অনেকদিন থেকেই মাথার মধ্যে ঘুরঘুর করছে বেশ কিছু ছবি। ছবি বললেও কম বলা হবে!এমন কিছু কথা যা দেখতে পাচ্ছি ছবির মত, স্পষ্ট।আমি বরাবরই একটু ভাবুক,তবে ইদানিং নিজের কচি মেয়েটাকে দেখে আরও ভাবুক হয়ে পড়ছি।সারাদিনই মনে গিজগিজ করতে থাকে কত না চিন্তা। সুকুমার রায় থেকে জে কে রাউলিং কিংবা লতা কিশোর থেকে অরিজিত সিং,সঞ্জীব কাপুর ভার্সেস বিদেশী সব নামী কুক, এ সব নিয়েই নানান সব ভাবনার উদয় হয় গুরুমস্তিষ্কে। আজ ভাবলাম লিখেই ফেলি সব হিজিবিজবিজ গল্পগাথা। যদি একটু হালকা হওয়া যায় এই আরকি!
যেমন ভাবা তেমন কাজ!শুরু হল জোরকদমে লম্বা লিস্টি তৈরির। বিষয়,সেকাল ও একাল।
আজকাল যেন নিজেকে বড়ই সেকেলে লাগে। যদিও আমি আদ্যিকালের লোক তো নই ই,বরং বলা চলে ঝুলছি ত্রিশঙ্কুতে! রোজই নিজেকে আপডেট করতে হচ্ছে নিত্যনতুন টেকনোলজিতে,না হলে তো সংসারে ওই একরত্তি মেয়ের সামনে আর মান থাকে না। কখন কী প্রশ্ন করে বসে, আর আমার মুখে শ্রাবণের মেঘ আশ্রয় নেয়, তার আগেই গুগুলে বেশ করে চোখ বুলিয়ে নিই।
এই অভিজ্ঞতা হয়ত শুধু আমার নয়,আমার মত অনেক গুরুজনের, যাঁরা এই প্রজন্মের ভাষা, রুচি বা বোধের পরিবর্তনটা রোজ নিজে থেকে প্রত্যক্ষ করছেন। যেমন ধরুন, খুদে প্রজন্মের ভোজনরসনার কথা।
লিস্টের প্রথমেই জায়গা করে নিল সেকাল ও একালের খাদ্যগত পার্থক্য। আমরা আমাদের পুচকে বেলায় সাধারণত ভাত,রুটি,মুড়ি,চিঁড়ে,সুজি এসব খেয়ে বড় হয়েছি। রবিবার মানেই জানতাম সকালের টিফিনে লুচি আর আলুর তরকারি। যে রোববার এর ব্যতিক্রম হত,মুখটা বাংলার পাঁচ করে বড়দের সামনে নিজেদের মনের দুঃখ কিংবা না পাওয়ার অভিমান প্রকাশ করতাম।
বাড়িতে সকাল থেকে বাবা-মায়ের এতটাই কাজ থাকত ছুটির দিন বলে, যে পুঁচকে মেয়ের মান-অভিমান অতটা গুরুত্ব পেত না কর্মব্যস্ত রোববারের সকালে।
সেই কষ্টটা কিছুটা লাঘব হত দুপুরে মাংসের বাটিতে চিকেনের লেগপিসটা দেখে। রবিবারটার মূল্য সত্যিই বোঝা যেত জবরদস্ত মেনুতে। মটন হোক বা চিকেন দুপুর আর রাতে খাবার টেবিলে বাটিভরা মাংসের সুগন্ধ ছিল ভীষণভাবে প্রত্যাশিত।
