এক কালে ছিল এক রাজপুত্র যার এক রাজকন্যাকে বিয়ে করার ইচ্ছা ছিল। তাকেই সে বিয়ে করবে যে একজন প্রকৃত রাজকন্যা। সেই রাজকন্যাকে খুঁজে বের করার উদ্দেশ্যে সে পৃথিবীর সবত্র ভ্রমণ করলো। কিন্তু সব জায়গাতেই বিভ্রান্তি দেখা দিল। অসংখ্য রাজকন্যা ছিল, কিন্তু তারা প্রকৃত রাজকন্যা কি না তা সে কিভাবে জানবে? তা ছাড়া তাদের সবার মধ্যেই কিছু না কিছু খঁুত ছিল। অনেক খঁোজাখুজির পর বিষণ্ণ হয়ে সে বাড়ি ফিরল। যে উদ্দেশ্যে ভ্রমণে বের হয়েছিল তার সন্ধান মিলেনি।
এক সন্ধ্যায় প্রচন্ড ঝড় হল।ব্জ্রপাত সহ বৃষ্টি হচ্ছিল।পরিস্তিতি সত্যিকার অর্থ এ খুব ভয়াবহ ছিল।এর ই মধ্যে প্রবেশের দরজায় কড়া নাড়ার আওয়াজ পাওয়া গেল।বৃদ্ধ রাজা দরজা খুলতে এগিয়ে গেল।
দরজা খোলা মাত্র দেখা গেল এক রাজকন্যা সেখানে দঁাড়িয়ে। ঝড় বৃষ্টিতে তার যে কি অবস্থা। চুল থেকে শুরু করে জামা, জুতা সব পানিতে ভেজা। রাজার কাছে দাবী করলো যে সে প্রকৃত রাজকন্যা এবং রাজপুত্রের রাজকন্যা অনুসন্ধান করার খবর পেয়ে এ মহলে এসেছে।
‘তুমি প্রকৃত রাজকন্যা কি না তা আমরা শীঘ্র ই আবিস্কার করবো’ বৃদ্ধ্য রাজা ম নে ম নে ভাব ল। এ বিষয়ে একটু ও কথা না বলে শোবার ঘরে গেল। বিছনার চাঁদ র সরিয়ে সেখানে একটি মটর শুটি রাখল। তারপর বিশটি তোশক সেই মটর শুটির উপর রাখল।এরপর বিশটি আরামদায়ক পালকের বিছানা সেই তোশকগুলির উপর রাখল।ঠিক করলো রাজকুমারীকে এর মধ্যে রাত্রি যাপন করতে দেয়া হবে।
সকাল হবার পর বৃদ্ধ্য রাজা রাণী সেই রাজকন্যা কে জিজ্ঞাসা করলো, ‘তুমি কি ঠিকমত ঘুমাতে পেরেছিলে?’
‘ওহ!’ রাজকুমারী বলল, ‘ না, আমি শান্তিমত ঘুমোতে পারিনি। সেই বিছানায় শোবার পর আমি খুব ই শক্ত কিছু অনুভব করছিলাম যার জন্য খুব কষ্ট হচ্ছিল। সেটা খুব ই যন্ত্রণাদায়ক ছিল।
তারা বুঝতে পারল যে, মেয়েটি সত্যিকারের রাজকন্যা এবং তাতে কোন সন্দেহ নেই।বিশটি তোশক ও বিশটি পালকের বিছানার ওপর দিয়ে একটি মটর শুটি অনুভব করা কেবল মাত্র একজন রাজকুমারীর পক্ষেই সম্ভব। এছাড়া আর কেউ এরকম স্পশ কাতর হতে পারে না।রাজকুমার তৎক্ষণাৎ তাকে বিয়ে করার সিদ্ধান্ত নিল। সে বুঝতে পারল যে সে প্রকৃত রাজকন্যাকে খঁুজে পেয়েছে।
যে মটরশুটির কারণে এ ঘটনা ঘটলো, সেটা তারা জাদুঘরে রেখে দিল।সেখানে তা এখনো দেখা যাবে যদি কেউ না সরিয়ে থাকে।
-বিদেশী গল্প অবলম্বনে লেখা