থানা-শহরের উত্তরদিকের শেষপ্রান্তে প্রায় অর্ধশতবর্ষী শিরিষ গাছ হাত-পা মেলে সম্পন্ন গৃহবধুর মত আয়েশী চালে অধিষ্ঠিত। হালকা বাতাসেও ছোট্ট ছোট্ট সবুজ পাতার ঝুঁটি তিরতির করে নাচে। চেরা-চেরা দাগগুলো তার খয়েরী-কাল সুঠাম দেহের বনেদী সুষমায় বাড়তি অহমিকা দান করেছে। পিচঢালা পথ ঠিক এখানে এসেই শেষ হয়েছে। এরপর থেকে যে কাঁচা রাস্তাটি শুরু হয়েছে তা উলাপুর, রসুলকান্দি, মুন্সীপাড়া, হরিপুর এবং আরও দুয়েকটি গ্রাম-পাড়া মাড়িয়ে দিগন্তছোঁয়া ধানখেতের মাঠ চিরে চিলার বিলে শেষ হয়েছে। চিলার বিল পর্যন্ত আমার আগে আসা পড়েনি। এখনতো সেটা এক চুটকির ব্যাপার।
গাছটির মগডালে বসলে ভারি মজা লাগে। দক্ষিণ দিকে তাকালে শহর-শহর পরিবেশ; আবার উত্তর জুড়ে চিরাচরিত চিরহরিৎ গ্রামবাংলার আবহ । আমার বিচরণ সবখানেই। তবে এখানে বেশি আসার কারণ আছে। শহরের শেষপ্রান্তের বাড়িটা যে আমারই, অর্থাৎ আমাদের। এই শিরিষ গাছটি আমার বাবার হাতের লাগানো। বাংলাদেশের অন্য থানা-শহরগুলোর মত আমাদের প্রায়-শহরটা পৌর কাঠামোর মধ্যে চলে এসেছে। সড়কবাতি, পয়ঃব্যবস্থা, সড়ক প্রশস্থকরণ ইত্যাদি সার্বক্ষণিক টুকটাক কাজ তার প্রমাণ। শোনা যাচ্ছে, উত্তরদিকে শহরের সীমানা বাড়বে। তাই যেকোনো সময় এই ইতিহাসপ্রতীম শিরিষ গাছটা নির্ঘাৎ কাটা পড়বে।
আমিতো এখন নির্ভার; নিঃসীম স্বাধীনতা, অবাধ গতিময়তা। যেখানে যখন ইচ্ছা ছুটে বেড়াই। অস্বাভাবিক হলেও ছেলেটার উপর মায়া পড়ে গেছে। তাই ঘন ঘন আসা হয় এই দিকে । প্রায়ই সন্ধ্যায়। আমি তাকে প্রাণভরে দেখি; জড়িয়ে ধরে আদর করি। সে আমার এ আবেগ বোঝে বলে মনে হয় না। গত দু’বছর ধরে ওর বেড়ে ওঠা দেখছি। ওর মার নড়াচড়াও দেখছি অনিচ্ছাসত্ত্বেও।
হয়ত অমনটিই হওয়ার কথা। আমার ছেলে আবীর, সে তার পিতার প্রাণপোড়া আকুতি, স্নেহ, ভালবাসা বুঝতেই পারছেনা। সুমির ক্ষেত্রেও তাই ঘটেছিল। আমার পাড়ার মেয়ে ছিল সুমি। মেধা তাকে দেশের সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠে স্থান করে দিয়েছে। আমার স্ত্রীর মত ঢলঢল সুন্দরী নয় সে; তবে সে যে ক্ষুরধার রূপের অধিকারী একথা বলতেই হবে। স্কুলবেলায় আমার প্রচণ্ড দুর্বলতা ছিল তার প্রতি – তা এমনই দুর্বল যে আমি শক্তি সঞ্চয় করে সুমিকে ধরে রাখতে পারিনি। শেষ পর্যন্ত যে তাকে খাঁচাবন্দি করেছে সে