একটি অপারেশন

একটি অপারেশন

আমানুদ্দিন মেয়েটার ডান বুকের খুব কাছাকাছি রেখেছিল তার বাম হাত।বাস ব্রেক চাপতেই বেশ একটা ঘষা খেল নরম স্তনে।আমানুদ্দিনের সারা শরীরে একটা শিহরন খেলে গেল।তরুনী স্পষ্টতই বিরক্ত। কিন্তু আজকে আমানুদ্দিনের সাহস বেড়ে গেছে।নাক দিয়ে হালকা তপ্ত নিঃশ্বাস বের হচ্ছে।সে জানে সামনে গুলিস্তানের মোড়ে ড্রাইভার আরেকবার ব্রেক চাপবে।এই তো সুযোগ! আমানুদ্দিন যে বাসে প্রতিদিন যাতায়াত করেন,তাতে বেশ ভীড় হয়।মহিলা সিটগুলি ভরে যায় বুড়ি,বুড়ো আর কিছু মধ্যবয়সিনীতে।দু তিনজন তরুনীকে দাড়িয়ে থাকতে হয়,প্রায় প্রতিদিনই। তা আমানুদ্দিনও দাড়িয়ে থাকে।তার ছোটো খাটো শরীরটা ভীড়ের মধ্যে গুঁজে দেয় কোনো এক বোকা বোকা চেহারা কিন্তু ডবকা ডাবকা দেহের মেয়ের পাশে।

আমানুদ্দিন তিনমাস ধরে দাড়ি কাটে না,বড় বড় দাড়ি সে আগে কখনো রাখে নি।মাঝে মাঝে খুব চুলকাতো।কিন্তু সুযোগ সুবিধার কথা ভেবে সে সহ্য করে নিয়েছিল একটু গাল জুড়ে সাময়িক চিড়মিড় অনুভূতিটা।তবে আজকে কষ্টের প্রতিদান সে যে করেই হোক নেবে।স্কুলের প্রেয়ার রুমে যোহরের নামাজটা শুধু পড়ে সে(আসলে পড়ার ভান করে,বহুদিনের অনভ্যাসে সূরা ভুলে বসে আছে,তা ফরহাদ সাহেবকে তো ভুলাতে হবে)তাই টুপি একটা থাকে পকেটে।আমানুদ্দিন চট জলদি টুপিটা পড়ে নেয়।আশে পাশে তাকায়।বাসে বেশ ভীড়।সবাই আছে নিজের ধান্দায়।একটা ক্যানভাসার সহজে সবজি কাটার যন্ত্রের গুনগান করছে।অনেকের নজর সেদিকে।মাখো মাখো চেহারার সোজা সরল দেখতে মেয়েটা তার থেকে দুই ইঞ্চি দূরে।আমানুদ্দিন একটু পিছিয়ে এসে মেয়েটির নিতম্বের খাঁজে খুব ক্লোজলি রাখে নিজের নিম্নদেশ।পুরুষা ঙ্গটা চেপে ফেটে সামনের দিকে বেরিয়ে আসতে চাইছে।ইতোমধ্যে কল্পনার নীলচোখে মেয়েটিকে সে নগ্ন অবস্থায় দেখে নিয়েছে।তরুনী কানে ইয়ার ফোন গুঁজে গান শুনছে।দুটা যাত্রী নামবে।বাসের ব্রেক কষতেই আমানুদ্দিন পরিকল্পনা মত একটু জোরেই তরুনীর পেছনটায় ধাক্কা মারে।মেয়েটা ইয়ার ফোন খুলে চেঁচিয়ে ওঠে,”গায়ে পড়ছেন কেন আমার!আজব তো!তখনো এমনটা করলেন—“

সঙ্গে সঙ্গেই নিজের ভারসাম্য বিচ্যুতির নিখুঁত অভিনয়ে পাশের লোকটিকে ধরে,”দেখলেন ভাই বলদের বাচ্চা কেমনে গাড়ি চালায়!”
তারপর দাড়িতে হাত বুলিয়ে করুন স্বরে আমানুদ্দিন সেই রেগে যাওয়া তরুনীকে বলে,”স্যরি বোন।আমার খেয়াল ছিল না।ড্রাইভারটা এমন বেতালা ব্রেক চাপছে—“
আশে পাশের মানুষজন আমানুদ্দিনের দিকে তাকায়।
মেয়েটা হঠাৎ যেনো সব বুঝে যায়,”আপনি অসভ্যতা করছিলেন!”
আমানুদ্দিন বলল,”কী বলো এইসব মা!তুমি আমার মেয়ের বয়সী।”

