তোমাকেই ভালবাসবো

তোমাকেই ভালবাসবো

মায়া: এই আপনি কল রিসিভ করছিলেন না কেন? –
রাজ: না মানে মানে.. –
মায়া: কি মানে মানে করছেন! মিনমিন বন্ধ করুন.. –
রাজ: ভেতরটা ধুকধুক করছিল! – আমি কি রাক্ষসী যে আপনাকে খেয়ে ফেলব এত দূর থেকে?

রাজ: না আসলে! কোন মেয়ের সাথে আগে কথা বলিনি তো তাই!
মায়া: – আহা! ন্যাকামো করেন আমার সাথে?
রাজ : (একটা উষ.. উমম)শব্দ ,
মায়া : কি করেন? – উষ কি?
রাজ : চাঁদ দেখি। দেখবা? – উষ মানে কচু!
মায়া: আমিও দেখতেছি! –

রাজ : দেখছো! আমাদের কত্ত মিল..
মায়া : বাব্বাহ! ভালোইতো কথা বলতে পারেন..মা তো বললো আপনি নাকি কথাই বলতে পারেন না! –

রাজ: আন্টির কি ধারণা আমি বোবা?
মায়া: উফ! বেশি বুঝবেন না.. – আচ্ছা.. – আপনি কি আমাকে নিয়ে গভীর রাতে ঝুম বৃষ্টিতে ভিজতে পারবেন? অথবা, চাঁদ দেখতে?
রাজ: কেন পারব না? সব পারব!
মায়া: ফ্যান ধরে উল্টো হয়ে ঝুলে থাকতে পারবেন?
রাজ: এ্য! এটা কি করে সম্ভব?

মায়া: তবে যে বললেন সব পারবেন?
রাজ: এটা তো! মানে.. ইয়ে..

মায়া: হয়েছে বুঝেছি! আজকে ঘুমান। পরে কথা হবে..
রাজ: আর একটু…
মায়া: কি?
রাজ: না মানে আচ্ছা। শুভ রাত্রি।
মায়া: কাল বিকেলে দেখা করব!
রাজ: কালকেইইইই?
মায়া: হ্যাঁ ! ঠিক পাঁচ টায়.. (কথা টা বলেই ঠাস করে লাইন টা কেটে দেয় মায়া)!
ছেলেটার সাথে ওর বিয়ের কথা বার্তা চলছে। নামটা খুব পছন্দ হয়েছে মায়ার, “রাজ” ! চশমা ও পরে ছেলেটা, মায়াবী মায়াবী চেহারা। ভালোই লাগে মায়ার। ছেলেটা খুব লাজুক প্রকৃতির, জ্বালাতে পারবে বেশ! ভাবতেই মজা পায় মায়া, হাসতে থাকে আপনমনে.. পরেরদিন আকাশী ফুল বসানো হালকা গোলাপী রংয়ের শাড়িটা পরে মায়া! যত্ন করে খোঁপা করে আর চোখে কাঁজল আঁকে গাঢ় করে। ছেলেটা বসে আছে একটা লাল টুকটুকে গোলাপ হাতে..
মায়া- ফুলটা পরিয়ে দিন! হুট করে পেছন থেকে এমন কথা শুনে চমকে উঠে রাজ..

মিষ্টি লাগছে মেয়েটা কে। আশেপাশের সবকিছু যেন বেমালুম ভুলে যায় ছেলেটা!
আঙুলে তুড়ি বাজিয়ে মায়া বলে, – এই যে! কিছু একটা বলেছি !
রাজ: হ্যাঁ? ওও.. কোথায় পরিয়ে দিব?
মায়া: – এই যে এখানে! চোখে! ঢুকিয়ে দিন চোখ বরাবর!

রাজ: তোমার এত্ত জেদ কেন..?
মায়া – চুপ ! একদম চুপ!

রাজ: উমম.. স্যরি! উমম.. কবিতা শুনবা?
মায়া: হুম!

রাজ: আমি তোমায় ভালোবাসি তুমিও বাসো জানি, আমি তোমার প্রাণের রাজা তুমি আমার রাণী..

মায়া: হিহি! হিহি! দুজনে খিলখিল করে হাসতে থাকে! ছেলেটা বাচ্চাদের মত শব্দ করে হাসছে। হাসতে হাসতে চোখে জল এসে গেছে। অদ্ভুত মায়াময় দৃশ্য দেখে চুপ হয়ে দেখতে থাকে মায়া। হারিয়ে ফেলে নিজেকে অন্য এক জগতে, যেখানে কেবল এরা দুজনই আছে ; আর কেউ না, কেউই না। আচমকা লক্ষ্য করলো রাজ। অপলক তাকিয়ে আছে ওর দিকে.. লজ্জায় মাথা নামিয়ে ফেলে মায়া! নাহ! ও সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলেছে মনে মনে.. জীবনের বাকি বসন্তগুলো এই ছেলেটার সাথেই কাটিয়ে দিবে..

লিখেছেনঃ (সুমাইয়া প্রিয়া)

গল্পের বিষয়:
গল্প
DMCA.com Protection Status
loading...

Share This Post

আরও গল্প

সর্বাধিক পঠিত