এখন সেটা অনেকটাই বদলেছে। এখন অনেক বাচ্চাই আছে যারা চিঁড়ে, মুড়ি,সুজি এসব আর দাঁতে কাটে না। পিৎজা,পেস্ট্রি,স্যান্ডুইচ,প্যাটিজ, ম্যাগি এগুলি তাদের খাদ্যতালিকায় বিশেষ জায়গা দখল করে আছে। ২মিনিট নুডুলস্ কতটা হেলদি জানি না কিন্তু স্বাদু খাবারের লোভে তাদের ক্ষিদে ক্রমশ বেড়েই চলেছে। কিছুদিন আগেও চাউমিন, চিলি চিকেন ছিল বেজায় জনপ্রিয় স্ন্যাক। কিন্তু ইদানিং মুঘল হেঁশেলের বিখ্যাত বিরিয়ানি অবধি অনায়াসে ঢুকে গেছে আটপৌরে রান্নাঘরে। যেমন তেমন করে নেড়েচেড়ে মাংস ভাত মিশিয়ে দিলেও সোনামুখে একটা চওড়া হাসি ছড়িয়ে পড়ে খুদে মস্তানদের।
মায়ের রান্নাঘরে ক্রমশ জায়গা করে নিচ্ছে চকলেট সস,পিনাট বাটার,মেয়োনিজ,চিজ স্লাইস আর তার সাথে চলছে নিত্যনতুন খাবারের আবিষ্কার। উদ্দেশ্য খুদেটিকে যেমন করে হোক ঘরের খাবারে অভ্যস্ত করা। যে-কোন সবজিতে তাদের মুখে অরুচি দেখা যায়। বেশির ভাগ খুদে পছন্দ করে আলুভাজা আর ডাল। ফ্রুট জুস বা ফলে তাদের মন মজে না। চাই সুদি কিংবা ফ্রুট মিল্ক শেক।
আমার ছানাটি অবশ্য এর ব্যতিক্রম। উচ্ছে থেকে কুমড়ো হোক,বা কচু থেকে বেগুন কোনকিছুতেই তার মুখের ভাব খুব একটা পরিবর্তন হয় না। তবে এটাও ঠিক,এই গোত্রীয় বাচ্চার সংখ্যা আজকে হাতে গোনা।
ডমিনোজ,মিও আমোরে,সুগার এ্যান্ড স্পাইস-এর হাতছানি এড়াতে না পেরে ঘরের মুড়ি, সুজি, চিঁড়ে আজ বড়ই কোণঠাসা হয়ে পড়েছে।
পুচকে ছানাটির নজর বাইরের সাজানো খাবার থেকে সরানোর জন্য শুরু হয় আমার ম্যাজিক মম হয়ে ওঠার প্রচেষ্টা। আমাদের সময়ের সাধারণ রুটি তরকারি আজ বাচ্চার টিফিন বাক্সে কাঠিরোল হিসাবে শোভা পায়। এভাবেই আলুভাজা হয়ে ওঠে ফ্রেঞ্চফ্রাই কিংবা দুধসুজির জায়গা নেয় ওকমা। সে যাই হোক, এটা মানতেই হবে একটা বড় বিপ্লব এসেছে খাবারের দুনিয়ায়। তবে ঘরোয়া খাবার যতটা উপকারী বাইরের খাবার সে যতই নামী দামী ব্র্যান্ডের হোক না কেন খুব একটা স্বাস্থ্যসম্মত নয়। তাই চেষ্টা করতে হয় বাড়ির সামান্য খাবারকেই অসামান্য করে তোলার।
এরপর যে ছবিটা আমার চোখে ভাসে তা হল একটি পুচকে বাচ্চার হাতে ইয়াব্বড় একটা মোবাইল ফোন। স্মার্টফোন,ফোর জি,আর ফ্রি পরিষেবার চক্করে ভার্চুয়াল দুনিয়াটা আজ হাতের মুঠোয়। এই টেকনোজলি রপ্ত করতে আমাদের মত ত্রিশঙ্কু অবস্থায় ঝুলন্ত বড়দের যদি সপ্তাহখানেক লাগে,তবে নতুন প্রজন্মের লাগে মাত্র কয়েক ঘন্টা। আমি