি বাসায় কোনো দিন ট্রিট দিয়েছি।
>> তাইলে রান্না করছে কে? তাও আবার মাংস। জানিস মাংস কয় দিন পর খাচ্ছি।
>> তা তো হবেই। ভাবি রান্না করছে। জানিস ভাবি নিজে কষ্ট করে তোর আর আমার জন্য রান্না করছে। খেয়ে দেখ তরকারি অনেক স্বাদ হয়েছে।
>> শিশির এখন কোথায়?
>> আছে কোথায়। কেন?
>> না এমনি। আচ্ছা আমি খেয়ে দেখি। আরে বন্ধু খুব মজা। মেয়েটা রান্না করতে পারে বলতে হবে।
>> তা তো হবেই বুঝতে হবে না ভাবি টা কার।
>> বন্ধু তুই এখনও বিশ্বাস করিস নি। মেয়েটাকে আমি চিনি না বন্ধু। কোথাকার কোন মেয়ে। আবার আমাকে বলে আমাকে নাকি ভালবাসে।
>> তাইলে আমার রান্না করা তরকারি খাচ্ছেন কেন? উঠেন। আপনাকে আমার রান্না করা তরকারি খেতে হবে না।
>> তরকারির কি দোষ। আসলে তরকারি টা খুব ভালো হয়েছে। আমি আগে খেয়ে নেই। তারপর আপনার সাথে কথা বলছি।
হোটেলে খেতে খেতে। আর এই বন্ধুটার পুড়া ভাত খেতে খেতে মুখের টেস্টি টা চলে গেছে। এখন আপনার এই মজার খাবার খেয়ে মুখে আবার টেস্টি ফিরে পেয়েছি।
>> তাইলে খাবারের দাম দিতে হবে। আমি অনেক কষ্ট করে রান্না করেছি।
>> ও বা বা। কিসের দাম। আপনি আমাদের জন্য ভালবেসে রান্না করেছেন। আবার টাকা নিচ্ছেন। এই টা তো হতে পারে না।
>> বলেই হলো। তাইলে একটা শর্ত আছে।
>> কি শর্ত আছে। কঠিন হলে আমি পারব না।
>> কাল বলব।
রাতের আধারে আকাশ তার বন্ধুর কাছে শুয়ে আছে। আকাশ মনে মনে ভাবছে। মেয়েটা কে নিয়ে । কোথায় থেকে এসেছে। আকাশ কোনো কিছুই জানে না। অথচ আকাশ মেয়েটির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছে। মেয়েটিকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছে। মেয়েটির মুখে মায়ায় ভরা। দেখলেই মায়া হয় মেয়েটির জন্য। কত সুন্দর করে কথা বলে। কত সুন্দর করে আকাশের সাথে মিশে যাচ্ছে।
আকাশ তার বন্ধু কে বলল…….
>> বন্ধু মেয়েটা কে রে? তুই কি কিছু জানিস। মেয়েটাকে যত দেখছি। ততোই মেয়েটির মাঝে হারিয়ে যাচ্ছি।
>> বন্ধু আমার মনে হয় মেয়েটা তোরে চিনে। তোকে ভালবাসে। খুব ভালবাসে। দেখলেই বুঝা যায়। দেখছ না খুব আশা করে তোর কাছে চলে এসেছে। তুই মেয়েটা কে ফিরিয়ে দিস না।
>> কিন্তু আমি তো মেয়েটাকে চিনি না। আচ্ছা ধর আমি মেয়েটাকে ভালবাসতে শুরু করলাম। পরে যদি মেয়েটা আমাকে রেখে চলে যায়।
>> আরে গাধা চলে যাবে কেন? তোকে তো মেয়েটা ভালবাসে। ভালবাসে বলেই তো তোকে বিয়ে করতে চায়।
>> দ্যাত বেডা। মেয়েটা বলছে ফেইসবুকে নাকি ছেলেটির সাথে পরিচয়। পরে যদি ছেলেটি ফিরে আসে। তখন তো
মেয়েটি আমাকে ধান্ধাবাজ বলবে। আমাকে ফেলে চলে যাবে। তখন তো আমি পাগল হয়ে যাব। এই দুই দিনে ওই মেয়েটির প্রেমে পড়ে গেলাম।
>> আরে পরের টা পরে ভাবা যাবে। এখন মেয়েটাকে বিয়ে করে পেল। কয়েক দিন হলো কোন বিয়ে খাই না।
>> তুই আমার সাথে থাকিস। কাল মেয়েটার মতলব বুঝতে হবে। মেয়েটা কি চায়।
কি পাঠক মেয়ে টা কে তা ভাবছেন।আরে বলছি। এতো পাগল হয়ে যাচ্ছেন কেন? আসলে মেয়েটা হলো আকাশের মায়ের বান্ধবীর মেয়ে। মেয়ে টা সিলেট থেকে লেখাপড়া করে। কিন্তু আকাশ মেয়েটিকে কোনো দিন দেখে নি। শিশির আকাশের ফোটো দেখেই মায়ায় পড়ে যায়। আকাশের প্রেমে পড়ে। আকাশ কে বোকা বানানোর জন্য ঢাকায় এসেছে। এ দিকে আকাশ তো বুঝতেই পারল না। তার মানে আকাশ বোকা হয়ে যাচ্ছে। শিশির রাতের আধারে ঘুমিয়ে আছে। শিশির চিৎকার দিয়ে উঠে। আকাশ তার রুম থেকে চমকে যায়। আকাশ দূর দিয়ে শিশিরের রুমে যায়। শিশির আকাশ কে দেখে আকাশের কাছে গিয়ে বলে…….
