যাত্রা নাস্তি

যাত্রা নাস্তি

একটা গল্প লিখবো বলে অনেক দিন ধরেই ভাবছিলাম। কিন্তু মনের মতো গল্পের প্লট খুঁজে পাচ্ছিলাম না। প্রতিদিন আমার চারপাশে কত বিষয়, কত ঘটনা ঘটে যাচ্ছে অথচ কোনটাই আমার মনে ধরে না। আবার দিনমান ধরে ভেবে চিন্তে দু’একটা প্লট যদিও ঠিক করি, কিন্তু মধ্যরাত অবধি লেখার টেবিলে বসে শেষ পর্যন্ত আর গল্পের শুরুটা করতে পারি না। কর্মহীন এ জীবনের কত অলস সময় বৃথা চলে যায় ! আহা ! যদি প্রতিদিন এই গ্লানিময় জীবনের দু’একটি খন্ডচিত্রও এঁকে যেতে পারতাম, তবু জীবনটা মনে হয় সার্থক হতো।

বর্ষাকাল এলে গল্প লেখার ইচ্ছাটা আমার আরও বেশি রকমের বেড়ে যায় ইদানিং। তখন রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘বর্ষাযাপন’ কবিতার ক’টা লাইন দিন-রাত মাথায় ঘুরতে থাকে।
“মাথাটি করিয়া নিচু বসে বসে রচি কিছু বহুল যত্নে সারাদিন ধরে ইচ্ছা করে অবিরত আপনার মনোমত গল্প লিখি একেকটি করে।”
যদিও কবিগুরুর সময়কার বর্ষার মতো বর্তমান সময়ের বর্ষা জমে না। ছিটে ফোটা বৃষ্টি দিয়েই বর্ষাকাল চলে যায়। বছর যায় আর তাই পঞ্জিকার বৃষ্টি গননা পৃষ্টাতেও লেখা পরিবর্তন হয়। বাস্তবিকই এ বছরের পঞ্জিকার শেষ পাতার ‘বৃষ্টি গননা’য় লেখা আছে ‘‘বর্ষা ঋতু অথচ বর্ষা নেই। বর্ষাকালকে গ্রীষ্মকাল বলে মনে হবে। চৌঠা থেকে চব্বিশে আষাঢ় পর্যন্ত শুক্রাচার্যের বৃষ রাশিতে কৃত্তিকা নক্ষত্রে সঞ্চার ও বুধের বক্রতার দরুন, তের, চৌদ্দ, ঊনিশ, তেইশ, পঁচিশ ও বত্রিশে আষাঢ় বজ্র সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।’’ কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্যি যে, সব সম্ভাবনাকে গলা টিপে হত্যা করে দু’এক দিন ছিটে-ফোটা বৃষ্টি দিয়ে আষাঢ় বিদায় নিলো।

