কীরে এত দিন কই ছিলি কোন খোঁজ খবর নাই, আবার হঠাৎ কই থেকে আগমন করলি শুনি (আবির)। বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট যেই খানে স্থাপন করল, ঠিক তার পাশেই আমার ‘গফ’ এর বাড়ি সেখানেই গেছিলাম বেড়াইতে।আর স্যাটেলাইট রেখে যেই রকেটটানিচে আসলো সেটাতে চড়েই আসলাম। আচ্ছা ভাই তুই কী কোন কথা সোজা উত্তর দিতে পাড়িস না, এমন ঘ্যাঁড় ত্যারামো করিস ক্যান বলতো।
আচ্ছা তোর বাপে কী আবার নতুন একটা বিয়া করছে। না কেন ? যেমনে তুই কইলি আমি এতদিন কই ছিলাম, মনে হইল তোর বাপে আবার নতুন একটা বিয়া করে ফেলছে। আর আমারে দাওয়াত দিতে পারিস নাই বলে এমনে বলতেছিস। দূর তোর সাথে কথা বলাই আমার ভুল হইছে। হালার পুত তোরে কী আমার সাথে কথা বলার জন্য পায়ে ধরছি হুমমমমমমম কই এতদিন পড় আসলামভাল আছি না মন্দ আছি তা জিগাবি তা না কই ছিলাম এতদিন মনডা চাইতেছে দেই তোর চোপার নিচে এক থাপড়ানি। ভাই তোর সাথে কথা বলে আমার ভুল হয়ে গেছে, আমারে মাফ করে দে। উমমমম হুমমস এমনি এমনি তো মাফ করমু না, পা ধরে মাফ চা। দূর থাক তুই । না না আমাগো বাড়িতে তো ভাতের অফাব তাই তোর সাথে যামু । আজাইরা প্যাচাল খালি। ওহহহহহ কতদিন পড়ে আবার ফিরে আসলাম আহহা। একটু যেতেই ।
এই যে ভাই আপনার নাম কী ? একটা আপদ না যেতেই অন্য একটা হাজির। ভাই আপনার নাম কী ? চার্যারিং ইন্টিভার্স । দূর ভাই এইটা কোন নাম হইল। সাবে ৪ দিন আগে মহাকাশ থেকে মাটিতে আবতরণ করছি,, আর আমরা মহাকাশের মানুষ তাই এমন নাম।তো আপনার কিতা সমস্যা বলে ফেলুম। না মানে ভাই এমনি আপনার নাম শুনতে ইচ্ছে হল তাই আর কী? ওহহহহ আচ্ছা নাম শুনতে ইচ্ছে হইছে তাই না ভাইয়া এখানে একটু দাঁড়াও আমি আসতেছি। হাতে একটা লাঠি নিয়ে আসলাম। আরে ভাই লাঠি কী করবেন। তোর না আমার নাম শোনার স্বাদজাগছে,,, তোর স্বাদ এটা দিয়েছুটামু দাঁড়া।ওমনি দৌড় দিয়ে চলে গেল। হালার পুতের সখের জ্বালাইবাঁচি না এমনি তো আছি মহা টেনশনে আর হেতের নামশুনার স্বাদ জাগছে। তোরে পাইলে না তোর পুরো গুষ্ঠিরনাম ভুলাই দিতাম। পাগলের কারখানাই সব ভরে গেছে।
আল্লাহ্ পাক জানে বাড়িতে গেলে আব্বাই ঢুকতে দিবে নাকি। আরে ভাই কী করমু কন সব কিপ্টুস মার্কা মাষ্টার গুলা যদি আর একটা করে মার্ক দিত তা হলে কী সালাদের শুকনো ধানে কেউ পানি ঢেলে দিত। দুইটা সাবজেক্ট এ ৩২ করে পেয়েছি আর এক মার্ক দিলে কী এমন ক্ষতি হইত বলেন। সব আমার কপাল তাই তো বাড়ি থেকে চলে গেছিলাম হি