নিজে তাজ্জব হয়ে যাই যখন আমার ছোট্ট মেয়েটি ফোনের খুঁটিনাটি নিজেই অপারেট করে। সাধারণত ওকে ফোন দেওয়া হয় না, কিন্তু তার নিখুঁত পর্যবেক্ষণ ক্ষমতায় সে যে কখন রপ্ত করে নেয় সমস্ত কাজকর্ম তা সত্যিই তাক লাগিয়ে দেওয়ার মতই। একালের প্রযুক্তি প্রীতির কাছে সেকালের মানুষরা সত্যিই হার স্বীকার করবে।
তালিকায় তৃতীয় স্থানে রাখি এদের খেলাধুলোর ধরণকে। বিকেল মানেই আমরা বুঝতাম খেলা। আর খেলা মানেই লুকোচুরি, জলকুমারী, রুমালচোর, কিতকিত, ক্রিকেট, ফুটবল এইসব। আজকের প্রজন্ম খেলা মানে বোঝে ভিডিওগেম। ক্রিকেট, ফুটবল খেলতে ছুটতে হয় কোনো ক্লাবে। আর বাকি সব খেলার নাম তারা হয়ত শোনেইনি কখনও।
ছোট্ট ফ্ল্যাটে ক্ষুদে ফ্যামিলির টেক স্যাভি প্রজন্ম আসলে বড় একা। মা-বাবার কর্মব্যস্ত জীবনে বাচ্চাটির বিষণ্ণতায় তাই সহজেই জায়গা করে নেয় পোকেমন গো কিংবা ব্লু হোয়েল। স্কুল থেকে ফিরে কোনোমতে নাকে মুখে টিফিনটুকু ঠেসে বন্ধুর ডাকে সাড়া দিয়ে ছুটে খেলার মাঠে যাওয়ার চিত্র আজ বিরল। সেই জায়গায় টিউশনে যাওয়ার জন্য প্রস্তুত হয় তারা।
মনে আছে অনেক বড়বেলা অবধিও বিকেলে বন্ধুদের সাথে খেলাধূলা করেছি। সেদিক দিয়ে বিচার করলে সেকেলে হলেও আমরাই ভাগ্যবতী ছিলাম বেশি।
পরের যে বিষয় নিয়ে কথা বলতে শুরু করব,এই নিয়ে আমাদের বাড়ির ইয়ং ব্যাটেলিয়ন আর আমার প্রায়ই তর্ক মনকষাকষি লেগেই থাকে। গানের ব্যাপারে আমি বড়াবড়ই খুঁতখুঁতে। ভালো কথা, ভালো সুর, ভালো গলা হলেই তা মন টানে। এ-ব্যাপারে আবার আমি তালাত মেহমুদ থেকে শুরু করে আতিফ আসলাম,গোলামআলী,জগজিৎ সিং,শ্রেয়া ঘোষাল,শ্রীকান্ত আচার্য, রূপঙ্কর,মানবেন্দ্র,শ্যামল মিত্র সবই শুনি। কিন্তু তা বলে হানি সিং, মিকা সিং? পারব না।মেরে ধরে পুঁতে ফেললেও না।
আমার প্রতিপক্ষে যারা আছে তারা আবার এঁনাদের অন্ধ ভক্ত।এই নিয়ে আমার যৎসামান্য কোনো যুক্তিও ধোপে টিকবে না।এরা রাহুল দেববর্মন ,শচীন দেববর্মনকে তুড়ি মেরে শিখিয়ে দিতে পারে ওয়াট ইজ থ্যালাইভা। আর বাকি মিউজিক ডিরেক্টরদের নাম নাই বা নিলাম। ভাগ্যিস তাঁরা আগেই সব সৃষ্টি করে দিয়েছেন,তবেই না আজকের প্রজন্ম সেই সব পুরোনো গানের রিমেক বানিয়ে নিজেদের কলার উঁচু করতে এত ব্যস্ত!
একবার ফ্ল্যাটে রবীন্দ্রজয়ন্তী পালন করছি।একদল চঞ্চল প্রজাপতিকে বললাম ‘পাগলা হাওয়া বাদল দিনে ‘গানের ওপর নাচ করতে।একটি বাচ্চাও বুঝতে পারল না যে কোন গানটা নিয়ে কথা বলছি। অনেক কষ্টে একজন আমার ভুল শুধরে দিয়ে বলল, ‘আন্টি ওটাতো উ লালা,উলালা… দিয়ে শুরু,নচিকেতার গান,বং কানেকশনে ছিল’।
আমার মুখ দিয়ে হে রবীন্দ্রনাথ ছাড়া আর কিচ্ছুটি বের হয়নি ওই মুহূর্তে। এই হল এদের বেশিরভাগের সমস্যা। তবে এর জন্য যত না এরা দায়ী, তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী আমরা যারা সঠিকটুকু এদের সামনে সময়ে মেলে ধরতে পারছি না।
তবে হ্যাঁ,ব্যতিক্রম সর্বদাই থাকে,এরও আছে।
এভাবেই লিখতে লিখতে ইচ্ছে হল সেকালের পুজো নিয়ে একটা সুন্দর ড্রয়িং করতে। তবে রংতুলি দিয়ে নয়, ল্যাপটপের ওয়ার্ড ফাইলে। পুজো মানে ছিল ভোর চারটের মহালয়া বীরেন্দ্রকিশোর ভদ্রের গলায়। ঘুমে ঢুলতে ঢুলতে বাড়ির সবাই জড় হতাম,একসাথে হলঘরে। জোরে রেডিও চলছে। লাল লাল চোখ কচলাতে কচলাতে হাই ওঠ তো মস্তমস্ত। তবুও একে অপরের দিকে তাকিয়ে মুচকি হাসি দিয়ে শুনতে ব্যস্ত ‘বাজল তোমার আলোর বেণু।’
পুজোর চারদিন কাটত মামাবাড়িতে। সকাল-বিকেল ভালোমন্দ খাওয়া,অঞ্জলি দেওয়া,সারাদিন ঠাকুর দেখা,ক্যাপ ফাটানো,সকাল বিকেল নতুন জামা পড়ে প্যান্ডেল দাপিয়ে বেড়ানো আর ভালো ভালো গান শোনা।
এখন পুজোর ধরণও বদলেছে। সাবেকিয়ানা সরে গিয়ে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে সর্বত্র।সকাল থেকে ডিজের ধুন্ধুমার আওয়াজে টিকে থাকা দায়! প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে বন্দুক ক্যাপ। বাড়িতে চর্বচূষ্য রান্নার চেয়ে কোনো ভালো ক্যাটারারকে চারটে দিন রান্নার ভার দেওয়া হয় বাড়িতে অতিথি এলে।
আর মূলত পুজোতে বেড়াতে যাওয়ার প্রবণতাটা এখন ভীষণই বেড়ে গেছে। কোন রকমে পঞ্চমী, ষষ্ঠীটুকু ঠাকুর দর্শন করেই আমরা সপরিবারে ছুটছি ভ্রমণের উদ্দেশ্যে।
ইদানিং দেখলাম,গণেশপূজোর হিড়িকটাও বেশ চোখে পড়ার মতই। বাংলা ও হিন্দি সিরিয়ালগুলির দয়ায় আস্তে আস্তে আমাদের ফর্দতে এভাবে যুক্ত হয়ে চলেছে আরও অন্যান্য ব্রত বা পুজো। এখন সরস্বতী পুজোর নতুন নাম বাংলার ‘ভ্যালেন্টাইন ডে’। আকাশে বাতাসে মেঘের মতই এত প্রেম ভেসে থাকতে হয়ত আমাদের সেযুগের অনেক কবি সাহিত্যিকরা দেখেননি। আজ যে মাত্রায় একটা পুজোকে কেন্দ্র করে সম্পর্ক গড়ে তা সত্যিই অবাক করে দেয়।যে কোন বয়সী ছেলে মেয়ের চোখে মুখে ভর করে দীপিকা পাড়ুকোন আর রনবীর সিংহ। উত্তম সুচিত্রার ভুবনভোলানো ভালোবাসা যে বড্ড ম্যারম্যারে। সিনেমাটিক ওয়েতে সাজগোজ,ঘোরাফেরা, চালচলন সব দেখে শুনে নিজেকে বড়ই মান্ধাতার আমলের বলে মনে হয়।কি জানি আমি বোধহয় আজও প্রেম করতে শিখিনি!
এই লিস্টি চাইলে অনেক কিছুর সংযোজনে বাড়তেই থাকবে।তবুও আর একটি বিশেষ বিষয় যেটি নজর কাড়ে সবার তা হল মাতৃভাষার প্রতি অহেতুক নাক শিঁটকানি ভাব। বাংলা ভাষার চর্চা ছাড়াই,বাংলার সাহিত্যখনির সন্ধান না করেই এরা ধরেই নেয় যে এদের বাংলাটা ঠিক আসে না। তবে এর জন্য তারা যত না দায়ী, তার চেয়ে অনেক বেশি দায়ী আমরা বড়রা। যারা বিন্দুমাত্র প্রয়াশ না করেই বুক ফুলিয়ে লোকের সামনে বলেছি আমার ছেলে বা মেয়ে বাংলা পড়তে জানে না। অথচ এই ভাষার রসাস্বাদন ব্যতীত অন্যভাষা মনোগ্রাহী হওয়া সম্ভব কি? কোথায় পাবে এত মিষ্টতা,এত দরদ,এত গভীরতা,নিজেকে চেনার আয়না নিজের মাতৃভাষা ছাড়া? এখানে আমি সত্যিই পিছিয়ে পড়া সেকেলে। নিজের সন্তানকে এ,বি,সি,ডি র আগে স্বরবর্ণ শিখিয়েছি। রাইমস্ মুখস্থ করার আগে সুকুমার রায় পড়িয়েছি।
ইংরাজী বা হিন্দি জানাটা আবশ্যিক কিন্তু মাতৃভাষা জানাটা কর্তব্য।আর এই প্রয়োজনীয়তা গার্ডিয়েনরা যতক্ষণ না বুঝবেন, তরুণ প্রজন্মকে বোঝানো অসম্ভব।
এই প্রজন্ম যেমন অনেক কিছুতে পারদর্শী তেমন অনেক জীবনরসবোধ থেকে বঞ্চিত। তাদের অবসর থেকে হারিয়ে গেছে ঠাকুমার ঝুলি,বাঁটুল দি গ্রেট,হাঁদা ভোঁদা,রুশ দেশের উপকথা কিংবা আরব্য রজনী। ভার্চুয়াল দুনিয়ায় তারা এতটাই মশগুল যে বাস্তব কল্পনার ফারাকটা তারা আর করতে পারে না।একটু বয়স বাড়ার সাথে সাথে ক্রমশ নেশার বশবর্তী হয়ে পড়ে তারা।ছন্দপতন ঘটে সাধারণ জীবনে। যার ফলস্বরূপ রোজ খবরে আসে নানান ঘটনা।তবে এর থেকে উদ্ধার করতে পারি আমরা বড়রাই। লক্ষ রাখতে হবে তাদের ওপর,বন্ধুর মত সময় দিতে হবে তাদের।তাদের ঠিক ভুল শেখানোর দায়িত্ব আমাদেরই।তারা ছোট বলে আবার তাদের মতামতকে সর্বদা অবহেলা বা অবজ্ঞা কারও চলবে না।তবে সংসারে সে নিজেকে উপেক্ষিত মনে করতে পারে।ভীষন যত্নে বড় করতে হবে আমাদের নিজেদের বাগানের ছোট্ট গোলাপকুঁড়িগুলোকে,তবেই সৌন্দর্য ও সুভাস ছড়িয়ে পড়বে সমগ্র পরিবেশে,কারণ ভালো গোপাল ফোটানোর পদ্ধতি সেকালেও যা ছিল একালেও তাই আছে।বাচ্চাদের দোষারোপ করার আগে তাই একবার নিজেদের প্রচেষ্টা গুলো নিয়ে আসুন না আরও একবার ভালো করে ভেবে দেখি।।