মানুষজন আমানুদ্দিনের কোমল কন্ঠ আর টুপি,দাড়ি দেখে বরং মেয়েটার দিকে সন্দেহের চোখে চায়।
একজন মন্তব্য করল,”আপনি মহিলা সিটে বসলেই তো পারতেন।”(লোকটার খেয়াল নেই মহিলা সিট যাত্রীময়)
আরেক পৌঢ় ফুট কাটলো,”আজকাল কার ছেলেমেয়ে গুলার আদব লেহাজ নাই।” এক মহিলা সিট থেকে উঠে আমানুদ্দিনের দিকে কটমট করে চেয়ে বলল,”আপনি তো এখনো ওর কাছ ঘেঁষে দাড়িয়ে আছেন।মতলব কী আপনার?” আমানুদ্দিন দেখলো মহিলার ভাবসাব সুবিধার নয়।নারীবাদী না তো আবার!সে বলে,”আপনে ভুল বুঝতেছেন আপা।” পৌঢ় লোকটি ফুট কাটে আবার,”কেয়ামতের লক্ষন।কেউ কাউরে বিশ্বাস করে না।একটা দিনদ্বার লোকের নামে অপবাদ।”

অবস্থা বেগতিক দেখে গুলিস্তানের মোড়েই গাড়ি থামলে চটপট নেমে পড়ে আমানুদ্দিন। বউটা দিনদিন পোড়া বেগুনের মত হয়ে যাচ্ছে।কেমন যেন চিমসানো শরীর।আমানুদ্দিনের কষ্ট লাগে এই ভেবে যে মহিলাটা আগের মত তৃপ্ত করতে পারে না।আমানুদ্দিন কিছুদিন ধরে ভাবছিলো হোটেল টোটেলে গিয়ে বেশ্যা সঙ্গম করবে,কিন্তু ঠিক সাহস করে উঠতে পারছে না।মাঝে মাঝে নাকি পুলিশ ওসব কু জায়গায় রেইড দেয়।কাস্টমার আর দেহবিক্রেতা উভয়কেই ধরে শ্রীঘরে চালান দেয়।আমানুদ্দিন স্কুল শিক্ষক,একবার যদি ধরা খান,সম্মান যা কিছু আছে সব ধূলায় লুটাবে না?ছেলে মেয়েরা তার কাছে আর প্রাইভেট পড়তেও আসবে না।

সেইদিন বাসে ওই ঘটনার পর আমানুদ্দিন সাবধান হয়ে গেছে।এখন শুধু নরমাল স্পর্শতেই নিজেকে কন্ট্রোল করে নেয়,বাড়তি কিছু করার সাহস আনে না।তা,আর কতদিন?বয়স তো থেমে নেই।আট চল্লিশ হতে চলল।প্রধান শিক্ষক ফরহাদ মোল্লাকে নরম করার চিন্তাও বাদ দিতে হবে মনেহয়।আশা ছিল,তার প্রমোশন হবে মর্নিং সেকশনে পার্মানেন্ট শিক্ষক পদে।কচি কচি মেয়েদের পড়াবে সে,মাঝে মধ্যে সুযোগ পেলে…অতো ঝামেলা নেই।কিন্তু ব্যাটা ফরহাদ তার টুপি আর দাড়িতে গলছে না।সেদিন তো যোহরের নামাজের সময় আমানুদ্দিনকে ধরলেন ফরহাদ মোল্লা,”আজকে জামাতটা আপনি পড়ান।”আমানুদ্দিন ভড়কে গিয়েছিলো।তার সব নিয়মকানুন মনে নেই।কোনো মতে নিস্তার পেয়েছিলো।