আরেক হিমালয় – বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ শিক্ষক। স্ত্রীকে প্রচণ্ড ভালবাসে। বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা পাবার আগেই সুমির মন জয় করে ফেলেছিল সে। তবে বুঝি না কেন এমন হয় – এই বেছে আনা বউ ঘরে রেখেও শিক্ষক মহোদয়ের ফুলের বনে মৌমাছির মত ভনভন ঘুরে বেড়ানো গেল না। সুমি সরকারি কলেজে শিক্ষকতা করছে; পাশাপাশি পিএইচডি। লক্ষ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতা। ও পারবে। তো সেই সুমিকে দেখার সাধ হলে চলে গিয়েছিলাম বিশ্ববিদ্যালয় কোয়ার্টারে। টেবিলে বসে পড়ছিল – আণ্ডাবাচ্চার ঝামেলায় এখনও জড়ায়নি। অপলক তার মুখের দিকে তাকিয়ে থাকতে থাকতে নিজের উপর নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলি। তাকে জড়িয়ে ধরে পাগলের মত ঠোঁটে-মুখে-গলায় চুমু খেতে থাকি। কিন্তু হায়! ওতো যেমন শীতল ছিল তেমনই রইল।
আমার বাঙলাশিক্ষিকা স্ত্রী, লিপি, অবশ্য জেলা-শহরের মেয়ে, কপালদোষে হয়েছে থানা-শহরের বউ। স্বভাবতই সে স্মার্ট। এখন আগের চেয়ে আরও বেশি রূপবতী হয়েছে। রূপের জেল্লায় স্থির থাকতে পারে না। বইখাতার দোকানদার হিসেবে কিছু চমকদার শব্দের সাথে পরিচয় থাকায় ওগুলো সাজিয়ে আমি স্ট্যাটাস দিতাম ফেসবুকে। তারপর কী থেকে কী হয়ে গেল। ফেসবুক থেকে বেরিয়ে রিয়েল লাইফে এসে হুট করে আমার হাত ধরার পর সে বুঝেছিল যে তাকে দিঘীর পরিবর্তে একটি ছোট্ট ডোবার মধ্যেই সাতার কাটতে হবে জীবনভর। আর আমার চোখের সামনে রঙবেরঙের যে তারাগুলি ঝিকিমিকি করছিল তা-ও একসময় সর্ষেফুলের রঙ ধারণ করল। পরিস্থিতির ভারসাম্য খুঁজতে গিয়ে আমাদের মাধ্যমিক স্কুলের প্রধান শিক্ষকের শরণাপন্ন হলাম। বইখাতার ব্যাপারী বলেই হয়ত আমার প্রতি স্যারের অনুকম্পা হল। তিনি বেশ খেটেখুটেই আমার স্ত্রীকে বাঙলার শিক্ষক হিসেবে তাঁর বিদ্যালয়ে জুড়ে নেয়ার ব্যবস্থা করলেন। শুধু তাই নয়, আমার স্ত্রীর হায়-হায়, যায়-যায় মনে শান্তির প্রলেপ বোলানোর সব রকমের চেষ্টাই আমি করেছি। তার পরও স্পষ্ট বুঝতে পেরেছি আমার স্ত্রীর কাছে আমি অনন্য নই।
আমার দেয়া অনেক কিছুই হয়ত এখন ফেলে দিয়েছে লিপি। তবে অই দামি সানগ্লাসটা ফেলেনি। সোহেলের সাথে যখন সেদিন সন্ধ্যায় নৌকাতে সময় কাটাচ্ছিল তখনও তার চোখে সানগ্লাসটি ছিল। সেদিন অনেক দেরি করে তার বাপের বাসায় ফিরেছিল লিপি। আমি শেষদিকে সহ্য করতে না পেরে সরে গিয়েছি ওখান থেকে।
লিপির বন্ধুর সংখ্যা অনেক; আমি চিনি সোহেলসহ অল্প ক’জনকে, এই যেমন, বিপুল, রনি, রওনক প্রমুখ। ওরা ফেসবুকেতো আছেই, তাছাড়া রিয়েল লাইফের প্রায় সব আড্ডাতেই সরগরম! লিপির বাঁধভাঙ্গা প্রাচণ্ড্য থানা-শহরের পরিসরে অধারনযোগ্য। আমার প্রাণান্তকর চেষ্টা তাকে ঠেসে ধরার, ওর উল্টোটা – লাগাম ছেঁড়ার। স্কুলের চাকুরি, চাপিয়ে দেয়া ভ্রূণ – পরিণতিতে সন্তান, ওসব কিছুই তাকে থিতু করতে পারেনি। সে সত্যিকার অর্থে কী চায় – আমার মনে হত – সে নিজেই জানে না। এই ছোট থানা-শহরে তার দম আটকে আসত বলে সে ঘন ঘন বাপের বাড়িমুখি হত।
আমার মা-ও থাকেন লিপির সাথে। কিংবা বলা যায় – লিপি আমার মায়ের সাথেই থাকে। সে আমার ছেলেটাকে নিয়ে অথবা রেখে চলে যেতে পারত অনেক আগেই। ভরা যৌবন নিয়ে কেন পড়ে আছে এখানে এটা তার পরিবার এবং আমার পরিবারের লোকজনদের কাছে এক বিরাট রহস্য। একটি খাঁ খাঁ করা প্রশস্থ বাড়িতে মোটামুটি বড়সড় আধাপাকা টিনশেডের ঘর। মা, লিপি, আবীর এবং আধা-দিনের কাজের ঝি কুলসুম ছাড়া আর কেউ নেই। আমার বড় ভাই এবং ছোট বোন প্রবাসী। দু’তিন বছর পরপর দেশে আসে – তা-ও মায়ের টানে। ওরা বরং লিপির সিদ্ধান্তে খুশি। দেখভাল করা হোক বা না হোক, মায়ের সাথে একজন লোক থাকা চাট্টিখানি কথা নয়। তাই তারা দুজন লিপিকে হাতে রাখার চেষ্টা করে। লিপি থেকে গেলে মা নাতিকে পায়, বউমাকেও পায়। আমার ভাই-বোনেরা তাই পর্যাপ্ত মাসোহারা ছাড়াও লিপির জন্য পারফিউম থেকে আরম্ভ করে অনেক কিছুই পাঠায় দেশফেরতা লোকদের সাথে। হয়ত আর্থিক সচ্ছলতাই লিপির থেকে যাওয়ার একটা কারণ হতে পারে। তাছাড়া ছেলের যত্ন-আত্তির ব্যাপারটা কি কম! সে দায়িত্ব শ্বাশুড়ি ও কাজের ঝি-এর উপর ছেড়ে দিলে গায়ে ফুঁ দিয়ে বেড়ানো কোন ব্যাপারই না।
আজ মা বাড়িতে নেই। মামাতো ভাইকে দেখলাম ফুফুকে জোর করে নিয়ে যেতে। আবীরকে কি আর রেখে যেতে পারে তারা? মা শুক্র-শনি দুদিন তাদের বাড়িতে থাকবেন। লিপির অসুবিধা হবে না। একা বাড়িতে ভয় পেলে কুলসুমকে দু’দিন রাখা যাবে। কিন্তু না, কুলসুমকে ডাকেনি লিপি। সোহেল এসেছে সন্ধ্যায়। আগেও অনেকবার এসেছে, তবে দিনের বেলায়। আজ নিশ্চয়ই থাকতে এসেছে। সোহেল লিপির অতিপ্রিয় বন্ধু।
আজকে আমি আর যাচ্ছি না। শিরিষ গাছের এ ডাল থেকে ও ডালে ছোটাছুটি করছি। অনেক হয়েছে। আর না। বিয়ের আগে কোন বন্ধু কীভাবে প্রশংসা করেছিল, কোন বন্ধু কোথায় নিয়ে গিয়েছিল,কে চুমু খেতে চেয়েছিল ইত্যাকার অনেক কথা লিপির মুখ থেকে শুনেছি আর হে হে করে উড়িয়ে দিয়েছি। তাছাড়া কত শত ফ্রেণ্ড রিকোয়েস্ট সে রিফিউজ করেছে,কতজন রোমান্টিক ফেসবুক বন্ধু আছে এসবতো হরহামেশা বলতই। ওসব নিয়েও আমি মাথা ঘামাতাম না। অবশ্য মাথা ঘামিয়েও কোন লাভ হত না। তবে আরেকটু সাবধান হলে হয়ত আমাকে দেশময় উড়ে বেড়াতে হত না। আজকের এই সন্ধ্যায় শিরিষ গাছের ডগায় বসে মারমুখী হয়ে উঠতে হত না।
জিঘাংসা আজকে পূর্ণতা পেয়েছে আমার মধ্যে। আজ কিছু একটা করবই। মাখামাখি তাদের ছিল সেতো আমি বুঝতামই। সেজন্য আমার কোন প্রতিক্রিয়া ছিল না। তবে কেন সে, সোহেল – লিপির প্রিয় বন্ধু, আমাকে ধাক্কা দিয়ে ট্রেনের নিচে ফেলে দিল। রেল লাইনের পাশে কথা বলতে বলতে কত অবলীলায় কাজটা করে ফেলল সে। আমিতো সোহেলের পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়াইনি যে আমাকে সরিয়ে দিতেই হবে। কুয়াশাচ্ছন্ন শীতের সন্ধ্যা – আশেপাশে কেউ ছিল না। চাউর হয়ে গেল, এটা আত্মহত্যা, যেমনটি সবসময় হয়। আমার অপমৃত্যুতে কান্নাকাটি আহাজারি সবই হয়েছে। পরিবারের সবার সাথে লিপিও কেঁদেকেটে বুক ভাসিয়েছে। শোকবার্তায় ফেসবুকের পাতা ভরে গেছে তার। ক’দিন পর সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে স্ট্যাটাসও দিয়েছে সে। সোহেলসহ অনেক বন্ধুই এসে তার সাথে দেখা করেছে। এতসবের পরেও আমার মাথায় যে প্রশ্ন ইদানীং ঘুরপাক খাচ্ছে তা হল, ব্যাপারটা কি লিপি আগে থেকেই জানত, কিংবা এটা কি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড? তাদের সাম্প্রতিক মাখামাখির আতিশয্যই আমাকে এভাবে ভাবাচ্ছে। শুধু ভাবাচ্ছেই না, আমাকে খেপিয়ে দিয়েছে।
আমি শিরিষ ডগা থেকে নেমে ইতিমধ্যে কয়েকটা চক্কর মেরে দিয়েছি আমার ঘরের প্রতিটি কক্ষে। দুটি কক্ষতো সবসময় বন্ধই থাকে – বিদেশ থেকে ভাই-বোনেরা এলে থাকে, নয়ত কদাচিৎ কোনো দূরের মেহমান এলে দরজা খুলে দেয়া হয়। মায়ের কক্ষটি বৈঠকখানার পাশাপাশি। আমাদের অর্থাৎ লিপির কক্ষটি ভেতরের দিকে। মফস্বল হলেও মোটামুটি কেতাদুরস্ত আমাদের বাড়িটি। ঘরের