হি। বাসার সামনে যেতেই ছাঁদে চোখ পড়র বাহ্ বেশ কিউটুস মেয়ে তো… কিন্তুু আমাদের বাসাই কেন মনে হয় উপরের আন্টিদের ওখানে এসেছে। মেয়েটাকে দেখে মনে হয় সে ও ফেল করছে আমার মতো। বাহ্ মান সম্মান বাঁচল তবুও। রুমে ঢুকতেই। কই দেখ তোমার সোনার টুকরো ছেলে দুই সাবজেক্ট এ ফেল মাইরা কেমন বত্রিশ খান দাঁত কেলাইতে কেলাইতে আসছে এতদিন পড় কেনরে কেউ জায়গা দেই নাই বুঝি, ঠিক তো বাবার হোটেলেই আসতে হল ছি ছি আমার মান সম্মার সব শেষ করে দিল এই ছেলে। ছি ছি বলো না বাবা, তোমার মতো খাটাস কোন লোকের কাছেই আমার খাতাটা গেছিল, সে যদি আমাকে একটা মার্ক না দেই আমার দোষ। তবে রে আবার মুখে মুখে কথা বলিস। এই আমার ছেলের উপরে রাগ দেখাবে না, কতদিন পড়ে আমার বাবুতা আসলো, কই ছিলি বাবা এতদিন, মার কথা মনে পড়ে নাই।
তোমার জন্যই তো আসলাম মা, না হলে এমন খাটাস মার্কা লোকের বাসাই আমি আসি। বাহ্ বাহ্ মা ছেলে এবার ভালই হয়েছে। ওই তুমি চুপ থাকে, এক বার না পাড়িরে দেখ শত বার, তাই নারে খোঁকা। হুমমমমমমম, চলো তো এবার খেতে দাও। যাও ছেলে আমার বিশাল কাজ করে এসেছে খেতে দাও। অনেক ঝড় ঝাপটের পড়ে আবশেষে শান্তি আসলো। হঠাৎ মেয়েটার কথা মনে হতেই ছাঁদে দৌড়। গিয়ে দেখি সেই খানেই বসে আছে আহারে মনে হয় আমার থেকে ও কম মার্ক পেয়ে ফেল করেছে। হুম হুম এই যে শুনছেন। আমার দিকে তাঁকালো। টেনশন নিয়েন না আমার ও সেম কাহিনী , সামনের বছরে এক সাথে যাবো কেমন। কী বলছেন এই সব। আরে রেজাল্ট এর কথা ভাবছেন তাই তো। হুমমমমমমম, আপনি কেমনে জানলেন। মুখ দেখেই চিনে ফেলছি। আচ্ছা আপনা রেজাল্ট কী? ওই যে বল্লাম না আপনার মতোই সেম ঘটনা। ওহহহহহহ তার মানে আপনি ও এক মার্কের জন্য গোল্ডেন পান নাই।
আমারে কেউ ধর কী আর করার সম্মার রক্ষা করা জন্য তালে তাল মিলিয়ে চলে আসলাম। এই মানুষ জাতিরে আল্লাহ্ হাজার দিয়ে ও সুখী করতে পাড়বে না এক মাত্র আমি ছাড়া। ফেল করে ও আমার অবস্থার কোন পরিবর্তন হয় নাই আর ওই মাইয়া এক মার্ক এর জন্য গোল্ডেন না পেয়ে যে অবস্থা খারাপ করছে.. ফের করলে সিওর এক কেজি বিশ খাইত। সন্ধাই পা সটাং করে দিয়ে শুয়ে শুয়ে গেমস খেলছি। ওমনি মা এসে হাজির সাহরিয়া শোন বাবা। হুমমমমমমম বলো। উপরে তোর একটা নতুন আন্টি ভাড়া আসছে, তার মেয়ের নাম অধরা। যাকে ধরা যায় না সেই অধরা। ফ্যাজলেমি রাখ। ফ্যাজলেমি না মা অধরার বাগ ধারা হইল যাকে ধরা যায় না হি হি। চুপ করে কথা শোন। হুমমমমমমম বলো। অধরা অনেক ভালো স্টুডেন্ট, এক মার্কের জন্য গোল্ডেন মিস করছে। আমি ওর মাকে বলছি অধরা যেন তোকে একটু হেল্প করে।
কীইইইইইইই তার মানে আমার সব হিস্ট্রি বলে দিছো। হুমমমমমমম, শুধু অধরা জানে না। বাহ্ ভালো করছো, যাও তারে আবার বাদ রাখছ ক্যান তারে ও বলো গিয়ে। সেই জন্যই তো তোরে সাথে করে নিয়ে যেতে আসছি। ওয়াও ভালো তো, যে টুকু সম্মান ছিলো তা ও যাবে। কেন ফেল করার সময় মনে ছিল না হুমমমমমমম,,,বেয়াদব। এবার চুপচাপ চল আমার সাথে। মার পিছন পিছন যাচ্ছি,,, গিয়ে আন্টিকে সালাম দিলাম। ভাবি এই আমার ছেলে সাহরিয়া। ওহহহহহহহহহ,,,, আচ্ছা ভাবি বসেন আমি অধরাকে ডেকে আনছি। একটু পড়ে। অধরা এ হলো সাহরিয়া। জীবনে ও এমন সরম লাগে নাই এখন যেমন লাগছে। এর মধ্যেই আমার মা জননী আমার সব বাখ্যা করে বলতেছে , আর ওই ফাজিল মেয়ে আর তাঁর মা মিটমিট করে হাঁসছে । আবশেষে একটা কথাই বুঝলাম। অধরা মা আমার এই গাধাটা কে একটু মানুষ করতে পারবি। সে মাথা নাড়ালো শুধু। এহহহহহহ যেমনে মাথা নাড়ালো মনে হয় হাতের মোয়া,,, আর এই দিয়ে আমার সম্মানের ১২টা বেঁজে গেল। ওখান থেকে সেদিন চলে আসলাম, পরে দিন থেকে পড়া শুধু। কেমনে যে সামনে যামু খালি সরম লাগতেছে। মা এসে বলল যা বই নিয়ে ছাঁদে যা অধরা ওখানে বসে আছে। ছাঁদে যেতেই দেখি অধরা আমাকে দেখে মুচকি মুচকি হাঁসছ।। আমি আর কী করমু আমি সব দাঁত গুলো কেলিয়ে হাঁসতেছি।
সেদিনের মতো পড়া স্টার্ট।। ভালাই বন্ধু হয়ে গেছিলাম আমরা। আর আমার কীসের কী পড়া বাঁদরামি বেশি। সামনের সাহরিয়া এইটা পড়, ওইটা পড়। আর আমি ও এটা পড়মু না এটা পড়মু না। ওই পড়বি না কেন। আমার মাথাই কিচ্ছু ঢুকে না তো। আচ্ছা তুই বড় হয়ে কী করবি শুনি এমন যদি করিস। আমি বড় হয়ে তোর মতো একটা মেয়ে কে বিয়ে করমু, সে চাকরি করবে আমি বসে বসে খামু, সকর পুরুষতো চাকরি করে আমি না হয় না করলাম হি হি। এবার মাথা টিপে দে তো… অধরা কোলে মাথা দিলাম, ওমনি চর থাপ্পড় শুরু। হারামি আমি তোর বউ না যে তোর মাথা টিপে দিমু। কী মেয়েরে ভাই একটুতেই মারতে শুরু করে দিল। এর মধ্যে অধরা ও কলেজে ভর্তি হয়ে গেল। আমি প্রতিদিন ওর কলেজের সামনে দাঁড়াই থাকতাম, দুই জন এক সাথে বাসাই আসতাম। ভালই দিন যাচ্ছির। এর মধ্যে অধরার কেমন পরিবর্তন আসলো।
এখন ও অন্য ছেলেদের সাথে হেঁসে হেঁসে কথা বলে, আমার সাথে তেমন মিশতে চায় না। দূর আমি এমন ভাবছি কেন, ও যদি ওর মতো ভালো থাকে থাকুন না আমার কী? আমি কে ওর। প্রতিদিন ছাঁদে একা একা দাঁড়াই থাকতাম, আর পড়তে ও যেতাম না, ও ছাঁদে আসলেই আমি নেমে আসতাম। এমন একদিন ও ছাঁদে আসলো আর আমি নেমে আসতে লাগলাম। ওমনি পিছন থেকে অধরা আমার হাত টেনে ধরল। ওই কই যাস, আর আমার সাথে এমন করছিস কেন। আমি কী করলাম, আমি তো তোকে তোর মতো করে থাকতে দিচ্ছি। মানে কী বলতে চাচ্ছিস। কিছু না,,, আরে আমার সাথে এত্ত কথা বলছিস কেন, তোর তো এখন অনেক পোলা বন্ধু আরে। আর আমি এ সব কেন বলছি, আমি বলার কে।
আচ্ছা তুই থাক আমি গেলাম। ওহহহহ আচ্ছা বুচ্ছি এই জন্য আপনার এমন রাগ তাই না। না।। আমাকে তুই ভালবাসিস তাই না। কে বলল একদম না। ওই শয়তান তা হলে এমন একা একা কষ্ট পাচ্ছিলি কেন হুমমমমমমম। কই কষ্ট পাই নাই তো। হুমম জানি জানি, ছাঁদে রাতে একা একা দাড়াই কী করো সব জানি। আবার কেমন সরম লাগতেছে। তুই আসলেই একটা গাধা, আমাকে ভালবাসিস বললেই হত, তা হলে আমার আর ওমন নাটক করা লাগত না। মানে। তুই যা দেখছিলি সব নাটক ছিল হনুমান। এবার বল আমাকে ভালবাসিস। না….। কীইইইইইই বললি। আমি তোরে বিয়ে করমু হুমমম, আর এখনই। কেন। কারণ তোরে হারাতে চাই নারে পাগলি। এরপরে সোজা কাজি অফিসে গিয়ে বিয়ে করে,, বাসাই আসলাম , এসে দেখি অধরার পরিবার আর আমার পরিবার এক সাথে মনে হয় হেব্বি রেগে আছে।
আমি সবাইরে সালাম দিলাম কেউ কিছু বলল না। বাবা আমি অধরাকে বিয়ে করেছি তোমার বাড়িতে যদি তুমি না থাকতে দাও তাহলে ভেঁব না যে ওকে আমি ছেঁড়ে দিবো। দরকার হলে আমরা দুইজন ছাঁদে ঘুমাবো। করণ তুমি তোমার বাপের ছেলে হতে পারো, কিন্তুু তোমার বাপ আমার দাদাজান আর তুমি আমার ডেডি। তাই এই বাড়িতে আমার অধিকার বেশি, কারণ আমি জানি এই সকল সম্পত্তি তোমার দাদাজানের না আমার দাদাজানের। অধরা তো মুচকি মুচকি হাঁসছে,তার সাথে সবাই হেঁসে উঠল। তার মানে সবাই রাজি , আহা ফেল করে তো ভালই হইল হি হি হি। কিন্তুু পড়ে আবার ঝামেলাই পড়লাম, আমি কোন চাকরি না পাওয়া পর্যন্ত আমাদের আলাদা থাকতে হবে। আর সেই দায়িত্বটা অধরার ঘাঁড়ে,, আর যাই হোক বউটা তো ঝাক্কাস।
এবার তুই যাই আমরা বড়রা কথা বলব (বাবা)। আমি অধরার হাত ধরে নিয়ে যাইতেছি। ওই শয়তান অধরাকে ওর ঘরে দিয়ে যা বুঝলি। হুমমমমমমম দূর বিয়ে করে আবার কী হইল তাইলে। সবার সামনে এসে বললাম। আমার একটা কথা আছ।। সবাই বলল কীইইইইইই। আমি কিন্তুু মাঝে মাঝে অধরাকে কিস করব, এটা কেউ আটকাতে পারবে না হুমমমমম। সবাই আবার হেঁসে উঠল। আর আমি বলেই দৌড়।।।
সমাপ্ত