চুপ চাপ বেড়ে ওঠা এক প্রানি ——- সবার থেকে আলাদা চুপ চাপ নির্ভ্রিতে গজিয়ে ওঠা একটা গাছের মত যার হঠাৎ আগমন হয় বেইমানির এক রাজ্য। যেটা ছিলো সর্বদা আনন্দ কর। কিন্তু তার পিছে লুকিয়ে ছিলো বেইমানের কালো ছায়া। যেটা এ রাজ্য নতুন অনুপ্রবেশ কারিদের পক্ষে বুঝে ওঠা এক প্রকার অসম্ভব। চারিদিকে মুখোশ মানবে ভর্তি। কিন্তু বোঝার কোন উপায় নেই।
সময়টা ১৭ এপ্রিল ২০১৭ এমনি এক রাজ্য আগমন ঘটে হান্টের। এখানে নতুন মানুষ হান্ট, সব অচেনা বড় একা একটা মানুষ হান্ট। সব সময় অদৃশ্য এক অস্থিরতা তার চোখে মুখে। এটা কোথায় এসে পড়লাম। একদম সন্তুষ্ট ছিলোনা হান্ট। মাঝে মাঝে ছুটে পালিয়ে যেতে ইচ্ছে হত তার। সে জানতো এখানে সার্থপর আর বেইমান ছাড়া ভালো কিছু পাওয়া সম্ভব নয়। কিছুদিন দেখার পর হান্টের মনে হতে লাগলো এখানে এমন কেউ আছে তার মত। যে বেইমান এ রাজ্য থেকে বেচে ফেরার আপ্রান চেষ্টা করছে সর্বদা। বিষেশ করে “ভাইরাস” একজন নয় একাধীক রয়েছে যারা এ রাজ্য সন্তুষ্ট নয়। আস্থে আস্থে বিশ্বাস করতে থাকে তাদের।
এক সময় হান্টের মনে হয় এ রাজ্য আসাটা তার জন্য অনেক সৌভাগ্যার ব্যপার। সময়টা অনেক আনন্দে কাটতে শুরু করে। এর পর শুরু হয় পরিক্ষা। হান্ট বুঝবে পারে এটা কোন সম্পর্কের বেড়াজাল নয়। এটা তাকে ব্যবহার করার চেষ্টা চলছে। বিশ্বাস হারাতে থাকে। তবুও মনে হয় এদের মধ্য রয়েছে এমন মানুষ যে কিনা উল্টো শ্রতে প্রবাহিত। জিবনে যার অনেক দুঃখ । যে হারিয়েছে তার সোনালি অতিত। সবাই মুখোশ পরে থাকলেউ সে একা মুখোশ বিহিন। অবিশ্বাসের মধ্য বিশ্বাসি খুজে বের করার আপ্রান চেষ্টা। এ যেনন পৃথিবীর সব থেকে কঠিন কাজ । এক মুহুর্তে মনে হয় এটাই সে অলিভিয়া । যার জন্য কান্না ঢেকে হাশি মুখে এ রাজ্যর স্থায়ী বাসিন্দা হওয়া যায়। যার মুখে তাকিয়ে ব্যর্থতা ভুলে নতুন সফলতার স্বপ্ন দেখা যায়। এমন একজনকে বেছে নিলো হান্ট। ধারণাটা ঠিক ছিলো তার, আসলে তার ভাবনার থেকেউ একধাপ এগিয়ে কেউ একজন হাজির হয় তার সামনে। এ জেন সৃস্টিকর্তা প্রদত্ব মানব। এ রাজ্য ভরসা না থাকলেউ ভরসা ছিলো তার ওপর অলিভিয়া । মুখোশ মানবের ভিড়ে মুখোশ বিহিন সেই মানবির ওপর। সময়টা আস্থে আস্তে আস্থার সম্পর্কে রুপ নেয়। ছায়াতে গজিয়ে ওঠা গাছটি এখন অনেকটাই শক্ত। কারন সে এখন একা নয়। তার মত কেউ একজন রয়েছে সত্তি যে মুখোশ মানবের রাজ্য অথিষ্ঠ। আদর্শ মানবির মুখপ্রানে চাহিয়া মুখোশ বিহিন এক রাজ্যর স্বপ্ন দেখতে থাকে হান্ট।” ঘৃণার বিপক্ষে ভালোবাসার শক্তি তখনই বড় হয়, যখন ভালোবাসা দায়িত্ব নিতে শেখায়”। যেখানে সবাই থাকবে এক পরিবারের মত। কোন আত্ব কন্দল থাকবে না। সৃষ্টিকর্তার অপার মহিমায় হান্টের স্বপ্ন সত্তি হতে থাকে আস্তে আস্তে। আসলেই সে মানুষ চিনতে ভুল করেনি। আদর্শ মানবীর সাহাজ্য সে গোড়ে তোলে মুখোশ বিহিন এক পরিবার। স্বপ্ন টা তার আজ সত্তি, হান্ট অনেক খুশি। কিন্তু তার হয়ত জানা ছিলোনা তাকে আবারো ব্যবহার করা হচ্ছে ।
কিন্তু কেন……?? তাকে ব্যবহার করে লাভটা কি……?? কি আছে তার কাছে…….?? যায় হোক সেটা নিয়ে সে একদম চিন্তিত নয়। কারন তার ভরসা করার মত যায়গা রয়েছে এখন। কোন ভাবে ব্যর্থ হলে সে হয়ত নিজেকে সামলে নিতে পারবে। তার কাছে পথ দেখানর মানুষ যে রয়েছে। অনেকটা নিশ্চিন্তে সময় কাটাচ্ছিলো সে। এই নিশ্চিন্ত জীবন তাকে যে অলস বানিয়ে দিচ্ছিলো সেটা খেয়াল করার মত সময় তার নেই। কারণ তার কাছে রয়েছে পথ দেখানর মত ব্যাক্তি। হারিয়ে যাওয়ার ভয় নেই। এ বিশ্বাস নিজের অজান্তে হান্টকে বানিয়ে দিচ্ছিলো অলস,নিস্তেজ। নিজের সব হারিয়ে হান্ট হয়ে পড়লো পরনির্ভরশীল। তবুও কেন যেন হান্টের এ পরনির্ভরশীল জীবন পরম প্রিয়। সময়টা খুব আনন্দে কাটতে থাকে। অন্যদিকে নিজের শক্তি হারিয়ে দুর্বল থেকে আরো দুর্বল হতে থাকে হান্ট। একের পর এক ব্যর্থ হতে থাকে হান্ট। তার মুল্য যে কমছে যাচ্ছে সেদিকে হান্টের খেয়াল নেই। তার মুল্য যখন শূন্য হয়ে যায় তখন তার প্রয়োজনিয়তা কমে যায়। আফছা অন্ধকারে হারিয়ে যায় তার চির চেনা সেই “অলীভিয়া” । প্রতিটা পদক্ষেপে অচেনা মুখ। হান্ট জানেনা এমনটার কারন কি….? আসলে দুজনের understanding সমস্য দুটি কারনে হতে পারে। হয় সে আপনার বিকল্প কাউকে পেয়েছে। না হয় আপনি তার বিকল্প কাউকে খুজে পেয়েছেন। এটাই হয়তো প্রধান কারণ।
এ রাজ্য হান্ট এখন একা। কারণ চির চেনা পথ দেখানো “অলিভিয়া ” তার কাছে নেই। কিছুদিন পর হান্ট বুঝতে পারে। মুখোশ মানবের রাজ্য রানী হলো ” অলিভিয়া “। নিজেকে গুটিয়ে নেয় নিজেকেই অবিশ্বাস করতে শুরু করে হান্ট। এত মানুষের ভিড়ে হঠাৎ করে পাল্টে যাওয়া “অলিভিয়াকে দেখে সে হতবাক। কিছুদিন পর হান্ট জানতে পারে অলিভিয়া মারা গেছে। শুনে সে অলিভিয়ার লাশের পাশে বসে চিৎকার দিয়ে কাদতে শুরু করে। যেন চৈর্ত মাসে ফেটে যাওয়া মাটির মত। মনে হচ্ছে হান্টের কলিজা ধরে কেউ টান দিচ্ছে। আঘাতের ওপর আঘাত। হান্ট একরকম বাকরুদ্ধ, মানসিক ভারসাম্যহীন এক নিস্তেজ প্রনির রুপ ধারন করে। পৃথিবী তার কাছে মায়া হীন। সে দেশ ছেড়ে চলে যায় বহু দুরে। এক সময় অনেক বড় মানুষ হিসেবে গড়ে ওঠে। পৃথিবীর কাছে আজ তার কোন চাওয়া নেই বেদনা শুধু একটাই। “অলিভিয়ার হঠাৎ বদলে যাওয়ার কারণটা যদি সে জানতে পারতো……..!