ভেতরেই খানাপিনার ঘর অর্থাৎ ডাইনিং স্পেস আছে, আছে তিনটা লাগোয়া টয়লেট। তবে এখন ওগুলো চুপচাপ পড়ে আছে। লিপি আর সোহেল বৈঠকখানা অর্থাৎ লিভিংরুমে বসে কিছু একটা চিবোতে চিবোতে ভারতীয় সিরিয়্যাল দেখছে। একটু পরই খাওয়াদাওয়া শুরু হবে। লিপি পরম মমতায় সোহেলের পাতে বিশেষ বিশেষ পদ তুলে দেবে।
মাথাটা আমার ক্রমশ গরম হচ্ছে। কিন্তু গরম হলেতো চলবে না। আমাকে ঠাণ্ডা মাথায় কাজ করতে হবে। হঠাৎ মনে হল একটা ট্রিপ মেরে আসি চিলার বিল থেকে। জলাভূমি, শীতল আবহ আছে ওখানে। কিন্তু যাওয়ার পর মেজাজ সপ্তমে চড়ে গেল। দেখি ক’জন লোক নৌকায় চড়ে এসে একটি বস্তা বিলের মাঝখানে ফেলে দিল। আমার সন্দেহ হল। আমি চিৎকার করে ওদের ভয় দেখাতে চাইলাম। কিন্তু কোনো ফল হল না। তাই নিজেই টুপ করে বিলের জলে ডুব দিয়ে তলছোঁয়া বস্তার গায়ে হাত দিয়ে পরখ করলাম। হায় আল্লাহ!একটা মানুষের অবয়ব মনে হচ্ছে। নিশ্চয় দুর্বৃত্তরা মানুষটাকে খুন করে এনে লাশ গুম করার চেষ্টা করছে। ভাবলাম,দুষ্ট লোকগুলোকে আমি খুনই করে ফেলব। কিন্তু উঠে দেখি ওরা কেটে পড়েছে। তখনই মনে হল আমার দেরি হয়ে যাচ্ছে। আমারতো ফিরতে হবে।
বৈঠকখানার বাতি নেভানো। তবে কি ভোজনপর্ব চলছে? না, ডাইনিং স্পেসেও আলো নেই। তার মানে? আমাকে এবার প্রস্তুতি নিতে হবে। কী করব তাহলে আমি? হ্যাঁ, মেরে ফেলব। ওদের বাঁচতে দেব না। আমি আমার, না, লিপির শোবার ঘরের দিকে এগুই। কিন্তু ঠিক করতে পারি না ওদের আমি কী দিয়ে আঘাত করব। হঠাৎ একটা বুদ্ধি মাথায় এল। ফ্লোরে ছুঁড়ে ফেলা লিপির ওড়নাটা তুলে নিয়ে সোহেলের গলায় পেঁচিয়ে ধরলাম সবটুকু জোর দিয়ে। শ্বাসরোধ করে ওকে মারব। না, ওতো কোনোভাবেই কাবু হচ্ছেনা। হঠাৎ সোহেলের অবস্থান পাল্টে গেল। লিপিকে আবিষ্কার করলাম তার অবস্থানে। ছিঃ, ও কি আমার স্ত্রী ছিল ! ভালবাসার ঘূর্ণিহাওয়ায় উড়িয়ে নিয়ে আমার সাথে ঘর বেঁধেছিল সে!ওর শরীরের চেকনাই কেমন আন্দোলিত হচ্ছে ! ছিঃ, ও কেলী করছে তার স্বামীরই খুনীর সাথে। লাজ, ঘৃণা, শক্তি একত্র করে ওড়নাটি শক্ত করে পেঁচালাম লিপির গলায়। এবার বুঝবে ঠ্যালা। কিন্তু এ কী? আমি যতই কসরৎ করি না কেন, কিছুতেই কিছু হচ্ছে না। না পারছি সোহেলকে বধ করতে, না লিপিকে কাবু করতে। আমার নিস্ফল আক্রমণের সাথে সাথে ওদের আন্দোলন ও শীৎকার ক্রমে বেড়েই চলেছে।