আজ সকাল থেকে ঝিরিঝিরি বৃষ্টি পড়ছিল।স্কুল বন্ধ।বিকেলের দিকে একটা ব্যাচ আমানুদ্দিনের কাছে ইংরেজী পড়তে আসবে।চারটা ছেলে তিনটা মেয়ে ঐ ব্যাচে।ক্লাস সেভেনের।এর মধ্যে লাবনী নামের একটা মেয়ে আছে।বয়স ১৩ মতো হবে। দেখতে ঝকঝকা সুন্দর।আমানুদ্দিনের বেশ মনে ধরেছে।মেয়ের বাপও পোস্টাপিসের ছোটো একটা চাকরী করে।নিরীহ প্রকৃতির।

এই মেয়ের প্রথম প্রথম মাথায় পিঠে হাত বুলিয়ে দিয়ে দোয়া করে দিতো আমানুদ্দিন,বলতো,”আরে লাবু তোমার বাপ আমার বাল্য বন্ধু।একসাথে বড় হইছি।আমার তো মেয়ে নাই,তুমি হইলা আমার মেয়ে।বুঝলা।” মেয়েটা লজ্জা পেত।মুখ রাঙা হয়ে উঠতো।আমানুদ্দিন মনে মনে বলতেন,ইস কি টসটসা রঙ ধরেছে রে! লাবনী পড়াশোনায় ভালো না।বাড়ির কাজ করে না আনলেও আমানুদ্দিন স্যার কিছু বলে না দেখে অন্য ছেলে মেয়েরা অবাক হতো।সেদিন পারভীন স্ট্রং ভার্ব উইক ভার্বের উদাহরণ ভুল করায় তার হাতে বেত দিয়ে গুনগুনে পাঁচটা বারি মেরে বলেছিলেন,”পড়াশুনা করস্ না।চেহারাও তো ভালো না।তরে তোর বাপ বিয়া দিবো ক্যামনে?” যাই হোক,আমানুদ্দিন ভেবে রেখেছেন একটা সুযোগ নেবেন।লাবনীকে বলে দিয়েছেন সপ্তাহে একটা দিন একলা আসতে,”তোমার ব্রেনটা ভালো।একস্ট্রা কেয়ার নিলে ভালো করবা।আমি সিঙ্গেল মেয়ে পড়াই না,তা তুমি হলে গিয়া দোস্তো আব্বাসের মেয়ে।মানে বুঝলা?মানে আমারও মেয়ে।”

আজকাল ছোটো ছোটো বাচ্চা পোলাপানেরেও নাকি ধর্ষণ করে।এই তো কিছুদিন আগে ১১ বছরের একটা বাচ্চা মেয়েকে ধর্ষণ করলো পার্বতীপুর স্কুলে হেড মাস্টার।পত্রিকায় খবরটা পড়ে আমানুদ্দিন শব্দ করে থুথু ফেলেছিলো,”ছ্যা ছ্যা,লোকটার নজর তো ডেনজারাস খারাপ।এই মেয়ে তো ঋতুমতীও হয় নাই ভালো করে।এর সাথে খারাপ কাজ করে মজা আছে কোনো!” তারপর আমানুদ্দিন নিজের কথা ভাবেন,”না,আমি মোটেও ধর্ষণ ফর্ষনের মধ্যে যাবো না।লাবনীকে আদর সোহাগ করবো।একটু জড়িয়ে ধরে চুমা টুমা দিলে ঐ মেয়ে এমনিতেই খুশি হয়ে খুলে দিবে।বয়ঃসন্ধির আগুন তো এই বয়সের কন্যাদের শরীরেই ধিকিধিকি করে জ্বলে!”

বিকেলের দিকে বৃষ্টি একটু ধরে এলো।আজকে পড়ায় নাই কাউকে আমানুদ্দিন স্যার।শরীর ম্যাজম্যাজ করায় একটু ঘুমিয়ে নিল সে।বউটা পাশে শুয়ে কোঁয়াচ্ছে।মেয়েছেলেটার বাতের ব্যথা,সেই সঙ্গে আবার হৃদরোগের ঠেলা,আমানুদ্দিনের মারাত্মক রাগ লাগে।এমন সময় কলিংবেলের শব্দ আসায় আমানুদ্দিনকে গিয়েই দরজা খুলতে হয়।দেখে,বোরকা পড়া একজন মহিলা আরেকটা বোরকা পড়া কমবয়েসি মেয়েকে নিয়ে দাড়িয়ে আছে।
বোরকা পড়া বড়জন গমগমে কন্ঠে বলে উঠে,”এটা কী আমিন স্যারের বাসা?” আমানুদ্দিন বলে,”ইয়েস।” বোরকা পড়া বড়জন বলে,”আমার বোনকে আপনার কাছে ভর্তি করাতে চাই।এইবার জিএসসি দিবে।” “আসেন।ভিতরে বসে কথা বলি।”

তারা বসলো।আমানুদ্দিন এবার ওদের ভালো করে দেখার ফুরসত পায়।বড়জনের মুখ নেকাবে ঢাকা।ছোটোজনের মুখ খোলা এবং আমিনুদ্দিন অবাক হয়ে যান—এই মেয়েটা ইংরেজী শিখবে তার কাছে! এ যে দেখতে আশ্চর্য রকম সুন্দরী!পান পাতার মতো মুখ।উজ্জ্বল শ্যামলা।যেনো কাচা সোনা মাখিয়ে দেয়া হয়েছে গালে।টসটসে ঠোঁট।বোরকা পড়া থাকলেও আমানুদ্দিন মানসচক্ষে যেন দেখতে পেল,তার হবু ছাত্রীর সদ্য ফোঁটা একজোড়া গোলাপ ফুলের মতো স্তন আছে।যাতে কারোর হাতের দাগ পড়ে নি এর আগে।

নতুন মেয়েটার নাম আয়েশা।খুব ধার্মিক ফ্যামিলির মেয়ে।মগবাজার থেকে পড়তে আসে।বড়বোনের কর্মক্ষেত্র এই আশে পাশেই।ছোটবোনকে সে-ই আনা নেয়া করে। বড়বোনের মুখটা আমানুদ্দিনের দেখার খায়েশ থাকলেও তা পূরণ হয় না। ছোটোটা এতো খাশা হইলে বড়টা নিশ্চিত আরো নাইস হবে,ভাবে সে। লাবনীকে একলা পড়ানোর চিন্তা ঝেড়ে দিয়ে আয়েশাকে আসতে বলে,”তুমি শনি রবি বিকাল চারটায় আসবা।টাকাটুকা বাড়তি দেয়া লাগবে না।”

আয়েশা আসে।বাসা এখন খালিই থাকে বলা যায়।আমানুদ্দিন বউকে বাপের বাড়ি রেখে এসেছে।রান্না বান্না কিছু হয় না।হোটেল থেকে খাবার আনানো হয়। আমানুদ্দিন ভেবে রেখেছে জোর করে কিছু করবে না।আস্তে আস্তে মেয়েটার সাথে প্রেম মহব্বত করে যা কিছু করার করবে।যেমন আগের শনিবারে মেয়েটির উরুতে হাত রেখেছিল শুধু ।পরদিন পিঠে হাত রেখে বলেছিল,”গুরুজনের দোয়া থাকলে অনেক বড় হবা।” এভাবে ধীরে সুস্হ্যে বুকে কখনো আলগোছে কনুইয়ের গুঁতো কখনো হাতের সাথে হাত ছোঁয়ানো,একটু আকটু হাসি তামাশা।আমানুদ্দিন চান্দের মতো মেয়েটাকে বলেছিলো,”সুশিক্ষক হচ্ছে বন্ধুর মতো।বুঝলা।তুমি আমারে বন্ধু ভাববা।তোমার সব কথা শেয়ার করবা।”

সেদিন আমানুদ্দিন ভাবে,কিশোরীকে একটু মিস্টি মুখ করানো যাক।নাইলে বন্ধুত্ব জমবে না। সে আয়েশাকে একলা রেখে ভিতরে যায়।পিরিজে দুটা মিস্টি নিয়ে ফিরে এসে দেখে মেয়েটা শো কেসের সামনে।গ্লাসটা লাগাচ্ছে।আমানুদ্দিন বলে,”কি দেখতাছো?” আয়েশা অপ্রস্তুত হয়ে উত্তর দিল,”গোলাপ ফুলের ঝাড়টা একদম আসলের মতো!সিওর হওয়ার জন্য খুলে দেখছিলাম।আসলে প্লাস্টিক!” আমানুদ্দিন হাসে,”আমার এক পুরান ছাত্র পাঠাইছিলো সিঙ্গাপুর থেকে।তোমার লাগলে নিয়া যাও।” আয়েশা নিতে চাইলো না।আমানুদ্দিন জোরাজুরি করলে আয়েশা বলল,”থাক না স্যার এখানে।আমি পড়তে আসলে একবার করে দেখে যাবো। “

এর মধ্যে তিনটা ক্লাসে আয়েশা আর আসে না।আমানুদ্দিন চিন্তিত হয়ে পড়ে।মেয়েটা তার অভিসন্ধি বুঝে গেছে নাকি আবার? যাহোক,আয়েশা আমানুদ্দিনকে হতাশ করলো না।আবার আসল।আমানুদ্দিন বলল,”তুমি আসো নাই—শরীর খারাপ ছিল নাকি?” আয়েশা একটু লাজুক স্বভাবের।সে অস্ফুটে বলল,”জ্বী স্যার।” আমানুদ্দিন সেদিনও মেয়েটির বুকে পিঠে হাত বুলিয়ে দেয়,”আহারে!তোমার বয়স তো বারো তেরোর বেশি হবে না,পিরিয়ড নতুন নতুন শুরু হইছে।রাইট?” আয়েশা কিছু বলে না।মুখ নিচু করে রাখে।

তারপর হঠাৎ একটু সাহসী হয়ে বলল,”স্যার আমার শরীরে হাত দিলে আমার খুব খারাপ লাগে।” আমানুদ্দিন মনেমনে বলে,পাখি তোমার পাখা গজাতেছে।ছাঁটতে হবে,অতি তাড়াতাড়ি। এরমধ্যে একদিন পড়া না পারাতে স্কেল দিয়ে ইচ্ছে করে আয়েশাকে বেশ কয়েক গা মেরেছিল আমানুদ্দিন আয়েশার চোখ ছলছল করে উঠলে আমানুদ্দিন মেয়েটার পাশে গিয়ে বসে।সে চাচ্ছিল কিশোরী এবার কাঁদুক।কিন্তু আয়েশা শক্ত হয়ে বসে থাকে।আমানুদ্দিন আয়েশাকে জড়িয়ে ধরে,”আহারে,স্যরি আশু।তোমারে মেরে আমার এখন দুঃখ লাগছে।”মেয়েটার নিতম্বে হাত চলে যায় তার।আমানুদ্দিন টিপতে থাকে দুহাতে।তার শরীর গরম হয়ে উঠছে।পুরুষাঙ্গ অনেকদিন পর শক্ত হয়ে বেরিয়ে আসতে চাইছে।

আমানুদ্দিন জোর করে ধরে আয়েশাকে টেবিলে শুইয়ে দেয়।তার পক্ষে আর ধৈর্য ধারন সম্ভব নয়।আয়েশা চেঁচিয়ে উঠে,”স্যার এরকম করবেন না!স্যার প্লীজ!” আমানুদ্দিন মেয়েটার সালোয়ারের গিঁট খুলে ফেলে কাঁপা হাতে।এমন সময় মেয়েটা গলা ফাঁটিয়ে চিৎকার দেয়। আয়েশার মুখ সাঁড়াশির মতো হাতে চেপে ধরার আগেই শুনতে পায় সে,বাইরে দরজা পেটাচ্ছে কেউ।আওয়াজ আসছে দ্রিম দ্রিম! মুহূর্তের জন্য আমানুদ্দিন অসতর্ক হয়ে গেছিল।এই সুযোগে এক ধাক্কা মেরে আয়েশা উঠে পড়ে।আমানুদ্দিন অবাক হয় মেয়েটার গায়ের জোরে।তাকে পাকরাও করার আগেই দেখে দরজা খোলা হয়ে গেছে।বোরকা পড়া বড়বোন দাড়িয়ে আছে।সঙ্গে পুলিশের পোশাকে দুইজন।