>> আমি এই রুমে থাকব না। এই রুমে তেলাপোকা আছে। আমার মুখের মাঝে তেলাপোকা এসে সুড়সুড়ি দিছে ।
>> হিহিহিহিহি।
>> হাসেন কেন? আমার না তেলাপোকা অনেক ভয় করে। দেখলেই ভয়ে শরীর কাঁপতে থাকে। তেলাপোকা টা খুব মারাত্মক। আমাকে প্লিজ আপনাদের রুমে নিয়ে যান। আমি ফ্লোরে শুয়ে থাকব।
>> আরে বাবা। তেলাপোকা কিছু করবে না। তেলাপোকা কে ভয় পাও কেন? তেলাপোকা বরং আমাদের ভয় পায়। আপনি যা দেখতে না। আপনাকে দেখেই যে কেউ ভয় করবে।
>> কি বলতে যাচ্ছ? আমি তেলাপোকা থেকে। মানে টা কি?
>> ডেঞ্জারাস।
>> কি আমি ডেঞ্জারাস। আপনি কি?
আপনি কি আদরের দুলাল নাকি? দেখতে তো হনুমানের মতো লাগে। এই বাজে কথা বন্ধ করে তেলাপোকা টা রুম থেকে বের কর না।
>> তেলাপোকা পাব কোথায়। দ্যাত। তেলাপোকাকে ভয় পায়। এইটা আবার নাকি মেয়ে। তাইলে ভূত দেখলে কি করবে।
>> শুনেন না। তেলাপোকা একবার আমাকে কামড় দিয়েছিল। সেদিন অনেক ভয় পেয়েছিলাম। অনেক কেঁদে ছিলাম।
>> হা হা হা। আপনাকে তেলাপোকা কামড় দিয়েছিল। কোথায়?
>> আঙুলের মাথায়। আমরা আঙুলের চামড়া সেদিন খেয়ে ফেলেছিল। অনেক যত্না করে ছিল। দু’দিন কিছু খেতে পারি নি। পানি লাগলেই আমি মরে যাই। যা ব্যথা করছিল।
>> ঠিক আছে। হিহিহিহি। আমি বুঝতে পারছি। আপনি ঘুমিয়ে পড়েন। আমি তেলাপোকা দেখছি।
>> আবার যদি আমার কাছে গিয়ে আমাকে ভয় দেখায়। আমি কিন্তু মরে যাব।
>> আপনার কাছে যাবে না। আপনি আরাম মতো ঘুমিয়ে পড়েন।
>> আপনি সেই রুমে যাবেন না। আপনি সোফাসেটে ঘুমিয়ে পড়েন। গেলে কিন্তু খুন করে ফেলব। মনে থাকে যেন।
>> ঠিক আছে আমি যাব না।
>> বন্ধু এ দিকে আয়তো। এই মেয়ে আপনার মতলব কি?
>> এই আপনি কি বুঝাইতে যাচ্ছেন। আমার মতলব মানে কি? আপনি একটা ভালো ছেলে। আর আমি একটা ভালো মেয়ে। আমি ভালো মেয়ে বলেই আমি আপনাকে সোজাসুজি বলে দিয়েছি ভালবাসি। ফেইসবুকে তো খুব বলতেন ভালবাসি।
>> ওই আবার মিথ্যা বলছেন। আচ্ছা আপনাকে একটা কথা বলি। আমি না আপনার প্রেমে পড়ে গেলাম। আপনাকে আমি বিয়ে করব। কিন্তু একটা সত্য কথা হলো ফেইসবুক আমি চালাই না। বিশ্বাস করেন।
>> ও ঠিক আছে। বিয়ে করলেই হবে। কোনো চাপ নিবেন না। ভয় নেই। আমি তো আপনার বউ ওই হব।
>> তার আগে আপনাকে নিয়ে আমি বাসায় যাব। মা-বাবার সাথে আপনাকে পরিচয় করিয়ে দিব। মা-বাবা যদি রাজি থাকেন তাইলে আপনাকে আমি বিয়ে করব।
>> আর যদি রাজি না থাকেন। তাইলে আমার কি হবে। আমি কিন্তু আপনাকে ছেড়ে যাব না। বলে দিলাম।
>> তা হবে কেন? আপনি অনেক সুন্দর। সবচেয়ে সত্য কথা হলো আপনার হাতের রান্না যা না। শুধু খেতেই মন চায়। আপনার মতো মেয়ে ওই আমি খুঁজতে ছিলাম।
>> কি?