এলো শ্রাবণ।
পঞ্জিকায় পরের প্যারায় লেখা আছে, ‘‘ছয়ই শ্রাবণ শনি মহারাজের তুলা রাশিতে বক্র ত্যাগ সেই সঙ্গে মঙ্গলের যতি ও রাহুর দৃষ্টি নানাবিধ কারণে সমুদ্রে নিম্নচাপ দেখা দেবে। নদ-নদীতে জল বৃদ্ধি পাবে। এবং সাত, নয়, দশ, এগার, ষোল, তেইশ, চব্বিশ, পঁচিশ ও ঊনত্রিশে শ্রাবণ বজ্র সহ বৃষ্টির সম্ভাবনা।’’ এইবার সত্যি হঠাৎ একদিন দেশের প্রচার মাধ্যমের আবহাওয়ার খবরে জানা গেলো সমুদ্রে নিম্নচাপ শুরু হয়েছে। খানিকটা আশ্বস্ত হলাম। এবার কিছু না কিছু বৃষ্টি তো হবেই। হলোও তাই। ক’দিনের হালকা-পাতলা বৃষ্টিতেই গা ভিজিয়ে বর্ষা উৎযাপনের চেষ্টা করলাম। কিন্তু মন ভরলো না। শুরু হলো গ্রীষ্ম কালের মতো তীব্র তাপদাহ আর ভ্যাপসা গরম। আমি হতাশ হয়ে পঞ্জিকার পাতা উল্টাই আর মনে মনে ‘‘স্বর্গ-নরক’’ কবিতার প্যারডি করি, ‘‘কোথায় গ্রীষ্ম কোথায় বর্ষা
কে বলে তা বহুদূর,
বর্ষার মাঝেই গ্রীষ্ম আছে
রোদ-গরমে ভরপুর।’’
শ্রাবণের অর্ধেক দিন পেরিয়ে গেলো অঝোর ধারার সেই চিরচেনা বর্ষার দেখা নেই। গরমে আমার সমস্ত গায়ে ঘামাচি বেরুলো। বড়ই অস্বস্তিকর ব্যাপার। দিনমান পাগলের মতো শরীরের এখানে-সেখানে দু’হাতে খামচাই। স্বস্তি পাই না। অবস্থা দেখে মা বললেন, ‘বৃষ্টিতে গোসল করলে ঘামাচি মরে যায়।’ মায়ের উপদেশের বাস্তবতা প্রত্যক্ষ করার জন্য আমি সারা দিন দু’হাতে গা খামচাই আর অঝোর ধারার সেই মন মাতানো বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা করি।

আমার ঘরের সাথে লাগোয়া দক্ষিণের জানালার ধারেই ছোট্ট দীঘিটা। কিন্তু এই ভরা বর্ষাতেও তার বুকে আধেক জল। প্রতি বছর বর্ষায় দীঘিটা বৃষ্টির জলে ভরে টইটুম্বুর হতো। বৃষ্টি এলেই চাষ করা মাছ গুলো বেরুবার জন্য পথ খুঁজতো। প্রতিদিন দেখতাম দীঘির মাঝখানে পুঁতে রাখা ক’টা কঞ্চিবাঁশের মাথায় বসে একটা মাছরাঙ্গা ধ্যান করতো। পাশের বাড়ির বিধবা করিমনের মায়ের ক’টা হাঁস দল বেঁধে সাঁতার কাটতো আর বৃষ্টির দিনে জানালার ধারে বসে আমি আনমনে চেয়ে চেয়ে দেখতাম। কত বর্ষা এমনি গেছে।

এই শ্রাবণে আজ সেই দৃশ্য নেই বলে আমি আনমনে তাকিয়ে আছি দীঘির পরে দিগন্ত বিস্তৃত মাঠের ওপ্রান্তে। যেখানে গভীর নীল আকাশ মাটিতে নুয়ে পড়েছে বলে মনে হয়। হঠাৎ একবার তাকিয়ে দেখি দীঘির আধেক জলে কার যেন একটা মা হাঁস কয়েকটা হলুদ রঙ্গা ছানা নিয়ে সাঁতার কাটছে না ঠিক, যেন ভেসে বেরাচ্ছে। তাদের মধ্যে ঊচ্ছ্বলতা নেই। বৃষ্টি নেই বলে তাদেরও কি মন খারাপ ? হতে পারে। কারণ, বৃষ্টি নেই বলেই আমার মনও ভাল নেই। সকাল থেকেই আজ আকাশটা মেঘলা। কখন যেন একবার মেঘের ডাক শুনেছিলাম। তখনি ভেবে রেখেছিলাম আজ বৃষ্টি এলে মনের সুখে গা ভেজাবো। কিন্তু দুপুর গড়িয়ে গেলো বৃষ্টি এলো না। বৃষ্টির বদলে আমার দু’চোখে তন্দ্রা নেমে এলো। কিছুদিন হলো টানা ঘুম হয় না আমার। একটা গল্প লিখবো বলে রোজ রোজ লেখার টেবিলে বসে বসে গল্পের প্লট নিয়ে ভাবি। ভাবতে ভাবতে এক সময় যখন মনের প্লটে অসার ঘুম নেমে আসে তখন পাশের ঘর থেকে অসুস্থ বাবা কঁকিয়ে ওঠেন। আমার ঘুম ভেঙ্গে যায়। আজও আলস্যতায় একটু ঘুমোতে চাইলাম আর অমনি বাবা কঁকিয়ে উঠলেন। আমার চমকে উঠার মতো হলো। এমন সময় মা এসে ডাকলেন, ‘ঘুমিয়েছিস তরু?’
‘উঁহু! কেন ?’
‘জামাইয়ের অসুখ নাকি খুব বেড়ে গেছে যাবি একবার ?’
‘কে খবর দিয়েছে, বুবু ?’
‘হ।’
‘আচ্ছা দেখি।’
তন্দ্রা ঘোরেই মার সঙ্গে কথা বলছিলাম। হঠাৎ নিজের অজান্তেই তন্দ্রা ভেঙ্গে চমকে উঠলাম। ছ’মাস হলো আমার দুলাভাই মরণ ব্যধিতে আক্রান্ত। ডাক্তার ফিরিয়ে দিয়েছে তবু আমার বুবু হাল ছাড়েনি। নিষ্ঠার সঙ্গে সে তার সেবা করে চলেছে। বুবুর ধারনা দুলাভাইয়ের অসুখ একদিন ভাল হবে। আমি মাঝে মধ্যে গিয়েছি, দেখে এসেছি। আমি ডাক্তার নই। আমার কিছু করারও নেই। স্বামীর সেবার ব্যঘাত হবে বলে বুবু ছ’মাস হলো এ বাড়িতে আসেও না। হঠাৎ আমার খুব ইচ্ছে হলো বুবুকে দেখার। একটা গ্রাম পরেই বুবুর শ্বশুর বাড়ি। আমি বুবুর বাড়িতে যাবার জন্য উদ্যত হলাম।

মা বাড়ি থেকে এক পা এদিক ওদিক হতে পারেন না। কারণ, খানিক পরপরই অস্পষ্ট স্বরে বাবা ব্যকুল হয়ে মাকে ডাকেন। বিছানা থেকে বাবা উঠতে পারেন না। কোন কোন সময় বিছানাতেই তিনি পেশাব-পায়খানা করে ফেলেন। কারণ, তাঁর শরীরের অর্ধেকটা অকেজো। দিন-রাত বিছানায় শুয়ে থাকেন আর দিন গোনেন।

বাবা নিয়মিত পঞ্জিকা পড়তেন। যে পঞ্জিকা এখন মাঝে মধ্যে আমি পড়ি। যেকোন কাজ শুরু করবার আগে বাবা পঞ্জিকা দেখে নিতেন। আজ আমি বুবুর বাড়িতে যাচ্ছি। বাবা সুস্থ থাকলে যাবার আগে নিশ্চয়ই আমাকে পঞ্জিকা পড়ে শোনাতেন। হয়তো কাপড় পরে তৈরি হওয়া দেখে কাছে ডেকে পাশে বসিয়ে আজকের তারিখটা বের করে বলতেন,

‘‘আজ তেইশে শ্রাবণ। সূর্যোদয় ইং ঘন্টা ৫/৪২/৫ গতে, সূর্যাস্ত ৬/৪২/৩৭ সেঃ গতে। বৃহস্পতিবার, একাদশী দং ১০/১৪/১০ ঘ ৯/৪৭/৪৫ পর্যন্ত, পরে দ্বাদশী। জ্যেষ্ঠানক্ষত্র প্রাতঃ ঘ ৬/২২/১৯।

জন্মে-বৃশ্চিকরাশি বিপ্রবর্ণ দেবারিগণ। মৃতে-দোষ-নাস্তি। যোগিনী-অগ্নিকোণে, ঘ ৯/৪৭/৪৫ গতে নৈর্ঋতে। যাত্রা-নাস্তি বিষ্টিদোষ বৈধৃতিযোগাদিদোষ।’’

বুবুর এই দুর্দিনেও পঞ্জিকা মতে যাত্রা নাস্তি দেখে বুবুর বাড়িতে আমার যাওয়ার ব্যাপারে বাবা যে কি সিদ্ধান্ত নিতেন কে জানে। কিন্তু আমার যেতেই হবে। কারণ, আমার বুবু এখন বড় অসহায়। ভাই হিসেবে তাকে এখন আমার সাহস যোগানো খুব জরুরী।
আমি হাত-মুখ ধু’তে যাবো এমন সময় দু’এক ফোটা করে বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। মা ঘর থেকে বেরিয়ে বললেন, ‘বৃষ্টি দেখে যা, আমি আসছি।’

কি উদ্দেশ্যে যেন মা আঙ্গিনা থেকে বেরিয়ে গেলেন। আমি হাত-মুখ ধুয়ে এসে আঙ্গিনায় দাঁড়াতেই বৃষ্টির ফোটা বেড়ে গেলো। ঝম্ঝম্ শব্দে বৃষ্টি নেমে এলো। দৌড়ে গা বাঁচানোর চেষ্টা না করে আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে মেঘের আনাগোনা দেখতে লাগলাম। কিছুক্ষণের মধ্যেই আমার সমস্ত শরীর ভিজে গেলো। মা এক প্রকার দৌড়ে এসে ঘরে ঢুকলেন। আমাকে বললেন, ‘গা ভিজছে তো ঘরে আয়।’

আমি বললাম, ‘তুমি না একদিন বললে বৃষ্টিতে গোসল করলে ঘামাচি মরে যায়।’
‘হুঁ, বলেছিলাম কিন্তু ভিজলে তোর তো জ্বর আসবে।’
ছেলে-মেয়েদের নিয়ে মায়ের যে কত চিন্তা। আর আমাকে নিয়ে আমার মায়ের দিন-রাত শুধু চিন্তা না মহা দুঃশ্চিন্তা। ইতিমধ্যে তুমুল বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে। আমি ভিজতে ভিজতে বললাম, ‘বুবুর বাড়িতে কি যাব না মা ?’
‘না থাক। এতো বৃষ্টিতে কি করে যাবি ?’ বলতে বলতে মা মেঘাচ্ছন্ন আকাশের দিকে তাকালেন। তার দৃষ্টি উদাস ! নিশ্চয়ই বিয়ে দেওয়ার পরও আজ মেয়েকে নিয়েও তার দুঃশ্চিন্তা করতে হচ্ছে।

বৃষ্টি দেখে মনে হচ্ছে ঘোর বর্ষা শুরু হলো বুঝি। বৃষ্টির তীব্র অবিরল ধারা যেন প্রমাণ করতে চাইছে, বর্ষাকাল বিলিন হয়ে যায়নি। যেটুকু ব্যাঘাত ঘটেছে তা আমাদের অতি আধুনিক সভ্যতা সৃষ্টির ফসল।

আহা ! কবি গুরুর সময়কার বৃষ্টি বুঝি এমনি ছিল। তা না হলে তিনি এতো গল্পের প্লট কোথায় পেলেন ? এমন মধুর বৃষ্টি যেন কতকাল দেখি না। আনন্দে আমি গায়ের জামা খুলে ফেলাম। খালি গায়ে বৃষ্টির হিমেল পরশে আমার চোখ বুজে আসছে। আমাকে ভিজতে দেখে অস্পষ্ট স্বরে বাবা চেঁচালেন। কিন্তু সেদিকে আমি মনোযোগ দিতে পারলাম না। আমি চোখ বুজেই সটান্ দাঁড়িয়ে রইলাম। সামনে দ-ায়মান দুঃখের মাঝেও আমার এতো আনন্দ হচ্ছে যে, সে রকম বয়স থাকলে সত্যি আমি এতক্ষণে কাদা-জলে মেখে লুটোপুটি খেলতাম।

যখন ছোট ছিলাম, তখন বুবু আর আমি বৃষ্টি এলেই নেমে পড়তাম। আমাদের উল্লাস দেখে প্রতিবেশি ছেলে-মেয়েরাও নেমে পড়তো। দল ভারি হলে যে কোন একটা খেলা বেছে নিতাম আমরা। তবে বৃষ্টিতে ভিজে গোল্লাছুট খেলা হতো সবচেয়ে বেশি। বুবু খুব দুরন্ত ছিল। গোল্লাছুট খেলায় তার চেয়ে বেশি আর কেউ দৌড়াতে পারতো না। বুলুদের উঠোনে একবার পা পিছলে গিয়ে তার ডান পা মচকে গিয়েছিল। বাবা সেদিন খুব বকেছিলেন বুবুকে। আমি বুবুকে অনুসরন করতাম বলে বাবা প্রায়ই বকতেন আমাকে। বুবু আজ নেই বলে আমি একা একা আঙ্গিনায় দাঁড়িয়ে বৃষ্টি উপভোগ করছি। আমি চোখ বুঝে অনুভব করার চেষ্টা করছি পুরোনো দিন গুলোকে এমন সময় বাবা অষ্পষ্টস্বরে চেঁচিয়ে আমাকে ভিজতে বারণ করলেন। আমার স্মৃতি রোমন্থন ভঙ্গ হলো। বাবার পাশেই মা বসেছিলেন। হঠাৎ উঠে দরজার মুখে এসে দাঁড়িয়ে মা বললেন, ‘আচ্ছা তরু, ভিজেছিস যখন ভিজেই না হয় যা।’
‘কোথায় ?’
‘খাদিজার বাড়িতে।’
‘ভেজা কাপড়ে আত্মীয়ের বাড়িতে যাওয়া যায় মা ?’
মা হঠাৎ থতমত খেলেন। আমার কথার উত্তর দিতে পারলেন না। কিন্তু মা’র ভিতরে উৎকণ্ঠা আর অস্থিরতা লক্ষনীয়। আমি বললাম, ‘আচ্ছা মা আমি যাচ্ছি।’ আমার যাবার কথা শুনে বাবা এবার তীব্র ভাবে চেঁচিয়ে উঠলেন। আমি থামলাম, কারণ, বাবা যেতে বারণ করছেন। বোধ হয়, পঞ্জিকা মতে আজ যাত্রা নাস্তি।

আকাশে মেঘের ঘনত্ব বেড়ে গিয়ে অন্ধকার হয়ে আসছে। বাবার চেঁচামেচি দেখে মা ঘরের দরোজা থেকে নেমে এসে আমার সামনে দাঁড়িয়ে বাবার চোখকে আঁড়াল করে নিচুস্বরে বললেন, ‘তুই চুপচাপ চলে যা।’ বৃষ্টির জলে মা ভিজছেন। আমি মা’র চোখের দিকে তাকিয়ে আছি, তার চোখে উৎকণ্ঠা আর অস্থিরতা।

বাবাকে ফাঁকি দিয়ে বুবুর বাড়িতে যাবার জন্য আমি আমার ঘরে ঢোকার ভান করে আবার বেড়িয়ে গেলাম আঙ্গিনা থেকে। কিন্তু উঠোনে গিয়ে দাঁড়াতেই দেখি কেউ একজন ভিজতে ভিজতে আমার সামনে এসে দাঁড়ালো। বৃষ্টির ঝাটকে উপেক্ষা করে তার দিকে তাকাতেই সে আমার বুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে আকাশ বিদির্ণ করা চিৎকার দিয়ে বলতে লাগলো, ‘আমার সব শেষ রে তরু- সব শেষ।’

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

সর্বাধিক পঠিত