বোরকাওয়ালী মুখের নেকাব খুললে আমিনুদ্দিনের মুখ দিয়ে বেরিয়ে আসে বিরাট বিস্ময় শব্দ। এ তো সেই তরুনী যাকে সে দিন দশেক আগে বাসে মলেস্ট করেছিলো!যার নিতম্বে সে নিজের নিম্নাঙ্গ স্পর্শ করে স্বর্গসুখ পাওয়ার চেষ্টা করেছিল। তরুনী আমানুদ্দিনের ছাগলমার্কা দৃষ্টির সামনে শো কেস খুলে কলমদানী থেকে একটা ফাউন্টেনপেন দেখতে কলম তুলে নেয়। পুলিশ দুজন তাকে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে জিপে তোলে।সে বুঝতে পারে না,কি থেকে কী হইয়া গেল!এতো বড় রহস্য!

এক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বাসের সেই বোকা দেখতে ডবকা মেয়েটি একটু হাসলো।মেয়েটি বলতে থাকে,”এই ঢাকা শহরে প্রতিদিন বহু মেয়েকে অনাকাঙ্খিত অপমান মলেস্টেশন, ইত্যাদির স্বীকার হতে হয়।সেই সঙ্গে সুযোগ পেলে ধর্ষন তো আছেই।তো আমরা কয়েকজন বান্ধবী মিলে একটা গ্রুপের মত করি যে বিকৃত মনষ্ক ধর্ষকামী পুরুষদের মুখোশ উন্মোচন করবো।দেশবাসী জানুক।উপযুক্ত আইনের আওতায় আসুক।আমানুদ্দিন নামক এই কাপুরুষ আমাকে বাসে মলেস্ট করার পর বাসের অধিকাংশ যাত্রী প্রতিক্রিয়াহীন ছিল,লোকটির পক্ষেও ছিল কেউ কেউ,তখন মনেহল নিজেই কিছু করতে হবে—আমি তাকে ফলো করি।তার সম্পর্কে তথ্য জোগাড় করি।জানতে পারি সে প্রাইভেট পড়ায় এবং কয়েকজন শিক্ষার্থীর সাথে কথা বললে তারা নাম গোপন শর্তে বলে আমিনুদ্দিনের ছাত্রীদের সাথে অসদাচরণ,মলেস্টেশনের কথা।কিন্তু স্ট্রং কোনো প্রমাণ না থাকলে তো পুলিশের কাছে গিয়ে লাভ নেই।

এরপর আর কি,প্ল্যান করি।নিজের ছোটো বোনকে বড় একটা ঝুঁকি নিয়ে ওর কোচিং এ ভর্তি করাই।একটা জাপানি কলম সদৃশ ক্যামেরা ফিট করানো হয় পড়ানোর ঘরের শো কেসে।সেখানে রেকর্ড হয়ে আছে ধর্ষকামীটার কুকীর্তির চেষ্টা চরিত্র।তাছাড়া প্রতিটা আপডেট ভিডিও আমার ল্যাপটপে এসে জমা হয়েছিল।সে অনুযায়ী ব্যবস্হা নিয়েছি।পুলিশকে বলা ছিল।সেইদিন বিকেলের প্রথম ভিডিওচিত্রটা আসার পরেই বেরিয়ে পড়েছিলাম।
আমরা চাই যারা ধর্ষণ করতে চায়,মেয়েদের অপমান নির্যাতন করতে চায় তাদের ধরে শাস্তির আওতায় আনতে।একটি ধর্ষনের পর ধর্ষককে মৃত্যুদন্ড দিলেও আসলে পোষায় না,এক্ষেত্রে ভিকটিম নারীর বড় ধরনের ক্ষতি হয়ে যায়।মৃত্যু তো আছেই।

একদম শুরুতেই যদি চিহ্নিত করা যায় কারা ধর্ষকামী এবং সে অনুযায়ী কঠোর শাস্তি দেয়া যায়,তবে এই দেশে ধর্ষণের সংখ্যা অনেক কমে যাবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই!” সাংবাদিক প্রশ্ন করলেন,”আপনার নাম?” বাসের সেই তরুনী মিস্টি হেসে বলে, “আমার নাম জেফরিন।এবং আমার দলের নাম থার্ড আই অপারেশন।”

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত