মন খুলবার শব্দ

মন খুলবার শব্দ

কলকাতা-লন্ডন এক করে দেওয়া শীত হুট করে উধাও। রীতিমতো গরম। আজ আবার সকাল থেকে আকাশ মেঘে ছেয়ে আছে। মাঝেমাঝেই বৃষ্টি নামছে ঝুপ-ঝুপা-ঝুপ। কলকাতার হাঁ আমাকে তবু গিলবে বলে ডাকছে। ভাবছি যাব কিনা। এরই মধ্যে মেয়ে এসে জিঞ্জেস করল, ‘তাহলে ডিসেম্বরে পৃথিবী ধ্বংস হয়েই যাচ্ছে? কী মনে হচ্ছে তোমার?’ আমার আর কী বলার আছে? কতদিন কবিতা উধাও। আমার ভাষা হারিয়ে গেছে বেদম ছুটতে ছুটতে। তবু মনে মনে ভাবলুম, ধ্বংস হবে যখন, আমার ছাদে উঠে হাত নেড়ে অভিবাদন জানাব ধ্বংসকে… পালাব না।

মুজিব মেহদী আমার সমবয়সী কবিবন্ধু। ময়মনসিংহের ছেলে। জীবিকার কারণে থাকে ঢাকায়। সে এবার আমাকে একটা বই দিয়েছিল ‘চিরপুষ্প একাকী ফুটেছে’। মাঝে মাঝেই বইটা পড়ি। বাংলাদেশ ছেড়ে চলে এসেছিল আমার বাবা অল্প বয়সে। আমি কলোনিতে মানুষ। রক্তের ভেতরে তীব্র এক বিষাদ হয়ে শুয়ে থাকে বাংলাদেশ। বারবার বিদেশি সেজে ওখানে যাই। এসব তো অনেকের মতোই আমার নিজস্ব খেলা। কিন্তু একটা জিনিস খারাপ লাগে। বাংলাদেশের সাহিত্য নিয়ে আমাদের এদিককার সমাজের আলতো তাচ্ছিল্য। ভালো-মন্দ নিয়ে মন্তব্য করব না এই এক পলকের রচনায়। বরং একটা সত্য তুলে ধরি। বাংলাদেশের কবি-গদ্যকার সম্পর্কে আমরা যতটা কম জানি, আমাদের সমকালীন সাহিত্য সম্পর্কে ওরা ততটাই বেশি ওয়াকিবহাল। একদম হাল আমলের পশ্চিমবঙ্গীয় কবিদের কাব্যগ্রন্থ বাংলাদেশের কবিতাপাগল ছেলেমেয়েদের সংগ্রহে থাকে। নাক উঁচু মনোভাবের কারণে, এদিক থেকে আমাদের ঝুলিটা কিন্তু শূন্যই থাকছে। কার ক্ষতি?

সরল এক পথিকের মতো মুজিব বেরিয়ে পড়েছেন কল্পনার প্রান্তরে, যেখানে বাস্তবের মেঘ মাঝে-মাঝেই দেখা দেয় মাথার ওপর।
যা হোক, ক্ষোভ থেকে সরে আসা ভালো? হয়ত বৃষ্টিস্নাত শীতের সকালে কবিতা ছেড়ে জীবিকার কাছে পৌঁছে যাওয়ার বাধ্যতাই মনে ক্ষোভ এনে দিয়েছে। সেটাই সঞ্চারিত হয়ে গেল এই গদ্যে আচমকা। নতুবা যেখানে ব্যথিত হওয়ার কথা, সেখানে ক্ষুব্ধ হচ্ছি কেন আমি? তাছাড়া প্রিয় কবি মুজিবের কবিতায় ‘ক্ষোভ’ কিংবা ‘স্পষ্ট কথা’র মাঝখানে শুয়ে আছে ‘মায়া খরগোশ’।

বাংলাদেশের নয়ের দশকের খ্যাতিমান কবি, এপারে অনেকাংশেই অপরিচিত বা উপেক্ষিত মুজিব মেহদীর ‘মায়া খরগোশ’ কবিতাটা সম্পূর্ণ তুলে দিই পাঠকদের।

‘ঘুম এক শৃঙ্খলা জেনে শয়নভঙ্গির বিশৃঙ্খলা আমি আমলে আনি নি
রাতের বাতাস ঘেঁটে নিদ্রার গন্ধ কুড়িয়ে শুধু কোঁচড় ভরছি জেগে
দুধ নয় সবই এর ঘোলমাত্র জানি

শৃঙ্খলার দিকে দৌড়ে দৌড়ে যারা সুস্বাস্থ্য কুড়ালো
জীবনকে ঝেড়েমুছে কড়া রোদে শুকিয়ে আমূল ভাঁজ করে রাখে যারা
তাদের আনন্দে আমার ভরে না তনুমন

আমার একটা গানঅলা তৃপ্তি পাখি চাই
তাজা কালো শব্দভর্তি রোল করা এক খাতা
পাতা উলটে খুঁজে পাওয়া যাবে যাতে একটা অন্তত
মায়া খরগোশ—সৌন্দর্য আঁটে না যার দেহে’

সরল এক পথিকের মতো মুজিব বেরিয়ে পড়েছেন কল্পনার প্রান্তরে, যেখানে বাস্তবের মেঘ মাঝে-মাঝেই দেখা দেয় মাথার ওপর। কবির পক্ষে এই বাস্তব সামাল দেওয়া কষ্টের। একটা অত্যন্ত দুর্বল কবিতাতেও দেখা যায় স্বপ্ন আর বাস্তবকে স্বমহিমায়। স্বপ্নটা কবির অনুকূল খেলা। বাস্তবটাই হারামি, তাকে কোন কবি কিভাবে সামলান সেটাই দেখার। কেউ চিৎকার করে গলা ফাটিয়ে দেন, কেউ পালিয়ে যান, কেউ বিদ্রূপ করেন, কেউ-বা করেন শান্ত কৌতুক। খুব মজা লাগে আমার এইভাবে ভাবতে। ‘আলুকৃষকের চটি’ কবিতায় মুজিব প্রথমে স্বপ্নময় চাঁদ থেকে উড়ে আসা ধুলোয় ঢাকা ঘাসের দেশে ‘ন্যায়ের পালক’ খুঁজে বেড়াচ্ছে। তারপরই বাস্তব এল, আলুর ফলন বেড়ে গেছে বলে চাষিরা উৎসব করছে তো এরপর? স্বপ্ন আর বাস্তব নিয়ে মুজিব কী খেলা খেলল?

‘বাতরে নিজের চটিজোড়া খুলে রেখে যে কৃষক ক্ষেতে নেমেছিল কাল
ভুলে থেকে যাওয়া তার চটির ফিতা পালকের বদলে আমার চোখে লাগে
এরপর থেকে পুরানো পৃথিবী জুড়ে দায়ে পড়ে হাঁটছি গ্রামকে গ্রাম
চটির বেদনা ভোলা আলুকৃষকের কল্পিত একটা নাম জপে জপে’

চাঁদ, গ্রাম, চটি আর পালক আমার মাথায় ঘুরে ঘুরে মরে। একদিন জ্যোৎস্নায় সত্যিই এসব হয়? বা হবে? অথবা হয়েছিল? আলুর ফলন ভালো দেখে যে চাষি আনন্দে আত্মহারা, ক্রমে চটিহারা, তাকে তো প্রায়ই আমি দেখি পরে বাজারে দাম না পেয়ে আত্মঘাতী হতে। কবিতাতে কোথাও এ-প্রসঙ্গ নেই। আমাদের জীবন-অভিজ্ঞতা বাকিটা পলকের জন্য এনে দেয় মস্তিষ্কে। হায় দেশ!

মন খারাপ টুটি চেপে ধরে। তখন আর মুজিবের মূল কবিতা ভালো লাগে না। বারবার উলটে-পালটে যাই বই। অস্বস্তিও লাগে। জানালার বাইরে কয়েকটা সেগুন গাছ, জারুল গাছ ভিজছে বৃষ্টিতে। মেয়ে নানারকম ঘটনা ঘটাচ্ছে। রান্নার গন্ধ আনন্দের বদলে কর্তব্য মনে করাচ্ছে। আর আমি মুজিবকে কয়েকজন পাঠকের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেবো বলে তাড়াহুড়ো করছি। মুজিব তখন তার কাব্যগ্রন্থ থেকে উঁকি মেরে বলে—

‘মাঠের ভিতরে থাকা একাগাছ যত দেখি
শূন্যতার তত বেশি পড়ে যাই প্রেমে
গোড়ার জল কী দারুণ আগলে রাখে
থমথমে কালো ছায়া’

এক লহমায় শূন্যতা এসে দাঁড়ায় সামনে। মুজিবের কবিতার বইটির নাম ‘চিরপুষ্প একাকী ফুটেছে’। ‘একাগাছ’-এই তো ফুটবে কবিতার ‘চিরপুষ্প’। যদিও একই কাব্যগ্রন্থে অনেক কোলাহল আছে, ভাষা-ভাঙচুর আছে, জেহাদ আছে, তবু হাড়-কাঁপানো শীতে ফুল ফোটানো ‘অধীর একটি পাখি’ও আছে। ‘নোজ মাস্ক ও ইহার ব্যবহার’ কবিতায় মুজিব যেমন লিখছে—

‘ইহা ধূলাবালির ক্ষতি হইতে ফুসফুস রক্ষা করে
ইহা শাসকষ্টরোধী
ইহা প্রতিষ্ঠানের ঠিক উলটো

নোজ মাস্ক দুইদিন অন্তর-অন্তর ধৌত করিতে হয়
প্রতিষ্ঠান একদিনে’
তেমনই লিখেছে অন্যরকম শ্বাসকষ্ট এনে দেওয়া এক পঙ্ক্তির কবিতা—
‘ঘড়ির কাটার দিকে তাকালে আমার কেবলই মরে যাচ্ছি বলে মনে হয়’।

কত দূর কাঁটাতারের এপার থেকে মুজিবের কবিতা পড়তে পড়তে ওকে স্পষ্ট, আবার অস্পষ্টও লাগছে। স্পষ্ট সে ভাষায়, অস্পষ্ট সে মায়ায়। ব্রহ্মপুত্রের বাতাস লেগে আছে যে তার গায়ে।

২.
গত শীতে ছোট্ট ওই লেখাটা লিখেছিলাম। তারপর এই শ্রাবণ-শেষ অবধি কত ঘটনাই না ঘটল। ঢাকায় কবিতা পড়তে গেলাম। মুজিবও সেখানে আমন্ত্রিত। ‘লোক’-এর অনুষ্ঠান। শামীমুল হক শামীম প্রধান কর্মকর্তা। শৃঙ্খলাপরায়ণ মানুষ। আলো, মিউজিকসহ কবিতা পাঠের মহড়া। জীবনে প্রথম এমনটি। নাটকের দলে যুক্ত থাকায় উতরে গিয়েছি। প্রিয় বন্ধু শামীম রেজা, টোকন ঠাকুর, কুমার, খোকন, শেলী, সেবন্তী, চঞ্চল—অফুরন্ত আড্ডা। তো যে কথা হচ্ছিল, মুজিবকে এবার কবিতায়-পানে-অনুপানে রক্তমাংসের করে অনেক সময় পেলাম। খুব হৃদয়বান, খোলামনের কবি। পাণ্ডিত্য লুকিয়ে রাখতে জানে। কুচুটে আলোচনায় যায় না। আর-একটা ব্যাপারও অনুভব করেছি, সারাক্ষণ বন্ধুদের সঙ্গে, অজস্র মানুষের সঙ্গে লগ্ন হয়ে থাকলেও মুজিব তার স্বভাবে এক উদাসীনতা বহন করে চলে। কারণ সে ‘মন খুলবার শব্দ’ শুনতে পায়।

‘মন খুলবার শব্দ পেলাম নরম এই কুয়াশা শরতে, ভেজা ঘাস মাঠ হাহা হিহি করে জানিয়ে গেল রোদের কাছে এই কাণ্ড কীর্তি…’

একই সঙ্গে সে নিভৃত এবং কৌতুকপ্রবণ। মুজিব এক ধরনের বিবরণ-বিশ্বাসী। সেই বিবরণে মিশে থাকে বিশ্লেষণ। কখনও সমাজ-বিশ্লেষণ, প্রকৃতি-বিশ্লেষণ, কখনও-বা তীব্র আত্ম-বিশ্লেষণ। এভাবেই সৃষ্টি হয় তার কবিতা। একটা শব্দও সে প্রয়োগ করেছে দেখি লেখালেখির জগৎ নিয়ে; শব্দটা হচ্ছে ‘কথাসভ্যতা’। বোঝা যায় বিশ্ব বাস করে তার মনে। ‘অখণ্ড ভাব’ কবিতায় মুজিব লিখেছে—

‘সছন্দ জলের ছড়ানো বুকের তুমি সবখানে আছ
প্রতিঅঙ্গ জলের সাথেই সূর্যের সম্পর্ক নিবিড়

আমি তাকে ‘পড়া’ বা ‘পরা’ যে ক্রিয়ায়ই নিচ্ছি
দূর থেকে ভেসে আসতে শুনছি শুধু নামকীর্তনের ধ্বনি
আর পৃথিবীর সমুদয় নামকীর্তনের লক্ষ্যই তো হলো নৈকট্যস্থাপন
একূল-ওকূল দূরত্বমোচন চেয়ে প্রাণ ঢেলে দেয়া আর্তি
ছোট ও বড়োর মাঝের এই সম্পর্কটাকে আমার
চিরকালই খুব মিথ্যা ও অবিনাশী বলে মনে হয়’

‘খণ্ডভাব’ বলেও একটা কবিতা আছে মুজিবের। তা কিন্তু উপর্যুক্ত কবিতাটির বিপরীত ভাবনায়। সেখানে প্রেম এসে পা ফেলেছে মুহূর্তে। সেটি খণ্ড-মুহূর্ত হলেও তা ছুঁয়ে আছে অপরিসীম ভালোবাসার চিরমুহূর্তকে।

কবিতা মুজিব চেনে। কবিতাও মুজিবকে চেনে। যে কোনও ‘দৃশ্যগান’কে সে ‘ধ্যান’-এর ভেতরে নিয়ে যেতে জানে।
কখনও কখনও ভেবেছি মুজিবকে এত কথায় পায় কেন? সে তো একলা ফুটে থাকা ‘চিরপুষ্প’কে জানে। আমাদের ‘কবিতা আশ্রম’ পত্রিকায় মুজিব একটা দীর্ঘ কবিতা লিখেছিল। কত বড় কবিতা। স্পষ্ট ভাষায় সে পুঁজিপতিদের হাতে নদী, পাহাড়, মাঠ, প্রান্তর বিক্রি হয়ে যাওয়ার বিরোধিতা করেছিল। তো, সেই কবিতাটি পড়তে পড়তে আমার মনে হয়েছিল কবিতাটি এত বড় হল কেন? অনেক আগেই তো কবির বক্তব্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে গিয়েছে। একা-একাই ভেবেছি। কারণ কবির নির্মাণকে তো সম্মান করতেই হবে। আমার খটকা লেগেছে বলেই আমি তো কবিকে নাকচ করতে পারি না। কবির উদ্দেশ্যটাও আমাকে প্রাণ দিয়ে টের পেতে হবে। সেটা টেরও পেলাম। ওইজন্যই এই লেখায় ঢাকার অনুষ্ঠানটার প্রসঙ্গ তুলেছি। ওখানে মুজিব যখন কবিতা পড়ল, হলভর্তি শ্রোতাসহ আমিও মুগ্ধ একেবারে। স্মৃতি থেকে কবিতা বলে যেতে পারে অনর্গল আমাদের মুজিব মেহদী। মুচকি হাসি, কাটা-কাটা উচ্চারণ। কবিতা তার বিষয় নিয়ে কবিকণ্ঠে দারুণ জীবন্ত হয়ে উঠছে।

আমাদের ‘লিখিত কবিতা’ নানা কারণেই আজ পাঠক হারিয়েছে। সংযুক্ত না হতে পারা তার একটি প্রধান কারণ। এ নিয়ে অনেক কথা ওঠে। এ বিষয়ে আমার বিশ্বাসটাই বা কী, তা এখানে অপ্রাসঙ্গিক। বলবার কথা এই যে, ‘মৌখিক কবিতা’, যা লোকজীবনে প্রচলিত ছিল, আধুনিক এবং আধুনিকোত্তর কবিতা জগতে তার চল উঠে গিয়েছে। মুজিব কিন্তু সেই বিরল কবিদের একজন, যে স্বভাব-জটিল সাম্প্রতিক বাংলা কবিতাই মিশিয়েছে কবেকার ঘুমিয়ে পড়া ‘মৌখিক কবিতা’র অব্যর্থ স্বর। আর এই কাজটি করতে গিয়ে সে কোনও আপস করে নি। আবৃত্তিকাররা অন্তঃস্বর-বর্জিত যে কবিতা মঞ্চে মঞ্চে পরিবেশন করে অতিনাটকীয় ভঙ্গিতে, মুজিব সেইরকম কবিতা-রচনার ধারেকাছে যান না। তার কৃতিত্ব এখানেই। সে অন্তঃস্বরকেই কখনও তীব্রতা দিয়ে, কখনও-বা আত্মকৌতুক মিশিয়ে এমনভাবে উপস্থাপন করছে তার কবিতায় যে, জটিল কুহকেও সম্মোহিত হচ্ছে পাঠক বা শ্রোতা। তারা আর পালাবার পথ পাচ্ছে না। আমার অন্তত তাই মনে হয়েছে। এমন হয়েছে, ঢাকায় মুজিব-সঙ্গ লাভের পর তার প্রত্যেকটি কবিতাকেই মনে হচ্ছে, মুজিব যেন আমাকে কিছু বলছে। কী বলছে মুজিব?

‘স্কুল খুললেও বই কাঁধে আমি যাই নি এ বেলা ক্লাসে
বারান্দায় মোড়া পেতে বসে বসে আকাশ দেখছি
আকাশকে শূন্যতাসুদ্ধ আমার ভালো শিক্ষক বলে মনে হয়

যুগ যুগ একই শিক্ষা নির্গত হয় ক্লাসের ভিতরে
রাতেদিনে গুরুর বাঁশি বাজায় একই সুর

আমি নাদান না-ক্লাস ছাত্র আকাশের আয়নায়
নতুন করে শিখছি প্রকৃতির মনোভাব—
মানুষে মানুষে ব্যবধান আসলে বিস্তর
পুরোটা ঘুচানো যার নিরেট কল্পনা’

আকাশ থেকে শেখা আর অভিধান থেকে শেখা কবিদের মধ্যে পার্থক্য থাকবেই। কবিতা মুজিব চেনে। কবিতাও মুজিবকে চেনে। যে কোনও ‘দৃশ্যগান’কে সে ‘ধ্যান’-এর ভেতরে নিয়ে যেতে জানে। ‘ইহবিদ্যালয়’-এর আনন্দে মত্ত হয়ে আমাদের বন্ধু কবি মুজিব মেহদী সুস্থভাবে বিচরণ করুক বাংলার মাঠে-প্রান্তরে, আকাশে-বাতাসে-পানশালায়… এক-একদিন আমার বাড়িতেও…

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত