ছলিমুল্লা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজি। সারাক্ষণ তসবিতাহলিলে মশগুল থাকে। চেহারায় নূরানি কোনো ছটা নেই। কিন্তু মুনাফেকির একটা বলিরেখা হাসির ফোকলা দাঁতে বেশ ফুটে উঠে। এ সংসারে মুনাফিকদের চেনা খুব মুশকিল। ছলিমুল্লা মোল্লামৌলবি শিক্ষিত কোনো জ্ঞানী লোক নন্। তবে শোনা কোরান-হাদিসের কথা জ্ঞানীদের মতো দৌড়ান। অশিক্ষিতরা শোনলে মনে করতে হবে জ্ঞানের ভাণ্ডার। ছলিমুল্লাকে যারা দেখেছে তারা মনে করে, ফেরেশতা বোধহয় এরূপ। আযান দেওয়ার আগে মসজিদে দৌড়। এক ওয়াক্ত ছুটলে হায় হায় শব্দ। পাঁচ ওয়াক্তশেষে কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে চোখের পানি বিসর্জন। চব্বিশ ঘণ্টা তসবিজপন। যাতে মানুষ তাকে সহজে বুঝে নিতে পারে মুমিনদের একজন। বর্তমানে মুনাফিকদের লক্ষণ কী রকম জানি না তবে ছলিমুল্লাকে দেখে বর্তমানের আউলিয়া নির্ণয় করতে হবে।
শয়তান সব সময় ফেরেশতারূপ ধারণ করে। কারণ এরূপ ধারণ না করলে মানুষকে ধোকা দেওয়া যাবে না। তাই দুনিয়ার কিছু শয়তান এমন রূপ ধারণ করবে, নইলে মানুষ তাদের সহজে বিশ্বাস করবে না। ছলিমুল্লাকেও এমনই বিশ্বাস করেছিল নাজিমুদ্দৌলা। সহকর্মের সুবাদে ছলিমুল্লার সঙ্গে নাজিমুদ্দৌলার ঘনিষ্ঠতা। সেথেকে চব্বিশ বছরের সম্পর্ক। জীবনে অগ্রসর হতে হলে কাকে-না-কাকে ত বিশ্বাস করতে হবে, নাহয় ত জীবনকে নির্বাসিত করতে হবে।
নাজিমুদ্দৌলা ত্রিশ বছর ধরে প্রবাসে। গ্লাফের কিছু কিছু প্রবাসীর এক দিনের কষ্টভোগ বাংলাদেশের এক বছরের কারাভোগের সমান। নাজিমুদ্দৌলাকেও এমনই কষ্ট করে উপার্জন করতে হয়েছিল একদিন। বর্তমানে টুকটাক ব্যবসাবাণিজ্য নিয়ে আপন ভাইদের সঙ্গেও নীরব বিরোধ চলছে। বলতে গেলে তারই রোপন করা গাছের ছায়া আজ তার জন্যে কালছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছে। এখানেও তার অতি বিশ্বাসের এ প্রতিদান। জীবনে যাকেই বিশ্বাস করেছে তার কাছ থেকে হয় ত প্রতারিত হয়েছে নাহয় ত চরম আঘাত পেয়েছে। এটাই সম্ভবত সৎলোকের নিয়তি। তবে ছলিমুল্লাকে বিশ্বাস করে যে ভুল নাজিমুদ্দৌলা করেছে তার প্রায়শ্চিত্ত হয় না। তবু বিশ্বাস রাখতে হবে। কারণ বিশ্বাস ছাড়া পৃথিবীতে মানুষের বসবাস কঠিন এবং বিশ্বাস ইমানেরই একটি অঙ্গ বটে। তবে এমন অন্ধবিশ্বাস করা উচিত নয়, যেমন অন্ধবিশ্বাস নাজিমুদ্দৌলা ছলিমুল্লাকে করেছে। জীবনে যা কামাই করেছে সব ছলিমুল্লার ব্যাংকে পুরেছে! কারণ একটাই, ছলিমুল্লা শহরবাসী ধুরন্ধর নাজিমুদ্দৌলা প্রবাসী অন্ধ। তাই শহরের জায়গাজমি কিনতে হলে এরকম ধুরন্ধর ছলিমুল্লার প্রয়োজন পরে নাজিমুদ্দৌলার মতো লোকের কাছে। সেই সুবাদে নাজিমুদ্দৌলার জীবনের সমস্ত কামাই ছলিমুল্লার পেটে!
নাজিমুদ্দৌলা আজ সর্বহারাদের একজন। তবে হিম্মতহারা নয়। যারা সর্বস্ব হেরে পথে বসে তাদের আত্মহত্যা ছাড়া অন্য কোন উপায় থাকে না। কিন্তু আত্মহনন সমাধান নয়, কাপুরুষের পরিচয়। বারবার আছাড় খেয়ে যে দাঁড়াতে পারে সে-ই মহাপুরুষের মর্যাদা লাভ করতে পারে। তাই যতই সর্বহারা হবেনা কেন, হিম্মত হারতে নেই।
ছলিমুল্লার এরকম উন্নতি দেখে অনেকে সন্দিহান, সামান্য চাকরিজীবী একজন মানুষ এত দ্রুত কয়েক কোটি টাকার সম্পদের মালিক হয় কীভাবে! যারা ভিতরের খবর জানে তারা হেসে কুটিকুটি। যারা জানে না তারা ‘স্বপ্নে গুপ্তধন পেল নাকি’ মনে করছে। আমরা ছলিমুল্লাকে নবাবের মতো চলতে-ফিরতে যতই দেখি কিন্তু প্রকৃত নবাবের সঙ্গে তুলনা করতে পারি না। কারণ পরের ধনে যারা পোদ্দারি করে এসমাজ তাদেরকে আর যাই-ই তুলনা করে তবে নবাবির উপমা দেয় না। লোকমুখে শোনি, পরের ধন হরণে গতি নেই তার মরণে। কিন্তু ছলিমুল্লার কোন অশুভপরিণতি আজ পর্যন্ত আমরা দেখিনি।
স্বার্থপর মানুষ কখনো পরের উপকার করতে পারে না। তারা খুব লালসি হয়। আর লালসি মানুষের কাছে কোনধরনের উপকারের আশা করা যায় না। তারা নিজের ভাল ছাড়া অন্যকিছু ভাববে না। এটাই স্বার্থপরের চিহ্ন। এধরণের মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকা মঙ্গল। তবে তাদের লোলুপমুখোশ চেনা একটু মুশকিল। এক হাতে যে স্বর্গ দেখাচ্ছে মনে করতে হবে তার অপর হাতে ছুরি। যেই চিহ্ন আমরা ছলিমুল্লার কাছ থেকে উদ্ধার করেছি তা অনুসরণ করলে সম্ভবত অনেকটা ফল পাওয়া যেতে পারে।
নাজিমুদ্দৌলা উদারমনা একজন সত্যবাদী মানুষ। খুব সহজসরলও বটে। শয়তানও যদি পরিচয় দিয়ে ভালরূপ দেখায় তাকেও অবিশ্বাস করবে না। একজন মানুষের এমনই গুণাবলী হওয়া উচিত। তার কথা হল, যে যতটুকু করবে সে ততটুকু ভরবে। এ দুনিয়াটা অদলবদলের জায়গা। এখানে মন্দের রাজত্ব যতই শক্তিশালী হোক কিন্তু সতের কাছে হারতে হয়।
এত দিন ভিতরে ভিতরে ছলিমুল্লার কারসাজির কথা নাজিমুদ্দৌলা বিভিন্ন আত্মীয়ের কাছে শোনে আসছে, লোকটা সুবিধার নয়; যতই ইমানদারি দেখাক আমাদের সন্দেহ হচ্ছে নাজিম, অতি ভক্তি চোরের লক্ষণ। বরং তুমি খোঁজখবর নিয়ে দেখ। এভাবে কাউকে বিশ্বাস করতে নেই। নাজিমুদ্দৌলা–দুর, ও অমন লোক না। বিশ্বাসঘাতকের একটা চিহ্ন থাকে। এমনই সুদৃঢ় আস্থা ছিল তার। তবে কী এমন আলামত ছলিমুল্লার মধ্যে নিহিত আছে, যা সহজেই নাজিমুদ্দৌলাকে আকৃষ্ট করেছে। হাঁ, তার বিশ্বাসী কথাবার্তা। ভাল রূপ। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজদোয়া। রোজ কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে কান্নাকাটি এতসব নাজিমুদ্দৌলাকে কেন, যেকাউকে আকৃষ্ট করবে। বিশ্বাস্য যত গুণ তা ত ছলিমুল্লার মধ্যে প্রকাশ আছেই।
একদিন কী প্রসেঙ্গে তারা দুজনের মধ্যে তর্কাতর্কি চলছে। দুজনের পরিবার ছাড়া এঘরে আর কেউ নেই। পারিবারিক বিষয় নিয়ে এরকম মাঝের মধ্যে টুকটাক হত। সেই অন্যকথা। আজ কিন্তু চরমাকার রূপ ধারণ করেছে। ছলিমুল্লার উলঙ্গ নাচন দেখা যাচ্ছে। আশেপাশের লোকেরা যারা তার স্বভাব সম্বন্ধে জানে তারা বলছে, অই দেখ শুরু হয়ে গেছে, মাতাল খেয়ে পাগলামি করে আর এ মাতাল না খেয়ে শুরু হয়ে যায়। কি এক জ্বালায় আছি তার চিৎকারে রীতিমতো কানে শূল ধরে। বোকার ধন আত্মসাৎ করে দেমাক খুব বেড়ে গেছে। কোথাকার বেআক্কেল কে জানে, বন্ধুত্ব করার আর লোক খোঁজে পেল না এ জোচ্চোরের কাছে এসে ধন্যা দিছে। তার যেকোন ঝগড়াঝাটিতে এধরনের অনেক কথাই পার্শ্বজনদের মুখে শোনা যেত। কারণ ছলিমুল্লা মানুষটা ঝগড়াটে স্বভাবের। আজ নাজিমুদ্দৌলার কাছে তার মুখোশ খুলে গেছে। তাই একটু বেশি হাঙ্গামা। নাজিমুদ্দৌলা হিসেব চাইলেই তার শিরা-উপশিরায় আগুন লেগে যায়। তেলেবেগুনে জ্বলে বিশ্রী রকমের গালিগালাজে নেমে আসে। পানযোগ্য হলে বোধহয় পিয়ে খাইত। নাজিমুদ্দৌলা শান্তপ্রকৃতির মানুষ। মুখবোজে আঘাত সহ্য করবে তবু প্রতিঘাত করবে না। তার কাছে আজ সবকিছু পরিষ্কার হয়ে গেছে, এক টাকাও যে আর ফেরত পাওয়ার নয় সেটা নিশ্চিত। সুতরাং দাবি জানিয়ে বৃথা লাফালাফি করে নিজের অনিষ্ট ছাড়া ইষ্ট হবার নয়। ছলিমুল্লা কী প্রকৃতির মানুষ আগে তার অজানা থাকলেও আজ সম্পূর্ণ জানা হয়ে গেছে। তাই বেশি কিছু বলার প্রয়োজন মনে না করে–এ তোমার মনে ছিল? বিশ্বাসের এ প্রতিদান দিলে? ঠিক আছে তুমি মানুষ হও। এটুকু বলে যে চলে আসল আর কোনদিন ছলিমুল্লার সঙ্গে তার কথা হয়নি, সাক্ষাৎ হয়নি। সত্য কোনখানে বলতে নেই। কানাকে যেমন কানা বলা যায় না, চোরকে তেমন চোর বলতে নেই। যেকোনখানে সত্য উদ্ঘাটন করতে গেলে বিপদ আছে।
এখানে–এ পৃথিবীতে একমাত্র অর্থের কারণে মানুষে মানুষে হানাহানি। একমাত্র অর্থ দিয়ে মানুষ মানুষকে চিনতে পারে। ছলিমুল্লার সঙ্গে নাজিমুদ্দৌলার যে ঘনিষ্ঠতা ছিল সেটা ভাইয়ে ভাইয়ে কখনো হয় না, বাপেপুতে কখনো হয় না। এমন বন্ধুত্বের সম্পর্ক আজ চিরশত্রুতায় পরিণত হয়েছে একমাত্র অর্থের কারণে। যাই হোক, এরকম বন্ধুত্ব আবার কারও কারও জন্যে আশীর্বাদ হয়ে দাঁড়ায়; নাজিমুদ্দৌলার জন্যে নাইবা হল অভিশাপ।
প্রায় বছর দুয়েক পরের ঘটনা। লোকের বলাবলিতে শোনা যাচ্ছে, ছলিমুল্লার উঠুনে এত লোকের ভিড়, এত হইচই কেন! বেশ আত্মীয়স্বজনকে দেখা যাচ্ছে আজ। তার রোগা মেয়ের বিয়ের কথাবার্তা নাকি? চল, আমরা ভিড় ঠেলে একটু দেখে আসি। হায় আল্লাহ্! ছলিমুল্লার একি অবস্থা। মুখ ত একেবারে বেঁকে গেছে। কথা বলতে গেলে মুখে লালা ছাড়া ত আর কিছুই আসছে না। এক হাত আর এক পা ত সম্পূর্ণ অবশ হয়ে গেছে। এ কেমন রোগ! এরোগের চিকিৎসা আছে ত?
আজ প্রায় দশ বছর হতে চলল। ছলিমুল্লা রোগেশোকে খুব কষ্ট পাচ্ছে। প্রতিমুহূর্তে মৃত্যুকামনা করছে। কারও কারও মরণ খুব সহজ হলেও কারও কারও মরণ খুব কঠিন। এ দুনিয়াতে কেউ মরতে চায় না তবে মৃত্যু তাদের বাধ্য করে জীবন দিতে। ছলিমুল্লা এমুহূর্তে মরতে পারলে মনে করছে সহজ একটি জীবন পেল। কিন্তু মৃত্যুর পরবর্তীজীবন কেমন সহজ বা কঠিন কারও জানা নেই। বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে জানতে পারি অই জীবনের কথা। তবে সেটা কারও চাক্ষুষ নয়। আজীবন পড়ে আসছি, শোনে আসছি আল্লাহ্র বাণী। এ বিশ্বাসে আমাদের পথচলা। এ বিশ্বাসের নাম ইমান। এটাকে যে বিশ্বাস করে না সে বেইমান। সেটা সত্যও হতে পারে আবার নাও হতে পারে। তবে সেই সত্যতার কিছু কিছু আলামত আমরা পৃথিবীতে দেখতে পাই।
ছলিমুল্লা মরে গেল। তার মৃত্যুতে দুনিয়া না কাঁপলেও যেখানে তাকে দাফন করা হয়েছে সেখানকার মাটি অবশ্য কেঁপেছে। ছলিমুল্লার কবরের মাটি তিনবার টান পড়েছে! তিন তিনবার বাইর থেকে মাটি এনে তার কবর ভরাট করতে হয়েছে। তাকে কবর দিয়ে আত্মীয়স্বজনরা যে যার বাড়িতে চলে গেছে। শুধু তার পরিবারের সদস্যরা অভিভাবকের শোকে মুহ্যমান।
গভীররাতে মহল্লায় হঠাৎ সোরগোল! দেখা যাচ্ছে, ছলিমুল্লার কবরের উপর চিতার মতো দাউ দাউ করে আগুন জ্বলছে! এ আগুন উল্কার মতো এতই উত্তপ্ত যে, মনে হচ্ছে আশেপাশের বাড়িঘর এক্ষুনি পুড়ে ছাই হবে। এ অবাককাণ্ড যারা দেখেছে তারা বলাবলি করতে করতে এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি করেছে। পরের রাতে আবার একই কাণ্ড! গত দিন একথা যারা বিশ্বাস করেনি এবার তাদের মধ্যে অনেকেই দেখেছে। দেখে সবাই, একি কাণ্ড! একি কাণ্ড! বলাবলি করতে করতে এবার এলাকায় মহা আতঙ্ক চলছে। দুয়েকজনে এ ভয়ঙ্কর দৃশ্য মুঠোফোনে ধারণ করে দৈনিক পত্রিকাদপ্তর পর্যন্ত প্রেরণ করেছে। পরদিন দেশজুড়ে মানুষের মুখেমুখে চলছে এ অভূতপূর্ব ঘটনার কথা। সেই রাতে ছলিমুল্লা তার স্ত্রীকে স্বপ্নে দেখা দিয়ে বলছে, আমি খুব কষ্টে আছি, আমার জন্যে কিছু কর। তার বিকৃত ছুরত দেখে ভয়ে স্ত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লেন। একই স্বপ্ন এলেকার মসজিদের ইমামকেও দেখানো হয়। ইমামসাহেব তার পরিবারের লোকজনকে ডেকে বললেন, ওর জন্যে কিছু কর। তার ছেলেরা কেঁদে বলছে, হুজুর, আমরা কী করতে পারি? বরং আপনি কিছু করেন।
ইমামসাহেব কয়েকজন বড় বড় মৌলানাকে ডেকে পাঠালেন। মৌলানারা ঘটনা শোনে ছুটে আসলেন। ছলিমুল্লার কবর দেখে আলোচনায় বসলেন। ভিতরের কথা আর কয়জন জানে। প্রায়জনে বলতে লাগল, লোকটি ত এমন এবাদতি ছিল। দুয়েকজন বলল, না, নাজিমুদ্দৌলা নামের এক বিশ্বস্ত লোকের সঙ্গে সে বড়ই প্রতারণা করেছে। আলেমরা যখন ব্যপহরণের কথা জানতে পারলেন তখন ছলিমুল্লার জন্যে আফসোস করে নাজিমুদৌলার জন্যে দুঃখ প্রকাশ করলেন এবং বললেন, ঐ ব্যক্তি ছাড়া পৃথিবীর এমন কোন বুজুর্গু নেই এর সমাধান দিতে পারে। সুতরাং তাকে ছাড়া অন্যকোন উপায় নেই। খোঁজ নিয়ে জানতে পারলেন হতাশার কথা, নাজিমুদ্দৌলা আর পৃথিবীতে নেই। প্রায় বছরখানেক আগে মারা গেছে। তখন আলেমপ্রধান ছলিমুল্লার দুর্ভাগ্য উল্লেখ করে দীর্ঘনিঃশ্বাস ফেলে বললেন, সম্পূর্ণ অর্থ নাজিমুদৌলার ওয়ারিশদের ফেরত দাও। তার পরেও এখানে শেষ নয়, সাতটি উটের বদলে চৌদ্দটি গরুমহিষ লিল্লা দাও। আল্লাহ্ বড় মেহেরবান। তিনি ‘হও’ বললে সব হতে বাধ্য। এছাড়া মুক্তি নেই। তার পরিবারজনেরা অবাক হয়ে বলল, অর্থ ফেরত–আবার চৌদ্দটি মোষগরু! হুজুর বললেন, এটি জরিমানা। হত্যার অপরাধ যেমন মৃত্যুদণ্ড, বিশ্বাসের ঘরে আগুন দেওয়াও তেমন হত্যার চেয়ে কম অপরাধ নয়।