আমাকে কাজের মেয়ে বানাবেন। আমাকে দিয়ে কাজ করাবেন। আমাকে দিয়ে ঘরদুয়ার পরিষ্কার করাবেন। আপনার কাপড়চোপড় পানিতে দুয়ার জন্য বিয়ে করবেন। এতো সোজা না। নিজের কাজ নিজে করতে হবে।
>> আচ্ছা দেখা যাবে পরে। রেডি থাকেন বাসায় যাব।
বাসায় যাও পর আকাশ তো পুরাই অবাক। আকাশ তার মা কে মেয়েটির সাথে পরিচয় করিয়ে দিল। কিন্তু তার মা আকাশের কথা শুনে মিটমিট করে হাসতে হাসতে শিশির কে তার সাথে করে রান্নাঘরে নিয়ে গেলেন। আকাশের বাবা এসে শিশির কে দেখতে পান।শিশির কে দেখে খুব খুশি হন। যে শিশির তার কথা রেখেছে। শিশির বলেছিল। আকাশ কে ভালবেসে তার সাথে করে নিয়ে আসবে। আকাশ দুপুরের খাবার খেয়ে তার রুমে শুয়ে আছে। শিশির তার দরজার সামনে এসে দাঁড়াল। পর্দাটা ফেনের বাতাসে দুলছে। আসতে আসতে শিশির এক পা দু’পা করে তার রুমে এগিয়ে আসছে। শিশিরের এক গাল আর এক চোখ দেখা যাচ্ছে খুব সুন্দর লাগছে শিশির কে। মুখে হালকা মেকাপ দিয়েছি। তাও আবার লাল। আকাশ তার খাট থেকে এসে শিশিরের সামনে দাঁড়াল। শিশির এবার মুখ তুলে তাকাল আকাশের দিকে। আকাশ চোখ বড় করে শিশির কে দেখতে লাগল। কি সুন্দর।
>> কি হলো এভাবে চেয়ে আছেন কেন?
>> আপনাকে দেখছি । কি মায়াবী চেহারা। কি অপূর্ব। হা মরে যাই। মরে যাই।
>> এতো মরতে হবে না। আমাকে নিয়ে বেঁচে থাকলে ওই চলবে। চলেন মা ডাকছে আপনাকে খেতে।
>> মা কে আজ বলব।
>> কি বলবেন?
>> আপনার আর আমার বিয়ের কথা। মা যদি রাজি না থাকেন। তাইলে কিন্তু আপনাকে আমি বিয়ে করতে পারব না।
>> ঠিক আছে। আবার শিশিরের মুখে হাসি। শিশির আকাশের মুখে দেখতে পায় বোকামির দৃশ্য।
>> কি রে আকাশ খেতে আয়। সব কিছু তো ঠাণ্ডা হয়ে যাচ্ছে। শীতের মাঝে গরম গরম সব কিছু খাওয়া ভালো।( মা)
>> আসছি মা।
মা একটা কথা বলতে চেয়েছিলাম। শিশির কে আমি বিয়ে করতে চাই। শিশির খুব ভালো একটা মেয়ে। শিশির কে আমার খুব পছন্দ। খুব ভালবাসি।
>> তা তোকে চিন্তা করতে হবে না। তার জন্য আমরা আছি তো। শিশির আমাদের পছন্দ করা মেয়ে। আমার বান্ধবীর মেয়ে। শিশির কে আমি যখন দেখি তখন আমার খুব ভালো লাগে। তারপর তোর জন্য পছন্দ করি। শিশিরও তোকে পছন্দ করে। একদিন শিশির বলে তোকে নাকি বোকা বানিয়ে বিয়ে করবে। তাই তোর কাছে চলে যায়। তোকে বোকা বানিয়ে আমাদের কাছে নিয়ে এসেছে। (মা)
>> কি! তাইলে ফেইসবুক এসব কিছু মিথ্যা ছিল। আমাকে বোকা বানালে। আমি এতোটাই বোকা। আমি এই বিয়ে করব না।
>> আরে বাবা। এসব কিছুই না। একটু মজা করল এই আর কি। (শিশির)
>> ও।
পরে বোঝাব মজা। এখন একটু খাঁই। খাবার টা খুব মজা হয়েছে।