পৃথিবীর জন্মকথা

পৃথিবীর জন্মকথা

জানিনা পৃথিবীটার জন্ম হয়েছিলো কেন?
হয়ত শিশুর মুখে হাসি ফোঁটানোর জন্য,
নয়ত জননীর জন্মভূমীকে করতে ধণ্য।
আলো ছড়ায় নদী বহে পাখিরা করে গান,
সোনালী ফসলে ঢেউয়ে কৃষকের ঘরে ধান।
এলো মেঘে সাজানো রংধুনু ভরা আসমান,
দরিয়ার বুকে মাঝিরা সুখে নৌকায় ভাসমান।

জানিনা পৃথিবীরটার জন্ম হয়েছিলো কেন?
শধুই কি?
হানাহানি গোলাবারুদ আর আধিপত্তর,
নির্যাতিত মানুষগুলো কেন? কাপেঁ থরথর।
ক্ষমতার দাপটে আর বৈষম্যের কপাটে,
ভূল গন্তব্যের বিশ্বচিত্র আজ, কেনইবা লপাটে।

পৃথিবীটা জন্মেছিলো জলন্ত অগ্নি নিয়ে,
শান্ত হয়েছিলো বিশুদ্ধ প্রকৃতির বায়ু দিয়ে।
কিন্তু আজ, পৃথিবীতে ভয়ংকর সব কাজ,
প্রকৃতির তাজ, ধ্বংস করে কৃত্রিম যত সাজ।

কার্বনড্রাইআক্্রাইডে বাড়ছে পৃথিবীর যন্ত্রনা,
ব্যাস্ত সবাই কে দিবে পৃথিবীকে শান্তনা।
গোলাবারুদ আর যান্ত্রিক হুংকারে অভিশপ্ত,
পৃথিবীটা বুঝি আবার বাংকারে হবে উত্তপ্ত।

জানিনা পৃথিবীটার জন্ম হয়েছিলো কেন?
হয়ত একদিন শুদ্ধতায় শুভ্রতা আনবে
ভালোবাসায় শ্রদ্ধায় নতুন পৃথিবীকে জানবে
ভূল গুলো ঝরে যাক, মমতায় ভরে থাক ।
ভালোবাসায় ভরে থাক, ফুল গুলো ফোটে যাক।
আজ হাসিতে যে ফুলটি ফুটিলো ভবে,
কাটিলে নিশিতে নিশ্চিত কাল মৃত্যু হবে।
ভূবনময় সৌরভ খানা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রবে।
পৃথিবীর আপন ভুবনে থাকুক মায়া সুভাস,
ভালোবাসার বসতি করে মানুষ করুক বাস।
আকাশ জুরে চাঁদের হাসি তারা রাশি রাশি,
খুব মমতায় মায়ের কোলে একটি শিশুর হাসি।

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত